ন্যাটো বনাম রাশিয়াঃ প্রতি ১০০ তে ৯৯ জনের মৃত্যু - ঠিক কতটা সময় আছে হাতে?

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ২৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০৭:৪০:৫৮ সকাল

বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহীম।

আসসালামুআলাইকুম।

পৃথিবীর বক্ষস্থলকে কেন্দ্র করে সংঘঠিত ঘটনাগুলো এত দ্রুতলয়ে ঘটছে - আর আমার চোখের সামনে বিশেষ কিছু কোরানের আয়াত আর আখেরী জামানা সংশ্লিষ্ট কিছু হাদীস - যেন সমান তালে স্ক্রল হচ্ছে - ধীর স্থির হয়ে যে কোন কিছুতে মন দিব - লিখতে বসা লিখা/সিরিজ শেষ করবো - তা হয় না। ব্লগ ছেড়ে ঘুমাতে যেতে হয়।

সচেতন মানুষ মাত্রই জানেন, সিরিয়াকে কেন্দ্র করে (আপাতঃ বিশ্বের ইভিল কর্মের নিয়ন্তা) ন্যাটো বনাম রাশিয়ান ম্যাচ এর - পর্ব টু - শুরু হয়েছে সম্পূর্ন অনাকাংখিত, অপ্রত্যাশিত ভাবে সিরিয়ার মাঠে রাশিয়ার উপস্থিতি র মাধ্যমে। রাশিয়া বিরতির আগে সাফল্যের সাথে ওয়াকিবহাল মহলকে চোখে দেখিয়ে, কানে শুনিয়ে এমর্মে বুঝিয়ে দিয়েছে যে জিয়োনিস্ট এর এক্সপানশান এজেন্ডার প্রক্সি হিসাবে তাদের ক্রিতদাস টাইপ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরুন এর উর্বর মস্তিস্ক প্রসুত প্রক্সি সোলজার হল আইএস। যারা বুঝতে বড় বেশী অপারগ ছিলেন - তাদের জন্য পুতিন ভদ্রভাবে আইএস এর চুল দাড়ি গোফ শুধু খুলে দেখায় নি - সম্প্রতি তাদের ইউনিফরম খুলেও প্রমান করে দিয়েছে যে তারা তাদের অপশুট।

বিরতির পর ন্যাটো রাশিয়াকে পেছন হতে কয়েকটি বড় ধরনের ফাউল করেছে - যার শুরু হয়েছে সিনাই এ রাশিয়ান প্লেনকে উড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আর তারপর ক্রাইমিয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন, পন্য সরবরাহ লাইন বন্ধের পর ফাইনালী আজকে যুদ্ধ বিমান ধ্বসিয়ে, জেনেভা কনভেনশানকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে তথা রেফারীকে তোয়াক্কা না করে সেই প্লেইনের সোলজারকে হত্যা করে।

তথাকথিত বিশ্বযুদ্ধ (মূলতঃ ইউরোপীয়ান যুদ্ধ - যার মাধ্যমে ইউরোপের মানুষের মাথা হতে সত্যিকারের রব/স্রষ্টার কনসেপ্ট সরিয়ে 'ভুয়া রব/স্রষ্টা'র কনসেপ্ট প্রতিস্থাপন করা হয়েছে) ও এর শুরু সম্পর্কে যারা জানেন - তারা এ্যালার্মড হবেন, তারা হতচকিত হবেন। কিন্তু সে ভাবনাকে এগুতে দিতে চাইবেন না। কারন তা ভয়ানক শীতল এক স্রোত জানান দিয়ে যাবে মেরুদন্ডের মধ্যভাগ দিয়ে।

কিন্তু যারা বদর এর যুদ্ধ সম্পর্কে ডিটেইলস্‌ পড়েছেন, যারা কোরান ও হাদীস এর কারনে মৃত্যুচিন্তা অপেক্ষা সর্বত্র (যেখানে এ্যাপ্রোপ্রিয়েট) আল্লাহর সাইন বা নিদর্শন খুঁজেন, কোরান ও হাদীসে কি বলেছে - তাকে নিজের আশে পাশের সংগঠিত বিষয়ের আলোকে দেখার ও বুঝার চেষ্টা করেন, কোরান ও হাদীসকে গাইড হিসাবে নিয়ে - সে সব সংগঠিত বিষয়কে মূল্যায়ন করতে চান, শিক্ষা নিতে চান, বুঝতে চান - তারা রাশিয়া বনাম ন্যাটোর এই ম্যাচ ও তার আলটিমেইট পরিনতির দিক নিয়ে চিন্তা করবেন এর সাইন সমূহ দেখতে চাইবেন।

ব্যাক্তিগতভাবে আমি পার্ট ওয়ান কে শুরু হতে দেখেছি - জিওনিস্ট ডিকটেশান অনুযায়ী আমেরিকান-ন্যাটোর - ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যায় করে গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে উচ্ছেদ করা। যা ক্লিয়ারলী কোরাইশদের ঐ গোপন মুভ তথা রাসুলুল্লাহ সঃ কে হত্যা পরিকল্পনার সাথে সমান তালে যায়।

সে দিন আল্লাহর রাসুল যেমন নির্বিবাদে নিজ হতে সরে গিয়েছিল মদীনায় আর মক্কায় অশান্তির, অনৈতিকতার বীজ নিশ্চিত করে দিল, রাশিয়া ও কোন রকম শব্দ ছাড়া ক্রাইমিয়া ছিনিয়ে নিল এবং ইস্টার্ন ইউক্রেইন এ অশান্তি ও অনৈতিকতার বীজ নিশ্চিত করে দিল।

এর পর পর ন্যাটো একের পর এক সেংশান ও হম্বিতম্বি করলো, ঠিক যেমন করে সে দিনের কোরাইশরা রাসুল সঃ কে হত্যার জন্য পাবলিকলী বাউন্টি সেট করে দিয়েছিল।

যা প্রথমে বলছিলাম - খেলার ঐ ধারাবাহিকতায় আমরা এখন পর্ব - ২ কে রূপায়িত হতে দেখছি।

আপনি যদি ভাল করে দুপক্ষে স্টেইটমেন্ট, এ্যাকশান ও মুভ সমূহ লক্ষ্য করেন তবে বদরের যুদ্ধের ঠিক আগের অবস্থার সাথে একটা সামন্জস্য পাবেন।

মনে করুন মোহাম্মদ সঃ এর ফুফি আতিয়া র স্বপ্ন, সুফিয়ান রাঃ এর দ্বিতীয় ম্যাসেন্জারের বার্তা, কিছু গোত্রের মানুষের ফিরে যাওয়া, ওয়াচার এর সাবধান বানী, ওয়ালীদ এর রক্ত ঋণ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি কোন কিছু সেদিন আবু জাহেল এর দম্ভ, অহংকার, শক্তির প্রদর্শনী ও আত্মবিশ্বাসকে টলাতে পারে নি। আল্লাহ অতি দ্রুতলয়ে তাদেরে বদর পানে কচু কাটা হতে টেনে এনেছে।

ঠিক তেমনি আল্লাহ অতি দ্রুতলয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীকে সিমিলার টাইপ 'দম্ভ, অহংকার, শক্তির প্রদর্শনী ও আত্মবিশ্বাস সহযোগে - সিরিয়া ও ইউক্রেনের দিকে ধাবিত করছে। এ যেন অশুভ কিন্তু অমোঘ এক নিয়তিতে তারা বাঁধা। তাদের যেতেই হবে এবং মরতে হবে যেন।

মনে করুন সেদিন রাসুলুল্লাহ্‌ সঃ অতি সহজ ৪০ জনের একটা টার্গেটকে হান্ট করার জন্য মদীনা হতে বের হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ তার রাসুলের পরিকল্পনাকে লিটারেলী বাতিল করে তার জন্য আরো বড় দায় ও দায়িত্ব এবং সাথে পুরুষ্কারের নিমিত্তে বিরাট এক টেস্ট হিসাবে তিন গুন বেশী শক্তি ও সামর্থ্যের এক সৈন্য বাহিনীর সামনে উপস্থিত করে দিল। আর অন্যদিকে যাদের পিছনে তিনি ছুটেছেন সেই সুফিয়ান রাঃ কে সরিয়ে নিল।

ঠিক তেমনি আজকে প্রায় ২৫ বছর পর রাশিয়াকে তার এ্যানক্লেইভ হতে বের করে আনলো আল্লাহ আইসিস কে সামনে রেখে। যা রাশিয়া মনে করেছিল একটা কুইক ফ্রাই, অতি সহজ টার্গেট। কিন্তু আসার পর আল্লাহ আজকে তাদেরকে ন্যাটোর মুখোমুখি করে দিল। রাশিয়ার সামনে লিটারেলী এখন কোন বিকল্প নেই ন্যাটোকে ফেইস করার। অচিরেই রাশিয়া দেখবে আইসিস হাওয়া হয়ে গেছে ব্যাটেল ফিল্ড এ আর সে বাধ্য হবে রাসুলুল্লাহ সঃ এর মত প্ল্যান করতে - শক্তিশালি ও দাম্ভিক এই ন্যাটোর সাথে কিভাবে ফাইট করা যায়। কিন্তু পেছানোর চিন্তা মাথায় আসবে না, আসতে পারে না। সেদিন রাসুলুল্লাহর জন্য এসেছিল ফেরেস্তা আর আগামীতে রাশিয়ার জন্য আসবে 'সাউথ চায়না সি' ইন্সিডেন্ট এ ক্ষিপ্ত চায়না। (ইনশা'আল্লাহ)

রেজাল্ট কি হবে? হাদীস অনুযায়ী আমরা এক্সপেক্ট করতে পারি অচিরেই বেশ কয়েকটি হাদীসের বাস্তবায়ন আমরা দেখবো (কিন্তু আল্লাহ ভাল জানেন)।

১। মুয়াদ রাঃ কে বলা ঐ হাদীসটি - যেখানে রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন মদীনার ক্ষয়িষ্ঞতা, জেরুজালেমের উত্থান এর পরের অংশ তথা 'মালহামা' (বিশ্বযুদ্ধ - ইউরোপীয়ান যুদ্ধ), খৃষ্টানরা বলে আরমাগাডা। ভয় পাবেন না তারপর আপনি আমি দেখবো ইনশাল্লাহ কনস্টিনটিনোপল এর সত্যিকারের বিজয় ও তারপর চেহারা সংবলিত দজ্জাল (চেহারাহীন আজকের দজ্জাল নয় যে এখন সমুদ্রে দাঁড়ালে তারা হাটু/গিরা পয্যন্ত মাত্র পানি হয়) ইনশাল্লাহ্‌।

২। আমরা আসছে এ মালহামায় রাসুলুল্লাহর সঃ এর ঐ হাদীসটি ও দেখবো যেখানে রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন ইউফ্রেতিস নদীর নিচের পাহাড় পরিমান থাকা সোনার জন্য ফাইট হবে যেখানে প্রতি ১০০ জনে ৯৯ জন মারা যাবে। (অবশ্য তা বুঝতে হলে আপনাকে নিশ্চিত ভাবে জানতে হবে ডলারের জীবন বৃত্তান্ত, ব্রিটন উডস এ্যাগ্রিমেন্ট, আইএমএফ, ওয়ার্ডব্যাংক ও জি৭/জি৮ রহস্য, ব্রিকস্‌ আর হ্যাঁ কেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা থার্ড ওয়াল্ডকে এইড দিতে হয় এবং কেন আপনার টাকা প্রতি বছরে মূল্য হারায় - কঠিন বিষয়)

৩। আর ১০ সাইন হাদীসের ঐ অংশের ও বাস্তবায়ন দেখবেন যেখানে আকাশ ভরে যাবে নিউক্লিয়ার বোমার ধুঁয়ায় - যা ৪০ (অনেক) দিন সূর্য দেখতে দিবে না আপনাকে আমাকে - যদি ভাগ্যবান কিংবা বলি দূর্ভাগা ঐ ১ জন না হন।

আমি জানি নিচের আয়াত সমূহের তাফসীর এ ভিন্নতা আছে। তাফসীর আমাদের কোরান এর আয়াত বুঝার জন্য এইড হিসাবে কাজ করে। কিন্তু তারপর ও একজন আল্লাহর বান্দা হিসাবে আল্লাহর কালাম (কোরান) নিজে সরাসরি পড়া যায় যেমন করে বেলাল রাঃ পড়েছেন, খাব্বাব রাঃ পড়েছেন এবং পন্ডার করেছেন আল্লাহ কি বলতে চান ওনাকে। আপনিও তা চেষ্টা করতে পারেন, বুঝতে চাইতে পারেন আপনার ব্যাক্তিগত কোন সারকামস্টান্সকে আল্লাহ এ্যাড্রেস করছেন কিনা? ইদানিং আমি নিচের লাইনগুলো পড়ার সময় আমার মাথায় এমন চিন্তা আসে। চিন্তাশীল হলে আপনার কি মনে হয় শেয়ার করতে পারেন? আমাদের চিন্তা ও ভাবনা অবশ্যই 'আকিদা'র বিষয় নয়, ডেভিয়েশানের জন্য নয়, এর ইসলামিক কোন ভ্যালু নেই - সিম্পলী আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ্যানহান্স করার প্রচেষ্টা মাত্র। পন্ডারিং করার পার্ট হিসাবে?

সুরা আর রহমান এর ৩৩ (গত ২/৩ দশকের স্পেইস এক্সপ্লোরেশান কে কি কোন ইংগিত করছে) ৩৫ (আগামী দিনের নিউক্লিয়ার যুদ্ধকে কি ইংগিত করছেন আল্লাহ), ৩৭ (বোমার পরের দিনগুলো?)

আল্লাহ ভাল জানেন।

বিষয়: বিবিধ

৪৩৪২ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

351341
২৫ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৫৯
সাইফুল ঈদগাহ কক্স লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। তবে রশিয়াকেও সমর্থন করা যায় না।
২৫ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:২০
291830
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!
যে সব সোর্স হতে আমরা খবর পাই ও খবরের বিশ্লেষন পাই - তার আলোকে আপনি যা বলেছেন - তার সাথে প্রতিটি মুসলিম ই সহমত পোষন করবেন। কোন সন্দেহ নেই, আমিও তাই পোষন করছি।

কিন্তু কোরানের সূরা মায়েদা যা মদীনায় অবতীর্ন তার ৮২ নং আয়াত আমাদেরকে নিশ্চিত করছে যে, আমাদের প্রতি সিমপ্যাথাইজার হবে একটা পারটিকুলার খৃষ্টান গ্রুপ থাকবে। সো আমাদেরকে সে পারটিকুলার খৃষ্টানগ্রুপকে বের করতে হবে যারা আমাদের টারময়েল এর সময় পাশে এসে দাঁড়াবে আমাদের সাথে হাদীস অনুযায়ী ফাইট করে কন্সটিনটিনোপল বিজয় করবে। এ আয়াতে আল্লাহ তাদের কিছু কারেকটারস্টিকস দিয়েছেন - যা পশ্চিমা খৃষ্টানদের সাথে কমপ্লিটলী কন্ট্রাডিকটরী কিন্তু অর্থোডক্স খৃষ্টান যারা নিজেদের খৃষ্টান বলে তাদের সাথে পারপেকটলী ম্যাচ করে। তার উপর সূরা রূম এর ঐ নিকটবর্তী খৃষ্টানদেরকে বের করতে হবে যারা বিজয় লাভ করলে মুসলিমরা খুশী হয়। এবং সে দিক দিয়ে বিবেচনা করলে অর্থোডক্স রা রাইটলী ম্যাচ করে। তৃতীয়ত কনস্টিনটোনোপলিস বিজয়ে খৃষ্টান যারা আমাদের সহযোগী হবে তারা অর্থোডক্স দের সাথে ম্যাচ করে কারন অল এ্যালং এই গ্রুপের মেইন মক্কা কিংবা ভ্যাটিকান এর সমরূপের স্ট্যাটাসে ছিল হাগা সোফিয়া। (এ্যানীওয়ে আল্লাহ ভাল জানেন আর আমরা আশা করতে পারি আমাদের আলেম রা গবেষনা করে বের করে দেখাবেন কোথায়, কারা সেই খৃষ্টান - যাদের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব বা সহমর্মিতার সম্পর্ক হবে)।

Verily, you will find the strongest among men in enmity to the believers (Muslims) the Jews and those who are Al-Mushrikûn (see V.2:105), and you will find the nearest in love to the believers (Muslims) those who say: "We are Christians." That is because amongst them are priests and monks, and they are not proud. (82)
351347
২৫ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:২৪
অপি বাইদান লিখেছেন : কিসেরর ন্যাটো, আম্রিকা, রাশিয়া? এ মুহুত্বে মুমিনের দায়িত্ব বেশি বেশি নফল এবাদতি কইরা আল্যার শুকরিয়া আদায় করা। মুমিনরে আল্যায় দিসে না? আরো দিব।

বদরের যুদ্ধে তোমরা পাথ্থর ছুড়ে মারনি, ঐ পাথ্থর আল্যায় মারসে।
২৫ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:২৪
291831
সাদাচোখে লিখেছেন : ঠিক বলেছেন। মুমিনের আল্লাহ আছে। মুমিন ইসমাইল আঃ এর মত নিজের জীবনকে আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করেছে - এটাই মুমিনের নিয়তি - তারা দুনিয়ার বিনিময়ে বেহেস্ত কিনে নিয়েছে।

কিন্তু আপনার আমার মত সাধারন মানুষের অবস্থা হল কঠিন। না বুঝে না জেনে না অনুভব করে অন্ধ, বধির ও মূক এর মত এদিকে ওদিকে বোকার মত ছড়ি ঘুরাই।

আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং সত্য বুঝে নিজেদেরকে স্রষ্টার কাছে সমর্পন করার শক্তি দিন।
351355
২৫ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৫৫
হতভাগা লিখেছেন : ন্যাটো বানানো হয়েছে রাশিয়াকে ঠেকানোর জন্য তাদের ওয়ারশ জোটের বিপরীতে

বহুদিন ধরে আগ্রহ করে বসে আছি আমেরিকা-রাশিয়ার যুদ্ধ দেখব বলে ।

আমার মনে হয় , যুদ্ধ যদি তারা লাগতে চায় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে এত জনবিস্তীর্ন জায়গায় নিরীহ মানুষ না মেরে প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে সাউথ চায়নার কাছাকাছি ভেন্যু সিলেক্ট করতে পারে ।

রাশিয়া-চায়না-উঃকোরিয়া বনাম আমেরিকা - ন্যাটো
২৫ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩৩
291832
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

আমাদের মত লিটারেল দুনিয়া ও আখেরাত একই সাথে ধরতে চাওয়া মানুষেরা কেন্দ্রবিন্দুকে সরাতেই চাইবে - এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আল্লাহ সম্ভবতঃ তা চান না বলেই - যা কিছু কোরানের আয়াত ও রাসুলের হাদীস পাওয়া যায় - তার প্রায় সবকিছুরই কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে মধ্যপ্রাচ্য তথা জেরুজালেম, ইয়েমেন, সিরিয়া, মিশর, ইস্তানবুল,মক্কা, মদীনা, ইরাক ও খোরাসান তথা আফগানিস্থানকে কেন্দ্র করে বলয় তৈরী করেছেন। ফাইট টা মূলতঃ বনু ইসহাক বনাম বনু ইসমাইল এর মধ্যে। বাকি সবাই পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করছে যেন।

সো আপনি আমি হাজার চেষ্টা করেও, অনুনয় বিনয় করেও কেন্দ্রবিন্দুকে সাউথ চায়নায় নিতে পারবো না। তাকে কেন্দ্র টাচ করেই সব কিছু করতে হবে। এবং নিশ্চিত আমেরিকা, ইউরোপ, রাশিয়া ও চায়না মরা গরুর মত কিছু একটা হবে যখন বনী ইসরাইলের ইজরাইল আর বনী ইসমাইলের আরব ফাইনাল ফাইট করবেন। যার আলটিমেইট পরিনতিতে গাছ ও পাথরের আহ্বানে বনু ইসমাইল - বনু ইসরাইলের গাফেলদেরকে ফাইনাল শাস্তি দিবেন।

আল্লাহ ভাল জানেন।
২৬ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৩১
291856
হতভাগা লিখেছেন : এত টেনশন নিয়েন না ।

কয়দিন আগে রাশিয়া যখন আইএস এর উপর বিমান হামলা করছিল তখন তাদের আশে পাশে আমেরিকান বিমান গুলোও ছিল ।

তখন অনেকের মত আমিও আশা করেছিলাম যে যুদ্ধ মনে হয় বেঁধে গেল । কিন্তু সে আশায় গুঁড়ে বালি ।

কিছুদিন আগে দক্ষিন চীন সাগরেও আমেরিকার জাহাজ পাঠানো হল এবং চীনও বেশ প্র‍্যাকটিস করা শুরু করেছিল । সবাই ধরে নিয়েছিল যে কিছু একটা হতে যাচ্ছে ।

যুদ্ধ তো হয়ই নি , বরং উনারা নাকি - হ্যালো ইনে কি প্ল্যান করছেন , ক্রিসমাসে কি করবেন - এরকম কথা বলে নিজেরা নিজেরা মজা করেছেন ।
২৬ নভেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৬
291903
সাদাচোখে লিখেছেন : হুম! আপাতঃ ঠিক বলেছেন বলে মনে হয়। কিন্তু যে বিষয়টি আমরা অনেকে কনসিডারে নিতে ব্যার্থ হই - তা হল স্যেকুলার সেন্স এর এই অংশটুকুঃ
- আমেরিকান নেতৃত্বাধীন ন্যাটো এ্যালায়েন্স ও রাশিয়ান নেতৃত্বাধীন সম্ভাব্য এ্যালায়েন্স এর স্বাভাবিক মানুষ (জিয়োনিস্ট মানুষগুলো বাদে)গুলো পরিষ্কার জানে ও বুঝে কনফ্লিক্টলী লাগলে পর পৃথিবীতে বসবাসযোগ্য কোন ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া, চায়না বলে কিছু ডেফিনিটলী থাকবে না। সো আপনি তাদের কনসাস ধৈর্য্যশীল - ডিফ্লোমেসী ও ডাইভারশান এক্টিভিটি দেখবেন।

কিন্তু জিয়োনিস্ট ইভিল ইলিমেন্টগুলো জাতি ও সরকার সমূহের মধ্যে রাগ, উত্তেজনা, প্রতিশোধ স্পৃহা বৃদ্ধি করে চলেছে তথাকথিত কখনো ইউক্রেইন, কখনো আই এস, কখনো সেংশান, কখনো সি ট্রেড এবং কখনো বিমান ভূপাতিত করার নামে। এটা বুঝার জন্য আপনাকে চিন্তা করতে আহ্বান জানাবো - কেন কোন একটা ইন্সিডেন্ট এর ও কনক্লুসিভ ইন্ভেস্টিগেশান হয় না? কেন কোন একটার ও কোন রেজাল্ট হয় না? আপনি বরাবর দেখবেন রাশিয়া চায়না ফ্রান্স তার্কি ইত্যাকার দেশে যে সব ঘটনা ঘটছে - প্রতিটি স্যাবোটাজ হওয়া স্বত্তেও মূল বিষয়ে না গিয়ে পাবলিকলী স্ট্যান্টবাজী ছাড়া কিংবা মুখ রক্ষামুলক কিছু করা ছাড়া - তারা আর কিছুই করছেনা।

মূলতঃ এভাবে ঘটনাগুলোকে আগানো হচ্ছে - যাতে পক্ষদ্বয়ের হাতে রেস্পন্স করা ছাড়া কোন উপায় আর থাকবে না।

যখন পক্ষ সমূহ চুপ মারে তখন সিআইএ-মোসাদ-এমআইফাইভ কোথাও কোন একটা ভয়ংকর সন্ত্রাসী এ্যাকটিভিটি চালায় - সাধারনতঃ তাদের তথাকথিত এ্যালীর হার্ট এ - তারপর তথাকথিত আইএস এর নামে একটা রেসপনসিভিলিটি নেওয়া একটা ভিডিও প্রচার করে মিডিয়ায় উথাম-থাম করে তাদের এজেন্ডাকে সামনে এগিয়ে নিচ্ছে, প্রশাসনের যারা যুদ্ধ চায়না - তাদেরকে যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে বাধ্য করছে। উদ্দেশ্য একটাই - আমেরিকা লেড ন্যাটোর ধ্বংশ এবং রাশিয়া চায়না লেড পার্টিকে ১০০% ধ্বংশ। সো তাহলেই তাওরাতের প্রফেসী অনুযায়ী ইসরাইল হতে আলটিমেইট প্রমিসড পৃথিবীকে শাসন নিশ্চিত করা যাবে, সোলাইমান টেম্পল বানানো যাবে এবং তাতে করে মসীহ (দজ্জাল)কে পৃথিবীকে আনা যাবে ------

ব্যাক্তিগতভাবে আমি টেনশান নিচ্ছি না - নিজের জন্য নিজের করুনা হচ্ছে যে - তারপর ও আর একটু বেশী আল্লাহর উপাশনা ও আদেশ নিষেধ এর দিকে মনোযোগী হতে পারছিনা দেখে, তারপর ও দুনিয়াকে আখেরাত অপেক্ষা বেশী সময় দিচ্ছি দেখে।
351378
২৫ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৫৬
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : মহাসংকটে মানবতা.... অনেক ধন্যবাদ
২৫ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩৮
291833
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
স্যেকুলার দৃষ্টিকোন হতে দেখলে আসলেই তা মনে হয়। ইউরোপ ও আমেরিকার স্কলার রা ইনিয়ে বিনিয়ে গুরিয়ে ফিরিয়ে তাই বলে যাচ্ছেন। কিন্তু সমাধান কি তা দেখতে পাচ্ছেন না।

ইন্টারেস্টিংলী আপনি যদি কোরান ও আখেরী জামানার হাদীস আর সাথে স্যেকুলার ইতিহাস, স্যেকলার অর্থনীতি ও স্যেকুলার পলিটিক্স ও যুদ্ধ শাস্ত্রের নলেজ দিয়ে বিশ্বকে দেখেন তবে এটা পরিষ্কার হয় যে - এটাই ডিভাইন ডিক্রি।

নবী রাসুল সাহাবী রাঃ দের জীবন কে দিয়ে আজকের মানুষ দিকে তাকালে - মনে হবে আজকের মানুষ এমন মহাসংকট ডিজার্ভ করে।

আল্লাহ আমাদেরকে আজকের পৃথিবী বোঝার শক্তি দিন এবং যথাযথ পথ ধরার তৌফিক দিন, নিজেদের মধ্যস্থিত শিরক ও কুফর থেকে বের হবার উছিলা পাইয়ে দিন - এটাই প্রত্যাশা ও দোয়া আমরা করতে পারি এবং সে নিমিত্তে চেষ্টা করতে পারি।
আল্লাহ আলটিমেইট নিয়ন্তা এবং তিনিই ভাল জানেন।
351420
২৫ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৫০
দ্য স্লেভ লিখেছেন : পৃথিবী দ্রুত তার শেষ পরিনতীর দিকে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ হবে ইসলাম ও কুফর শক্তির। কিন্তু তার আগের পরিস্থিতি হল এটা,যা ঘটছে। ওই অঞ্চলে শামের বাহিনী শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবে মর্মে হাদীস পড়েছিলাম। কিন্তু ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ হবে। আল্লাহ মুমিনদেরকে হেফাজত করুক এবং বিজয় দান করুক
২৫ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৪০
291834
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
ঠিক পড়েছেন কিন্তু শামের বাহিনীর সাথে থাকবে খৃষ্টান যারা সুরা মায়েদার ৮২ নং আয়াতের অনুরূপ কেউ - যারা সেই বিজয়কে আজকের ইস্তানবুল বিজয়ের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত করবে এবং তারপর আবার পৃথক হবে ক্রুস ও আল্লাহর বিরাটত্ব নিয়ে বিবেদ করে।

আল্লাহ মুমিনদেরকে হেফাজত করুক এবং বিজয় দান করুক

আমীন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File