ন্যাশান স্টেইট কে এ্যানস্লেইভ করতে, আলটিমেইট পূজারী বানাতে চমৎকার মহৌষধ হিসাবে কাজ করছে আই সিস।
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ২৭ জুলাই, ২০১৬, ০৭:০৮:১২ সকাল
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আস্সালামুআলাইকুম।
নাস্তিক, স্যেকুলার, সন্দেহবাদী, প্রতারিত, বিলাসী দেশসমূহের আনাচে কানাচে, গলি গুপছিতে, চার্চ ও মার্কেটে, মিডিয়া ও ফেস্টিবল এ - বায়বীয়, অদৃশ্য কিন্তু সর্বত্র বিরাজমান ড্রাকুলা রূপী তথাকথিত আই এস যেন ফেইসবুক ও টুইটার দিয়ে ঝড় বইয়ে চলেছে। মিডিয়া হাউজ গুলো আজ ইঁদুরের ন্যায় ফেইসবুক আর টুইটার ফলো করে গলদা চিংড়ির ন্যায় লাফঝাপ দিয়ে চারপাশে ঝড় বইয়ে মানুষের ইনস ও আউট তচনচ করে চলেছে। স্বভাবতঃই এ ঝড় এর ডিএনএ, চরিত্র ও প্যাটার্ন - নেশাহীন মানুষের কাছে স্পষ্ট হতে স্পষ্টতর হলেও এই সব দেশ সমূহের সরকার প্রধান হতে শুরু করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হয়ে অতি সাধারন মানুষ যেন জন্মান্ধের ন্যায় এক অন্ধত্বে অন্ধ হয়ে গেছে, যেন কুম্ভের ন্যায় মহা ঘুম এ ঘুমিয়ে পড়ছে আবার কেউবা ঘুমের ঘোরে স্বরচিত ইসলামিক পৈচাশিকতার মহাকাব্য রচনা করে চলেছে; কেউবা ঐ মহাকাব্যকে হরর ফিল্ম বানিয়ে নিজে উপভোগ করছে, ভয়ের স্বাদ নিচ্ছে এবং অন্যকে নিতে আহ্বান করছে।
বিশ্বের প্রতারকরূপী হেভিওয়েট (ধরুন ইউ এস) এর আবরনে সাগরেদ ও সহযোগীরা (ধরুন জি - ৭, ন্যাটো দেশ সমূহ) আজ ইচ্ছা না থাকলেও, সাধ্যে না কুলালেও দৌড়ের গতি বাড়িয়ে চলেছে। অনেকটা গাড়ীর আর পি এম ন্যায় ১০০০, ২০০০, ৩০০০, এবং আরো অধিক হারে বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে। এদের কারো কখনো দম বন্ধ হয়ে আসতে চাইলে (ধরুন ফ্রান্স কিংবা জার্মানী কিংবা গ্রীস কিংবা বেলজিয়াম) - দৌড়ে একটু শ্লথ হলে (সিরিয়া কিংবা ইয়েমেন কিংবা আফগানিস্থানে ফোর্স, বোমা কিংবা বুলেট কিংবা ব্লেয়ার টাইপ রোল এ বিরতি দিলে) কিংবা মাঠ হতে একটু বের হতে চেষ্টা করলে (যেমন রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত সেংশান তুলতে চাইলে, কিংবা সাউথ চায়না সি নিয়ে আক্রমনাত্মক স্ট্যান্স এর বিপরীত কথা বললে) তথাকথিত 'আই সিস' বটিকা দিয়ে ট্রিটমেন্ট করা হচ্ছে - যাতে পলিটিক্যাল লিডারশীপ নন স্টপ দৌড়াতে বাধ্য থাকে - মাঠের অমোঘ ঐ প্রান্তের দিকে - যে প্রান্তে রাশিয়ার মারনাস্ত্রের বিভীষিকা দৌড়বিদদের জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে।
স্যেকুলার গড লেস রাষ্ট্ররূপী এই অদৃশ্য এ্যাক্টর রা - পেট্রোডলার, আইএমএফ ও ওয়ার্ড ব্যাংক এর আবরনে তথাকথিত মাল্টিলেভেল মার্কেটিং এর ন্যায় প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে - বাদ বাকি বিশ্বের অর্থ সম্পদ সুদ, ট্যাক্স ও ভ্যাটের বাতাবরনে, কন্ট্রাক্ট, ট্যান্ডার, কনসালটেন্সি, ডিজাইন ড্রয়িং ও অস্ত্রের আড়ালে নিঃড়ে শুষে নিয়ে নিয়ে - গত ৪ / ৫ দশকে বড় বেশী রুষ্ট পুষ্টই শুধু হয় নি, সে সাথে বড় বেশী ডিফেন্ডেন্ট ও ক্ষেত্র বিশেষে ইন্টারডিফেন্ডেন্ট হয়েছে আল্টিমেইট পর্দা পরা - অদৃশ্য এ্যাক্টর রূপী 'রব' এর নিকট। স্বভাবতঃই এখন সেই রব এর ইচ্ছায় তারা চলতে না চাইলে, আগুনে ঝাঁপ দিতে না চাইলে - অদৃশ্য সেই রব, তথাকথিত 'আই এস' দিয়ে তাদের গুতো দিয়ে স্ট্রেইট করছে ঠিক যেমনটা রাখাল ভেড়ার পালকে স্ট্রেইট করে।
চুড়ান্তভাবে প্রতারিত এই সব দেশসমূহ তাদের হাতে ইতোমধ্যে গড়া জেন্টেলম্যানসুলভ কনভেনশান ও মূল্যবোধ সহ গত শতাব্দীতে করা ইন্সটিটিউশান ও রাষ্ট্রীয় পিলার সমূহকে ধঁসিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। পরিনতিতে তারা আলটিমেইটলী বশীভূত স্লেইভ এর শেকলে আস্ট্রে পৃষ্ঠে নিজেদের বেঁধে ফেলছে। ঠিক যেমন করে বনী নাদির গোত্র মদীনায় তাদের হাতে গড়া ঘরদোরকে নিজেরা ধঁসিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল, ঠিক যেমন করে মহা ক্রিমিনালরা ধরা পড়ে নিজের গড়া সমস্ত কিছুই ধঁসিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
তাদের ডিসিপটিভ প্রভুর প্রত্যাশানুযায়ী মূলতঃ প্রতারিত এই দেশসমূহের সামনে আজ মাত্র দুটো পথ খোলা আছে - যার দুটো ই তাদের জন্য আলটিমেইট ধ্বংশ নিশ্চিত করবে এবং সম্ভবতঃ খুব বেশী সময় নেই - বিশ্ব ইউরোপীয়ান রিফিউজীর লাইন প্রত্যক্ষ করবে - যখন তাদের প্রভু রূপী ভেজাল ইয়াহুদীরা তাদের উপর চুড়ান্ত প্রতিশোধ নিবে।
১। নির্দেশমত রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক বক্তব্য বিবৃতি দাও এবং পায়ে পা লাগিয়ে দ্বন্ধে জড়াও - যাতে রাশিয়া খেই হারিয়ে বেফাস কোন বক্তব্য দেয় কিংবা এ্যাকশান এ যেতে বাধ্য হয়।
অথবা
২। বায়বীয় তথাকথিত আই সিস এর সর্ব রকমের হলিউডি হাইফার কনফ্লিক্টিং টাইপের আক্রমন ও প্রতি আক্রমন দ্বারা অপমান অপদস্থ হও এবং এক এক করে নিজের দেশের ভিত্তি ও ইনস্টিটিউশান সমূহ নিজেরাই গুড়িয়ে দিতে থাকো।
স্যেকুলার রূপী ইভিল ও প্রতারক সদৃশ্য - অদৃশ্য এই 'রব' এর দেওয়া এ যেন এক অসামান্য উপহার তল্পিবাহক গডলেস ইইউ/জি-৭/ন্যাটোভুক্ত দেশ সমূহের জন্য।
আল্লাহ ভাল জানেন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি ঠিক ই বলেছেন। কিন্তু এ ব্লগের ব্লগারদের মত এমন তর ব্যাপৃত বিষয়ে সহজ সরল ভাষায় সংক্ষেপে মনের ভাব প্রকাশ করা আমার জন্য আসলেই কঠিন।
অন্যদিকে দুনিয়ামুখী, স্যেকুলার ও মূর্খ (চিন্তাভাবনা করতে অস্বীকারকারী) মানুষদের এ ঝড় অস্বাভাবিক, একপেশে, ইভিল হতে আরো ইভিল করে চলেছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন