ইসলামিক খেলাফতঃ শরীয়াহ্ না আমীর? কোথায় দৃষ্টি নিবদ্ধ করা উচিত এবং কেন?
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:৪৭:০৮ রাত
বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহীম।
আসসালামুআলাইকুম।
১লা নভেম্বর ১৯২২। মুসলিম উম্মাহর ফ্রাগমেন্টেশান কিংবা ব্যাবচ্ছেদ কিংবা বিচ্ছিন্নতাকে স্থায়ীভাবে নিশ্চিত করার নিমিত্তে কিংবা আইনগতভাবে দীর্ঘস্থায়ী করার অভিপ্রায়ে, বৃটিশ সরকারের প্রতিপালিত হ্যান্ডপিকড্ এজেন্ট, আধুনিক তুরস্কের ত্রাতা (মোস্ট লাভ্ড) কামাল আতাতুর্ক (ঠিক যেমন ভারত সরকারের প্রতিপালিত বাংলাদেশের ত্রাতারূপী শেখ মুজিব) তার্কির ন্যাশানাল এ্যাসেম্বলীতে খেলাফত বিলুপ্তির আইন পাশ করেন। সে থেকে ইসলাম মনস্ক প্রতিটি ভাইবোন - শিক্ষা, কর্ম, নেতৃত্ব হতে শুরু করে উন্নয়ন, অর্থনীতি, প্রশাসন সহ নৈতিকতা, পারিবারিক মূল্যবোধ, সামাজিক শৃংখলা অবধি - প্রায় সকল ক্ষেত্রে জীবনের কোন না কোন সময়ে - খেলাফতের অভাববোধ করেন। উম্মাহ কেন্দ্রিক সব প্রচেষ্টা, সাধনা এসে এই একটি জায়গায় বুঝিবা মাঠে মারা যায়, বুঝিবা ঠাই পায় না, শেকড় গজায় না, বুঝিবা নিজের কাজ কর্ম প্রচেষ্টাকে বড় বেশী মেকি, অসার মনে হয়। হালকা মনে হয়, ইমপেক্ট লেস মনে হয় - এমন অনুভূতিতে কমবেশী ভোগেন।
এ নিয়ে যা কিছু রিসার্চ, স্কলারলী আর্টিকেল, বক্তব্য ও মতামত তার মধ্যে 'খেলাফত' এর ধারনায় - বড় বেশী হয়ে ’আমীর’, ’আমীর নির্বাচন/সিলেকশান প্রক্রিয়া’ ইত্যাদি গুরুত্ব পেয়েছে। আলোচনা হয় কে (আমীর), কেন, কোথায়, কিভাবে খেলাফত হারিয়েছে কিংবা ছিনিয়ে নিয়েছে, কিভাবে তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব ইত্যাদি। আলোচনা হয় 'খেলাফত' এর বিভিন্ন মডেল নিয়ে, বিভিন্ন উপায় ও উপকরন নিয়ে - যার মূল উপজীব্য ঠিক কিভাবে সে আমীর নির্বাচিত হতে পারে কিংবা আমীরত্বকে আনা যেতে পারে কিংবা আদৌ খলিফা নামক সেই আমীর এর আজকের এই যুগে প্রয়োজন আছে কিনা, কিংবা থাকলে ও ঠিক কিভাবে তা শত শত ভাগে ব্যবচ্ছেদ হওয়া বর্ডার কিংবা বিভিন্ন দলমত সমৃদ্ধ এই উম্মাহর মধ্যে কাজ করবে, আদৌ করতে পারবে কিনা ইত্যাদি।
খেলাফত, খলিফা ইত্যাদি নিয়ে আমার যৎসামান্য যা পড়ালিখা, চিন্তা-ভাবনা করার স্কোপ হয়েছে - তাতে আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ, খেলাফত এর হার্ট কিংবা মূল হিসাবে যা অধিকতর স্ট্রং হয়ে ফুটে উঠছিল, আলোচনা, সমালোচনা, বক্তব্য, বিবৃতি, সংগঠনের উপজীব্য হিসাবে সামনে আসা উচিত বলে প্রতিভাত হচ্ছিল - তা হল - ''উম্মাহর মধ্যে 'শরীয়াহ'র বর্তমান কিংবা অনুপোস্থিতি কতটুকু, অতীত কি ছিল, কিভাবে আমরা শরীয়াহ্কে উম্মাহর মধ্যে বিস্তৃত করতে পারি, কতবেশী তা ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ ও ভূখন্ডে চর্চা করতে পারি, কতবেশী আমরা শরীয়াহ বিরোধী শক্তিকে নিউট্রিলাইজ করতে পারি কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে ইলিমিনেইট করতে পারি, কেমন করে পারি ইত্যাদি''। কিন্তু কেন যেন আমরা, আমাদের স্কলার রা, আমাদের লিডারশীপরা, আমাদের ইন্টেলেকচুয়ালরা খেলাফতের অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অংশ - শরীয়াহ - যা গনমুসলমানের প্রাত্যাহিক জীবনে প্রয়োজনীয়, কন্ট্রিবিউটরী এবং ইমপেক্ট সৃষ্টিকারী - তার উপর এ্যাম্পাসাইজ না দিয়ে, তার উপর সচেতনতা বৃদ্ধি না করে - খেলাফতের আলোচনায় আমীর, আমীর নির্বাচন, ক্ষমতায়ন ইত্যাদিতে অধিকতর এ্যাম্পাসাইজ দিয়েছেন, অনেক অনেক বেশী আলোচনা করেছেন ও গবেষনা করেছেন।
স্বভাবতঃই ইদানিংকালে আমাদের ইসলামমনা ভাইবোন রা প্রায়ই এই আর্গুমেন্ট দিতে যান যে, রাইটলী গাইডেড খোলাফায়ে রাশেদীন এর পর - ঐ সেন্স - এ উম্মাহর ট্রু খেলাফত ছিল না, যা ছিল বড়জোর তাকে রাজতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র ইত্যাদি বলা যেতে পারে।
কিন্তু এ আর্গুমেন্ট যে বিষয়টির প্রতি এ্যাম্পাসিস দিতে আমরা ব্যার্থ হই - তা হলঃ যে পয্যন্ত শরীয়াহ ''রাজতন্ত্র, পরিবারতন্ত্রে'' বর্তমান ছিল - উম্মাহ সামগ্রিকভাবে স্প্রিচুয়ালী প্রটেকটেড ছিল, গাইডেড ছিল। উম্মাহ সামগ্রিকভাবে ভেংগে পড়েনি, হতাশায় নিমজ্জিত হয়নি। উম্মাহর নৈতিক, পারিবারিক, সামাজিক জেনম (অংকুর)কলুষিত হয়নি। উম্মাহর অর্থনীতি, শিক্ষানীতি, বিচার ও প্রশাসন কনটামিনেটেড তথা দূর্নীতিগ্রস্থ হয়নি, ভেংগে পড়েনি, পর নির্ভরশীল হয়নি। শরীয়াহ বর্তমান থাকায় - উম্মাহর জন্য গাইডেড থাকার সুযোগ ও বর্তমান ছিল। হারাম কে হালাল করার কোন সুযোগ যেমন ছিল না, হালাল কে হারাম করার সুযোগ ও তেমন ছিল না। আর এ জন্যই আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ - এ যুক্তিটি কিংবা বোধটি স্ট্রং হচ্ছে যে – ’শরীয়াহ্’ খেলাফতের প্রধানতম অনুষংগ কিংবা নিয়ন্ত্রক, ’আমীর’ নয়। শরীয়াহ্ ডিভাইন, স্থায়ী। আমীর দুনিয়াবী, ক্ষনস্থায়ী।
খেলাফতের অপরাংশ তথা আমীরের ভূমিকা আমার কাছে তুলনামূলক সেকেন্ডারী অনুষংগ কিংবা নিয়ন্ত্রক বলে মনে হচ্ছে। উম্মাহ সামগ্রিকভাবে একজন 'পাপী, স্বেচ্ছাচারী, রাজতান্ত্রিক ইত্যাদি অনুষংগে সম্পৃক্ত শাসক' দ্বারা উচ্ছন্নে যেতে পারে না, ধ্বংশ হতে পারেনা (হাজ্জাজ বিন ইউসুফ দ্রষ্টব্য)। বড় জোর ট্রায়াল ও টারময়েল এ পড়তে পারে - কিন্তু ঈমানে দৃঢ়তা বজায় রাখতে পারে, উচ্ছন্নে যেতে পারেনা - নূন্যতম এটা নিশ্চিত করে বলা যায় উচ্ছন্নে যাওয়ার ট্রেন্ডকে নগন্য লেভেল এ রাখা যায় - এবং আখেরে উম্মাহর নিবেদিত প্রান কর্মী, সমর্থক ও ইমাম রা রিওয়ার্ডেড হবার জন্য ধর্মীয় বিষয়াদিতে অটল থাকতে পারে (আর্লি ইমাম রঃ রা দ্রষ্টব্য)।
ইসলামিক লিটারেচারের মূল তথা কোরআন ও হাদীসে হয়তো তাই আমরা খেলাফত, খলিফাহ ইত্যাদির যে ধারনা ও নলেজ এর সন্নিবেশ দেখতে পাই - সেখানে খেলাফতের অন্যতম এই উপসর্গ তথা ’শরীয়াহ’র উপর যে পরিমান এ্যাম্পাসিস, যে পরিমান ডিটেইলস, নিটিগ্রিটি আকারে বর্নিত দেখতে পাই, এমনকি আমীরের যোগ্যতা, দায় দায়িত্ব ইত্যাদির সাথে পরিচিত হই - সেভাবে আমীর নির্বাচন কিংবা সিলেকশানের উপর কোন এ্যাম্পাসিস দেখতে পাইনা। ইসলাম আমাদেরকে লিডারশীপ তথা আমীর ফর্ম করার জন্য ক্লিয়ার কাট কোন নীতিমালা দেয়না বরং রাসুলুল্লাহ্ সঃ এর জীবদ্দশা হতেই (খালেদ রাঃ দ্রষ্টব্য) বিভিন্ন ফর্মে, বিভিন্ন প্রেক্ষিতে (খোলাফায়ে রাশেদিন দ্রষ্টব্য) লিডারশীপ তৈরীর অপশান কিংবা ফর্মূলা উপহার দিয়েছে।
অন্যদিকে ইসলাম ভিন্ন স্যেকুলার যা কিছু খেলাফত তুল্য ব্যবস্থা (তথা গনতন্ত্রের বিভিন্ন ফর্ম, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র, গোত্রীয় ব্যবস্থা ইত্যাদি) সেখানে লিডারশীপ নির্বাচন, অর্জন ইত্যাদিই মূখ্য করা হয়েছে। এ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে মিলিয়নস অব পেইজ লিখা হয়েছে, গবেষনা হয়েছে এবং হচ্ছে। শরীয়াহ তথা আইনকে গৌন করা হয়েছে - এবং শরীয়াহ কে লিডারশীপ এর অধিনস্থ করা হয়েছে তথা মর্জির আওতায় আনা হয়েছে।
দূর্ভাগ্য জনক ভাবে আমরা মুসলিম রা খেলাফত নিয়ে আলাপ আলোচনায়, দ্বন্ধ-সংঘাতে - লিডারশীপকে, আমীর হওয়াকে অধিক প্রায়োরিটি দিতে শুরু করেছি। আর এ আমীর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিয়া নামক এমন স্ট্রং একটা বিবেদ প্রায় ১৪০০ বছর টিকে থাকতে পেরেছে। অথচ আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল সঃ উম্মাহর জন্য, উম্মাহ র ইউনিটি ও আখেরাত নিশ্চিত করতে লিটারেলী শত শত আয়াত ও হাদীস আমাদের জন্য বাঁচিয়ে রাখা নিশ্চিত করলেন, ডজন ডজন হাদীসে ও কোরানের আয়াতে ভবিষ্যত বলে গেলেন - যদি আমীর নির্বাচন টা খেলাফতের মূখ্য শর্তই হত, তবে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুল সঃ অবশ্যই আমাদের জন্য সে আমীর নির্বাচনের একটা শরীয়াহ কিংবা বিধান নিশ্চিত করতেন। যাতে আল্লাহ ইমপোর্টেন্স দেননি, রাসুল সঃ ইম্পোর্টেন্স দেন নি, সাহাবী রাঃ এ্যাম্পাসিস দেননি, যার ব্যাপারে আর্লি স্কলার রা এ্যাম্পাসিস দেন নি - সে ব্যাপারে কেন আমরা এত এ্যাম্পাসাইজ দিয়ে আসছি, এত বক্তব্য বিবৃতি লিখালিখি করছি? এ একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে লিটারেলী উম্মাহ শতধা ভাগে বিভক্ত হয়েছে এবং হচ্ছে।
স্বভাবতঃই আমার মনে হয় খেলাফত রিভাইভ করার জন্য আমাদের স্কলার, লিডারশীপ, এ্যাক্টিভিস্ট এর উচিত হবে খেলাফত কনসেপ্ট এর উপর পুনঃ পর্যালোচনা করা, খেলাফত এ 'আমীর' অপেক্ষা 'শরীয়াহ'কে সামনে নিয়ে আসা এবং খেলাফতে শরীয়াহর রোলকে রি-ডিফাইন করা এবং সেই শরীয়াহকে কিভাবে ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ এ মাইক্রো হতে ম্যাক্রো লেভেল এ স্টাবলিশ করা যায় - তার দিকে গুরুত্ব দেওয়া।
এভাবে শরীয়াহ ব্যাক্তি পরিবার ও সমাজে স্টাবলিশ করলে উম্মাহর বিভক্তি কমবে কারন শরীয়াহ ক্রিস্টাল ক্লিয়ার আকারে কোরান ও হাদীসে বিবৃত হয়েছে এবং তা নিয়ে ইসলাম মনস্ক ভাইবোনদের মধ্যে কোন বিবেদ নেই আর যৎসামান্য থাকলেও - তা সহজেই ইলিমিনেট করা সম্ভব এবং এ ভাবে উম্মাহর ইউনিটি ও উত্তোরোত্তর বাড়ানো সম্ভব বলে আমার মনে হয়েছে।
শুধু মাত্র আল্লাহই ভাল জানেন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৭ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এ্যানীওয়ে আমার মনে হয়েছে - আমরা আসলে দুটো ভিন্ন দৃষ্টিকোন হতে দেখছি বিষয়টাকে। আপনি বললেন, ''এদলগুলোর কোনটাই আমীর নির্বাচনের পদ্ধতির উপর গুরুত্বারোপ করে, বরং সবার মূল লক্ষ্য যেভাবেই হোক জনমানসে শরীয়াহ এর অপরিহার্যতা বুঝিয়ে তাদের দ্বারাই শরীয়াহ এর আইন বাস্তবায়ন করা''। কিন্তু ব্যাক্তিগতভাবে সাধারন মানুষ হিসাবে এটাই বড় বেশী হয়ে প্রতীয়মান হয় যে উক্ত দলগুলো নির্বাচন, পলিটিক্যাল স্ট্রাকচারিং, পলিটিক্যাল কৌশল নিয়ে যা কাজ করেন, কথা বলেন, সেমিনার সিম্পোজিয়াম করেন - তার নূন্যতম একটা পারসেন্টেইজ (ধরুন ৫%) স্টেইটমেন্ট ও শরীয়াহ বিষয়ে সচেতনতা, স্টাডি, রিসার্চ, গনসংযোগ করেন বলে আমার কাছে কোন প্রমান নেই। বরং গত ২০/২৫ বছরের স্টেইটমেন্ট পড়লে এটা বোঝা যায় যে, যদি জামায়াত সরকার গঠন করতে পারে তবে সৎ ও যোগ্য লোকের শাসন নিশ্চিত করবে ধরে নিলাম শরিয়াহ বাস্তবায়ন করবে। তার মানে কি এই দাঁড়ায় না যে, শরীয়াহর জন্য কন্ডিশান হচ্ছে সরকার গঠন এবং সরকার গঠনের জন্য কন্ডিশান হচ্ছে আমীর বা লিডার?
@ ইসলামী দুনিয়া ভাই, আপনার এ উক্তিদুটো চমৎকার হয়েছে এবং আমি আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং দিয়ে ক্লিয়ার বুঝতে পারছি এটা লিটারেলী আমোঘ এক বানীর ন্যায় হয়েছে,
'ইসলাম ও গণতন্ত্রর দুই মেরুর অবস্থান। আপনি ইসলামের কাছে থাকতে চাইলে গণতন্ত্র থেকে সরে আসতে হবে আর গণতন্ত্রের কাছে থাকতে চাইলে ইসলামের থেকে সরে যেতে হবে'।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি মনে করি আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল - খেলাফত নিয়ে যা বলেছেন - তার অন্যতম একটা পার্ট তথা শরীয়াহ্ নিয়ে সমাজের বিভিন্ন লেভেলে কাজ করার মত অনেক সুযোগ আছে। কিন্তু এ জন্য দরকার উপযুক্ত আলেম-ওলামা-ইসলাম প্রিয় ভাইদের কিছু গবেষনা, পরিকল্পনা ও মতামতের আদান প্রদান, আলাপ আলোচনা।
আল্লাহ আপনাদের মংগল করুন।
মোল্লা উমর সামান্য ঝিলিক দেখিয়েছিলেন রাষ্টিয়ে ভাবে। সেই ঝিলিকটুকু যেন দুনিয়াই ছড়াতে না পারে ষডযন্ত্র করে নিজেদের ঘর নিজেরা ভেংগে মোল্লাদের উপর দোষ চাপিয়ে সেই সামান্য ঝিলিক নিবিয়ে দিয়েছে।
’শরীয়াহ্’যে ভিলেন নয় বিশ্বের মানুষকে সুস্ত রুচিশীল রাখার সুষ্ট আইনের সমষ্টি। এই ধারনা মানুষকে সহজ-সরল ভাবে দিতে পারলে মানুষ দলে দলে ফিরে আসবে নিজেদের স্বার্থেই।
আর জামায়াত, ইখওয়ান সহ ইসলামি আন্দলনগুলি সেটাই করতেছে।
এর বাইরেও অস্যংখা ইসলামি গ্রুপ কাজ করছে। তাদের সবাইকে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে গালাগালি করবেনা। একে অন্যকে সম্মান করবে এই রকম একটা চুক্তি করাতে পারলে, সহনশিল একটা পরিবেশ সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ!
জাযাকাল্লাহ খায়ের
মিডিয়া সম্পর্কে আপনি যা বললেন - পুরোপুরি যথার্থই বলেছেন এবং এটাই স্বাভাবিক। কারন শরীয়াহ্র উপস্থিতি থাকলে মুসলিমের ঈমান, আখলাক এ যেমন আচঁড় কাটা কঠিন হয় ঠিক তেমনি মুসলিম পরিবার, সমাজ ও ভূখন্ডকে কুলুষিত করা কঠিনতর হয়। সো শরীয়াহর বিরুদ্ধে কাজ করতেই হয়।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি যা বুঝেছি এবং জেনেছি এবং দেখেছি তার আলোকে মনে করি জামায়াত, ইখোয়ান ইত্যাকার পার্টির উদ্দেশ্য হিসাবে শরীয়াহ থাকলেও মূলতঃ তাদের কাজ কর্ম, প্রচার প্রচারনায় শরীয়াহ অপেক্ষা খেলাফতের গৌন পার্ট তথা খেলাফত ও আমীর ই প্রাধান্য পায় এবং সে আবর্তেই সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কারন ঐ কাজ কর্মের আবর্তে ওনারা এটাই অনুভব করেন সরকার (খেলাফত) গঠন করতে পারলে তারপর শরীয়াহ বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু আমি বলতে চাইছিলাম - আজকের এই বিশ্ব ব্যবস্থায় শরীয়াহ ব্যাক্তি, পরিবার ও সমাজে স্টাবলিশ করার জন্য সরকার গঠনটা অধিকতর ফোকাস পাওয়া প্রয়োজন নয়।
ফ্রেঞ্চ লিগের এ ম্যাচে ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে লিঁওকে আতিথিয়েতা জানায় পিএসজি। আর ম্যাচের শুরুতেই লিগ চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে দেন সুইডিশ স্ট্রাইকার ইব্রা। খেলার ১১ মিনিটে গোলটি করেন তিনি। পরে খেলার ১৭ মিনিটে সার্জিও আয়ুরেয়ারের গোলে লিড দ্বিগুন করে লরা ব্লার শিষ্যরা।
ম্যাচের ২৪ মিনিটে অবশ্য ব্যবধান কমায় লিঁও। জর্দান ফেরির গোলে স্কোর লাইন ২-১ করে সফরকারীরা। পরে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পিএসজি।
বিরতির পর অবশ্য আরও জ্বলে ওঠে স্বাগতিকরা। খেলার ৬১ মিনিটে এডিনসন কাভানির গোলে লিড ৩-১ করে পিএসজি। আর ম্যাচে ৭৭ মিনিটে দলটি পেনাল্টি লাভ করলে তা থেকে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা ইব্রা। আর ম্যাচের শেষ দিকে লিঁওর কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন লুকাস।
খেলার বাকি সময় আর কোন গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ৫-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্লার দল। এ জয়ের ফলে ১৮ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে পিএসজি। লিগে এখন পর্যন্ত ১৮ ম্যাচের কোনটিতে হারেনি দলটি। তিনটি খেলায় ড্র করেছে লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন