আলেম-ওলামা সহ সচেতন মানুষের দায়িত্বঃ শিয়া সুন্নী দাংগা রোধ কল্পে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ২৫ অক্টোবর, ২০১৫, ০৫:৫৮:৪০ সকাল
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম
আসসালামুআলাইকুম।
আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের শত্রু, ধর্মবিদ্বেষী জায়োনিস্ট ইয়াহুদী ও খৃষ্টান এ্যালায়েন্স ও তাদের এক্সক্লুসিভ স্পন্সর ইউকে, ইউএস ও ইসরাইল - গত এক দশক ধরে - যে সকল স্পেশাল এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলঃ শিয়া সুন্নীর মধ্যে সিভিল ওয়্যার বাধাঁনো। যে কয়টি উদ্দেশ্য ইতোমধ্যে পরিষ্কার হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলঃ
১। মুসলিম গণমানুষ এর ২০ - ২৫% কে কোন রকমের অস্ত্র ব্যবহার ব্যাতিরেকে দুনিয়া হতে নিধন করা। যাতে এই ২০ - ২৫% শতভাগ জাহান্নামবাসী হতে পারে আল্লাহর রাসুলের হাদীস (এক মুসলিম অন্য মুসলিম এর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন) অনুযায়ী।
২। এই সিভিল ওয়্যার সংগঠনকালে পৃথিবীর মধ্যস্থিত এখনো লিটারেলী হাতে-গোনা যাবে অমন যে কয়জন হকপন্থী আলেম ওলামা আছেন তাদেরকে হত্যা করা। যদি কোন আলেম ওলামা সামহাউ তারপরেও বেঁচে থাকেন - তাদেরকে কেংগারু কোর্ট বসিয়ে বিচারে নামে হত্যা করা। যাতে করে এই আলেম ওলামারা শহীদের মর্যাদা নিয়ে আল্লাহর সামনে হাজির হতে পারেন।
৩। শিয়া সুন্নীরা ঐ শক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাপোর্টে ফাইট করতে বাধ্য হয়ে যখন প্রায় নিস্তেজ, ম্রিয়মান হয়ে দিকভ্রান্ত হবে তখন তাদের উপর অমানুষ, ক্রেজী, নিশৃংস ইত্যাদি উপাধী দিয়ে কর্নারড করা হবে এবং জায়োনিস্ট অর্ডার অনুযায়ী চলতে ফিরতে বাধ্য করা হবে - ঠিক যেমন করে ফেরাউন বনী ইসরাইলীদের বাধ্য করেছিল, কিন্তু বনী ইসরাইলীদের সে অর্ডার হতে বের হবার কোন বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না।
৪। প্রায় সমসাময়িক সময়ের কোন একটি ক্ষনে যায়োনিস্ট শক্তিটি নিউক্লিয়ার নিরাপত্তার অজুহাতে - পাকিস্থানের নিউক্লিয়ার অস্ত্রকে নিজেরা বোমা মেরে ধ্বংশ করবে, নয়তো ইন্ডিয়াকে দিয়ে ধ্বংশ করাবে, নয়তো পাকিস্থানের নিউক্লিয়ার কমান্ডকে নিজেদের আওতায় নিয়ে আসবে - যেমন করে ইজিপ্ট এর মিলিটারীকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রেখেছে সিসি কে দিয়ে।
৫। এতে করে আগামী দিনে যায়োনিস্ট ইসরাইলের মিডল ইস্ট এক্সপানশান প্ল্যান যেমন হতে পারবে অত্যন্ত সহজ তেমনি তাদের আগামী দিনের ডিক্লেয়ারড মসীহ র কাজ কর্ম ও সহজতর হবে।
এ উদ্দেশ্য সমূহ বাস্তবায়নের নিমিত্তে ইতোমধ্যে সংগঠিত কিছু খবরাখবরের সারসংক্ষেপের দিকে আলেম ওলামা ও চিন্তাশীল মুসলিম ভাইবোনদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি - যাতে তারা মুসলিম জনমানুষকে যথাযথ নেতৃত্ব দিতে পারেন, মতামত দিয়ে সাবধান করতে পারেন।
১। আরব বসন্তের বাতাবরনে কিছু এনজিও ও রাইটস গ্রুপকে দিয়ে বাহরাইনের শিয়াদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। আমরা দেখলাম হঠাৎ করেই শিয়ারা সরকারের বিরুদ্ধে গনতন্ত্র ও গনপ্রধিনিত্বের দাবীতে আক্রমনাত্মক ও হিংসাত্মক আচরন শুরু করেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে আমেরিকার সন্মতিতে সৌদী আরব (কোন লিগ্যাল তথা সিকিউরিটি কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়া, মোরাল কিংবা রিলিজিয়াস ভিত্তি ছাড়াই) শিয়াদের আপরাইজিং দমাতে সুন্নী সরকারের পক্ষে নিজ দেশের সৈন্য পাঠিয়েছে। সিএনএন, আল জাজিরা তারপর যেভাবে নিউজ কাভার করেছে, যে সব এ্যানালাইসিস প্রচার করেছে এ্যাজ ইফ সৌদী সুন্নী সৈন্যরা শিয়াদেরকে ঘৃন্যভাবে দমন পীড়ন করছে, এ্যাজ ইফ ইরানের যদি মিনিমাম ভ্রাতৃত্ববোধ থাকে তবে শিয়াদের রক্ষা করতে বাহরাইনে ইন্টারফেয়ার করা উচিত।
২। এফ বি আই এর রেফারেন্স এ বিশ্ব মিডিয়া তার স্বরে প্রচার করছিল ইরানের গুপ্ত কিলার বাহিনী ওয়াশিংটনস্থ সৌদী এ্যাম্বাসেডরকে হত্যা করার প্লট তৈরী করেছিল যা এফবিআই বুমেরাং করে দিয়েছে। এ খবর মাসখানেক এর মধ্যে মাঠে মারা গেলে আমরা দেখলাম লেবাননের ইরানী এ্যাম্বাসীর একজন সিনিয়ার অফিসারকে সুন্নীরা হত্যা করেছে এ নিউজ ও বিচার বিশ্লেষন চলতে থাকলো মিডিয়ায়।
৩। সৌদী আরব, কাতার, তুরস্ক, জর্ডান পাবলিকলী এ পয্যন্ত এমন কোন পরিষ্কার বক্তৃতা দেয়নি যে, তারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে পরিবর্তন করে বিরোধী আল নুসরা কিংবা তাকফিরি কোন সুন্নী সরকার চায়। অথচ আমেরিকার দালাল মিডিয়া আলজাজিরা, সিএনএন কনটিনিউয়াস বলে আসছে সিরিয়ার শিয়া বাসার আল আসাদ সরকারকে সরিয়ে সুন্নী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য উক্ত চারটি দেশ সুন্নী জিহাদে রত ভাইদের অস্ত্র, রসদ ও অর্থ বিলিয়ে যাচ্ছে। আর শিয়া ইরান ও শিয়া হিজবুল্লাহ শিয়া আসাদ কোন কারন ছাড়াই পাইকারী ভাবে সিরিয়ার সব সুন্নীদেরে হত্যা করছে, ক্যামিক্যাল অস্ত্রদিয়ে বার্ন করছে ইত্যাদি। একবার ও পাবলিকলী আনা হচ্ছে না গত ৩০/৪০ বছরের শিয়া সুন্নীর ইতিহাস টি কি?
৪। গত জুন মাসের আগে লিটারেলী কোন লেজিটেমেট কারন ছাড়াই এক মাসের ও কম সময়ের মধ্যে পশ্চিমা দেশ সমূহ তথা আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স ইত্যাদি দেশসমূহ ইয়েমেন এর এ্যাম্বাসী সব বন্ধ করে চলে যায় এবং তারপর কোন ঘোষনা ও লেজিটিমেট কারন ছাড়াই সৌদী আরব ইয়েমেন এ বোম্বিং করতে শুরু করে যেখানে বলা হয় সৌদী আরব আমেরিকার সাহায্য চাওয়ায় আমেরিকা শুধু ইন্টেলিজেন্স সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। আর মিডিয়ায় প্রচার করা হল সুন্নীরা হুতি শিয়াদেরকে মারছে কারন হুতি শিয়ারা ইরানের ইনফ্লুয়েন্স তাড়িত ও চালিত।
৫। অনুরূপভাবে আমরা সৌদী শিয়া মসজিদে বোম্বিং, কুয়েত এর শিয়া মসজিদে বোম্বিং, সৌদী শিয়া ক্লারিক কে মৃত্যুদন্ড প্রদান, পাকিস্থানের শিয়া মসজিদে আক্রমন, এবং গত কাল বাংলাদেশী শিয়া মসজিদে আক্রমন এর নিউজ ও এ্যানালাইসিস ও ফরেন গভার্নমেন্ট সমূহের স্টেইটমেন্ট ও তার ফানুষ দেখলে মনে হয় সুন্নীরা শিয়াদেরকে মেরে কেটে একাকার করে দিচ্ছে আর ইরানীরা শিয়াদেরকে বাঁচাতে সব জায়গায় ষঢ়যন্ত্র করছে।
এমন সব খবরা খবর ও আক্রমনের ইন্টেনজিটি দেখলে এবং সে সাথে বিশেষ করে প্রতারনায় মাস্টার ব্রিটিশ ও আমেরিকার হাতে তৈরী ৯/১১, আইসিস, আলকায়েদা, জানজাওয়ি, বোকো হারাম, সুইসাইড বোম্বিং তত্ত্ব এর জন্ম, তাদের কাজ কারবার জানলে যে কেউ আজকের শিয়া সুন্নীর বিবেদ এ এ্যালার্রম্ড হবেন, ইউকে, ইউএস ও তাদের বশংবদ মিডিয়ার খবরকে গুরুত্ব দিয়ে কাউন্টার কার্মপ্রনালীর ছক করবেন, উম্মাহর জন্য গাইডলাইন রচনা করবেন।
স্বভাবতঃই এমন একটি অবস্থায় আলেম ওলামাদের দায়িত্ব অপরিসীম। ওনাদের উচিত মানুষকে শিয়া সুন্নী ইস্যুতে ফ্যাক্টচুয়াল ইস্যু সমূহ জানানো, শোনা ইস্যু সমূহ নয়, রং হেডেড কিংবা হট হেডেড উগ্র বক্তৃতা নয়। যাতে ইসলামের শত্রুদের হয়ে আমরা যথাযথ কারন ছাড়াই দেশ বিদেশের মাইনরিটি শিয়া কিংবা মাইনরিটি সুন্নীদের কচু কাটা করে না ফেলি। বুঝতে হবে শিয়া সুন্নী সহ অমন ৭৩ ভাগে বিভক্ত রাসুলুল্লাহর এ উম্মাহ - আজ বাস্তবতা। আমাদের দায়িত্ব কোরান ও হাদীস এর ট্রু শিক্ষা আকড়ে ধরা - কোরান ও হাদীস এর নামে অন্যায়ভাবে কালেমায় বিশ্বাসী মানুষকে হত্যা করা নয়।
বিষয়: বিবিধ
১৫৬৯ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসলামকে ভালবাসেন এমন স্যেকুলার ইডুকেটেড মানুষ জন আর আলেম ওলামার যেন এক অভেদ্য ট্রেন লাইনের ন্যায় - দুটি সমান্তরাল রেখা ধরে সামনে চলে গেছে, যাচ্ছে।
স্যেকুলারদের সময় হয়েছে আলেম ওলামাদের দিকে নজর দেওয়া সিমপ্যাথাইজ হওয়া আর আলেম ওলামাদের উচিত স্যেকুলারদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং গুলো নিবিড় ভাবে যাচাই বাচাই করা। আল্লাহ আমাদের বোঝার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিক। আমীন।
যে কোন হনেস্ট, দ্বিশক্তি সম্পন্ন, র্যাশানাল মুসলিম ই শিয়াদের ব্যাপারে বিব্রত হবে - এতে কোন সন্দেহ নেই। আমিও বিব্রত হই। সমরূপে বাংলাদেশী হিসাবে বিব্রত হই আওয়ামী ওলামা লীগ এর জন্য, দেওয়ানবাগী পীর এর জন্য, মাজার পূজারীদের জন্য। কিন্তু এ সবকিছুর মূল কিংবা গোড়া চিহ্নিত করতে পারলে মনে হয় - যতক্ষন না ডিসগাইজড অবস্থায় থাকা ডিসিপটিভ এ মূলশক্তিটিকে এক্সপোজ করা না যায়, তার চরিত্র উন্মোচন না করা যায় - ততক্ষন পয্যন্ত উন্মাহ দৃশ্যমান শাখা, প্রশাখা ও পাতাকে দোষী সাব্যস্থ করে তা নিধন করবে কিন্তু নিরবিচ্ছিন্নভাবে নতুন শাখা প্রশাখা ও পাতা জন্ম দিয়ে যাবে।
সো দ্বীশক্তি সম্পন্ন, বিশ্লেষন ধর্মী মানুষের উচিত মূল খুঁজে বের করা এবং তারপর মূলৎপাটন কিংবা মূলকে নিউট্রাল করার নিমিত্তে কিংবা মূলকে বেনিফিট পেতে বাঁধা দেবার জন্য কোরান ও হাদীস হতে যথাযথ প্রতিষেধক এর ব্যবহার জরুরী। সাধারন মানুষ ডাল পালা পাতার বিরুদ্ধে ফাইট করতে চাইলে করুন - কিন্তু উম্মাহকে লিড দেবার জন্য আমাদের অমন ইন্টেলেকচুয়াল আলেম ওলামা চাই যারা উচ্চমার্গে আজকের এই ডিসিপটিভ ওয়ার্ল্ডকে এ্যাড্রেস করতে পারবে, নতজানু এ অবস্থা হতে বের করার নিমিত্তে ম্যাক্রো পলিসি ফরমুলেট করতে পারবে ও প্রফাগেট করতে পারবে। রিজিওনাল ও লোকাল প্রবলেম কে বড় করা মানে অমন ইন্টেলেকচুয়ালদের জন্য সময়ের অপচয় এবং ওয়াল্ড লেভেল এর অপজিশান খেলোয়াড়দের অঢেল নিরপদ প্ল্যানিং ও এক্সিকিউশান সময় দেয়া বলে আমার মনে হয়।
আপনি যে ঘটনা সমূহ বললেন যেমনঃ
'সুন্নীদের উপর ভয়াবহ আকারে গণহত্যা, ধর্ষণ, ক্যামিকেল ওয়েপন দিয়ে হাজার হাজার সুন্নি শিশু হত্যা হয়েছে। এসব মিডিয়ার বানানো খবর না। আমার কাজিন আরবীতে দক্ষ ছিলেন তার ফেসবুক, টুইটারে অনেক সিরিয়ান ফ্রেন্ড ছিল যারা ভুক্তভোগী। তাদের কাছেই শুনেছি কিভাবে তারা ঘরবাড়ি, বাবা-ভাই, মা-বোন হারিয়েছেন। এসব নিছকই মিডিয়ার বানানো গল্প না। আর আজ যখন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছেন তারাও নিশ্চয়ই শখের বশে এসব করছেন না'।
এর একটিও মিথ্যা নয়। মিথ্যা হল এটা যে ১৯৭১ সাল হতে এই পরিবারটি সিরিয়া শাসন করছে এবং আমি আপনি কিংবা পৃথিবীর কেউ কোনদিন শুনিনি এই পরিবারটি উপরোক্ত ক্রাইম গুলো করেছিল। অল অব এ সাডেন বেনগাজীর লোকগুলো তুরস্ক হয়ে সেইম স্টাইলে সিরিয়াকে লিবিয়া বানাতে গেল। দূর্ভাগ্যক্রমে এবার রাশিয়া ও চায়না লিবিয়ার জন্য যে আচরন করেছে - সিরিয়ার জন্য সেই আচরন করল না।
স্বভাবতঃই আমরা মিডিয়া জাজমেন্ট ম্যানুফাকচারড করতে দেখলাম - ঠিক যেভাবে সাদ্দামের উইপন অব মাস ডেসট্রাকশানের উপর কলিন পাওয়েল এর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশান দেখলাম জাতিসংঘে এবার আমরা দেখলাম সেই একই ভাবে তথাকথিত নামে তাকফিরি, নূশরা, আল কায়েদা, পিকেকে ও আইসিস = কাজে সিআইএ - ক্যামিকেল বোমার দায় সিরিয়ার ঘাড়ে দিয়ে - তাকে ক্যামিকেল আর্মস শুন্য একটা দেশ এ পরিনত করলো - যাতে ইসরাইল ১০০% এই রিক্স হতে মুক্ত হল।
এখন যখন রাশিয়া ইন্টারভেইন করল - পৃথিবীর প্রতিটি সচেতন মানুষ দিনের আলোর মত দেখলো প্রতিটি দাড়ি, টুপি ও মুখোশ এর পেছন হতে সিআইএ, এমআই ফাইভ, মোসাদ, অস্ট্রেলিয়ার স্পেশাল ফোর্স ও তাদের এজেন্ট দের ও তাদের ভাড়াটে সোলজার এর চেহারা বের হয়ে পড়ছে।
রক্তাত্ব সিরিয়ান মানুষ যাকে আমেরিকা ও তার পা চাটা দেশের লোকেরা গত এক বছর ধরে খুন করছে, সাথে বাশার আল আসাদকে ও ঐ সিরিয়ানদের মারতে বাধ্য করা হচ্ছে, এখন নতুন যোগ হল রাশিয়া, ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং অকেশনালী ইসরাইল। অথচ সারা বিশ্বের কোন মুসলিম স্কলারের কাছে কোন সমাধান কিংবা দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য নেই। অথচ আমরা দেখছি প্রায় হাফ ডজন হতে এক ডজনের ও বেশী এই শাম ও ঐ ইয়েমেন এর জন্য রাসুল সঃ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন। এবং নিশ্চিত করেছেন নজদ (রিয়াদ) হতে শয়তানের দুপাশ বের হবে। আমাদের আলেম রা এই বিষয়টি বুঝতে পারলে এবং এর আলোকে সমাধানের পথ খুঁজলে আর যাই হোক এমন কোন সাজেশান দেবেনা যে
সুন্নীদের শিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াতে হবে এই মূহুর্তে। বরং বলবেন সূরা মায়েদার ৫১ নং আয়াতের আওতায় থাকা 'ইয়াহুদী ও খৃষ্টান - পরস্পর পরস্পরের আওলিয়া' দের কে নিজেদের প্রটেকটরেট বানানো আজকের সৌদী, তুরুস্ক, জর্ডান ও কাতার এর কাছ হতে অস্ত্র নেওয়াকে, টাকা নেওয়াকে এবং তা ব্যবহার করাকে আখেরাত ধ্বংশ কারী কাজ বলে ঘোষনা করতো।
সিরিয়ার মানুষের অসহায়ত্বের জন্য, ইয়েমেনের মানুষের অসহায়ত্বের জন্য (যারা প্রতিবাদের আগুন প্রজ্জলিত করছে - আরাফাতের ময়দানে তাড়িয়ে নেবার জন্য, আল্লাহ ভাল জানেন) প্যালেস্টাইনের মানুষের অসহায়ত্বের জন্য আমার অসম্ভব কষ্ট হয়। কিন্তু ডেফিনিটলী প্যালেস্টাইনীরা অস্ত্র যার বিরুদ্ধে ধরেছে - তা অনেক বেশী ইসলামিক্যাল বেটার ও নিরাপদ কমপেয়ার টু সিরিয়ার তথাকথিত জেহাদী ভাই কিংবা সৌদীর তথাকথিত বোম্বার দের থেকে।
আমার এমন ই মনে হয়। আমার দৃষ্টিভংগী আপনার চেয়ে ভিন্ন হচ্ছে, কিংবা হতে পারে - কারন আমার কাছের ফ্যাক্টস, ফিগার ও তথ্য হয়তো ভিন্ন।
শিয়া সুন্নীদের থামাতে আমি আপনি পারবোনা - যেহেতু তাদেরকে সংঘর্ষে পৌছানোর জন্য কাজ অনেক অনেক দুর পশ্চিমা জিওনিস্ট শক্তি করে ফেলেছে। যেমন ইরানের সাথে ব্যাকডোর নন ডিসক্লোজড চুক্তি (আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনুযায়ী তা হল হেজাজের দায়িত্ব শিয়াদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া), ইয়েমেন এর উপর কমপ্লিটলী ইললজিক্যাল, ইললিগাল, ইনহিউমেইন সৌদি আক্রমন ও হুতিদের শিয়া বলে প্রচার প্রফাগেশান। বিলিয়ন্স অব ডলারের অস্ত্র বিক্রি ও শিপমেন্ট করা হচ্ছে সৌদী, কুয়েত, কাতার, দুবাই ইত্যাদির কাছে - যাতে এই অস্ত্রকে মাথামোটা প্রায় ধরাশায়ী প্রিন্সরা প্রায় অন্ধের মত ব্যবহার করতে পারে। সো আমি আপনি কেউ তা থামাতে পারবোনা। কিন্তু যেটা পারতে পারে আমাদের আলেম ওলামারা তা হল - ক্ষয় ক্ষতি মিনিমাইজ করতে পারে, মানুষকে সচেতন করতে পারে - তাতে রিউম্যার এর ভিত্তিতে খুন খারাবি কম হবে।
ফাইনালী আপনার দ্বিতীয় কমেন্ট এর উত্তরে আমি বলবো একজন সুন্নীকে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে সুতরাং সে তথাকথিত প্রতিশোধের জন্য অস্ত্র ধারন করবে না - সে অস্ত্র ধারন করবে বেহেস্ত নিশ্চিত করতে সুতরাং তার ক্যাল্কুলেশান এর বড় বেশী প্রয়োজন। অসম্ভব বেশী প্রয়োজন।
সরি বেশী বড় হয়ে গেছে কমেন্ট টা। আমি আর রিভাইজ করছি না।
আখেরী জামানা নিয়ে রাসুল সঃ যা বলেছেন - ঐ সব হাদীসকে একসাথে করে বিভিন্নভাবে ক্লাসিফাই ও ডিক্লাসিফাই করলে যে চিত্রটি ফুটে উঠে - কেন যেন তা আমাকে ব্যাক্তিগতভাবে এই স্বস্তি দেয় যে - আমাদের মুসলিম মিল্লাতকে এ হিউমিলিয়েশান, এ নিধনযজ্ঞের মিছিল, এমন এ্যানস্লেইভমেন্টকে খুব বেশী দিন দেখতে হবে না। ইতোমধ্যে যে পরিনতি আমরা দেখেছি - তা মোটামুটি এক্সট্রিম তা সে বাগরাম হোক, কান্দাহার হোক কিংবা গুয়ানতানামো হোক কিংবা গাঁজা হোক। এর পর আল্লাহর রহমত হিসাবে আমাদের সেন্স ফেরার সময় হবার কথা ইনশাল্লাহ্।
মন্তব্য করতে লগইন করুন