সিরিয়ার গণমানুষের উপর তথাকথিত আইএস এর নামে - ইউএস, ইউকে, ইজরাইলের পর তার্কি, সপ্তাহের শুরুতে ফ্রান্স আর আজকে রাশিয়ার বোম্বিং - বিশ্বের বিবেকের মূঢ়তা? না অন্য কিছু ------

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ০১ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:০৪:০৯ রাত

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

আস্‌সালামুআলাইকুম!

(আলেম ওলামারা ও ইসলামিক লিডারশিপ দের আমি ব্যাক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা করি। এ লিখার ভাষায় যে হার্সনেস - তা শুধু মাত্র আমার প্রিয় ঐ সব এনটিটির কনসেনসাস বিল্ড আপ করার একটা চেষ্টা মাত্র। আল্লাহ আমাকে আমার লিমিটেশান এর জন্য ক্ষমা করুন।)

বোখারী শরীফে এক গন্ডা র বেশী হাদীস আছে যেখানে আল্লাহর রাসুল সঃ বলেছিলেন, (অনুবাদ) আখেরী জামানায় 'জ্ঞান' বিলুপ্ত হবে 'মূর্খতা'র বিস্তৃতি হবে। এ জাতীয় হাদীস কয়টির অনুবাদ এ, অনুবাদক কোথাও জ্ঞান লিখে ব্রাকেটে (ইসলাম/ধর্মীয়) লিখেছেন আর বিলুপ্তির সামনে ব্রাকেটে (আলেম ওলামার মৃত্যুর মাধ্যমে) লিখেছেন। মূর্খতার বিস্তৃতির বোঝাতে অন্য হাদীস সহযোগে পড়লে এমন ধারনাই পরিস্ফুটিত হয় যে, যারা ধর্ম কিংবা জ্ঞান বিতরনের কাজে কিংবা স্প্রেড করার কাজে নিয়োজিত হবেন - তাদের ধর্মীয় কিংবা ডিভাইন মেসেজ এর উপর যথাযথ পান্ডিত্য থাকবেনা কিংবা ধারনা থাকবে না বরং তারা সামহাউ ঐ জ্ঞান বিজ্ঞানকে খন্ডাংশে কিংবা টুইস্টেড ফর্মে কিংবা বেমালুম রিফ্লেইসড ফর্মে স্প্রেড করবে কিংবা করতে বাধ্য হবে।

ব্যাক্তিগতভাবে আমি যদি অনুবাদকের - ব্রাকেট বন্দী অংশটুকুকে বাদ দিয়ে এনালাইটিক্যাল মন নিয়ে, পন্ডারিং মন নিয়ে পড়ি - তবে হাদিসটি যে চিত্র দেয় তা আজকের পৃথিবীময় ঘটমান বিভিন্ন ইস্যুতে ফ্যাক্টচুয়ালী প্রতিভাত হয়, সত্য হিসাবে বিমূর্ত হবে। অন্যদিকে ব্রাকেট বন্দী অংশটুকু পড়লে কনফিউজড হতে হয় - বিশেষ করে আলেম ওলামার মৃত্যু নিয়ে যে অংশটুকু আছে তা বড় বেশী হয়ে সামনে বিমূর্ত হয় এবং আজকের পৃথিবীর ফ্যাক্টস এর সাথে দ্বান্ধিক বলে প্রতিভাত হয়।

রাসুলুল্লাহ সঃ প্রায় ডজন খানেক হাদীসে শাম এর প্রশংসা করেছেন, দোয়া করেছেন শাম এর জন্য - সাথে ইয়েমেন এর জন্যও। আজকে দুটো ভূখন্ডই জ্বলছে, মুসলিমদের জীবন, সম্পদ ও ইজ্জত মশা মাছির চেয়েও নগন্য দামে বিকোচ্ছে। এটা ফ্যাক্টস্‌। অমুসলিমরা মুসলিমদেরকে নিজেদের ড্রোন ও ফাইটারের টার্গেট হিসাবে নিয়ে প্রাকটিস এ মেতেছে যেন। কিন্তু মুসলমান গণমানুষের - যারা লিটারেলী ভেড়ার পালের মত দিগভ্রান্ত - তারা তাদের আমীর, তাদের রাজা বাদশা, তাদের আলেম ওলামাদের কাছ হতে - না পাচ্ছে কোন দিক নির্দেশনা, না পাচ্ছে কোন কনসোলেশান। কেন? কেন? কেন?

আজকের মুসলিম স্কলারশিপ, লিডারশীপ এর দিকে তাকালে এটা কি পরিষ্কার হয় না যে তারা উম্মাহর এ অতি প্রয়োজনের সময় বড় বেশী রকমের অন্ধ, মূঢ়, বধির ও বোধহীন হয়ে পড়েছেন।

কিংবা অন্যভাবে বললে,

তারা বড় বেশী রকমের অসহায়, দেউলিয়া, নিস্তেজ ও নিধিরাম সর্দার সদৃশ্য হয়ে পড়েছেন।

কিংবা হাদীসানুসারে বললে,

জ্ঞান তুলে নেওয়া হয়েছে, মূঢ়তা কিংবা মূর্খতা দিয়ে মানবসমাজকে ঢেলে সাজিয়ে ফেলা হয়েছে। আজকের আলেম ওলামা ও মুসলিম লিডারশিপ কোরান হাদীসে বর্নিত নবী রসুল ও আম্বিয়াদের খলিফা নন - যাদের কাছ হতে মুসলিমরা দিকনির্দেশনা পাবার হকদার, দাবীদার।

আজকের সিরিয়া (কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, নেকড়ের কামড়াকামড়িতে মুসলিম প্রান ওষ্ঠাগত হতে দেখে), রাসুলুল্লাহ সঃ এর শাম - জলন্ত এক উদাহরন কিংবা লিটমাস টেস্ট হয়ে যেন মুসলিম আকাশে ঝলমল করছে।

বিষয়: বিবিধ

১২৮৭ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

344001
০২ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:২৭
রক্তলাল লিখেছেন : Creation of IS was to prepare a pretext to keep this region under military control.

I would not be surprised if Putin was given a green signal to do so.
০২ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:৫৭
285374
অপি বাইদান লিখেছেন : আল্লার ঘরে পিপিলিকার মত পদতলে পিষ্ট হয়ে মুমিন মরে। আল্লার ঘরে মুমিনের ঘাড়ে ছাদ ভেংগে পরে। সেখানেও ইহুদী নাসারার ষড়যন্ত্র।

আসলে, কুকুর/বিড়াল/শেয়াল/নেকড়ের কামড়াকামড়িতে দাঙ্গাবাজ মুমিনরাই যথেষ্ট। যা এখন শুরু হয়েছে।
০২ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৩:০৫
285378
সাদাচোখে লিখেছেন : Assalamualaikum!

From the secular perspective - you are definitely right and surely it was planned, developed and implemented by the enemies of Islam.

From the Islamic perspective - it is much more than what you have said. There are many hadiths of Rasulullah SA are at work in Syria, Sobhanallah.

I can see and feel that Syria is the second battle zone after Ukraine between NATO and Russia and many more is coming where the true Muslims will start to siding with Russia-Sino axis, inshaallah as per the prophecies.

Allah SW knows the very best.
০২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৮:০২
285400
অপি বাইদান লিখেছেন : মানুষ যখন মঙ্গল গ্রহে নতুন আবাসন খুঁজে পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে আপনারা তখন ৭ শতকি কোরান-হাদীসের বালিতে মাথা গুজে গন্ডমূর্খ রসুলের 'মাছির ডানায় রোগ নিরাময়' বিজ্ঞানের মত এবার সিরিয়া রহস্য আবিস্কার করলেন। বেশ তো।
344002
০২ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:৫৬
অপি বাইদান লিখেছেন : আল্লার ঘরে পিপিলিকার মত পদতলে পিষ্ট হয়ে মুমিন মরে। আল্লার ঘরে মুমিনের ঘাড়ে ছাদ ভেংগে পরে। সেখানেও ইহুদী নাসারার ষড়যন্ত্র।

আসলে, কুকুর/বিড়াল/শেয়া/নেকড়ের কামড়াকামড়িতে দাঙ্গাবাজ মুমিনরাই যথেষ্ট। যা এখন শুরু হয়েছে।


০২ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৩:১৪
285381
সাদাচোখে লিখেছেন : আপনার কমেন্ট পড়লে আমার সব সময়ই মনে হয় 'আল্লাহ সোবহানাল্লাহু তায়ালা কতই না সত্য বলেছেন'। তিনি বলেছেন মানুষের মধ্যে কিছু আছে যারা চোখ থাকতেও অন্ধ, কান থাকতেও বধির ইত্যাদি। আপনার অবস্থা তাদের মত। ভাল থাকুন এবং নিজেকে আগামীদিনের যুদ্ধ কালীন সমস্যা সমূহ হতে বাচার জন্য প্রস্তুত করুন।
০২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৭:৫৩
285399
অপি বাইদান লিখেছেন : মানুষ যখন মঙ্গল গ্রহে নতুন আবাসন খুঁজে পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে আপনারা তখন ৭ শতকি কোরান-হাদীসে বালিতে মাথা গুজে অন্যকে চোখের বড়াই দেখা।ন হাস্যকর।

আরব্য রজনীর মদ, বেশ্যার লোভ মানুষকে যে কতটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি করে দেয় তা আপনি নিজেই প্রমান করলেন।
ধন্যবাদ।
০৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০২:১২
285486
সাদাচোখে লিখেছেন : আপনার যুক্তি ও বিশ্বাসগুলোকে আমার জীবনের ৯০-৯২সালের যুক্তি ও বিশ্বাসের সমতুল্য মনে হয়। সে জন্য আমি আপনাকে বেশ কয়েকবার রিকোয়েস্ট করেছিলাম আল্লাহ ও আল্লাহ রাসুলকে চ্যালেন্জ করার জন্য আরো আরো বেশী পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। কিন্তু আপনি নতুন নতুন পড়ালিখা কনটিনিউ না করার কারনে যুক্তিসংগত, ফ্যাক্টচুয়ালী কোন কিছুই আনতে পারছেন না - যা করছেন তা হচ্ছে একই লিখা কপি পেস্ট করে অন্যদেরকে সিম্পলী একধরনের গালাগালি করছেন, অন্যদের বোকা সোকা বলছেন - ঠিক যেমন পাগলরা অন্যদের পাগল মনে করে, নিজেরা হেমায়েতপুরে থাকলেও অন্যদেরকে হেমায়েতপুরে আছে বলে মনে করেন।

আপনাকে আমি একটা এক্সারসাইজ দেই। আশা করি আপনি এক্সারসাইজটি করবেন। আর তারপর আপনার অভিযোগের বিপরীতে আপনাকে একটা ফ্যাক্টস উপস্থাপন করবো। আশা করি তা আপনার সেন্স এ ধরবে - উপর দিয়ে উড়ে যাবে না।

এক্সারসাইজঃ ঠিক কেন বড় বড় ম্যাথামেটিকাল ফর্মূলা, সায়েন্স এর নাড়ি নক্ষত্র ও ইন্জিনিয়ারিং এর ইক্যুয়েশান সমূহ শেখার পর এবং কর্মক্ষেত্রে এ্যাপ্লাই করার পরও - সেই একই মানুষ একটা হাতে তৈরী মূর্তিকে, সাপকে,হাতিকে, গরুকে, মানুষকে ঈশ্বরসমতুল্য জ্ঞান করে পূজা করে, সাহায্য চায়, আরোগ্য কামনা করে, মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করতে বলে? তার অত সব সায়েন্টিফিক জ্ঞান কই যায়?

এই প্রশ্নের উত্তর পেলে তা আপনার উপর এ্যাপ্লাই করুন - লজ্যিক্যালী দেখুন তো আপনার সাথে ঐ ম্যাথামেটিশিয়ান, ঐ ইন্জিনিয়ারের যুক্তিবোধ এর গুনগত কোন পার্থক্য আছে কিনা?

আপনার অভিযোগের বিপক্ষেঃ আপনি তথাকথিত উন্নত বিশ্বের এমন লোকদের কথা, এমন মিডিয়া ও ডকুমেন্টকে বিশ্বাস করছেন, তথা তাদের উপর ঈমান এনেছেন - যে মানুষেরা, যে মিডিয়াসমূহ ও যে ডকুমেন্ট সমূহ জাতিসংঘের জেনারেল এসেম্বলীতে প্রায় ২০০ রাষ্ট্রনায়কের সামনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশান এর মাধ্যমে দিবালোকে বলেছে, যা বিশ্বের ৬ বিলিয়ন মানুষের সামনে উপস্থাপিত হয়েছে - 'ইরাক ডব্লিউএমডি সংরক্ষন করছে এবং তা বিশ্বের হাজার হাজার মানুষের জন্য থ্রেট স্বরূপ'। বছর ঘুরতে না ঘুরতে সেই মানুষ, মিডিয়া ও ডকুমেন্ট বিশ্বের মানুষের কাছে ১০০% মিথ্যুক, ১০০% প্রতারক, ১০০% জোচ্চর, ১০০% পরাজিত হিসাবে প্রতিভাত হয়েছে। সেই মিথ্যুক, প্রতারকের উপর আপনি ঈমান এনেছেন। আপনি তাদের কথা বিশ্বাস করছেন। স্বভাবতঃই আপনি অমন মংগল, অমন চন্দ্রাভিযান সহ অসংখ্য বায়বীয় জিনিস - যার সাথে আপনার কোন সংশ্রব নেই, আপনার কাছে কোন টেনজিবল, ফ্যাক্টচুয়াল মিনিমাম ইভিডেন্স নেই তাতে বিশ্বাস করছেন। অন্যদিকে আপনার বিপক্ষে যারা তাদের কাছে টেনজিবল, ফ্যাক্টচুয়াল সর্ব রকমের ইভিডেন্স আছে। আপনার দায়িত্ব নিজেকে শিক্ষিত করে তোলা। আপনি নিরক্ষর থেকে কিভাবে সত্যের দেখা পাবেন?

সো আপনিই বলুন আসলে কে মাথা গুজে আছে? ধন্যবাদ
০৩ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৯:২০
285498
অপি বাইদান লিখেছেন : ১। "এক্সারসাইজঃ ঠিক কেন বড় বড় ম্যাথামেটিকাল ফর্মূলা, সায়েন্স এর নাড়ি নক্ষত্র ও ইন্জিনিয়ারিং এর ইক্যুয়েশান সমূহ শেখার পর এবং কর্মক্ষেত্রে এ্যাপ্লাই করার পরও - সেই একই মানুষ একটা হাতে তৈরী মূর্তিকে, সাপকে,হাতিকে, গরুকে, মানুষকে ঈশ্বরসমতুল্য জ্ঞান করে পূজা করে, সাহায্য চায়, আরোগ্য কামনা করে, মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করতে বলে? তার অতসব সায়েন্টিফিক জ্ঞান কই যায়?"

আপনি আসলে ভুল যায়গায় ছুড়ে মারলেন ভাই!! বিষয়টি বরংচ আপনার উপরই প্রয়োগ যোগ্য। যারা মূর্তি, সাপ,হাতি, গরু অথবা মোহাম্মদ আবিস্কৃত সিন্দাবাদ দৌত্যকে আরব্য রজনীর আল্লা ভেবে পূজা করে আপনি কিন্তু তাদেরই একজন। সুতরাং অনুশীলনটি আপনাকেই ফিরিয়ে দিলাম।

২। "বছর ঘুরতে না ঘুরতে সেই মানুষ, মিডিয়া ও ডকুমেন্ট বিশ্বের মানুষের কাছে ১০০% মিথ্যুক, ১০০% প্রতারক, ১০০% জোচ্চর, ১০০% পরাজিত হিসাবে প্রতিভাত হয়েছে। সেই মিথ্যুক, প্রতারকের উপর আপনি ঈমান এনেছেন। আপনি তাদের কথা বিশ্বাস করছেন।"

তাতো বুঝলাম!! কিন্তু তাই বলে মোহাম্মদের শিয়ালের গর্তে ওহি পয়দা কারক দৈত্য/দানব/আল্লাকে বিশ্বাস করতে হবে? যে দৈত্য 'হও' বল্লেই নাকি সব হয়ে যায়, অথচ নিজের ঘরের উপর পতিত ক্রেইন কে সামাল দিতে পারেন্না।
344010
০২ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০২:২৩
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। ভালো লাগলো। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমিন।
০২ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৩:২০
285382
সাদাচোখে লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আল্লাহ আমাদের গাইডেড রাখুক।
344109
০৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৩:৩৮
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম ওয়ারহমাতুল্লাহ!

আমরা মুসলিম জাতী আজ পক্ষাঘাতগ্রস্থ, রাতকানা নানারকম অসুস্থতায় জর্জরিত! দেখেও ন আদেখা, বুঝেও না বুঝার এই ভান থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুণ! আর যারা আমাদের বোঝানোর দয়িত্বে আছেন তারাও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুণ সেই দোআ করি। আল্লাহ আমাদের হিদায়াত দিন। আমিন ।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৫
285672
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

যারা আমাদের বোঝানোর দয়িত্বে আছেন তারাও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুণ সেই দোআ করি। 

দোয়া অসহায় মুসলিমদের অন্যতম ডিফেন্স, পাওয়ারফুল অস্ত্র।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

347279
২৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:৪০
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আসসালামু আলাইকুম। একটা বিষয় বলি হাদিসে শাম বা আশ শাম বলতে শুধু সিরিয়াকে বোঝাতো না। সিরিয়া, ফিলিস্তিন, জর্ডান, লেবানন ও তুরষ্কের কিছু অংশ নিয়ে ছিল আশ শাম। খোরাসান হল আফগানিস্তান ও ইরানের কিছু অংশ নিয়ে, হিন্দ বলতে গোটা উপমহাদেশকে বোঝানো হয়। এসব হাদিস দ্বারা এসব সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। আপনার চিন্তাগুলোর সাথে আমার সত্যিই অনেক মিল। তবে শিয়া বিষয়ক জিনিসে আমিও সুন্নী আক্রোশে ফেটে পরতাম অন্যান্যদের মত। আর যেখানে ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রঃ) ও সালাহউদ্দিন আইয়ুবী (রঃ) এর মত ব্যক্তিদেরকে দীর্ঘদিন শিয়াদের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে, সেখানে আজকের দিনের সাধারণ তথ্য উপাত্ত দ্বারা আমি আরো আক্রোশে ফেটে পরব সেটাই স্বাভাবিক। তবে আপনার কিছু কথার পর সত্যিই আমি এবিষয়গুলোকে নিয়ে পড়াশুনা করেছি এখন আমিও আপনার সাথে একমত। আপনি যেই টপিকের উপর লিখছেন ইনশাআল্লাহ আমি চেষ্টা করব এই টপিকের উপর কুরআন-হাদিস নির্ভর একটা ব্যাখ্যা সামনে আনার জন্য।
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৪:১৬
288386
সাদাচোখে লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম।
হ্যাঁ, আলহামদুলিল্লাহ্‌, আমি জানি সিরিয়া, ফিলিস্তিন, জর্ডান, লেবানন ও তুরষ্কের কিছু অংশ নিয়ে আশ শাম। কিন্তু দামেস্ক কে কেন্দ্র করে আজকের দিনে সংগঠিত হোফলেস ঘটনাসমূহ, কিলিংস্প্রী, মেইমিং, মিথ্যাচার ও যুদ্ধ ক্ষেত্রের এক্সপানশান এবং প্যারালালী অবাক করা 'ইয়েমেন' ফ্রন্ট খুলে যাওয়ায় - আমার কাছে ঐ হাদীস সমূহকে অধিকতর আজকের দিনে ঘটমান - এই সব ঘটনাকে ইন্ডিকেট করা বলে মনে হয়। আল্লাহ ভাল জানেন।

বিশেষ করে এর সাথে ইউকের ছত্রছায়ায় জন্ম নেওয়া সৌদী আরবের জন্ম ও সৌদ পরিবারের শাসন, ইউএস এর কোলে কাখে বড় হওয়া এবং আজকের ইসরাইলের সাথে সম্পর্কের গভীরতা - 'নজদ' অংশটুকু ফুলফিল করে।

যেখানে সৌদ পরিবার শয়তানের মাথার এক অংশকে রিসেম্বেল করে আর ওহাব রঃ এর পরিবারকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত মতবাদ ওাহাবী কিংবা অধুনা সালাফী - উম্মাহর জন্য শয়তানের মাথার অপর পাশটি রিসম্বেল করে। এই দুই প্যারালাল আইডিয়োলজি বেইজড পরবার 'শয়তানের মাথার দু'পাশ' হয়ে মুসলিম উম্মাহকে সত্য উদঘাটন করার কোন সুযোগ ই রাখেনি - বরং সর্বাংগীন ভাবে প্রতারিত করতে পেরেছে।

কারন সাধারন মুসলমানরা সৌদী আরবে গেলে নিজের চোখে দেখছে সৌদী গভার্নমেন্ট কি পরিমান সিরিয়াস, কি হার্স আল্লাহর আইন বাস্তবায়নে - সো সাধারন মানুষ হতে শুরু করে সহজ সরল সাদা মনের আলেম ওলামা সবাই ই খুশী। অন্যদিকে এই সেইম আইন প্রয়োগ থাকায় সৌদ পরিবার উম্মাহ র হার্ট, উম্মাহর ব্রেইন, উম্মাহর থটস্‌ ও সম্পদ সবই প্রথমে বৃটেন এর কাছে, ১৯৪৫ হতে আমেরিকার কাছে এবং ২০০১ এর পর হতে গ্রাজুয়ালী ইসরাইলের কাছে তুলে দিচ্ছে - দেবার স্কোপ করে দিয়েছে। কনসাস কন্ঠকে শরিয়ার আওতায় শিরোচ্ছেদ করা হচ্ছে, বন্দী করা হচ্ছে। উম্মাহ এখন জানেই না মুসলমানের কোন অধুনা প্রমোট করা দেশবোধই নেই। উম্মাহ জানেই না তারা মুসলিম এটাই তাদের জাতীয়তা। উম্মাহ এখন জানেই না পাসপোর্ট, ভিসা নামক কোন কিছু ইসলাম এ্যালাও ই করে না। উম্মাহ জানেই না হজ্জের ইনভাইটেশান আল্লাহর কাছ হতে, পারমিশান আল্লাহর কাছ হতে - বরং তারা মনে করে এটা সৌদী সরকারের। হজ্জের শর্ত রাসুল যা দিয়েছিল সৌদী সরকার তার সাথে জুড়ে দেয় তার পারমিশান নিতে হবে।

এ্যানীওয়ে আমার বিশ্বাস আপনি যদি এ বিষয়সমূহকে আপনার লিখনী শক্তি দিয়ে সামনে আনতে পারেন - তবে অনেকের চোখ খুলে যেতে পারে।

যদিও আমার রিসেন্ট অভিজ্ঞতা বলছে - যতক্ষন না একজন মানুষ সুরা কাহাফের প্রথম ১০টি আয়াত মুখস্ত করবে - রাসুল সঃ এর প্রেসক্রিপশান অনুযায়ী - ততক্ষন সহজে এ জাতীয় বিষয়ে সেন্স আসবে না - কারন আমরা মৌলিক বিষয়াদী ভুলে বসে আছি, আমাদের চোখের সামনে ভেজাল এ ভরে গেছে।

আমি চেষ্টা করেছিলাম আমার এখানে। সবচেয়ে বেশী বাঁধার সন্মুখীন হয়েছি আলেম ওলামা ভাইদের কাছ হতে, তারপর হয়েছি জামায়াতে ইসলামীর অনুসারী ভাইদের কাছ হতে এবং তারপর তাবলীগি ভাইদের কাছ হতে। আমার জন্য একবার বিচার টাইপ সভা বসানো হয়েছে Happy, লন্ডনের এক আলেম ভাইকে ইনভল্ব করা হয়েছে।

তারপর ও আলহামদুলিল্লাহ। আমার জানামতে হাফ এ ডজন + ভাই সূরা কাহাফের ১০ টি আয়াত মুখস্ত করেছেন, আরো কয়েকজন করছেন। কয়েকজন তাদের বাচ্ছাদের মুখস্থ করিয়েছেন ইতোমধ্যে এবং কিছু ভাই বিষয়টি রিয়ালাইজ করে কিছু কিছু কর্মপন্থা ঠিক করছেন, আলাপ আলোচনা করছেন।

আর ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত একভাই অবশেষে আগামী শনি ও রবিবারে এ নিয়ে এক্সক্লুসবলী আলোচনার জন্য এ শহরে আসছেন। ইনশাল্লাহ আশা করি দেরীতে হলে ও কষ্ট হলেও এক সময় উম্মাহ আজকের দুনিয়ার প্রতারনা, জুলুম নির্যাতনের হোতাদের স্বরূপ উন্মোচন করতে পারবে এবং নিজেদেরকে আগামী দিনের জন্য রেডি করতে পারবে যাতে তারা

রাসুলুল্লাহ সঃ এর কথা অনুযায়ী গাছ ও পাথরের রিকোয়েস্ট এ - এগিয়ে গিয়ে হত্যা করতে পারবে আজকের এই পশুত্বের ধারকদের।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File