ব্লগার ও জংগী - আহ্ কি সাদৃশ্য।
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ০২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:৪৬:১১ রাত
বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহীম।
আসসালামুআলাইকুম!
বাংলাদেশী মিডিয়ার কল্যানে বাংলাভাষাভাষি মানুষ, 'ব্লগার' নামক অতি আজব! অতিকায় মহৎ! প্রায় অপরিহার্য! অমূল্য এক পেশার সাথে পরিচিত হয়। আবাল বৃদ্ধ বনিতা - নির্বিশেষে সবাই যেন ব্লগার নামক আজব এই পেশাদারদের দেখতে চায়, চিনতে চায়, বুঝতে চায়। কে জানে হয়তোবা অনেক শিশু কিশোর জীবনের লক্ষ্য হিসাবে লিখে চলছে - বড় হয়ে ব্লগার হব, কবি সাহিত্যিক ব্লগারের গুনগান করা ছাড়া জীবনকে বড় বেশী পানসে বলে ঠাওর করেন।
আজকের নিউজ পোর্টাল খুলে দেখি অসংখ্য নিউজ, ভিউজ। সাবজেক্ট ব্লগার! অভিজিৎ এর বইয়ের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে খুন করেছে আনসার উল্লাহ বাংলা টিম? হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন - আমাদের দেশের জেমস বন্ড কিংবা মাসুদ রানার চেয়েও চৌকস গোয়েন্দা প্রধান মনিরুল সাহেব - বলেছেন। আশা করি আগামীতে গোয়েন্দা কাহিনী হিসাবে এই মনির সাহেব বাংলাদেশের কচি-কাচাদের স্বপ্নের পুরুষ হবেন।
একজন মানুষ খুন হয়েছেন, সহমর্মিতায় নিউজ ও ভিউজ রাইটার রা যেন তার জন্য বাংলাদেশের সেরা পরিচয় তথা 'ব্লগার অভিজিৎ' এই টাইটেলটি আনতে বাধ্য হয়েছেন। এ্যাজ ইফ ভদ্রলোকের জীবনের সেরা অর্জন তিনি একজন ব্লগারের বই প্রকাশক। হায়রে অন্ধ মিডিয়া। হায়রে হতভাগা দেশ ও তার মানুষ।
একইভাবে জজমিয়ার আবিষ্কারক বাংলাদেশ পুলিশ সাসপেক্টেড খুনী হিসাবে বাংলাদেশের সেরা জংগী!!! তথা 'আনসারুল্লাহ বাংলা টিম' কে চিহ্নিত করেছেন। এ্যাজ ইফ কোন খুন-খারাবির মাহাত্ম্য বাড়ে যদি তার সাথে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এর নাম সংযোগ করা যায়।
বাংলাদেশ সরকার আর কিছু ভাল পারুক কিংবা না পারুক - এই একটি জুটি 'ব্লগার-জংগী'কে বাংলাদেশের মানুষের মনে স্থায়ীভাবে ধারন করাতে পেরেছে। আশা করি তারা আগামীতে আহম্মক হিসাবে পরিগনিত হবেনা - ঠিক যেমনটি সিরিয়ার বিবাদে আমেরিকা হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৮ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লিখাটির বক্তব্য উপযুক্ত কতৃপক্ষ বরাবর পৌঁছলে বেশী খুশী হতাম।
ধর্মপ্রাণ মুসলিম দেশেই আজ মুসলিমরা নিজেদের জংগী বলে গালাগালি- অপবাদ-অভিযোগ তোলে সেখানে বিধর্মী বিশ্ব মুসলিমদের আর কি বলবে? আমরা তো নিজেরাই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারছি না!
আজকের পেপারে হেড লাইন যা ছিলো রাশিয়ার সেই বিমান সিনাই পাহাড়ে ধ্বষিত হয়েছে - ইসিস স্টেটমেন্ট দিয়েছে এটা ওদের কাজ! দেশে-বিদেষহে কোথাও স্বস্তি নাই। ধর্মযুদ্ধ লাগবেই মনে হচ্ছে!
জাযাকাল্লাহ খাইর!
সো 'মুসলিম দেশ' এ শব্দযুগলকে আমার কাছে ফ্যান্টাসী কিংবা স্মৃতিভ্রম বলে মনে হয় - স্বভাবতঃ মুসলিম মাত্রই প্রতারিত হই - মুসলিম আচরন প্রত্যাশার কারনে।
মূলতঃ মানুষ শয়তানের কাজ করলে যেমন শয়তান এ পরিনত হয় (সূরা নাস হতে ডিরাইভ করা) তেমনি সূরা মায়েদার ৫১ নং আয়াতানুযায়ী ইয়াহুদী খৃষ্টান যায়োনিস্ট এ্যালায়েন্সকে বন্ধু বানালে তাদের একজন এ পরিনত হয় - বলেছেন আল্লাহ। স্বভাবতঃই তথাকথিত প্রতিটি মুসলিম দেশই আজ যায়োনিস্ট এ পর্যবসিত হয়েছে বলেই মুসলিম মাত্রকেই জংগী বলে গালাগালি- অপবাদ-অভিযোগ তোলে।
ব্যাক্তিগতভাবে আমার পড়ালিখা অনুযায়ী যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং - আইসিস বলে কিছুই নাই - সিআইএ (১) শিয়া সুন্নী বিরোধ বাঁধাতে এবং (২) সৌদ পরিবারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় দিতে - প্রজেক্ট আইসিস পরিচালনা করছে। রাশিয়ার আক্রমন তা দিবালোকের মত উন্মোচন করেছে-
ধর্মযুদ্ধ লাগবে না। বরং রাসুলুল্লাহ সঃ এর ঐ হাদীস এর বাস্তবায়ন দেখতে যাচ্ছেন বলে আমার মনে হয়। যেখানে তিনি মোয়াদ বিন জাবাল রাঃ কে বলেছেন -(আমার ভাষায়) মদীনার যখন ডিক্লাইন দেখবে, তখন জেরুজালেম এর উত্থান এর জন্য অপেক্ষা করো কিংবা প্রত্যক্ষ কর, আর যখন জেরুজালেম এর উত্থান দেখতে পাবে তখন মালহামা (আসছে) প্রত্যক্ষ করবে। যখন মালহামা (রেজাল্ট দুখান) দেখতে পাবে - তখন কন্সটিনটোনোপোলিস (তথাকথিত কামাল আতাতুর্ক এর ইস্তাম্বুল) কে জয় করতে দেখতে পাবে (মুসলিম ও ট্রু খৃষ্টান এ্যালায়েন্স) (এই আর্মীর লিডারের প্রশংসা করেছে অন্য হাদীসে - কিন্তু বেশীর ভাগ মুসলিম হাদীসের খন্ডাংশ গ্রহন করেছে বলে প্রতারিত হয়েছে), আর কন্সটিনটিনোপোলিস জয় এর পর আমাদের অপেক্ষা থাকবে খুরুজ আল দজ্জালকে দেখা। হাদীসটির কনক্লুশানে রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছিলেন মোয়াদ রাঃ যেমন ওনার পাশে সত্য এ বর্ননাও ঠিক ততটা সত্য। সো রাশিয়ার সিরিয়ায় আগমন রাসুলের ভবিষ্যতবানীকে প্রায় দিনের আলোর মত করে পরিষ্কার করে দিয়েছে - রাশিয়ান এ্যালায়েন্স বনাম ন্যাটো এ্যালায়েন্স এর নিউক্লিয়ার নাটক দেখার জন্য। আল্লাহ ভাল জানেন।
কিন্তু রাসুলুল্লাহ সঃ আপনার আমার পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষের জন্য যুদ্ধ নিয়ে যা বলেছেন, তা বিশ্লেষন করলে অনেক টা এমন দাঁড়ায় যে, রাশিয়ান এ্যালায়েন্স (চায়না, অর্থোডক্স খৃষ্টান ও মুসলিম বিশ্ব) বনাম আমেরিকান এ্যালায়েন্স (ন্যাটো ও অস্ট্রেলিয়া - ইসরাইল বাদে) খুব শীঘ্রই একটা হাজার চেষ্টা করা স্বত্তেও এমন এক যুদ্ধ বাঁধাবেন - যাতে প্রতি ১০০ তে ৯৯ জন মানুষ মারা যাবে। আর তার ফলশ্রুতিতে আমেরিকা, ইউরোপ, রাশিয়া, চীন লিটারেলী ধ্বংশাবশেষ এ পরিনত হবে। স্বভাবতঃই আপনার আমার বাঁচার সম্ভবনা ১%। বেঁচে থাকলে ইনশাল্লাহ আপনি ইসরাইলকে আজকের বিশ্বে আমেরিকার যে ভূমিকা, একশত বছর আগে বৃটেনের যে ভূমিকা ছিল - সে জায়গায় দেখবেন। এর পর ভন্ড মসীহ কে দেখবেন জেরুজালেম হতে বিশ্ব শাসন করছে।
মেইন প্লেয়ার তথা রাশিয়া ও আমেরিকা ব্যাটেল ফিল্ডে পৌছেছে, ন্যাটো প্রায় এসেছে জার্মান এর জন্য একটু পিছু টান নিয়ে আছে মাত্র। বাকি আছে সাউথ চায়না সি বিবেদ নিয়ে চীনের সিরিয়ায় আগমন। সো অপেক্ষা করুন আপনার স্রষ্টার মুখোমুখি হবার। নিশ্চয়ই আখেরাতে দেখা হবে। আশা করি দোয়া করি আপনি বেহেস্ত বাসীদের একজন হন। আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন।
হুমম! খেয়েদেয়ে কাজ নেই? রাশিয়া, আমেরিকা, চীন, জার্মান, অস্ট্রেলিয়ার...... মাথা তো ইসলামী গোবরে ভরপুর।
আজ এই রং তো কার হবে সেই রং-
শুধু ঘোলাই রবে পানি.... ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ পিলাচ পিলাচ পিলাচ।
সুন্দর বলেছেন, আমাদের মিডিয়া পরিস্কার ঘোলা পানি, আজ এই রং তো কার হবে সেই রং-
মিথ্যার যুগ - বেচারাদের এ টু জেড সবই ই বিক্রি হয়ে আছে অন্য জায়গায় - স্বভাবতঃই পুতুল নাচ নাচছে অন্যের ইশারায়।
সময় আসছে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য দিনের আলোর ন্যায় বিমূর্ত হবার। ইনশাল্লাহ্।
নিশ্চয়ই। নিজে টাল থাকলে সমস্যা ছিল না। সমস্যা তৈরী করছে - অন্যদেরকে ও টাল বানানোর প্রজেক্ট হাতে নেওয়ায় এবং জংলীর ন্যায় তা বাস্তবায়ন করতে যাওয়ায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন