এ্যান্টি-টেরোজম কোয়ালিশান! না মুসলিম নিধন কোয়ালিশান ফর্ম করলো সৌদী আরব?
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৫:০৮:০৮ সকাল
বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহিম।
আস্সালামুআলাইকুম।
যায়োনিস্ট তাড়িত বিশ্ব মিডিয়ায় ভিন্ন এক মূর্চনা সহযোগে প্রচার হচ্ছে, সৌদী আরবের নেতৃত্বে - ৩৪টি মুসলিম দেশ এ্যান্টি-ট্যারোরিজম কোয়ালিশান এর জন্ম দিয়েছে। যার সদর দপ্তর প্রতিস্থাপিত হয়েছে রিয়াদে। যার উদ্দেশ্য হিসাবে বলা হয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠনসমূহের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সমন্বয়।
Saudi Arabia forms Muslim 'anti-terrorism' coalition
সচেতন সাধারন মুসলমান মাত্রই - দেরীতে হলেও এমন উদ্দ্যোগটিকে সাধুবাদ জানাবে। এর পক্ষেই সেন্টিমেন্ট থাকবে।
কিন্তু আজকের বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংগঠিত ঘটনাসমূহকে (রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি) যারা নির্মোহ দৃষ্টিভংগীতে বিচার বিশ্লেষন করেন। চিন্তা ভাবনা করেন - কোরান, হাদীস, বিশ্বের ধর্মীয় ইতিহাস, স্যেকুলার ইতিহাস, অর্থনীতি ও সামরিক কৌশল ইত্যাদি প্রয়োগ করে। আর চেষ্টা করেন, সংগঠিত ঘটনাসমূহকে পবিত্র গ্রন্থ সমূহে উল্লেখিত ডিভাইন ডেসটিনি কিংবা প্রফেসীর সাথে লিন্ক করতে - তারা সৌদী আরবের এই মুসলিম কোয়ালিশান এর নাম শুনে নিশ্চয়ই আতঁকে উঠেছেন। দিব্য দৃষ্টিতে যেন দেখতে পাচ্ছেন আমেরিকান ট্রেইনড্, আমেরিকান আইডিয়োলজি দিয়ে তাড়িত, লিটারেলী স্যেকুলার মুসলিম নামধারী আর্মড ফোর্সেস এর সোলজারদের নির্মমতা আর পৈচাশিকতার চিত্র বিশ্বমিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার আর প্রচারনা। স্ট্যাটিস্টিক্স এর পর স্ট্যাটিস্টিক্স কি পরিমান মুসলিম সাধারন মানুষকে বর্বর বাহিনীরা একের পর এক হত্যা করেছে। লিটারেলী ফ্যাক্টস্ ফিগার সমৃদ্ধ একের পর এক ডকুমেন্ট বের হবে, এ্যানালাইসিস বের হবে জায়োনিস্ট প্রক্সি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল, সিএনএন, বিবিসি আর আল জাজিরার। হেগ এ নতুন করে বিচারপতি নিয়োগ করা হবে আর বেঁচে থাকা অবশিষ্ট মুসলিমদেরকে দেখতে হবে লাইনধরে তাদের আর্মিদের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে আছে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে।
বৃটিশদের প্রত্যক্ষ মদদে, কামাল আতাতুর্ক যেখানে অফিশিয়ালী খেলাফতকে বিলোপ করে, সেখানে ঐ বৃটিশদের ডিকটেশান অনুযায়ী তথাকথিত সৌদী বাদশাহ এ্যাবসুলুট প্রতারনা, শঠতা ও ধোঁকা দিয়ে জনসন্মুখে মুসলিমদের খেলাফত এর শিরোচ্ছেদ করে। মক্কা ও মদীনাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে, স্বস্তা দামে আলেম ওলামাকে কিনে কিংবা টার্গেটেড কিলিং করে, বন্দী করে - খেলাফত পুনুরুদ্ধারের সকল উপায় উপকরন লিটারেলী ধ্বংশ করে ফেলে।
পরবর্তীতে আমেরিকার উত্থানে সৌদ - লন্ডনের পরিবর্তে কেবলা বানায় ওয়াশিংটনকে। ওয়াশিংটনের পরামর্শে মুসলিম জনমানুষের খেলাফত স্বপ্নকে ডাইভার্ট করার জন্য ওআইসি ফর্ম করে। মুসলমান নেতৃবৃন্দ ও আলেম ওলামারা ডিসিভড হয় প্রত্যাশার পর প্রত্যাশা করে করে।
মুসলিমদের অর্থ সম্পদ লুট করার জন্য সেই সৌদীকে দিয়ে ওপেক ফর্ম করে, বাধ্য করে তেল এর বিক্রি ডলারে নিশ্চিত করতে - যাতে বিশ্বের দরিদ্রদেশের সরকার ভূয়া ডলার সংগ্রহ করতে ও রাখতে বাধ্য হয় - তেল কেনার জন্য। ফলাফল হয়েছে কোন রকমের এ্যাফোর্ট ছাড়া আমেরিকা আজীবনের জন্য দরীদ্র দেশ সমূহ হতে স্লোমোশনে সম্পদ লুটে নিতে পারছে - আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে পুলিশিং করছে আইএমএফ।
আর আজ যখন সময় হয়েছে মুসলিম জনমানুষের জান, মাল ও ভূমির উপর ইসরাইলের শাসন এক্সপানশানের করার - তখন এই এ্যান্টি টেররিজম কোয়ালিশান করলো সেই সৌদী আরব - যার লয়ালটি এখন ওয়াশিংটন হতে তেলআবিব হয়ে জেরুজালেমের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
ও আই সি যেমন মুসলিম দেশগুলোর উপর গনতন্ত্র ছাপিয়ে দিতে আমেরিকাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছে এবং সাফল্য দিয়েছে, অনুরূপভাবে ওপেক ও আমেরিকাকে গনমানুষের রক্ত ও ঘাম হতে সম্পদ বানাতে সাহায্য করেছে এবং নিশ্চিত করেছে প্রতিটি দেশ যেন তার দেশের সম্পদের একটা পারসেন্টেইজ আমেরিকাকে দিতে বাধ্য হয়। প্রাকটিক্যালী তা হয়েছে।
আর আজকের এই কোয়ালিশন এর মেইন কাজ হবে মানুষকে ধাপ্পা দিয়ে শিয়া ও সুন্নীর মধ্যে ক্লেশ লাগানো এবং তার মাধ্যমে যুদ্ধের আড়ালে মুসলিম নিধনকে যায়েজ করা ও নিধনযজ্ঞ নিশ্চিত করা, মোরালী মুসলিম লিডারশীপ ও মিলিটারী লিডারশীপকে সাবসারবিয়েন্ট করা এবং সময় মত গাদ্দাফীর ভাগ্য কিংবা সাদ্দামের ভাগ্য বরন করতে সাহায্য করা।
আখেরে নজদ এর শয়তানের শিং কিংবা মাথার দু পাশ এর একটি এই সৌদ পরিবার রাসুলুল্লাহ সঃ এর শাম ও ইয়েমেন এর জন্য সেই দোয়াকে আমলে না নিয়ে, নিজেদের কে আল্লাহর কাছে সোপর্দ না করে, উল্টো তাদের জন্মদাতা কিংবা আলটিমেইট ডিসিফটিভ রব কে সন্তুষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার লিখা ও কমেন্ট পড়ে আমার তাই ই মনে হয়েছে। আপনি রীতিমত কনফিউজড এক লাইফ লিড করছেন।
শয়তানের প্রেসক্রিপশান অনুযায়ী , দুনিয়া আঁকড়ে ধরতে চাইছেন, এনজয় করতে চাইছেন - ধরতে পারছেন না। এ্যানজয় করতে পারছেন না। আফসুস।
আর ঐ সব গুলো দেশেই আমি আল্লাহ ও আল্লাহর বানানো শয়তান এর স্ট্রং প্রেজেন্স পেয়েছি।
শয়তানদেরকে দেখেছি ইনসেইন, ক্লুলেস, অতৃপ্ত জীবন যাপন করতে, মদ, লোভ আর নারীর পেছনে জীবনটাকে বিলিয়ে দিতে।
আর আল্লাহর কমিটমেন্ট এর বাস্তবায়ন দেখেছি রাস্তাঘাট অফিস আদালত হতে শুরু করে সর্বত্রে।
ট্রাই করে দেখুন সকাল ও সন্ধ্যায় সূরা ফালাক ও সুরা নাস পড়তে - আমার ধারনা উপকার পাবেন।
যদি বেফাঁস কথা লিখা হতে নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পারেন - তবে নিশ্চিত হবেন যে আপনাকে আপনি আর কন্ট্রোল করছেন না - শয়তান আপনার উপর পুরোটা ভর করে ফেলেছে।
শয়তান এর কাজ কর্ম বুঝতে আপনি এই ভিডিওটি দেখতে পারেন। যদি না দেখে থাকেন আগে - তবে মজা পাবেন।
https://www.youtube.com/watch?v=ZzhSwxJQAFU
আমার মনে হচ্ছে: ইঙ্গ মার্কিনিদের আগ্রাসনে নতুন মুসলিম প্রজন্ম যেমন ইয়াহুদি খৃষ্ঠানদেরকে ঘৃণার পাত্র বানাচ্ছে। তেমনি ইঙ্গ মার্কিনিদের অর্থনীতিও দুর্বল হচ্ছে।
তাই তারা সৌদি আরবের মাধ্যেমে মুসলিমদের ধ্বংস করার পায়তারা করছে, এক ঢিলে দুই পাখি শিকার।
এক দিকে সৌদী নেত্রীত্বাধীন মুসলিমরা মুসলিমদেরই হত্যা করবে। অন্য দিকে পশ্চিমারা নির্যাতিতদের আর্থিক ও অস্ত্র সহায়তা দিবে।
মাকিনিরাও মুসলিম প্রজন্মের রোষানল ও ঘৃণা থেকে বাচলো, তাদের জনপ্রিয়তা ও ব্যবসাও ভালোভাবে চললো। আর এদিকে মুসলিম মুসলিমে হত্যা যজ্ঞ্য চলল।
আপনি ঠিক ই বলেছেন বিশেষ করে দুই পাখি শিকারের বিষয়টি যেভাবে তুলে ধরেছেন।
মূলতঃ বৃটেন হতে উদ্ভুত আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডা - এদেশ সমূহের এ টু জেড - লিটারেলী সবকিছুই অমন প্রতারনাপূর্ন - ডিসিপটিভ - দাজ্জালিক।
যার সন্মুখস্থ বিষয়াবলীকে যৌক্তিক সেন্স এ সঠিক, বড় লোভনীয় - এ্যাজ ইফ সুখের মনে হয়, কিণ্তু এক্সেপ্ট করলে পর মনে হয় বড় বেশী কষ্টের, বেদনার। আর রিজেক্ট করতে পারলে মনে হবে বড় বেশী আরামের, স্বস্থির। যদিও রিজেক্ট করা প্রায় অসম্ভব, কারন মানুষের এ টু জেড - সামহাউ ওদের কাছে বন্দী হয়ে গেছে - তা স্প্রীচুয়াল বিষয়াবলিতে হোক কিংবা বৈষয়িক বিষয়াবলীতে হোক।
আপনার থটস্ প্রবোকিং কিংবা ঈমান চাংগা করা কিংবা ভিন্ন দৃষ্টিভংগীর লিখা স্বভাবতঃই মিস করছি।
ব্যাক্তিগতভাবে আমার খুব ইচ্ছা হয় - ভিন্ন ভিন্ন বয়সের, ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের, কোরান ও হাদীসের উপর বেসিক ধারনা রাখেন, জানা ও শোনার জন্য আলোচনা করেন এবং পড়েন, বিশ্লেষনধর্মী কিন্তু আক্রমনাত্মক নয় - এমন একটা গ্রুপকে পাওয়া - যেখানে ধারাবাহিক আলোচনা-কাউন্টার আলোচনা করা যাবে - ভুল ভাবনা গুলো শোধরানো যাবে ---
দূর্ভাগ্যজনকভাবে অনলাইন কিংবা অফলাইনে অমন একটি টিম বানানো যায় না। বেশীর ভাগ নলেজেবল ভাইবোন রা ব্যাস্ত জীবন যাপন করেন - এক্সট্রিমলী ব্যস্ত।
সিরিয়া নিয়ে আপনি যা বলছেন - তাতে আমার নীতিগত কোন দ্বিমত নেই - এ তো দিবালোকের মত সত্য যে সিরিয়ার ভাই বোনদেরকে পুরো পৃথিবীর সব গুলো স্বত্তাই অসম্ভব কষ্ট দিচ্ছে - এ্যাজ ইফ তারা শুটিং প্রাকটিস করছে - অন্যরা সেই দৃশ্য দেখছে। কষ্ট থেকে বাঁচার জন্য - আমার নিজেকে নিজে বলি - রাসুল সঃ ওনাদের জন্য দোয়া করেছেন - ওনারা এর বিনিময় নিশ্চয়ই কাল আখেরাতে পরিপূর্নভাবেই পাবেন। কিন্তু আরামে আয়াশে বেঁচে থাকা, নিজের জীবনে কোন রকমের ছন্দ পতন না করা - এই আমাকে নিয়ে আমি শন্কিত - আল্লাহর কাছে কি জবাব দেব?
আমার কাছে সেই সাথে এটা ও প্রায় পরিষ্কার আগামী দিনগুলোতে ইয়েমেন এর নিধন ও সমানতালে বাড়তে থাকবে এবং রেজাল্ট হবে মুসলিম মুসলিম গৃহযুদ্ধ টাইপ কিছু একটা। আজকে ইরানের সুপ্রিম লিডার ও তাই বললেন।
রাশিয়া নিয়ে ইমরান হোসেন এর হাদীসের রেফারেন্স অপেক্ষা কোরানের রেফারেন্স সমূহকে আমার কাছে তুলনামূলক অধিকতর গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে। প্লাস পারিপার্শ্বিক আরো বেশ কয়েকটি ইভিডেন্স - কনস্ট্যানটিনোপল, যুল কার নাইন এর মিনিং - পুতিণের প্রথম দুই টার্ম এর সাথে এখনকার টার্ম এর বেসিক ডিফারেন্স, অটোম্যান যুদ্ধ ও তার রেজাল্টসমূহ ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি ঐ সেন্স এ - রাশিয়ার পক্ষে নই। কিন্তু ওয়েস্ট এর অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার ও শোষন এর মাত্রা এত বেশী ও এতটা তীব্র এতটা স্বেচ্চাচারী ও ঈমান হরনকারী, শির্ক এক্সপোর্টকারী, হত্যা ব্যাভীচার, নেশা ও রিবার লালন ও এক্সপানশানকারী, প্রতারনাকারী - আর তার হতে মানবতার মুক্তির নিমিত্তে রাশিয়ার এই পলিটিক্যাল বিরুদ্ধাচরন, বিশ্ব পলিটিক্স এ হিউমিলিয়েশান এবং তার সুযোগে 'মালহামা'র পসিবিলিটি নিশ্চিত করতে যায়োনিস্ট ও তাদের মিডিয়া এবং তাদের করা সাবোটাজ সমূহকে দেখে - মোহাম্মদ সঃ এর প্রফেসীর সত্যতা অনুভব করতে পারি। যা মূলতঃ আমাকে সাহায্য করে দুনিয়া বিমূখ হতে, ক্যারিয়ার ও টাকা পয়সা থেকে বিমূখ হতে চেষ্টা করতে, তথা আখেরাত মুখী হতে। এই যা --।
ঈর্ষনীয় একটি ভাল কাজ করিয়েছেন আপনার বাবা - আমার সালাম রইল ওনার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন