একই উৎস হতে উৎসরিত প্রতারনায় - মুমিন দু'বার প্রতারিত হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের বিরোধী দল সমূহ বার বার প্রতারিত হচ্ছে।

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১২:৪৭:৩৫ রাত

বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহীম।

আস্‌সালামুআলাইকুম।

বদর এর যুদ্ধের পর, যুদ্ধ-বন্দী হিসাবে রাসুলের দরবারে পেশ করা হল হতদরিদ্র (কবি) আবু আজ্‌জা কে (আজকের দিনে সরকারের চামচা টাইপ কিছু)। তার না আছে বিত্ত, না আছে বিনিময়যোগ্য কিছু। উল্টো রাসুল সঃ এর কাছে সে বায়না ধরলো, 'ইয়া মোহাম্মদ সঃ - আমার ছোট্ট একটা মেয়ে ছাড়া আর নেই কিছু। ক্ষমা করো। যেতে দাও। দিচ্ছি কথা - তোমার বিরুদ্ধে অস্ত্র - ধরবো না, ধরবো না কখনো'।

কোমল হৃদয়ের নবী মোহাম্মদ সঃ - তাকে ছেড়ে দিলেন, বিদায় বেলায় ওয়াদাও স্মরন করিয়ে দিলেন।

কুফর তথা দুনিয়ার আলোয় আলোকিত মানুষের হৃদয় বরাবরই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়। সত্য, দয়া, মায়া, ভালবাসা ইত্যাদির মূল্য বোঝে না। দুনিয়ার আলোয় হৃদয়ে অন্ধকার বাসা বাঁধে। স্বভাবতঃই অন্ধকার হৃদয়ের প্রতিজ্ঞা - দুনিয়ার চাকচিক্যের টানে বানের জলের ন্যায় ভেঁসে যায়।

তাই আবু আজ্‌জা ও রাসুলের সাথে করা প্রতিজ্ঞা ভুলে রাসুলে সঃ র বিরুদ্ধে - ওহুদের যুদ্ধে, যুদ্ধ করতে হাজির হয় এবং আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আমাদের জন্য নতুন এক শিক্ষা নিশ্চিত করতে - আবার বন্দী হয় মুসলমানের হাতে এবং হাজির হয় রাসুল সঃ এর দরবারে।

বরাবরের ন্যায় আবু আজ্‌জা রাসুল সঃ এর কাছে বায়না ধরে, বলে 'ইয়া মোহাম্মদ সঃ - ছোট্ট একটা মেয়ে আমার। ক্ষমা করো, বিনিময় ছাড়াই দাও ছেড়ে। দিচ্ছি কথা - তোমার বিরুদ্ধে কখনো আর অস্ত্র ধরবো না'।

রাসুল সঃ ওনার উম্মাহ র জন্য নসীহত হিসাবে, শিক্ষা হিসাবে, লিডারশীপ এর নমুনা হিসাবে আবু আজ্‌জাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিলেন, বলেছিলেন 'তিনি চান না - আবু আজ্‌জা বুক ফুলিয়ে বলে বেড়াক রাসুলুল্লাহ সঃ কে - সে দু'বার বোকা বানিয়েছে'।

অন্য একজায়গায় রাসুল সঃ বলেছেন, 'একজন বিশ্বাসী একই উৎস হতে দুবার বিদ্ধ/আঘাতপ্রাপ্ত/প্রতারিত/ক্ষতবিক্ষত হতে পারে না'।

দূর্ভাগ্যজনক ভাবে বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক বিশেষনে বিশেষায়িত বিরোধী দল (মূলতঃ আলকায়েদা, আলজাজিরা, আইএস এর জন্মদাতাদের অবুঝ, বধির ও বোবা ক্রীড়ানকবৃন্দ) সমূহ, আমাদের ভাই বোন কর্মী, সমর্থক ও নেতৃবৃন্দ একই উৎস্য হতে, একই কারনে, একই প্রত্যাশায় - বার বার আঘাতপ্রাপ্ত, ক্ষতবিক্ষত, প্রতারিত, গুম, খুন ইত্যাদি হওয়া স্বত্তেও - সেই প্রতারক শক্তি সমূহের প্ররোচনায় - আবার ও পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে - এবং একইভাবে আবার ও প্রতারিত হতে যাচ্ছে। কেন যে তারা একই উৎস্য হতে একের অধিকবার প্রতারিত হতে চাইছে --------

হে আল্লাহ আমাদের এই সব ভাইবোনদের চোখ, কান ও হৃদয়কে খুলে দিন। বিশ্ব প্রতারক বৃটিশদের এক্সপোর্টেড 'নির্বাচন' নামক এই এ্যাবসুলুট প্রতারনা, এ্যাবসুলুট শির্ক, এ্যাবসুলুট এ্যানস্লেইভমেন্ট এর গতি-প্রকৃতি, প্রকারভেদ, কার্যকারন এবং ইন্ড রেজাল্ট মুসলিম ভাইবোনদের সামনে দিনের আলোর মত পরিষ্কার করে দিন। এই ঈমান-হননকারী গনতন্ত্র, নেশার ঘোর-রূপী নির্বাচন, আকিদাবিরোধী নেতৃত্বপূজা, শির্কতুল্য শরীয়াবিরোধী আইন প্রনয়ন, কন্টামিনেটেড মত ও পথ এর - কনসেপ্ট হতে বের হবার একটা এক্সিট ওয়ে কিংবা বিকল্প বের করে দিন। আমীন।

বিষয়: বিবিধ

১৩৭৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

355577
২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০২:১৭
কুয়েত থেকে লিখেছেন : বিকল্পের জন্য যা প্রয়োজন তা আমাদের প্রিয় জন্ম ভূমির ঈমানদার এখনো হয়নি দোয়া দিয়েতো আর সব কাজ হয়না। ধন্যবাদ আপনাকে
২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৩:৪৭
295255
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
হয়তো আপনি ঠিক বলেছেন।
কিন্তু বিকল্প তো দা'য়ী, এ্যাক্টিভিস্ট ও নেতৃত্বের খুজঁতেই হবে। তা না খুঁজে একই কাজ করে বার বার প্রতারিত হওয়া তো অস্বাভাবিক - তাই না? আর সাথে তো দোয়া করতেই হবে। ধন্যবাদ।
২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৫২
295277
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


ময়দানের ধারাবাহিক উপস্থিতি [যেন শূণ্যতা/অনুপস্থিতি না ঘটে] এবং বিকল্প অনুসন্ধান/নির্মান যুগপত আবশ্যক!!!
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৬:৩০
295366
সাদাচোখে লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

বিকল্প অনুসন্ধান/নির্মান আবশ্যক!!!

সহমত।
355616
২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৪৩
egypt12 লিখেছেন : তবেকি এরা মুমিন নয়!?
২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:২০
295300
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সুরা তওবার তাফসীর পড়ুন। আল্লাহ মদিনার লোককে ৪টা ক্যাটাগরীতে ভাগ করেছেন।
১.অগ্রগামী মুমিন (মক্কার মুহাজির ও মদিনার আনসার)
২.মদিনার মুনাফিক
৩.কাফির।
৪.দূর্বল ঈমানের মুমিন।
সম্ভবত এরা ৪র্থ স্তরের মুমিন যারা আজ প্রতারিত দুনিয়ার মুনাফিক, কাফির ও মুশরিক দ্বারা। যা তাদের জীবন-সম্পদকেও নীরাপত্তাহীন করে তুলেছে। অন্যরা হাত ও মুখ দ্বারা তাদের অনিষ্ঠ সাধন করছে এবং বাধ্য করছে কুফরী মেনে নিতে। আরো ভালমত বোঝার জন্য সূরা মুমতাহিনার ১নাম্বার ও ২নাম্বার আয়াত পড়ুন এবং শানে নুযুলে হাতিব(রাঃ)এর ঘটনা পড়ুন। জাঝাক আল্লাহ।
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৬:২৮
295365
সাদাচোখে লিখেছেন : @ egypt12 Vai, আস্‌সালামুআলাইকুম। আমি দুঃখিত, আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবার মত জ্ঞান আমার নেই। ঘুম ভাংগাতে চাই - ভাই একটা আংগিক দেখিয়েছেন। কিন্তু আমি শিওর - আজকের সময়ে যে সব ভাইবোন সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্ত পারবেন এবং প্রতি জুম্মাবারে সুরা কাহাফ পড়বেন - তাঁরা দু'চোখে (অন্তর ও বাহ্যিক) দেখতে শুরু করবেন - স্বভাবতঃই একের অধিকবার প্রতারিত হবেন না।

@ ঘুম ভাংগাতে চাই ভাই, ধন্যবাদ ভাবনা টি শেয়ার করার জন্য।

সুরা মুমতাহিনাঃ O you who believe, do not take My enemies and your enemies for friends, expressing love with them, while they have rejected the Truth that has come to you, expelling the Messenger and your selves (from Makkah) merely because you have faith in Allah who is your Lord, if you have set out to do Jihad (struggle) in My way, and to seek My pleasure. You express love with them secretly, while I know what you have concealed and what you have revealed. Any of you who does this has missed the straight path. (1) Should they have access to you, they will become your enemies, and will stretch their hands and tongues towards you with evil; and they desire that you should reject the (true) faith. (2)

আল্লাহু আকবর।
০৬ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৯:৫৪
295804
egypt12 লিখেছেন : হুম তাই হবে হয়ত!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File