মোরাল অব দ্যা স্টোরি
লিখেছেন লিখেছেন তৌহিদুল ইসলাম তানিন ২৩ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:০৬:২৯ রাত
আমাদের সবারই কম-বেশি নামাজের মধ্যে ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকে । আর, আমিও এর ব্যতিক্রম নই । আজকের একটা ঘটনাতে খুবই ব্যাথিত হলাম । প্রথমে মনে করেছিলাম শেয়ার করব না, যদি গীবত হয়ে যায় এই ভয়ে । পরে চিন্তা করে দেখলাম, এর থেকে কিছু শিক্ষণীয় বিষয় আছে যা কিনা আমাদের উপকৃত করতে পারে (আল্লাহু আলা’ম) । এবার মূল ঘটনায় আসি । আজ, যোহরের নামাজের জন্য মসজিদে গিয়ে সুন্নত ৪ রাকাত আদায় করে যথারীতি ফরজের জন্য প্রস্তুতি নিলাম । আমি একেবারে প্রথম কাতারের ডানদিকে এবং ইমামের খুব কাছাকাছি । তো, কাতার সোজা করতে গিয়ে দেখলাম, আমার ডানদিকে অনেক ফাঁকা জায়গা, যেখানে কিনা একজন পূর্ণ বয়স্ক লোক দাঁড়াতে পারবে না, আবার ছোট একজনের সহজেই যায়গা হয় । এই দেখে, আমার পাশের জনকে আরো কাছাকাছি আসার আহ্বান জানালে তিনি অস্বীকৃতি জানালেন । এরপর, আমি ছোট একটা বাচ্চাকে পিছনের কাতার থেকে ডাক দিয়ে, আমি একটু সরে এসে তাকে আমার বাম দিকে দাঁড় করালাম। (কেননা, আমি জানতাম ভদ্রলোক বাচ্চাদেরকে প্রথম কাতারে বা উনার পাশে পছন্দ করেন না । তাই, মাঝে মাঝেই তাদেরকে প্রথম কাতার থেকে সরিয়ে পিছনের কাতারে বা একেবারে পিছনে পাঠিয়ে দেন, এমনকি নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকলে ও !!! এরকম কতগুলো ঘটনার সাক্ষুস সাক্ষী আমি। ) আর, আমি যেই সরে এসে উনার যায়নামাজে পা রাখলাম উনি খিস্তি দিয়ে আমাকে যায়নামাজ থেকে পা সরাতে বলে উনার যায়নামাজটা সরিয়ে আরো ডানদিকে নিয়ে গেলেন এবং খানিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁডালেন ! আমি কিছু না বলে নামাজের নিয়তে মনোনিবেশ করলাম ।
মোরালঃ
১। প্রথম কাতারে নামাজ পড়ার সওয়াব বেশী তাই এতে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ।
২। কাতারে দাঁড়ানোর সময় ফাঁকা করে দাঁড়ালে, সেখানে শয়তান এসে আস্তানা গাড়ে । এজন্য নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর সময়, পায়ের সাথে পা আর কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে বলা হয়েছে ।
৩। বাচ্চাদেরকে এভাবে সরিয়ে দেয়া বা পিছনে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যাপারে ও নিষেধ করা হয়েছে । এতে তারা নামাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে বা নিরুৎসাহিত হয়ে মসজিদে না ও আসতে পারে ।
৪। কোন অবস্থাতেই কারো সাথে ফিতনা-ফাসাদে জড়ানো যাবে না । আর, সম্ভব হলে, তাকে বিনয় ও হিকমতের সাথে বুঝিয়ে বলতে হবে ।
** আমার এই কথাগুলো কোনভাবেই গীবত বা অহংকারের বহিঃপ্রকাশ নয় এবং আল্লাহ্ই ভালো জানেন ।
** আমি যতটুকু জানি, ভদ্রলোক যথেষ্ট পরহেজগারী । আল্লাহ্ উনাকে সহিহ বুঝ দান করুক এবং উনার আমলের উত্তম প্রতিদান দান করুক । আমীন
বিষয়: বিবিধ
১৯৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন