কে কাকে ব্রেইন ওয়াশ করে? রিক্রুটার জংগীকে? না আপনাকে, আমাকে, গনমানুষকে অন্য কেউ?
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ২৯ জুলাই, ২০১৬, ০২:২৭:২৩ রাত
বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহিম
আস্সালামুআলাইকুম।
ডিসক্লেইমারঃ
বিডি ম্যাগাজিন এর প্রায় সবগুলো নিউজ জংগী নিয়ে। প্রতিটি নিউজের বিভিন্ন রকমের অসংগতি চিন্তাশীল, সুস্থ্য, স্বাভাবিক মানুষকে - অসুস্থ্য বোধ করাবে। অমন অসুস্থ্যতাজনিত কষ্ট নিবারনের নিমিত্তে লিখছি। এই লিখা পড়ে হয়তো আপনিও অসুস্থ্যবোধ করবেন। এই ''চেইন অব সিকনেস'' হতে আল্লাহ আমাদেরকে সামহাউ মুক্তি দিন। এটা প্রত্যাশা ও প্রার্থনা।
---------------------------
আসুন রাসুলুল্লাহ সঃ এর তিনটি হাদীস এর অনুবাদ পড়ি এবং তারপর বিডি ম্যাগাজিনের প্রথম তিনটি নিউজের হেডলাইন। এতে সম্ভবতঃ আপনি আপনার আশেপাশের বিষয়ে কিছুটা হলে ও সেন্স পাবেন, নিজের অজান্তেই ১৪০০ বছর আগে বলা রাসুল্লাহ সঃ এর ভবিষ্যতবানীর একটা মর্মার্থ আপনার সামনে বিমূর্ত হবে।
১। যতক্ষন না পৃথিবীর বিষয়াদিতে সর্বাগ্রে (লাইমলাইটে) 'লুকা ইবনে লুকা'র অবস্থান হবে 'রাত-দিন' এর এই পরিক্রমা বন্ধ হবে না।
২। শীঘ্রই 'লুকা ইবনে লুকা' এই পৃথিবীর নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিবে।
৩। পৃথিবীটা 'লুকা ইবনে লুকা'র আয়ত্বাধীন না হওয়া অবধি এর কর্মকান্ড স্তব্ধ হবে না। (সূত্রঃ ডঃ মুহাম্মদ আল আ'রেফির দ্যা ইন্ড অব দ্যা ওয়ার্ল্ড)
প্রথম তিনটি নিউজের হেডলাইনঃ
১। জঙ্গিদের ঠেকাতে গুলি ছাড়া উপায় থাকে না : এইচ টি ইমাম
২। হে আল্লাহ, এইগুলানরে তুমি পুলিশ বানাইয়া দাও! সোয়াত কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন
৩। এমন ভ্যাকসিন বানাবেন, যাতে মাতৃগর্ভেই কোন জঙ্গি আর বেড়ে উঠতে না পারে: নাসিম
-------------------
এবার NTV র বরাতে বিডি ম্যাগাজিনে কল্যানপুরের তথাকথিত এক জংগী লাইফস্কেচ পড়ুন এবং ব্রাকেটে উত্থাপিত প্রশ্ন সমূহের যৌক্তিকতা ও সম্ভাব্যতা নিয়ে ভাবুন। কে আসলে কাকে ব্রেইন ওয়াশ করছে?
---- ------- ---- ---- ----
পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে নিজে গিটার বাজিয়ে অঞ্জন দত্তের গান গাইত ছেলেটি। লেখাপড়া করত বাংলাদেশের নামকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে। শুধু তাই নয়, ছেলেটির বাবা একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী যিনি দেশের সামরিক বাহিনীর কাছে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা পণ্য সরবরাহ করেন। ছেলেটির দাদা, যিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল।
সেই তরুণ ছেলেটিই নাম লিখিয়েছিলেন ‘জঙ্গি’দের দলে। অবিশ্বাস্য শোনালেও বাস্তবে এমনটিই ঘটেছে।
(কিভাবে এই আর্টিকেল এর রচয়িতা নিশ্চিত হলেন যে সেই তরুন ছেলেটি নিজের নাম জংগীর দলে লিখিয়েছিলেন? ঠিক কি কি ফ্যাক্টসচ্যুয়াল ও সার্কাম্সটেনশিয়াল ইভিডেন্স উনি সংগ্রহ করেছেন উপসংহার টানার আগে? কিভাবে উনি এত শিওর হলেন যে বাস্তবে তাই ঘটেছে? না কি তিনি আম জনতার ব্রেইন ওয়াশ করে তাদেরকে এ মর্মে দিক্ষা দিতে চাইছেন যে - গিটার বাজানেওয়ালা ধনীর পুত্র ধন রা তাদের এক্সট্রাভাগান্ট মডার্ন লাইফ ছেড়ে অন্যায়ভাবে জামায়াত-হেফাজত-তাবলীগ কিংবা আর যা সব ধর্মীয় অথরিটির আওতাধীন ও আওতামুক্ত মুসলমান বাংলাদেশে আছে - সামহাউ এ সব আগাছাতুল্য ছেলেরা তাদের আয়েশী, কৌশলী বেঁচে থাকার প্রচেষ্টাকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে? সো এসব তার আবিষ্কৃত তার উপাধী দেওয়া বিপদগামী ছেলের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত থাক, তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর করো না, জানতে চেও না, বুঝতে চেও না যে আসলেই সে জংগী ছিল কি ছিল না, অমন মানুষের ব্যাপারে ন্যায় ও নীতির প্রশ্ন তুলে জাস্টিস করতে যেও না, তাদের ব্যাপারে অনুৎসাহিত থাক এবং তাদেরকে শত্রু জ্ঞান কর, আপাংতেয় মনে কর। এবং নিজের মধ্যে এ্যালার্ম অনুভব করো যদি জানতে পারো কোন ধনীর দুলাল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া কেউ নামাজ পড়তে মসজিদ এ আসে, ধর্ম নিয়ে আলাপ আলোচনা করে, দাড়ি রাখে, টুপি পরে, হিজাব ধরে। মনে রেখো আজকের সময়ে মুসাইব ইবনে উমাইর এর জন্ম হতে পারেনা। যদি কাউকে অমন পাও তবে তাকে এ্যাভয়েড করো ইত্যাদি ইত্যাদি)
যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নাম দেশের প্রায় সব মানুষ এতক্ষণে জেনে গেছে। নাম শেহজাদ রউফ ওরফে সাজ্জাদ রউফ অর্ক।
(নাম শেহজাদ রউফ ওরফে সাজ্জাদ রউফ অর্ক। খেয়াল করুন নামের মধ্যে রাস্তার চোর ডাকাতের মত একটা ওরফে যোগ করা হয়েছে। কেন? যাতে আপনি আমি ঐ ছেলেকে আসলেই নীচু লেভেলের কোন দুস্কৃতিকারী বলে অনুভব করি এবং নিজের মধ্যে ঘৃনা অনুভব করি? অথচ আমরা জানি যে সব রাস্তাঘাটের ছেলে, চুরি ডাকাতি করে পুলিশ হেফাজতে যায় এবং জেল খেটে বের হয়ে নতুন স্থানে নতুন নামে পরিচিত হয় এবং তাদেরকে পুলিশ অমুক ওরফে অমুক ইত্যাদি নামে অফিশিয়ালী চিহ্নিত করে। কিন্তু এই ধরনের পরিবারের সন্তান, যে কিনা কোন ক্রিমিনাল রেকর্ডের অধিকারী নয় - তাকে এই সংবাদিক ওরফে বানিয়ে দিল। কেন?)
গত মঙ্গলবার রাজধানীর কল্যাণপুরে পুলিশ ও সোয়াতের অভিযানে নিহত ‘জঙ্গি’ হিসেবে এরইমধ্যে পুলিশ অর্কের নাম পরিচয় প্রকাশ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভারতের গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে অর্কের বিষয়ে বিভিন্ন বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করেছে।
(বাংলাদেশের জংগী, বাংলাদেশীদের জন্য নিউজ বানাচ্ছে এই প্রতিবেদক। ধার করতে হচ্ছে ভারতের গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে। কেন? আন্তর্জাতিকীকরন? পাঠকের আস্থা অর্জনের প্রয়াস? সো দ্যাট পাঠক মনে করবে দেশী বিদেশী সূত্র সমূহ ভ্যারিফাই না করে নিশ্চয়ই অমন তথ্য দেবে না। নিশ্চিন্তে বিশ্বাস করতে পারে যে মৃত ছেলেটা আসলেই জংগী। খোঁজ নেবার দরকার ই নেই, বুঝার কিংবা ভাবার দরকার নেই - ছেলেটা আদৌ জংগী কিনা? কিসের জন্য সে জংগী? কোন কোন ক্রাইটেরিয়ায় সে জংগী? না কি সে ভিকটিম? পুলিশের ন্যায় কোন একটা প্যারালাল দেশী বিদেশী সংস্থা কি তাকে গুম করেছে কিনা? তাকে কোন কিছু করাতে ব্যার্থ হয়ে কি তাকে ভিকটিম বানিয়ে ছেড়েছে কিনা? কেন এর তদন্ত হবে না? কেন এমন ফিক্টিশাস কাহিনী দাঁড় করাতে হবে?)
সেখানে বলা হয়, নিহত জঙ্গিদের ছবি বাংলাদেশের পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর বেরিয়ে আসে অর্কের পরিচয়। জানা যায়, শেহজাদ রউফ অর্ক একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক। তাঁর বাবার নাম তৌহিদ রউফ। তিনি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর কাছে ভিড়-নিয়ন্ত্রক যন্ত্র এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক যন্ত্রপাতি সরবরাহের ব্যবসা করেন। তৌহিদ রউফের বাবা বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রউফ। যিনি একসময় সশস্ত্র বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার প্রধান ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেহজাদ বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির বেশ কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
শেহজাদ রউফ অর্ক গত পহেলা জুলাই ঢাকার গুলশানে হামলার ঘটনায় নিহত জঙ্গি নিব্রাস ইসলামের বন্ধু ছিল বলে বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।
(সূত্র দ্য টেলিগ্রাফ। কে কিভাবে ভ্যারিফাই করবে যে এই ছেলে নিব্রাসের বন্ধু ছিল, আর নিব্রাস ডেফিনিটলী জংগী ছিল, কি এমন তথ্য প্রমান সিআইডি, তদন্তে নিয়োজিত সংস্থা আপনাকে আমাকে ইতোমধ্যে দিয়েছে যে - যাতে প্রমান হয় নিব্রাস আসলেই জংগী ছিল? না কি সে অন্যের শিকার ছিল? কি এমন মোটিভ আমাদের সামনে হাজির করা হয়েছে - যার জন্য এটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে - ২০/২২ বছরের পোলাপান নিজের জীবন উৎসর্গ করতে রাজি? যা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ পড়ে বুঝলো না, আর যারা জীবন উৎসর্গ করতে হবে বুঝলো তারা পান আর জর্দা খেয়ে গায়ে বাতাস লাগাচ্ছে কিন্তু কোথাকার কোন নিব্রাস কয়েক মাসের মধ্যে বিরাট বড় জেহাদী হয়ে গেল? কে আমাদের কোন সিরিয়াল এর কাহিনী বিশ্বাস করতে বলছে, কোন হলিউডি ফিল্মের কাহিনী গেলাচ্ছে?)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্কের এক আত্মীয় বলেন, ‘সে ছিল খুবই আমুদে স্বভাবের ছেলে। সে গান ভালোবাসতো। আমি এখনো মনে কর পারি যে, এ বছরের জানুয়ারি মাসে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিটার বাজিয়ে অঞ্জন দত্তের চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছ গানটি শুনিয়েছিল সে।’
(এই পার্টিকুলার আত্মীয়টা আসলে কে - যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক? কেন তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক? কারন কেউ একজন বুঝে ফেলবেন যে আসলে তিনি কোন আত্মীয় থাকতো দুরের কথা কোনদিন এই নামে কেউ ছিল তাও জানেন না। না কি তিনি এই আর্টিকেল এর রচয়িতা নিজেই? অন্যকে ব্রেইন ওয়াশের জন্য বিশ্বাসযোগ্য করতে এই কোট আনকোট আনতে হয়েছে?)
পহেলা জুলাইয়ের হামলার ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখতে পাচ্ছে যে, পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত এবং উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দিচ্ছে।
(কিভাবে তিনি উপসংহারে এলেন যে এরা বাড়ী হতে পালিয়েছে? কেন তিনি উপসংহারে এলেন না যে এসব ছেলেদেরকে কেউ একজন জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে? যেখানে বাংলাদেশে অসংখ্য ছেলেকে গুম করা হয়েছে গত কয়েক বছরে? কেন তার মাথায় একবার ও আসবে না যে এই ছেলে গুমের শিকার হয়েছিল এবং কোন একটা পারটিকুলার সংস্থা তাকে গুম করেছে - এবং হয়তো যাদের সাথে এই লিখকের রিলেশান আছে। তার কাজ হল ঐ ছেলেকে জংগী হিসাবে জনমানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করা এবং যার জন্য এই পার্টিকুলার ভদ্রলোক পেট্রোডলারে পেমেন্ট পান? কেন পুলিশ এই ভদ্রলোক কে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না যে আসলেই তিনি কতটা জার্নালিস্টিক মোরালিটি নিশ্চিত করেছেন? যদি করেন ভাল, যদি না করেন কেন তাকে তদন্তের স্বার্থে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করবে না, তার সম্পদের খোঁজ খবর নেবে না, তার গতিবিধি নজরদারীর আওতায় আনবে না?)
আত্মীয়স্বজনরা জানিয়েছেন, অর্ক গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নিখোঁজ ছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়রিও করেছিলেন তাঁর বাবা তৌহিদ রউফ। তবে এরপরেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
গুলশান হামলার পর যখন পুলিশের পক্ষ থেকে নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করে তখন সেই তালিকায় অর্কের নাম দেখা যায়।
পরিবারের ওই সদস্য বলেন, ‘অর্কের পরিবারের সদস্যরা শিকাগোতে বাস করতেন। সেখানে অর্কের মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এর পরই তাঁরা দেশে ফিরে আসেন। বাংলাদেশে এসে অর্ক আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকায় ভর্তি হয়। এরপর নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেস করে এমবিএতে ভর্তি হয়।’
ওই আত্মীয় আরো জানান, অর্কের পরিবারটি উদারমনা ছিল। তাঁরা প্রায়ই বাড়িতে পার্টির আয়োজন করতেন যেখানে সবাই একসাথে হতেন, গানবাজনা হতো। অর্কের দাদা প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের একসময়কার প্রধান ছিলেন। সেই পরিবারের একজন সদস্য কীভাবে সন্ত্রাসী হতে পারে তাই তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্কের ওই আত্মীয় আরো বলেন, ‘২০০৯ সালে অর্কের মা মারা যান। এরপর থেকেই সে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তে শুরু করে। কিন্তু সে যে জঙ্গি হয়ে যেতে পারে তা আমরা কখনো ভাবিনি। সে যা করেছে আমরা তা সমর্থন করি না। আমরা অবশ্যই সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানাই। তবে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সেসব ব্যক্তিদের ধরতে হবে যারা অর্কের মতো তরুণদের মগজধোলাই করে সন্ত্রাসবাদের পথে নিয়ে যাচ্ছে।’
(মা মারা গেলে ছেলে নামাজ পড়তে শুরু করতে পারে না? নামাজ পড়তে শুরু করা জংগী হয়ে উঠার লক্ষন? এবং লিখকের মত লিখকের অবতারন করা আত্মীয় ও শিওর হয়ে গিয়েছে যে অর্ক জংগী হয়ে গিয়েছিল এবং তিনি তাকে তার কাজের জন্য সমর্থন করেন না - কিন্তু বলেন নি অর্ক ঠিক কি করেছিল - যা তিনি ফ্যাক্টচ্যুয়ালী প্রমান পেয়েছেন যে অর্ক করেছিল? তিনি মগজধোলাই এর কথা ও বললেন কিন্তু বললেন না তিনি কি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ঐ অংশটাইপের লোকদের দ্বারা ব্রেইন ওয়াশ হয়েছেন কিনা যারা নারায়নগন্জের ৮ জনকে খুন করে নদীতে ডুবিয়ে দিয়েছেন, বছরের পর বছর ক্রসফায়ারের গল্প শুনিয়েছেন, তিনি বলছেন না যে তিনি নি নিউজমিডিয়া দিয়ে ব্রেইন ওয়াশড কিনা? তিনি বলতে পারলেন না যে তিনি কি সামহাউ উদ্দেশ্য প্রনোদিত নাটক, সিনেমা, খবর দ্বারা মগজ ধোলাইয়ের শিকার কিনা?)।
ঢাকার কল্যাণপুরে পুলিশ ও সোয়াটের অভিযানে নিহত নয়জনের মধ্যে আটজনেরই পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদের মধ্যে অন্তত তিনজন সমৃদ্ধশালী পরিবারের সন্তান।
এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলাগুলো পর্যবেক্ষণ করে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, উচ্চবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত উভয়শ্রেণির তরুণদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে। এর এটাও অর্থ হতে পারে যে, তারা শ্রেণি বৈষম্যের মূলে আঘাত হানছে বলে এর মাধ্যমে বার্তা দিচ্ছে।
(দ্যা টেলিগ্রাফের বরাত দিয়ে আর একটা লেজুড় আনা হল - যাতে বাংলাদেশের মানুষ মুল এ কোন ভাবে ই যেতে না পারে, বিষয়টাকে রাজনৈতিক করে ফেলে আর তার জন্য বাংলাদেশি মানুষকে বিশেষ করে মাথাহীন কমিউনিস্টদের আর একটা লিড দিল কি এই বলে যে, তারা শ্রেণি বৈষম্যের মূলে আঘাত হানছে বলে এর মাধ্যমে বার্তা দিচ্ছে।)
(বাংলাদেশের মত দেশে 'চিলে কান নিয়েছে' অমন আইডিয়া কেন্দ্রিক স্টোরীকে সত্য বলে সাজিয়ে মানুষে মানুষে এই যে অবিশ্বাস, নির্যাতন ও নিবর্তনের ফেতনা আর ফ্যাসাদ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তা 'মোফছেদুনা ফিল আরদ' এর সমার্থক না হয় - তবে কি হবে?)
বিষয়: বিবিধ
১৯৫৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার কাছে প্রায় মনে হয়, রাসুলের সঃ এর ঐ হাদীসের চর্চা বুঝিবা অহরহ হচ্ছে কিন্তু আমরা জানিনা, যেখানে রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন ঈমানদার/মুমিন কবরের পাশদিয়ে যাবে আর ভাববে/বলবে 'ইশ যদি আমি আজ ঐ কবরের ভিতর থাকতাম' (তাহলে বুঝিবা এমন বিষয়াদির মুখোমুখি হতে হত না)।
আপনাকে ও ধন্যবাদ।
No, I have no organization.
মন্তব্য করতে লগইন করুন