আমাদের জন্য শিক্ষনীয় কিছু আছে কি?
লিখেছেন লিখেছেন তৌহিদুল ইসলাম তানিন ২৯ মে, ২০১৪, ১২:০৭:১৮ রাত
আল্লাহ্ বারবার আমাদের মেসেজ দেন, পরীক্ষা করেন, তাঁর রজ্জুকে আরো শক্তভাবে আঁকড়ে ধরার জন্য, তাঁর আরো নিকটবর্তী হওয়ার জন্য। কিন্তু, বাস্তবে আমরা কি শিক্ষা নেই???
১। আজকে, আমার একজন মামার একটি মৃত ছেলে সন্তান হয়েছে! (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে র'জেঊন) তাই, সবাই খুব বিমর্ষ! আল্লাহ্ মামা-মামানীকে ধৈর্য ধারন করার তাওফিক দিন। এই সন্তানকে তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসে যাওয়ার উসিলা করে দিন।
২। অফিসের একজন কলিগের (দ্বীনি ভাই) বিয়ের ১২ বছর পর একটি ছেলে সন্তান হয়। আর, এটাই উনার এবং ভাই-বোনদের পরিবারের একমাত্র সন্তান! বর্তমানে ১.৫ বছর বয়স। গত এক বছর ধরে, কি যেন এক কঠিন রোগে ভুগছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেও, এখনো রোগ নির্নয় করতে পারেনি! এই রোগের কারনে, বাচ্চার মাথার বাম পাশ শুকিয়ে যাচ্ছে সাথে সাথে বাম হাত-পা সহ শরীরের বামদিক ও অস্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে যার দরুন সে অটিষ্টিক বাচ্চাদের মত হয়ে যাচ্ছে! অনেক চিকিৎসা করেও কোন লাভ হচ্ছেনা!
৩। অফিসের আরেকজন কলিগ (মেয়ে) এর বিয়ে হয়েছে ৯ বছর আগে। কিন্তু, এখনো কোন সন্তান হয়নি না! অনেক চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করছেন।
৪। ৩ দিন আগের ঘটনা, সময় বিকেল পাঁচটা। বৃষ্টি ঝরছে অঝোর ধারায়। এনায়েত বাজার মোড়ে একটি সিএনজি টেক্সি গতি কমালো একটি ডাস্টবিনের পাশে। একটি ছোট থলেতে মুড়িয়ে কিছু একটা ডাস্টবিনের সামনে ছুঁড়ে ফেলেই টেক্সিটি দ্রুত বেগে চলে যায়। থলের ভিতরে ছিল সদ্যোজাত এক শিশু। শিশুটি হাত পা ছুঁড়তে থাকলে কিছুটা আলগা হয় থলেটি। বেরিয়ে আসে তার একটি হাত। চোখে পড়ে যায় দুই পথচারীর। কৌতূহলী হয়ে তারা সেদিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তারা শিশুটির কাছে পৌঁছার আগেই দ্রুতগামী একটি প্রাইভেট কার তাকে পিষে দিয়ে চলে যায়। ওই কারের চালকও হয়ত আবর্জনাই ভেবেছিলেন। কারের চাপায় মুহূর্তেই ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শিশুটির দেহ। এমন ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন যাত্রী ও স্থানীয় অনেকেই। অনেককে কান্না করতেও দেখা গেছে। পরে পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে জানা যায়নি শিশুটির পরিচয়, এমনকি বয়সও। থেঁতলে যাওয়ায় চিহ্নিত করা যায়নি কন্যাসন্তান না ছেলেসন্তান। রাস্তার পাশের চায়ের দোকানি মোহাম্মদ খলিল বলেন, ‘জীবনে অনেক ঘটনাই দেখেছি, কিন্তু এতটা নির্মম ঘটনার সাক্ষী কখনওই হইনি।’ (Todaystimes24.com থেকে)
বিপদাপদ বা দূর্ঘটনা ঘটলেই তাতে হাহুতাশ করার কারণ নেই । কারণ, আমাদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটে যা আমরা চাই না কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার মধ্যেই আমাদের কল্যাণ নিহিত রয়েছে । আবার অনেক সময় এমন কিছু আশা করি যার মধ্যে হয়ত কোন অকল্যাণ ও ক্ষতি অপেক্ষা করছে । আমরা কেউই ভবিষ্যত সম্পর্কে জানি না ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমদের কাছে হয়তবা কোন একটা বিষয় পছন্দনীয় নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর । আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর । বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না ।” [সূরা বাকারা: ২১৬]
বিষয়: বিবিধ
১৩৩২ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি বুঝাতে চেয়েছি, একদিকে সন্তানের জন্য নিদারুন হাহাকার আর অন্যদিকে সন্তান নিয়ে নির্মম পরিহাস!
আমি বুঝাতে চেয়েছি, একদিকে সন্তানের জন্য নিদারুন হাহাকার আর অন্যদিকে সন্তান নিয়ে নির্মম পরিহাস! ইসলামকে ত্যাগ করার কারনে আমরা কতটা অমানুষ হয়ে গেছি।
আল্লাহ্ আমাদের ক্ষমা করুন
আসলেই আমরা এত আলামত থেকেও সতর্ক হই না।
May Allah guide us unto the right path.
Zajakumullahu Khairan
আমিও আপনার দুয়ার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমীন ইয়া রব্ব
মন্তব্য করতে লগইন করুন