ইসলামের জন্য যারা পলিটিক্স করছেন, গণতন্ত্রকে মহৌষধ হিসাবে গ্রহন করে নিয়েছেন - ভগ্ন হৃদয়ে ভাবছি - কখন ওনাদের হুশ হবে? কখন ওনারা জলজ্যান্ত প্রতারকের খপ্পর হতে বের হতে পারবেন?

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:০০:১৭ রাত

বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহীম

আসসালামুআলাইকুম।

স্যেকুলার শিক্ষা আর পারিপার্শ্বিক পরিবেশের কারনে গত শতাব্দীর ৯০ এর দশকে ছাত্র ইউনিয়নকে বুঝিবা কিছুটা ভালবেসেছিলাম, কিন্তু কায়মনোবাক্যে কোনদিন বাংলাদেশের কোন পলিটিক্যাল দলকে মনে প্রানে ভালবাসতে পারিনি। এটা হয়তো আমার ব্যার্থতা। সমসাময়িক সময়ে, যখন ইসলামের ম্যাসেজ কি - তা জানার, বোঝার ও বিচার বিশ্লেষনের খানিকটা সুযোগ হল, ইসলামের জন্য কাজ করা রত ভাইদের কিছু ডেডিকেশান এর উদাহরন চোখে পড়লো - নিতান্তই বাধ্য হয়ে - মনের অগোচরে হলেও মুসলিম উম্মাহর এবং তার নিমিত্তে সংগঠিত সংগঠন সমূহ তথা বাংলাদেশের কনটেক্সটে - জামায়াতে ইসলামী, হেফাজত, তাবলীগ, ইসলামী শাসনতান্ত্রিক আন্দোলন সহ আর সব ইসলামী দল, সংগঠনের প্রতি ভালবাসা অনুভব করতে শুরু করলাম।

এর ধারাবাহিকতায় তথাকথিত কখনোবা মানবতাবিরোধী অপরাধ কখনোবা আন্তর্জাতিক অপরাধ, কখনোবা যুদ্ধাপরাধের অপরাধে বিচার ট্রাইবুনাল ইত্যাদি যতসব ডিসিপটিভ নাম ও বিচারের আড়ালে ইসলাম প্রিয় মানুষ হত্যা, ইসলাম প্রিয় মানুষদেরকে ডিভাইড ও রুল করা, ইসলাম প্রিয় মানুষদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা, হীনমন্য করা, অপরাধী সাজানো তথা হোলিস্টিক্যালী মুসলিমদেরকে ক্রিমিনাল বানানো - দেখে যারপর নাই ক্ষুদ্ধ হয়েছিলাম - ভালবাসার বৃদ্ধিও অনুভব করেছিলাম উত্তরত্তোর।

ঐ পথ পরিক্রমায় মেহনতি ইসলামপ্রিয় মানুষের পরিপূর্ন সাহায্য ও সহযোগীতায় যে হেফাজতে ইসলামের বিকাশ হয়েছিল - সে হেফাজতকে পরিপূর্ন নাংগা অবস্থায় শত্রুর সামনে মার খেতে দেখে এবং পরবর্তীতে ডিসিপটিভ শক্তির পরশে প্রবলভাবে মুখ থুবড়ে পড়তে দেখে - ভালবাসাটা যেন বেদনা ও কষ্টে পরিনত হল।

জ্ঞান-বিজ্ঞান আজ বিস্তৃত ও সহজলভ্য। কোরআন ও হাদীস আজ লিটারেলী ক্লিক দুরুত্বে অবস্থান করে। ১২/১৩ শত বছর আগে কোরানের একটা আয়াতের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন জানতে শত শত মাইল পাড়ি দিতে হত। অথচ আজকের দিনে লিটারেলী ১২/১৩ মিনিটে ঐ সেইম আয়াতের সম্ভাব্য সকল রকমের অর্থ, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষন, প্রয়োগ সহ সংশ্লিষ্ট কি কি হাদীস আছে তা জেনে - আয়াত হতে প্রাপ্ত আল্লাহর আদেশকে আজকের এই দিনে, এই ক্ষনে কোথায়, কখন, কিভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে - তা বের করা যেমন সম্ভব, একই ভাবে সে আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্তে অসংখ্য নিরহংকারী আল্লাহ প্রেমী ভাই ও প্রস্তুত।

কিন্তু দূর্ভাগ্য এই যে আমাদের ইসলাম প্রেমী জ্ঞানবান ভাইরা আজকের এই সময়ে - কোন কথা বলার আগে, কোন আদেশ দেবার আগে, কোন কিছু করার আগে 'পলিটিক্স' এর ব্যারোমিটার কোথায় কোনদিকে কতটা ঘুরবে তা ভাবেন, 'গণতন্ত্র' এর কি কি সম্ভাব্য ক্ষয় ও ক্ষতি হবে তা ভাবেন ও বিচার বিশ্লেষন করেন - কিন্তু কোরান ও হাদীসকে কনসালটেশান করেন না - এ্যাটলিস্ট পাবলিকলী করেন না। কারন একটাই - ওনারা প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন, প্রতারিত হয়ে চলেছেন।

ওনারা আল্লাহ অপেক্ষা সামহাউ দজ্জাল (প্রতারক) কে বেশী ভয় পেতে শুরু করেছেন, ওনারা সামহাউ প্রতারিত লিবিয়ার গাদ্দাফী কিংবা ইরাকের সাদ্দাম কিংবা চলমান সিরিয়ার আসাদ এর অবস্থা বিবেচনা করছেন। ওনারা সামহাউ আল্লাহর আদেশ ও নির্দেশ কে সাময়িক 'হল্ট' এ রেখে 'হেকমাহ' নামক 'পোল' এ ভর দিয়ে 'আশা' ও 'আকাংখা'র নদী পাড়ি দিয়ে চলেছেন।

লিন্ক এর এই খবরটুকু পড়ে, ছবিটি দেখে - বেদনায় বিদগ্ধ হয়ে তাই বলতে বাধ্য হয়েছি 'কখন আপনাদের হুশ হবে? কখন আপনারা বুঝবেন বাংলাদেশের সরকারটি সরকার নয়, বাংলাদেশের পুলিশ পুলিশ নয়, আদালত আদালত নয়? কখন আপনারা বুঝবেন 'গণতন্ত্র' ইসলাম নয়? কখন আপনারা বুঝবেন গণতন্ত্র রক্ষা আপনার দায় নয়? কখন আপনারা বুঝবেন নিধিরাম সর্দার সাজা ইসলামের হুকুম নয়?

Click this link

হে আল্লাহ ইসলামের জন্য কাজ করছেন অমন সকল নেতা, কর্মী, আলেম ওলামা কে দয়া করে আপনি কোরান ও হাদীসের ঐ জ্ঞান জানার ও বোঝার সুযোগ করে দিন - যাতে তারা আজকের বিশ্ব, আজকের ইকোনমি, আজকের যুদ্ধবিগ্রহ, আজকের খুন-খারাবি, অবিচার ও অত্যাচার কে কোরান ও হাদীসের আলোকে বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী আদেশ ও নির্দেশ দিয়ে আপনার আয়াত কে বিমূর্ত করতে পারে, রাসুল সঃ এর সুন্নাহকে রিভাইভ করতে পারে। ওহ আল্লাহ তাদের মন ও মগজ হতে দুনিয়া নামক এই অলীক বিষয়টিকে সরিয়ে দিয়ে - আখেরাতকে প্রত্যুজ্জল করে দিন - শত্রু ও মিত্রকে চিনতে সাহায্য করুন।

বিষয়: বিবিধ

১২১৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

340260
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৪০
মাটিরলাঠি লিখেছেন : আমরা জ্ঞানে অনেক এগিয়ে, আমলে অনেক পিছিয়ে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২৩
281755
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

ঠিকই বলেছেন। এ এক গোঁলক ধাঁধাঁ যেন।
340266
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৪০
শেখের পোলা লিখেছেন : ভাইগো এখানেইতো সেই ইমতেহানের ফাঁদ পাতা৷ আল্লাহর দ্বীন কেউ উদুনিয়ায় কায়েম করুক আর না করুক, চেষ্টা বা সংগ্রাম (জিহাদ)করুক বা না করুক তাতে আল্লাহর কিছুই আসে যায়না৷ আমরা সহ আমাদের ঐ ইসলাম উদ্ধার কারী বৃন্দ যে সেই ইমতেহানে ফেল হতে চলেছে আল্লাহ অন্ততঃ এই জ্ঞান টুুকু দিক৷মূল্যবান লেখার জন্য ধন্যবাদ৷
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২৯
281762
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

নিশ্চয়ই >>>
'আল্লাহর দ্বীন কেউ উদুনিয়ায় কায়েম করুক আর না করুক, চেষ্টা বা সংগ্রাম (জিহাদ)করুক বা না করুক তাতে আল্লাহর কিছুই আসে যায়না'৷

কিন্তু আমাদের যায় আসে। এ ফাঁদ হতে বের হবার জন্য দিক নির্দেশনার জন্য - আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল সঃ এর পর আমরা তাই বার বার আমাদের আলেম ওলামা ও নেতাদের দরজায় কড়া নাড়ছি, কারন ওনারা ছাড়া কে আমাদের বোঝাতে পারবে, কে আমাদের নির্দেশনা দিতে পারবে, কে আমাদের কাছে আখেরাতকে মহীয়ান করতে পারবে এবং দুনিয়াকে পদানত করতে সাহায্য করতে পারবে?

শুরুটাতে আপনার সাথে সাথে বলতে ইচ্ছা করছে নূন্যতম
আমরা সহ আমাদের ঐ ইসলাম উদ্ধার কারী বৃন্দ যে সেই ইমতেহানে ফেল হতে চলেছে আল্লাহ অন্ততঃ এই জ্ঞান টুুকু দিক৷

ধন্যবাদ।

340277
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:০০
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ইসলামকে কঠোরভাবে দমন করতে 'অন্যায়ের লালন ও শিষ্টের দমন চলছে'। এই ধরনের অন্যায় কাজ কে কেউ ঘৃণা করছে না এমনকি বিশ্বসংস্থায়ও দিন দিন এই ধরনের কাজ ও কাজের হোতাদের মুল্যায়ন করা হচ্ছে। ফলে চারিদিকে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এই সমস্যাটি একক কোন দেশ বা অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়।

আপনি কত ভাল হলেন সেটা দুনিয়ার কোথাও বিবেচ্য নয়।
আপনি ছলে, বলে, কলে, কৌশলে সব জয় করতে পারলেন আর সেটাকে দৃঢ় ভাবে ধারণ করে বসে থাকতে পারলেন, দুনিয়াতে তারই জয় জয়কার। বর্তমানে এ্টাই দুনিয়ার ইতিহাস।

আর ইসলাম এই মুহুর্তে বড় এতিম, এই এতিমকে যে সমবেদনা দেখাবে, তাকেও হয়ত এতিম হয়ে যেতে পারে। আপনার সুন্দর পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৫
281767
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
আপনি অল্পকথায় আজকের পৃথিবীর অব্যাক্ত ইতিহাসকে বুঝিবা খোলা চোখে বিমূর্ত করলেন।

কিন্তু গত ২ দশকে পৃথিবীর ৪টি কনটিনেন্ট এ বসবাস করে কেন যেন আমার মনে হয় - আমাদের আলেম ওলামা, আমাদের নেতা ও কর্মীদের সময় হয়েছে - এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সমূহকে কোরানের সংশ্লিষ্ট আয়াত সমূহের আলোকে এবং সংশ্লিষ্ট হাদীস সমূহ দিয়ে পূনঃ গবেষনা করার কিংবা নূন্যতম একটা রিফ্লেকশান নিশ্চিত করার।
বিশেষ করে আজকের সময়ের ন্যায় দুনিয়াব্যাপী জুলুম, আজকের সময়ের ন্যায় দুনিয়াব্যাপী ফ্যাসাদ, আজকের সময়ের ন্যায় দুনিয়াব্যাপী আল্লাহদ্রোহীতা - রেকর্ডেড কোন ধর্মীয় গ্রন্থ কিংবা ইতিহাসে আর পাওয়া যায়নি।

আর দ্বিতীয়তঃ আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল মুসলিমদের দিকনির্দেশনা বিহীন রাখতেই পারেন না।

ধন্যবাদ।
340290
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৪০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কিন্তু তার বিপরিতে জোড় করে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে আইসিস এর মত নামধারি ইসলাম এর জন্ম হয়ে যাবে্
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:২৭
281778
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
যে অর্থে আপনি 'ইসলাম প্রতিষ্ঠা' করাকে সামনে আনছেন - আমি তা মোটেও সামনে আনছি না এবং সংগত কারনে আনতে চাইছি ও না।

মূলতঃ আমি বলতে চাইছি - আমরা মুসলিমরা ও আমাদের নেতৃবৃন্দ ও আমাদের আলেম ও ওলামারা সামহাউ গত কয়েকশতক ধরে প্রতারিত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। এবং গনতন্ত্র, হিউম্যান, ওমেন, চাইল্ড রাইটস, আইনের শাসন, পেট্রো ডলার, মুদ্রাস্ফীতি, কারেন্সি ট্রেডিং, নারী ও শিশু পাচার, ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশান, ব্যাংকিং, ওম্যান এ্যাম্পাওয়ারমেন্ট, ফ্রি স্পিস, উন্নয়ন ইত্যাদি অসংখ্য টার্ম এর ছাপে পড়ে সর্বস্থ (ট্রু ঈমান, ট্রু শান্তি, ট্রু শিক্ষা, ট্রু স্পিরিট) হারাচ্ছেন, প্রতারিত হচ্ছেন এবং সামহাউ জাতিসংঘ ও তার সংস্থাসমূহ, ইউ কে, ইউএস, ইইউ, রাইটস বেইজড অর্গানাইজেশানসমূহ দ্বারা হ্যালুসিনেটেড হয়ে পড়েছেন, তথা নির্ভরতা অনুভব করেন, বিচার প্রত্যাশা করেন।

স্বভাবতঃই এই অবস্থা হতে মুক্তির জন্য মুসলিম লিডারশিপ ও আলেম ওলামাদের দরকার যথাযথ ঔষধ আবিষ্কারের তথা প্রতিকারের। এবং আমি মনে করি ডেফিনিটলী আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল সঃ সেই ঔষধ আমাদের জন্য কোরান ও হাদীসে বিবৃত করেছেন। স্যেকুলার জ্ঞান বিজ্ঞান ও থিউরীতে নয়।

আমাদের নেতা ও আলেম ওলামাদের দরকার সেই ঔষধ খুঁজে বের করে - আজকের এই ডিসিপটিভ অবস্থা হতে বের হয়ে আসা এবং উম্মাহকে গাইড করা - যাতে এই পৃথিবীতে জয় হোক কিংবা না হোক আখেরাতে জয় হয় ই হয়।
ধন্যবাদ।
340344
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : নিশ্চয়ই শয়তানের চক্রান্ত অত্যন্ত দূর্বল। আল কোরআন।
জাযাকাল্লাহ খাইর
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৭
281784
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
নিশ্চয়ই। এতে কোন সন্দেহ নেই।

সমস্যা হল আমরা শয়তান ও প্রতারক (তামিম আদ দারীর দেখা দ্বীপের দাজ্জাল, একচোখা কোকড়া চুলের টি নয়) কে এক করে ফেলছি কিনা? কিংবা ইয়াজুজ ও মাজুজ টাইপ কিছু?

শয়তান ওয়াসাওয়াসা দিয়ে ক্ষান্ত দেয় কিন্তু প্রতারক শিরক করতে বাধ্য করে (যা আমরা অনেকেই করছি কিংবা করতে বাধ্য হচ্ছি), ইয়াজুজ ও মাজুজ ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে (ফুড হতে শুরু করে সব কিছুতে কনটামিনেশান করেছে) জনজীবন (ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে) দূর্বিষহ করে তুলেছে।

তাই বলতে চাইছিলাম - আমরা সামহাউ শয়তানের খপ্পরে না হয়ে বরং প্রতারক (দাজ্জাল) কিংবা তার চেয়ে পাওয়ারফুল আল্লাহর সৃষ্ট ইয়াজুজ ও মাজুজ দিয়ে আবৃত হয়ে আছি কিনা - তা জানার ও বোঝার চেষ্টাটা জরুরী বই কি - ইগনোর করার অবকাশ কম নয় কি?

উপরে সবুজ ভাই ও টিপু ভাইয়ের কমেন্ট এ আমার ভাবনার অনেকাংশ লিখেছি - সো আর রিপিট করলাম না।

ধন্যবাদ আপনাকে।
340351
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৬
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আসসালামু আলাইকুম আপনার আগের লেখাগুলোও পড়লাম। ভাইয়া আসলে আপনার উচিত হবে অফলাইনে কাজ করা, তাদের নিয়ে যারা অনলাইনে বসে থাকবেনা। তাদের মূল কাজ হবে সমাজের মানুষের কানে সঠিক দাওয়াতটি পৌছে দেয়া। মানুষ হয়ত প্রত্যাক্ষান করবে অথবা গ্রহণ করবে কিন্তু পৌছে দেয়ার দায়বদ্ধতা পালন হয়ে যাবে। কিছু মানুষকে আগাম বিপদ সম্পর্কে সচেতন করা যাবে, ফলাফলে তারা সমাজ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিজেদের কাজে মনোনিবেশ করবে। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বাড়িয়ে দিবে। সবাইকে বাঁচানো সম্ভব না তাই নিজেদের কিছু মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। অনলাইনের মানুষগুলো আসলে কেমন জানেন? নানান বিষয়ে তারা লেখালেখি করবে কিছু মন্তব্য পববে লেখায়, ফেসবুক, টুইটারে তাদের হাজার হাজার ফ্রেন্ডস-ফলোয়ার থাকবে যারা বাহবা দিবে এতেই তারা সন্তুষ্ট এর বাইরে তাদের কোন অস্তিত্ব নেই। এরা তর্ক প্রিয়, তবে বিপরীত ভাবে কিছু ভেবে দেখতে রাজিনা।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৬
281793
সাদাচোখে লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আস্‌ সালাম।

আপনার মতামত ও পরামর্শটি যথার্থ। আপনার দৃষ্টিভংগী ও বিচার বিশ্লেষনকে ব্যাক্তিগতভাবে আমার কাছে প্রাগমাটিক ও ম্যাচিউরড মনে হয়।

দেশের বাহিরে থেকে - নিজের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে - ব্যাক্তিগত পড়ালিখা ও অবজারভেশান সমূহ বাংলাভাষাভাষি মানুষের জন্য লিখা কিংবা বলা, সচেতন করতে কিংবা উদ্দীপ্ত করতে বৈধ সীমারেখার মধ্যে চেষ্টা করায় - অনলাইন ও অফলাইনের মধ্যে ঠিক কি পার্থক্য নিশ্চিত করবে - তা আমার কাছে ক্লিয়ার না।

তবে ব্যাক্তিগতভাবে আমি চাই - দুনিয়াবিমুখ পরকাল মুখি জীবন - কিন্তু পরিপূর্ন ঈমানের অভাব কিংবা বলতে পারি এক ধরনের মুনাফিকতার জন্য এখনো নিজেকে সে দিকে যে পয্যন্ত নিতে চাই - সে পয্যন্ত নিতে পারছিনা। আল্লাহ আমাকে তৌফিক দিক এবং সে সাথে আমার মত অবস্থানের অন্যান্য ভাইদের যাতে আমরা রাইটলী গাইডেড থাকতে পারি এবং উত্তরোত্তর ঐ গাইডেড পথের উপরের দিকে উঠতে পারি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File