দ্রুত বিয়ে, চিন্তার কিছু পরিবর্তন

লিখেছেন লিখেছেন সাঈদ আল হক তামজিদ ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১০:৫৭:০৮ রাত

বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি তাতে লেখাটা মানানসই না। তারপরও লিখছি। কারণ ১ মাস ধরে লেখবো লেখবো করেও লেখা হচ্ছিল না তাই।

ফেসবুকে একটা সময় দ্রুত বিয়ে করা নিয়ে বিশাল রকমের আলোচনা শুরু হয়েছিল। আজকালও হয়, তবে সেটা একটু কম পরিসরে। আমি কখনো দ্রুত বিয়ে করার বিপক্ষে ছিলাম, এখনো বিপক্ষে নই। শুধু চিন্তার একটু পরিবর্তন হয়েছে এই আর কি।

কিছুদিন আগেও ভাবতাম, আমার বাবা-মা আমাকে বিয়ে দেয় না কেন !! তারা কী আমার পরিস্থিতি বুঝে না !! কীভাবে আমি সমাজে চলা ফেরা করছি তা কি তারা বুঝে না !!

এই হাদীস সেই হাদীস , Youtube, Google, নানান মানুষের সাথে কথা। কীভাবে আমি বাবা-মাকে কনভেন্স করতে পারবো দ্রুত বিয়ে করার জন্য। একদিন হাদীস শুনিয়ে দিলাম, বিয়ে না দেওয়ার কারনে আমি যদি কোন পাপ কাজ করি তাহলে তার ভার তাদেরও নিতে হবে। ইচ্ছে করে করলে তার ভার তারা কেন নিবে !!!!

এত কিছুর ভেতর ভুলেই গিয়েছিলাম, এত যে বিয়ে বিয়ে করছি আসলেই কী বিয়ে করার মত সামর্থ হয়েছে আমার???

বিয়ে অবশ্যিই একটা মাধ্যম নিজেকে অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য। তাই বলে তো বিয়ে তো শুধু এই একটা কাজের জন্য নয়।

বিয়ে তো আর ডেটিং না যে, স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে পার্ক সেই পার্ক হাত ধরে ঘুরবো আর চকলেট খাবো। যেন এই ঘুরাঘুরিই আমার কাজ। বিয়ের পর যে আমার স্ত্রীর প্রতি আমার একটা দায়িত্ব আছে সেটা যে মাথাই নেই। খালি একটাই কথা বাবা-মা কেন বিয়ে দিতে চায় না। আরে ভাই তাদের সামর্থ নাই বিয়ে দেওয়ার। আমার সামর্থ নাই এই মুহুর্তে বিয়ে করার। টাকা নাই। অনেকে বলবে টাকা দিয়ে শুধু সামর্থ বোঝায়? আমি বলবো না টাকা দিয়েই শুধু সামর্থ বোঝায় না, সেই সাথে মানসিক পরিপক্কতাও লাগে। তবে টাকাটা অনেক বড় একটা ব্যাপার কারন আপনাকে একটা সমাজে বাস করতে হবে। অনেকে আবার বলবে, আরে ভাই আপনার একটা ভাই বা বোন থাকলে তাদেরকে আপনার বাবা-মা খাওয়া তো না। আমি বলবো ভাই বোন আর বউ এক না। আমার বউএর জন্য তো আমার একটা ভাইকে বারান্দায় শোয়াতে পারবো না।

তবে যাদের বাবা-মায়ের সামর্থ আছে তাদের একটা ছেলে কেন, দশটা ছেলেকে বিয়ে দিলেও আর্থিক কোন সমস্যা হবে না তাদের দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিত।

আমরা অনেকেই একটা কথ বলি, হাদীসে এসেছে বিয়ে করার সামর্থ না থাকলে রোজা রাখতে, কিন্তু কতদিন রাখবো। আমিও বলতাম, তবে এখন আর বলি না। রোজা রাখলে তো আমার কোন ক্ষতিই হচ্ছে না, বরং লাভ। শারিরীক ভাবেও উপকার, মানসিক ভাবেও এমন কি আধ্যাতিক ভাবেও। আমার দোয়া কবুল হবার সম্ভানাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এখন আসতে পারে কী করা দরকার আমাদের। কারণ আমাদের সমাজে শিক্ষা ব্যাবস্থা অনেক ধীর। চাকরি পাওয়াটাও আজকাল যেন সোনার হরিণ পাওয়ার মত।

প্রথমত, শুধু দোয়া। এর বিকল্প আসলে কিছুই নাই। রোজা রাখার কথা তো বললামই।

চাকরি করতেই হবে এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আরো অনেক হালাল উপায় আছে দুনিয়াতে অর্থ উপার্জন করার জন্য।

মানসিক ভাবে নিজেকে তৈরী করুন। আসলেই কী আপনি পারবেন আপনার স্ত্রীর অধিকার রক্ষা করে চলতে। স্ত্রীর অধিকার রক্ষা না করতে পারলে আপনারই কিন্তু ক্ষতি। হাশরের ময়দানে কিন্তু আপনাকেই পাকড়াও করা হবে।

আরেকটা কথা সমাজ, বাস্তবতা অনেক কিছুকে ব্যালেন্স করেই সঠিক পথে চলতে হবে।

আল্লাহ্‌ আমাদের সবার সকল সমস্যা দূর করে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করুন। আমীন

বিষয়: বিবিধ

১৫৩৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

303219
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:৪২
জোনাকি লিখেছেন : আমীন।
303236
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
ভোলার পোলা লিখেছেন : পিলাচ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File