সত্য ঘটনা অবলম্বনে একটি রম্য রচনা

লিখেছেন লিখেছেন আলিমুল রাজি ০৮ জুলাই, ২০১৩, ০১:৫১:৩৪ দুপুর

দম নিতে সমস্যা। ফুসফুস মনে হয় ঝাকুনি দেয় একটু পর পর। বিশেষ ডাক্তার দেখাইতে হবে। গাজি আজমল না খালি আজমল হাসপাতালে গেলাম। ৩ মিনিট চেক করে বললেন কোন সমস্যা নাই। ধুমপান ছাড়েন। কোন সমস্যা নাই তাই ৫০০ টাকা দিতে কষ্ট হইতেছিল, তাও দিলাম। ডাক্তার বললেন এখন তিনি ৮০০ টাকা করে নিচ্ছেন।

মাথা নস্ট। কয় কি! রোজা আসলে জিনিশ পত্রের দাম বাড়ে, ভিজিট ও বাড়ে নাকি? ডাক্তারদেরও কুচক্রি মহল আছে নাকি? তারাও কি অসাধু বেবসায়িদের মত নাকি? বললাম, ভিজিট বেশি হয়ে গেল না। ডাক্তার সাহেব মাইন্ড খাইলেন। এইটা ডাক্তার, বুজছেন। কি পরিমান কস্ট করে ডাক্তার হয় আপনি জানেন? কত কঠিন প্রসেজ আপনি জানেন?

ঝারি খেয়ে টাকা বের করে দিলাম। জনিনা কি মনে করে ৪০০ টাকা রাখলেন। খুশী মনে বললাম স্যার একটা চুটকি শুনার সময় আছে? স্যার এইবার রেগে গেলেন, দূর মিয়া যান ত, বের হন, আমার সময় কম। অগত্যা বের হয়ে যাব, তিনি পেছন থেকে ডাকলেন, ওই মিয়া, কি চুটকি বলেন, জটপট বলেন। আমি শুরু করলাম।

এক দল বিশেষজ্ঞকে প্রশ্ন করা হলো, "৪*৪ এর মান কতো?"

প্রকৌশলী তার প্রাচীন গণনাকারী যন্ত্র স্লাইড রুল'কে ঝেড়ে মুছে কয়েকবার ডানে বামে টানলেন, এবং এক সময় জানান, "উত্তরটি ১৫.৯৯।"

পদার্থবিদ তার টেকনিক্যাল রেফারেন্স বইয়ের পাতা উল্টিয়ে পেছনটা দেখে বলেন, "এর মান ১৫.৯৮ এবং ১৬.০২ এর মধ্যে অবস্থিত।"

গণিতবিদ কিছুক্ষণ মাথা চুলকিয়ে বলেন, "আমি ঠিক এ মুহূর্তে জানাতে পারছি না উত্তরটি কত, তবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করছি, এর একটি সুনির্দিষ্ট মান রয়েছে।"

দার্শনিক স্মিত হেসে বলেন, "৪*৪ বলতে আসলে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন?"

যুক্তিবাদী বলেন, "৪*৪ ব্যাপারটি আরো সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা প্রয়োজন।"

সমাজবিজ্ঞানী বলেন, "আমি আসলে উত্তরটি জানি না, তবে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করা সমাজের জন্য একটি চমৎকার ব্যাপার।"

মেডিক্যালের ছাত্র হঠাৎ বলে উঠে, "গুণফলটি ঠিক ১৬।"

সবাই অবাক হয়ে তার কাছে জানতে চায়, এতটা নিশ্চিতভাবে ব্যাপারটি কীভাবে জানল!

ছাত্র উত্তর দেয়, "গুণফলটি আমার মুখস্ত ছিল।"

ডাক্তার হাসে, আমিও হাসি। জিজ্ঞেস করে, ওই মিয়া কি করেন? বললাম, হাসি স্যার। ডাক্তার বলে, দূর মিয়া আপনার পেশা কি সেইটা জিজ্ঞেস করছি। উত্তর দেয়ার পর বলে, বাসা কই? বললাম রাস্তার ওই পারে, জাজ নিবাস। কি বলেন, আমিও ত ওই বাসায় ই থাকি, 5A.

বললাম, জানি স্যার। আপনি চড়ই পাখির হাজবেন্ড। ডাক্তার টাস্কি খায়। বললাম, জি স্যার, ফারজানা অনেক চিকনা চাকনা ছিল ত, আমরা চড়ই পাখি বলে বুলাইতাম। আমরা কলেজমেট স্যার। সিড়িতে হুট করে দেখা, আপনার কথা বলল, তাই পরিচয় হইতে আসলাম স্যার, মুলত কোন অসুখ নাই।

ডাক্তার স্যার হাসতেই আছে।

বিষয়: বিবিধ

২৬১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File