তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়াঃ আল্লাহ কি আসলে জ্ঞান তুলে নিয়েছেন!
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ১২ জুন, ২০১৭, ০৫:৪২:৪৪ সকাল
বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহীম
আস্সালামুআলাইকুম!
আমরা অনেকেই ''আবদুল্লাহ ইবন আমর বিন আল আস্ রাঃ হতে বর্নিত, রাসুলুল্লাহ্ সঃ এর ঐ হাদীসটি জানি যেখানে তিনি বলেছেন (ইংরেজী হতে অনুবাদ) ''আল্লাহ মানুষের অন্তর হতে (কিংবা বলা যায় ভুলিয়ে দিয়ে) 'জ্ঞান' উঠিয়ে নেন না, বরং পর্যায়ক্রমে জ্ঞানবানদের মৃত্যুর মাধ্যমে জ্ঞান তুলে নেন। ফলশ্রুতিতে মানুষেরা তাদের মধ্যস্থিত মূর্খদের নেতৃত্বের আসনে বসায়, যারা বিভিন্ন বিষয়ে 'জ্ঞান'হীন এর ন্যায় মতামত দেয়। ফলশ্রুতিতে তারা নিজেরা যেমন বিপথে যায়; তেমনি মানুষকে বিপথে ধাবিত করে''। বুখারী USC-MSA web (English) reference: Vol. 1, Book 3, Hadith 100
আমি একজন সাধারন মুসলিম হিসাবে উলামায়ে কেরাম সংশ্লিষ্ট নিউজটি Click this link পড়ছিলাম।
পড়ার পর অবাক বিস্ময়ে অনুভব করলাম - এই ইফতার মাহফিলের আলোচনার চুম্বক অংশ হিসাবে যা কিছু এ নিউজ এ লিপিবদ্ধ হয়েছে - তাতে কোথাও কোন ডিভাইন নলেজ এর সংশ্লিষ্টতা নেই। (হয়তো সাংবাদিক মহোদয় ডিভাইন নলেজ কে গুরুত্বপূর্ন মনে না করে সংবাদে বাদ দিয়েছেন - এমন ও হতে পারে) যারা আলোচনা করেছেন - উনাদের আলোচনা আর দশজন স্যেকুলার দুনিয়াবাদী সুলতানা কামাল, জাফর ইকবাল, ইমরান এইচ সরকারের মতই হয়েছে। স্যেকুলার, দুনিয়াবী যুক্তি তর্ক, রাজনীতি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইন আদালতের ভাষায় এ আলোচনা সংবাদে বিবৃত হয়েছে। যেন বা উনারা সকলেই সিম্পলী স্যেকুলার বিশ্বের ধারক বাহকদের একটি পক্ষ মাত্র। বুঝিবা ওনাদের কাছে কোরান ও হাদীসের জ্ঞানের সংকট চলছে। ওনাদের বক্তব্যে বুঝিবা তাই কোরান হাদীসের কোন রেফারেন্স নেই। বড় জোর ওনাদের বক্তব্যে ঐ স্যেকুলার ভাষা ও টর্মিনলোজীর ব্যবহার হয়েছে যা তথাকথিত আধুনা বাংলাদেশের লিডারশীপরা ব্যবহার করেন, প্রতিধ্বনীত করেন। স্বভাবতঃই আমাদের মত আম মুসলিম সত্যিকার জ্ঞানের ছোয়া পান না, এনাদের এবং ওনাদের মধ্যে পার্থক্যও পান না।
সংবাদের হাইলাইটেড স্টেইটমেন্টগুলো দেখুন এবং নিজেই বোঝার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনি কোনভাবেই এর সাথে ইবনে তাইমিয়া কিংবা নাসিরুদ্দীন আলবানী রঃ দের কথা বার্তার মিল পাবেন না - অথচ ওনারা মুফতি কিংবা অমন কোন সার্টিফাইড টাইটেলধারী ছিলেন না।
১। ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতা রোধ ও ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
২। মূর্তি চিরতরে উচ্ছেদ করতে হবে এবং মূর্তির পক্ষাবলম্বনকারী মন্ত্রীদের অপসারণ করতে হবে।
৩। মসজিদসহ ইসলামী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সুলতানা কামালের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে এদশের মাটিতে তাদের স্থান হবে না।
৪। সুলতানা কামাল মূর্তির পক্ষে ও মসজিদ বিরোধী বক্তব্য জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। দেশে বলবৎ আইনেও এ ধরনের বক্তব্য নিষিদ্ধ।
৫। দেশে ইসলাম বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে। সুলতানা কামালসহ ইসলাম বিরোধী শক্তি মসজিদ অপসারণ করার মত কথা বলার সাহস দেখাচ্ছে। --- নাহলে রমজানের পর এমন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে যাতে নাস্তিকরা দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হবে।
কেউ ব্যাক্তিগতভাবে আমার এই অনুভব কে আমলে নিবেন না। আমার উদ্দেশ্য পৃথিবীর কোন আলেম ওলামাকে খাটো করা নয়, অসন্মান করা নয় - বরং সেন্স করা আসলে কি আমাদের মাঝ হতে আল্লাহ কি জ্ঞান তুলে নিয়েছেন?
একজন মুসলমান হিসাবে এই প্রত্যশা - যারা আমাদের সমাজে আলেম ওলামা হিসাবে সন্মান পেয়েছেন, স্বীকৃতি পেয়েছেন - ওনারা যখন কথা বলবেন - তা যেন হয় আল্লাহর শেখানো মত - আমার রাসুল সঃ এর ভাষায় - দুনিয়াবী কোন ভাষায় নয় - যা বরং শয়তান ভাল বলে এবং পারে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন