বাংলাদেশের ঠিক কত % মানুষ আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করে যাচ্ছেন?
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ০৯ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:৪০:৪১ রাত
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
আসসালামুআলাইকুম।
একটু আগে বিনায়ক বাবুর গবেষনা ভিত্তিক একটা রিপোর্ট Report পড়ছিলাম বিডি ম্যাগাজিন এ। রিপোর্টটি পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম কত রকমভাবেই না - খেলোয়াড়রা খেলছেন আর মনের মাধুরী মিশিয়ে এদিক দিয়ে আর সেদিক দিয়ে গোল করছেন।
ধৈর্যের বাঁধ ভেংগে যাচ্ছিল তবুও পড়ে শেষ করলাম - আলহামদুলিল্লাহ্। লিখাটির শেষে এসে ভাবলাম - ইসলামপ্রেমী এক্টিভিস্ট ভাইবোনদের সাথে রিপোর্ট টির শেষ প্যারার একটা অংশ শেয়ার করি। উদ্দেশ্য, - যদি এতে করে ওনাদের চিন্তা-ভাবনার একটা চিত্র পাওয়া যায় - তবে হয়তো পড়াটি স্বার্থক হবে ---
মধ্যবিত্তদের মধ্যে আর্থিক খাতে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রবণতাও বেশ ভালো। গবেষণায় বলা হয়েছে, ৯৬ শতাংশ মধ্যবিত্তের ব্যাংক হিসাব আছে। প্রায় এক-চতুর্থাংশ মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রাখে। আর প্রায় ১৭ শতাংশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। মধ্যবিত্তদের ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে। সূত্র: বাংলাদেশে ব্যাংক, বিবিএস, প্রথম আলো ও কালেরকণ্ঠ
উপসংহারটি হতে আমরা যা পাইঃ
১। মধ্যবিত্তের ১২,৩০% মানুষ বাংলাদেশে সরাসরি সুদ দিচ্ছে।
২। মধ্যবিত্তের ১৭% মানুষ বাংলাদেশ সরকার হতে সরাসরি সুদ খাচ্ছে।
৩। মধ্যবিত্তের ২৫% ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রেখে সুদ খাচ্ছে।
৪। মধ্যবিত্তের ১৯,৩০% শেয়ারবাজারের সুদী ব্যাংকে বিনিয়োগ করছে। সচেতন কোন একটা % হয়তো সুদী ব্যাংকের শেয়ার কিনছে না - কিন্তু সেটা হতে পারে খুব ই কম।
৫। মধ্যবিত্তের ৯৬% ব্যাংকগুলোতে এ্যাকাউন্ট মেইনটেইন করার কারনে সামহাউ সুদ খাচ্ছেন, কিংবা সুদ দিচ্ছেন কিংবা ব্যাংকগুলোকে সুদে টাকা বিনিয়োগ করতে সাহায্য করছেন।
ইসলামিক এ্যাক্টিভিস্ট, ইকোনোমিস্ট ও ব্যাংকার ভাইবোন আর সে সাথে নিশ্চিতভাবেই আমাদের নেতৃবৃন্দ ও আলেম ওলামাদের নূন্যতম কিছু কর্মপন্থা বের করা উচিত - কিভাবে আমরা আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের পক্ষে ঘোষিত যুদ্ধ এড়াতে পারি?
আল্লাহ সূরা বাকারায় (২৭৮ - ২৭৯) আল্লাহ যা বলেছেন, (ইংরেজি হতে অনুদিত) 'ওহে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং বিশ্বাসী হলে, (প্রাপ্য) রিবার অবশিষ্টাংশ ভুলে যাও। কিন্তু যদি তুমি তা না কর তবে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের পক্ষে যুদ্ধের ঘোষনা শুনে নাও। --------
একইভাবে উম্মাহ নিয়ে ভাবেন যারা - তারা কি এই ট্রেন্ড টিকে চিহ্নিত করতে পারছেন? একটু কি হিন্টস দেওয়া যায় না, গণ সচেতনতা সৃষ্টির নিমিত্তে কোন কার্যকর ব্যবস্থা কি নেওয়া যায় না - যাতে গনমানুষ বুঝতে পারবে - আজকের মুসলিমরা আখেরী জামানার (কেয়ামতের না) ঠিক কোন টাইমলাইন এ দাঁড়িয়ে আছে? এভাবে অন্ধের মত উম্মাহ আর কত অর্থ ও বিত্ত নামক 'গড'কে পাওয়ার জন্য দৌড়াতে থাকবে - যেখানে রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেনঃ
আবু হোরায়রা রাঃ হতে বর্নিতঃ "মানবজাতির সামনে নিশ্চিত একটা সময় এসে হাজির হবে, যখন প্রত্যেকেই 'রিবা'য় জড়াবে (নিবে)। এবং যদি কেউ না জড়ায় (নেয়) রিবার ধুলিকনা হলেও তার নিকট পৌছাবে (নেবে)। আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্।
বিষয়: বিবিধ
১৩০২ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিষয়টি এ ভাবে দেখা যেতে পারে- বাংলাদেশের একজন নারী গার্মেন্টস কর্মী প্রতি দিনে ১২/১৪ ঘন্টা কাজ করে নাওয়া, খাওয়া, ঘুমানোর সময় ঠিক মত পান না। অথচ এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর আয়/রোজগারের বন্দবস্ত না করেই আল্লা তাদের ঘাড়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ চাপিয়ে দিয়েছেন। ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে, খেটে খাওয়া মানুষের নূন/পান্থা জোগার করতেই বেলা শেষ। সেজদা দিবে কখন? তবে মসজিদের ইমাম সাহেবদের মত দান/খয়রাতের ফ্রী খাবাব পেলে অফুরন্ত সেজদা দেয়া যায় বৈকি।
ধন্যবাদ।
নারী গার্মেন্টস কর্মীর ব্যাপারটি আমি এভাবে দেখছি। এদের উত্তরসূরীরা ৩০/৪০ বছর আগে সম্ভ্রম এর সাথে দিনে মিনিট ৩০ আল্লাহর রাস্তায় নামাজ রোজায় ব্যায় করতেন। আর আল্লাহ তাদের জন্য অন্ন বস্ত্র বাসস্থান এর পাশাপাশি স্বামী, সন্তান, বাবামা, পাড়াপ্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন এর সাথে মহা ভাল জীবন যাপন নিশ্চিত করতেন।
কিন্তু এখন তারা আল্লাহর উপর হতে আস্থা সরিয়ে, ঐ ৩০ মিনিট ব্যায় আল্লাহর জন্য না দিয়ে - ঐ একই অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের জন্য আমেরিকা আর ইউরোপের জন্য দিনে ১২ঘন্টা হাঁড় ভাংগা শ্রম দেয়। এতে করে দিন শেষে মুখের হাসি যায়, নিজের শরীর ও মন দুটোই অবসাদগ্রস্থ হয়। স্বামী হারায়, সন্তান হারায়, পরিবার পরিজন ও হারায়।
মসজিদের ট্রু ইমাম সাহেবরা পাখির মত, মাছের মত আল্লাহর নেয়ামত স্বরূপ অমুক মুমিন কিংবা তমুক মুমিন এর ঘরে খাবার যেমন পান তেমনি গল্পগুজব, হাসি ঠাট্টা ও করেন - কিন্তু সেই হাসি ঠাট্টার জন্য তাদের সন্মান ও মর্যাদা আরো বাড়ে। গার্মেন্টস কর্মীর মত স্ত্রী কিংবা সন্তান হারা হন না।
ধন্যবাদ আপনাকে ও।
আজকের আকালের দিনে- ইহুদী, নাসারা, কাফের, নাস্তিক, ওর্য়াল্ড ব্যাংক, আমেরিকা, চীন জাপান এর দান ভিক্ষা রিজিক না হলে আল্লা পূজারী মুমিনের একবেলার খাবার জুটে না্। তো কি করার? নিরুপায় মুমিনরা আল্লাকে কচু দেখিয়ে নিজেরাই নিজেদের খাদ্যের সংস্থান করে। ধন্যবাদ।
- সরি, আপনি মনে হয় ব্যাস্ততার জন্য - আউট অব কনটেক্সট এ - কপি পেষ্ট করে দিয়েছেন।
এ্যানীওয়ে - আমি আপনার মৌলিক কিছু লিখা/থটস দেখতে চাই ব্লগ এ কিংবা কমেন্ট এ।
ঠিক বলেছেন।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি ঐ সব প্রাগমেটিক আলেম ওলামার পর্যালোচনা ও আমার ব্যাক্তিগত ব্যাংকিং মেকানিজমের আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনুযায়ী এই মর্মে কনভিন্সড যে - ইসলামী ব্যাংকের প্রতিটি ব্যাংকিং প্রোডাক্টকে কোরান ও হাদীস দিয়ে ক্রিটিক্যালী রিভিউ করলে - এটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয় যে - তা পরিপূর্নভাবেই রিবার আওতাভুক্ত।
আপনি নিজে কিছুটা অনুসন্ধান করতে পারেন - বিশেষ করে এই লিন্কের হাদীস সমূহের প্রয়োগ করে।
http://www.ibrahimm.com/Islamic Banking/RIBA IN HADITH.htm
রিবার ফেতনা হতে বের হয়ে আসার জন্য আল্লাহ আমাদের স্কলারদের ইনসাইট বাড়িয়ে দিক - এবং আমাদের ব্যাক্তিগত আন্ডারস্ট্যান্ডিং কে আরো সম্প্রসারিত করুক।
রিবা'র উপর পড়তে গিয়ে বিশেষ করে এ সংশ্লিষ্ট হাদীস সমূহকে বিচার বিশ্লেষন করলে ব্যাংকিং সিস্টেম (ইসলামী ব্যাংক সহ)ওভারঅলকে মনে হয় আজকের পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে তারা তাদের আওতায় প্রায় নিয়ে এসেছে। এবং আমরা প্রত্যেকেই জেনে না জেনে রিবা র মধ্যে জড়িয়ে আছি।
আল্লাহ আমাদের কে একটা এক্সিট পয়েন্ট বের করার ও তা ধরে রাখার সামর্থ্য দিক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন