কেন আইসিসকে অমুসলিম ঘোষনা করা হচ্ছে না?
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৫:৪০:৩০ সকাল
বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহীম।
আসসালামুআলাইকুম।
সাধারন মুসলিম নিঃসন্দেহে আজ অসহায়, দিকহারা এক ভেড়ার পালের ন্যায়। তাদের ধর্মবিশ্বাসে যারা পানি, সার, নিড়ানী দেবার কথা তথা সার্বিক পরিচর্যা করার কথা - যাতে সাধারন মুসলিমরা সুদৃঢ় থাকতে পারে, ঈমান ও আকিদায় বিকশিত হতে পারে - তারা সামহাউ তা করতে ব্যার্থ হয়েছেন। ফলে উম্মাহ আজ বিভ্রান্ত এক ভেড়ার পাল কিংবা তার ও অধম - যেন কিছু একটা।
১৫৫৭ সালে শৃংখল মুক্ত ঈশ্বর দ্রোহী সেই দ্বীপশক্তিটি পূর্ন প্রতারনার আশ্রয়ে একের পর এক ভূখন্ডে ছড়িয়ে পড়ে - যখন সারা বিশ্বকে নিজ শাসনে নিল - আমরা হাদীস এর ভাষা বুঝতে ব্যার্থ হলাম, প্রতারনা ধরতে পারলাম না - স্বভাবতঃই প্রতারিত হলাম।
সেই প্রায় একই প্রতারনার মাধ্যমে যখন আমার সিম্বল সদৃশ্য খেলাফতকে গত সেঞ্চুরীতে পৃথিবী হতে সরিয়ে দিল। কোরানের ভাষা আমাদের মুখ, হৃদয় হতে সরিয়ে দিয়ে তথাকথিত স্যেকুলার সিম্বল ল্যাংগুয়েজ আমাদের মুখ ও হৃদয়ে প্রোথিত করা হল - তখন ও আমরা বুঝতে পারিনি, আমরা প্রতারিত হলাম।
মাত্র কোয়ার্টার সেঞ্চুরী আগে আমাদের চোখের সামনে সেই একই শক্তি ও তার এক্সটেনশান - ইসলাম ও সন্ত্রাস কে মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ হিসাবে বানাতে শুরু করলো, আমাদের চোখের সামনে তথাকথিত, অদৃশ্য ও বায়বীয় ওসামা বিন লাদেন নামক একটা সুপারম্যান কারেক্টারকে তুলে ধরলো, ইস্ট ওয়েস্ট সর্বত্র ব্রান্ডিং করতে শুরু করল, আমরা খোঁজ খবর নিলাম না, একদিন একটু খুঁজে ও দেখলাম না - ইসলাম দরদী সিএনএন, তার দাদা বিবিসি ও বোন আল জাজিরা যা বলে, লিখে - তার আদৌ কি কোন মেরিট আছে - না আমরা তা করলাম না - কারন আমরা তা বুঝতে পারিনি, স্বভাবতঃই আমরা আবার ও প্রতারিত হলাম।
হলিউডের বিগ বাজেটের মুভি 'বিনলাদেন' এর মৃত্যু ও দরিয়ায় নির্বাসন - প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মানুষ যখন সিএনএন ও আল জাজিরা মুক্ত হয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে যাচ্ছিল - তখন সিআইএ, এমআই সিক্স ও মোসাদের যৌথ প্রযোজনায় 'আইএসআইএল, আইএসআইএস হয়ে আইএস হয়ে দায়েস এ পৌছালো। আমাদের ড্রইং রুমের দেয়াল টপকে ডেস্কটপে ও মোবাইল স্ক্রীনে স্থান করে নিয়েছে রাতদিন ২৪/৭ এই এক অদ্ভুত মুভি। কিন্তু আমরা এই প্রতারনা ও বুঝতে পারিনি, স্বভাবতঃই আমরা প্রতারিত হয়ে চলেছি।
আমাদের যারা গার্ডিয়ান আমাদের আলেম ওলামা, আমাদের ধর্মীয় লিডারশীপ - যাদের উপর (পলিটিক্যাল লিডারশীপ এর উপর যেহেতু কানাকড়িও আসলে নেই) আমরা দিকনির্দেশনার জন্য আস্থা রাখতে পারি - সেই আলেম ওলামারা এখনো পয্যন্ত এ নিয়ে আমাদের দিক নির্দেশনা দিতে পারছেন না। অথচ গত ৪ বছরে এক সিরিয়া, ইরাক ও অন্যত্র প্রায় আড়াই লক্ষের উপর মুসলিম ভাইবোন তাদের জীবন দিল, ১০ লক্ষের ও উপর বাস্তুহারা জীবনে জড়িয়ে পড়লো।
রাসুল সঃ এর সিরিয়া, ইয়েমেন ও নজদ নিয়ে হাফ ডজনের বেশী হাদীস, শোনা কথা ভ্যারিফিকেশান করার নিমিত্তে হাদীস, প্রতারনা সংক্রান্ত হাদীস সহ - শত শত হাদীস আর কোরানের আয়াত থাকা স্বত্তেও - আমাদের যেন কিছুই নেই - উম্মাহকে দিক নির্দেশনা দেবার।
ভূয়া দাড়িগোফ সমৃদ্ধ, মুখোশধারী, ম্যানুফাকচারড, ব্রান্ডেড, ওয়েস্টার্ন ইন্টেলিজেন্স সমৃদ্ধ, নারচারড ও কালচারড এই আইসিস কে বুঝতে কেন এতটা সময় লাগছে আমাদের আলেম ও ওলামাদের? কেন তারা এটা বুঝতে ওয়েস্টার্ন মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল থাকছেন? কেন তারা একটা কনফারেন্স ডেকে আইসিসকে অমুসলিম ঘোষনা করতে পারছেন না? আই সিস কি কনফিউজিং - যে এত বেশী স্টাডি করতে হবে - যে এটার সাথে ইসলামের দুরতম কোন সম্পৃক্ততা নেই?
আল্লাহ ভাল জানেন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৭ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেখানে আইসিস এর কমান্ড ও কন্ট্রোল এবং যুদ্ধবিমান ও বোমা ফেলার কমান্ড ও কন্ট্রোল - লন্ডন, ওয়াশিংটন ও তেলআবিব এর হাতে - সেখানে আমি কেন শুধু শুধু - ইসলামিক স্টেইট ও বোমা মেরে মুসলমান হত্যা কম্পেয়ার করতে চাইবো? দেখুন আপনি বলছেন ভিডিওগুলোকে ভূয়া মনে হয় - আমার অবাক লাগে কেন মুসলমান রা বুঝতে পারছেন না যে - ভিডিওগুলো ১০০% ভূয়া। কেন মুসলমানরা বুঝতে পারছেন না যে, মুখে পট্টি বেঁধে কেউ জিহাদ করতে ইউরোপ আমেরিকা ছাড়েনা। কেন মুসলমানরা বুঝতে পারছেন না যে - প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার পর হামলাকারী পালিয়ে যায় এবং পরে তথাকথিত মুসলমান ছেলে কিংবা মেয়েটিকে সন্ত্রাসী বলা হয় - যাকে ইতোমধ্যে হত্যা করা হয়েছে - সো দ্যাট সত্য আর কোনদিন আলোর মুখ দেখবে না।
আমাদের আলেম ওলামারা আজ দজ্জালিক ডিসিপশানে ডিসিভড হয়ে গেছেন - ওনারা ইভেন্ট এ্যানালাইসিস এর জন্য কোরানের আয়াত খুজছেন না হাদীস খুজছেন না - সো আমরা সত্য জানতে পারছি না, গাইডেন্স পাচ্ছি না - সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না - স্থির হতে পারছি না।
ইসলামের আল্লার এই বেহুস দশা দেখে আল্লাপূজারী কতিপয় মুমিন এখন এর/ওর/আমেরিকা/রাশিয়া/ইস্রাইল..... দোষ খুঁজে মৃত ইসলামকে নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে। ভাগ্যিস, ইহুদী-নাসারা-নাস্তিকের কল্যানে আল্লার মুমিনরা কম্পিউরার, ফেসবুক, ব্লগ হাতয়ে পেয়েছে।
আইসিস, বোকোহারাম, তালেবান, জামাত, হেফাজতি.... ছাড়া আল্লার দু'পয়সার মুল্য আর কারো কাছে নেই। কথাটা কি মিথ্যে????? উত্তর দিন।
পৃথিবীর প্রতারিত, স্যেকুলার, অসচেতন ও স্লেইভ টাইপ মানুষ ছাড়া আর কাউকে আমি পাইনি যারা মনে করে 'আলজাজিরা, আল কায়দা, বোকো হারাম কিংবা আইসিস' - এর সাথে ইসলামের দুরতম কোন সংশ্লিষ্টতা আছে। বরং প্রতারিত নয় অমন মানুষজন ফ্যাক্টচুয়াল, লজিক্যাল ভাবেই জানে যে ঐ সব সংগঠন অনৈসলামিক, আল্লাহ দ্রোহী এবং হিউম্যনিটি ধ্বংশের নিমিত্তে বিশ্ব প্রতারকের এক নতুন সৃষ্টি।
সো আপনি আসলেই কথাটি মিথ্যা বলছেন - হয়তো নির্বুদ্ধিতার কারনে কিংবা প্রতারিত হবার কারনে অমন করে বলছেন। যার জন্য এসব কথা অতি স্বস্তা, ফ্যাক্টস ও ফিগার লেস। ভিত্তিহীন।
চৌকুস আব্বাকে বাদ দিয়ে নাবালক শিশু টানাটানি করে তো লাভ নাই।
বছর ৪/৫ আগে জানতাম সৌদী আরব, আমিরাত, কাতার, জর্ডান তুর্কী ইত্যাকার দেশ তাদের গডফাদারের কল্যানে বুঝিবা ফাদার হতে সক্ষম।
কিন্তু ইদানিংকার গবেষনা বলছে - বেচারা রা মূলতঃ এক একটা খাসী বই অন্য কিছু নয়।
প্রেসিডেন্ট পুতিন এদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন আল্লাহ কিনা এদেরকে (সেনিটি হীন) ইনসেইন বানিয়ে ছেড়েছেন
https://www.rt.com/news/324537-putin-annual-address-terrorism/
মন্তব্য করতে লগইন করুন