পরিশুদ্ধি
লিখেছেন লিখেছেন তৌহিদুল ইসলাম তানিন ০৫ আগস্ট, ২০১৩, ০৪:৪৩:২৭ রাত
বুকফাঁটা কান্না মুমিনের উত্তম হাতিয়ার
মনের কোনে লুকানো খেদের তুলনা যে নাই !
এখনো তোমার অপার সুযোগ বর্তমান
করো খালেছ দিলে, একটু জান্নাতি সদাই।
.
মুমিনের প্রতি ফোঁটা অশ্রুর দাম,
যাবেনা তো কোন কিছুতেই পরিমাপ।
ভালোবাসা সিক্ত ওই দুটি চোখ,
বলবে না তো কভু, অসাড় প্রলাপ।
.
আল্লাহ্র রাহে অবিরত যে বৃষ্টি ঝরে,
হবেনা তো বিফল, সে কোনদিন।
পাবে জেনো নিশ্চয়ই, রহম মাওলার
হবেনা তো জগতে, ভালোবাসাহীন।
.
কান্নার জলে মিশে, বেড়ে যায় মান
লিখা হয়, প্রিয় বান্দার সাথে নাম।
ফেরেশতার সুনজরে থাকবে সদা
রহমধারা বর্ষিত হয়ে, করবেই প্রণাম।
.
তবে কেন রয়েছে দূরে, ও মুমিন ভাই !
মন খুলে বলে দাও আজ, যত দুঃখগাঁথা।
সাথে নাও অমূল্য, প্রেমসিক্ত নোনা জল,
ক্ষমা তুমি পাবেই; তিঁনি দিয়েছেন কথা !
.
.
___________________________________________
রচনাকালঃ ০২.০৮.২০১৩ ঈসায়ী
[ ফেসবুকের বড় স্ট্যাটাসগুলো ও নোটসমূহ (ইসলামিক কবিতা ও অন্যান্য) আমার ব্যাক্তিগত ব্লগ http://www.tanin87.blog.com এ ইনশাআল্লাহ্ যেকোন সময় পাবেন ]
পটভুমিঃ কিছুদিন আগে পুরো দেড় মাসে মাত্র ২ টা কবিতা লিখতে পেরেছি। অথচ, গত ২৩ রমাদানে শবে ক্বদর তালাশ করতে মসজিদে গেলে, সবিমিলিয়ে অল্প কিছু সলাত আদায় করেছি এবং ৩ টা কবিতা মসজিদে বসেই লিখেছি !!! এছাড়াও, সেহেরী খেয়ে, "বুকফাঁটা কান্না মুমিনের অন্যতম অস্র, আল্লাহ্র দরবারে ক্ষমা পাবার উত্তম নিয়ামক।" - এই স্ট্যাটাসটি ফেসবুকে দিয়ে শুয়ে পড়ার পরেও আরেকটা (মানে এই কবিটাটি) মাথায় আসে এবং ঘুম বাদ দিয়ে এটা লিখে ফেলি। আলহামদুলিল্লাহ্! (ঈতিকাফে বসা এক ভাইয়ের কাছ থেকে একটা দুয়া লিখে নেয়ার জন্য ডাইরী ও কলম নিয়ে গিয়েছিলাম মসজিদে আর এর এমন উপযোগিতায় প্রথমে আমি নিজেও হতবাক হয়েছি।)
যা-ই-হোক, ২১, ২৩ ও ২৫ রমাদান আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছে, জানিনা আমরা কতটুকু শবে ক্বদর তালাশ করতে পেরেছি! এখন, সামনে ২৭ ও ২৯ রমাদান আছে, ইনশাআল্লাহ্ আমরা এই দুই বিজোড় দিনেও শবে ক্বদর তালাশ করব এবং আল্লাহ্ যেন শবে ক্বদর বা রমাদানের বা আমাদের অন্তরনিসৃত অশ্রুর উসিলায় আমাদের যাবতীয় গুনাহখাতা ক্ষমা করে নিষ্পাপ শিশুর ন্যায় করে দেন। আমীন
বিষয়: বিবিধ
১৭২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন