ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটিতে প্রাচীনতম কোরানের খন্ডাংশ প্রাপ্তিঃ সম্ভাব্য ভবিষ্যত চিত্র বিচিত্র - আমার ভাবনা!

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ২৩ জুলাই, ২০১৫, ০৫:২৬:২৭ সকাল

বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহিম।

মুসলিম মন, মনন ও মগজ ধোলাই, নির্মান ও বিনির্মানের কাজে নিয়োজিত বিশ্ব মিডিয়া সিএনএন, বিবিসি ও আলজাজিরা এবং তাদের অন্যতম দোসর আঞ্চলিক মিডিয়াসমূহ আজ অতি গুরুত্ব সহকারে দিনভর ঢালাওভাবে প্রচার করেছে যে - ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটিতে পৃথিবীর প্রাচীনতম কোরানের খন্ডাংশ আবিষ্কৃত হয়েছে। সে সাথে বলা হয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে রেডিও কার্বন টেস্ট করে টেকনিশিয়ানরা শিওর হয়েছে যে, প্রাপ্ত কপির অংশ ৫৬৮ হতে ৬৪৫ খৃষ্টাব্দের কোন একসময় লিখিত হয়েছে।

BBC

CNN

Al Jazeera

খোলামনে খবরটি শোনামাত্র যে কোন মুসলিম ই আবেগায়িত হবেন, চোখের কোনে অশ্রুর উপস্থিতি টের পাবেন। সাদাচোখে খবরটি দেখলে, শুনলে ও ভাবলে মনে হবে কি চমৎকারভাবেই না বুঝি মিথ্যার বাতাবরন সরিয়ে পশ্চিমা দুনিয়ায় সত্য প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আহ্‌ পশ্চিমা মানুষজন অবশেষে বুঝলো এবং বুঝবে - কোরান কতটা পারফেক্ট, কতটা শক্ত ও মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। মুসলিম মাত্রই খবরটি ফেইসবুক, টুইট, ব্লগ সহ সর্বত্র শেয়ার করবেন এবং নিজের নিজের অনুভব ও অনুভূতি সে খবরের সাথে মিশিয়ে দেবেন। এটাই স্বাভাবিক। এটা অন্যায় নয়।

পজিটিভ ঐ ভাবনার পাশাপাশি - বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরটির যে টেক্স ও ভিডিও মেসেজ এর ছড়াছড়ি - তা পড়ে ও দেখে - আমার মনে যে শন্কা ও সন্দেহ সৃষ্টি করেছে - তা শেয়ার করার জন্য এ ব্লগ লিখতে বসা। অনেকের কাছে আমার এ সন্দেহ ও শন্কাকে - হয়তো আমার পক্ষ হতে বাড়াবাড়ি, অতি সন্দেহ রোগ কিংবা ইংল্যান্ড বিদ্বেষী বলে মনে হতে পারে। ব্যাক্তিগতভাবে আমি আসলে নিজেকে ঐ ব্লকে দেখতে চাইনা - যদিও ইংল্যান্ডের কাজ কর্ম, চাতুরী ও এ্যাবসুলুট প্রতারনার হাজারো রেকর্ডস গত প্রায় ৪০০ বছরের ইতিহাসে জলজ্যান্ত হয়ে আছে - এবং তার কারনে মনের গহীনে ইংল্যান্ডকে সাধু সন্নাসী বলতে রাজী নই।

আমার ভাবনা --

১। উক্ত আবিষ্কার সামনে এনে গণ মুসলিমদের মনে আবিষ্কৃত এ কোরানের প্রতি অতি আস্থা সৃষ্টি করা - যা তারা সোশ্যাল মিডিয়ার ইন্টারএ্যাকশান পর্যালোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে নিশ্চিত করবে। অতঃপর এ কোরানের খন্ডকে অথরিটিটিভ পজিশনে প্রতিস্থাপন করবে। এবং তারপর সময় সুযোগ বুঝে ঢালাও ভাবে প্রচার করবে যে, এ কোরানের সাথে আজকের পঠিত কোরানের অমুক ও তমুক জায়গায় অতি সুক্ষ কিংবা স্থুল অমিল পাওয়া গেছে। এবং স্বাভাবতঃই নতুন একশ্রেনীর আলোচক এর পক্ষে এবং আর এক পক্ষ বিপক্ষে আলোচনা করে বিশ্বের অর্ডিনারী মুসলিম ও নন মুসলিমের মনে স্থায়ীভাবে কোরানের মৌলিকত্বের প্রতি সন্দেহ ডুকিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা নিবে।

২। সচেতন মানুষ মাত্রই জানেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, বিবিসি ও আল জাজিরা গত এক দশক ধরে ইসলামের রিফর্মের জন্য নিত্য নতুন টক শো, আলোচনা, লিখালিখি ও পাবলিক পারসেফশান ইন্ডিকেটর সৃষ্টি ইত্যাদি চালিয়েছে। মুসলিম নামধারী অনেক স্টার ও মেগাস্টারকে দিয়ে কোরানের জংগী!? জাতীয় আয়াত রিরাইট? করার প্রস্তাবনা, জিহাদকে রিশেইফ করার জন্য সুপরামর্শ?! মানুষকে শুনিয়েছে - যা মেইনস্ট্রীম মুসলিম এর রাডারের উপর দিয়ে চলে গিয়েছে - কাজ হয়নি। আমার আশংকা - এবার বৃটিশ ইন্টেলিজেন্স (মোসাদ নয় কেন?) সামাজিক মিডিয়ায় মুসলিমদের মন্তব্য পর্যালোচনা সাপেক্ষে এমন কোন চাল চালতে পারে - যাতে আয়াত পর্যালোচনার আহ্বান জোরালো করা যায় - ঠিক যেমন রিভাইজড ভার্সান অব বাইবেল করতে ইংল্যান্ড জোরালো ভূমিকা রেখেছিল।

৩। যারা মুসলিম শরীফের তামিম আদ দারী রাঃ এর দজ্জালের হাদীস এর সমকালীন ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষনের সাথে পরিচিত, যারা ঐ হাদীসে উল্লেখিত মাসাধিককাল সাগরে ভাসা, দ্বীপ এ অবতরন, জাসাসা (গোয়েন্দা) র সাথে কথোপকথন, মোনাস্ট্রী (চার্চ নয়) ও শিকলবন্দী শক্ত সামর্থ্য দজ্জালের (একচোখা, বেঁটে কিংবা কার্লি চুলের উল্লেখ বিহীন) সাথে কথোপকথন ইত্যাদি সম্পর্কে জানেন এবং সেই সাথে ইংল্যান্ডের ইতিহাসে স্রষ্টা ও ধর্ম দ্রোহীতা, স্রষ্টা বিমুখতার বিস্তার, বিকল্প স্রষ্টা ও প্যারালাল স্রষ্টা তথা শিরকের বিস্তার ও বহুমূখীকরন, স্রষ্টার অস্তিত্বে সন্দেহ সৃষ্টিতে, নাস্তিক্যবাদীর বিস্তৃতিতে ও প্রেট্রোনাইজিং এ রোল প্লে, স্রষ্টার আইনের অসারতা নিশ্চিতে, স্রষ্টার বিকল্পের বিস্তারে আইন কানুন প্রনয়নে ও প্রসারে, প্রকৌশল ও জ্ঞানকে মানুষ নিয়ন্ত্রনে, প্রতারিত করতে, জোচ্ছুরী করতে এবং শক্তি খাটাতে ও ক্ষেত্র বিশেষে মানুষকে এ্যাডিক্ট ও অবশ ও কর্মস্পৃহাহীন জড়বত পদার্থে পরিনত করার ইতিহাস জানেন। জানেন ইংল্যান্ডের হত্যা, নির্যাতন ও সাগর নিয়ন্ত্রনের ইতিহাস, জানেন এর ব্ল্যাকমেইলিং এর ইতিহাস, জানেন এর এক্সপানশান কিংবা বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার পেছনের মেকি যুক্তি ও জাস্টিফিকেশানের ইতিহাস, জানেন এন্টি ক্রাইস্টকে জেরুজালেম এ প্রতিষ্ঠিত করতে কিভাবে গত ১০০ প্লাস বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রতারিত করে, গোঁজামিল দিয়ে কাজ করেছে এবং করছে - তারা সেই ইংল্যান্ডের কোরানের এই আবিষ্কার ও তার ফলাও করে প্রচার বিনা প্রশ্নে - নির্দ্বিধায় সাধু মনে মেনে নিতে পারবেন না। একটা সন্দেহের পোকা, একটা প্রশ্ন মনের কোনায় সযত্নে ধারন করতে বাধ্য হবেন - যাতে এ্যাটলিস্ট মহা প্রতারক (আরবী ভাষায় কিনা দাজ্জাল) ইংল্যান্ড আবার ইরাকের ন্যায় 'উইফন অব মাস ডেসট্রাকশান' এর নামে ১৪ হতে ৪০ লক্ষ মুসলিমের জীবন ছিনিয়ে নেবার মত এখন ১৪ হতে ৪০ লক্ষ মুসলিমের ঈমান ছিনিয়ে না নেয় - এ্যাটলিস্ট নিজের ঈমান টা রক্ষার চেষ্টায় এ্যালার্ট থাকবেন।

৪। সবশেষে বলতে হয়, হয়তো কাকতালীয়। তারপর ও না বললেই নয়। রাসুলুল্লাহ সঃ সুরা কাহাফ এর প্রথম ১০ লাইনকে (এক হাদীসে শেষের ১০ লাইন) মুখস্ত করে দজ্জাল হতে মুসলিমদের বাঁচার জন্য বলেছেন - অর্থাৎ এই ১০ লাইনকে দজ্জাল হতে 'রক্ষাকবচ' সেন্স এ উল্লেখ করেছেন। অন্য কোন সুরার সাথে আখেরী জামানা কিংবা মোর স্পেসিফিকেলী দজ্জালকে মেলানো হয় নি। অধুনা সময়ে আখেরী জামানার উপর কোরান হাদীস নিয়ে যারা রিসার্স করছেন তাদের কেউ কেউ এমনকি এটা ও বলছেন যে সুরা কাহাফে মোতাশাবেহাত আয়াত এ দজ্জালের উল্লেখ আছে বিশেষ করে গুহাবাসীর ঘটনায় টাইম কিংবা সময় সংশ্লিষ্ট আয়াতে এবং তার একটা সন্তোষজনক ব্যাখ্যা ও দিয়েছেন। (আল্লাহ ভাল জানেন ওনাদের সেই থিউরী কতটা রাইট কিংবা রং)। কিন্তু আমার কাছে অবাক লেগেছে ঐ সব গবেষকদের গবেষনায় ইংল্যান্ড নামক দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে 'দজ্জালের বন্দিদশাকালীল সময়ে অবস্থানরত' হিসাবে - আর এখন কোরানের ১১৪ সূরার মধ্যে দজ্জাল সংশ্লিষ্ট সূরা তথা সেই সূরা কাহাফ সহ আরো দুটো সুরার খন্ডাংশ আবিষ্কৃত হয়েছে ঐ দ্বীপটিতে। কোইন্সিডেন্স? না কি কোন ইন্ডিকেশান আছে আল্লাহর পক্ষ হতে?

আল্লাহ ভাল জানেন।

আহ্বানঃ নূহ আঃ হতে মোহাম্মদ সঃ পয্যন্ত সকল নবীই তার উন্মতকে দজ্জাল কিংবা মসীহ উদ দজ্জাল সম্পর্কে সাবধান করেছেন। রাসুলুল্লাহ সঃ আমাদের জন্য সমাধান দিয়েছেন। সূরা কাহাফের প্রথম ১০টি লাইন মুখস্থ করতে বলেছেন। সুতরাং আসুন যে সব ভাইরা সূরা কাহাফের প্রথম ১০টি লাইন এখনো মুখস্থ করিনি - তারা কষ্ট করে ঐ ১০টি লাইন মুখস্থ করি। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি - আপনি নিজের চিন্তা ও ভাবনার মধ্যে একটা পরিবর্তন আবিষ্কার করবেন।

বিষয়: বিবিধ

১৬০৩ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

331222
২৩ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:৫৩
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার এ সন্দেহ অমূলক নাও তে পারে৷ আল্লাহই ভাল জানেন৷ সচেতনতার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ৷
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৬:৩৮
274356
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
আল্লাহই ভাল জানেন।

আজকের এই ডিসিপটিভ দুনিয়ায় - প্রতিটি মুসলিমকে সম্ভাব্য প্রতারনার বিরুদ্ধে সচেতন থাকা যেমন প্রয়োজন তেমনি একে অপরকে সচেতন করার চেষ্টা করা ও প্রয়োজন।
আপনাকে ধন্যবাদ - আপনার চিন্তা শেয়ার করার জন্য।
331225
২৩ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:৫৯
টাংসু ফকীর লিখেছেন : অসাধারণ জনাব।
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৬:৩৮
274357
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

ধন্যবাদ আপনাকে।
331228
২৩ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:২০
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, Day Dreaming আমারো সন্দেহ লাগছে তাই আমিও চুপ করে শুধু নিউটি ফলো করছি। Day Dreaming তবে কোরআনের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। Day Dreaming কেননা এর হেফাজত আল্লাহর হাতে। Love Struck তবে ঈমান হারা করবে মুসলিদেরকে এটি সঠিক Big Hug
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৬:৫০
274358
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
নিশ্চয়ই কোরানের কোন বিকৃতি কেউ কোনদিন, কোনভাবেই করতে পারবে না - এটা আল্লাহর প্রমিজ।

কিন্তু কোরানের উপর ভিত্তি করে যে 'উদ্ভুত জ্ঞান' তথা (তাফসীর - ব্যাখ্যা, তাওয়িল- বোধ/বিশ্লেষন করার ক্ষমতা) ইত্যাদি মানুষের অন্তর হতে আল্লাহ তুলে নিবেন - তথা মানুষ যুগোপযোগী কোরানের নির্ভুল আন্ডারস্ট্যান্ডিং আর পাবে না - তথা কোরানের উপর ভিত্তি করে আমল করতে অপারগ হবে। তথা সন্দেহ ও সংশয় বাড়বে। ঈমান হারা হবে অনেকে কিংবা এমন কিছু। আল্লাহ ভাল জানেন।

যৌক্তিক কারনে কোন একটা দেশকে কিংবা এ্যাক্টিভিস্টকে সন্দেহ করায় কিংবা তার ব্যাপারে এ্যালার্ট থাকায় - ইসলামের দৃষ্টিতে নিশ্চয়ই অন্যায় নয়।
331234
২৩ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৯:১০
হতভাগা লিখেছেন : বেশ কয়েকমাস আগে বাইবেলের পুরাতন সংষ্করন এর অরিজিনাল কপি পাওয়া হয়েছিল এবং এতে রাসুল (সাঃ) এর কথাও বলা আছে এমনটা প্রচার হয়েছিল ।

তারই ব্যাক-আপ হিসেবে এটা গেলানো হচ্ছে ।

আমার কিছুই আর বলার নেই অন্তত এ ব্যাপারে কারণ আপনার সাথে আমি একমত । চিরকালের ইসলামবিদ্বেষী পশ্চিমারা এখন এটাতে নিজেদের মত এডিট করে মুসলমানদের সামনে পেশ করবে এবং বিভ্রান্তি বাঁধিয়ে দেবার চেষ্টা করবে ।

তারা এতে কখনও সফল হবে না কারণ আল্লাহই তার ক্বালামকে রক্ষা করবেন - সেটার চ্যালেন্জ তিনি দিয়ে রেখেছেন ।
২৩ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:১০
273507
আবু জান্নাত লিখেছেন : সহমত
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৬:৫৯
274359
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
ঠিক বলেছেন। স্রষ্টা দ্রোহী একটি এনটিটি দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে ও পরিচিতিতে - এ্যাকটিভলী এজাতীয় ইস্যু সমূহ নিয়ে কাজ করছে - যারা বিলিয়ন বিলিয়ন (রিয়াল লাইফ এ ফেইক) ডলার, ফরমাল ও ইনফরমাল মিডিয়া ও সরকারকে ব্যবহার করে, লাল সাদা ও নেভি ব্লুর ছত্রছায়ায় দুনিয়াব্যাপী তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নিমিত্তে ডিসিপশান করে চলছে - জাতি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকল মানুষকে - যার অন্যতম লক্ষ্য হল মানুষকে স্রষ্টার সাথে সম্পর্কোচ্ছেদে বাধ্য করা।

তারা কখনো ১০০% সফল হবে না সত্য কারন একদল লোক তাদের রাডার এর বাহিরে অবস্থান করবে। মেজরিটি মানুষ ফেতনা ফ্যাসাদ ও বিতর্কে লিপ্ত হবে - আল্লাহ রক্ষা না করলে ঈমান হারা হবে। আল্লাহ ভাল জানেন।

ধন্যবাদ।
331258
২৩ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
শফিউর রহমান লিখেছেন : ধন্যবাদ সচেতনতামুলক লেখার জন্য। আপনার সন্দেহ অমূলক নাও হতে পারে।
টিভি স্ক্রীন থেকে মনে হলো ওগুলো কাগজের পাতায় লেখা। প্রশ্ন হলো, তখনকি এমন নিখুত এবং মিহি কাগজ তৈরী হতো? আমরাতো শুনেছি তখন চামড়ায় লেখা হতো। তাহলে...?!
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:০৮
274363
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম। ওরা বলছে ওটি ছাগল কিংবা ভেড়ার চামড়ায় লিখা।

ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, খন্ডাংশটি কোনদিন হাত ছাড়া করবে না- সো ইরাকের ডব্লিউএমডি কিংবা টুইন টাওয়ারের ট্রু তথ্য অনুসন্ধানের ন্যায় এটাও অধরা থাকবে প্রমান করার ক্ষেত্রে। কিন্তু তারপর ও তারা যা বলতে চাইবে তা তারা বলবে সাকসেসফুলি, বুক উচিয়ে - আর আমাদের মধ্যস্থিত সেক্যুলার জ্ঞানের মধ্যে আবদ্ধ মানুষেরা দিনকে দিন তাদের প্রতারনার ফাঁদে আবদ্ধ হবে এবং একে অপরকে এমন সব যুক্তি দিতে চাইবে যে অনেক মানুষই আল্লাহর স্টেইটমেন্ট অপেক্ষা ঐ যুক্তিবোধের কাছে নতি স্বীকার করবে।

এটাই উম্মাহর সচেতন ভাইবোনদের জন্য কষ্টকর অভিজ্ঞতা হয়ে বার বার ফিরে আসছে। আল্লাহ আমাদের সকলকে ঈমান হেফাজত করার তৌফিক দিন।
২৮ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
274427
শফিউর রহমান লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আচ্ছালাম। জ্বি, ভয় ঐ জায়গাতেই। ধন্যবাদ।
331270
২৩ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:৫৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ। যতটুক জানি সম্পুর্ন কুরআন প্রথম লিপিবদ্ধ করা হয় হযরত উসমান (রাঃ) এর শাসন আমলে যা ৬৪৪ থেকে ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ছিল। এত আগে পুর্নাঙ্গ কোন কুরআন এর টেক্সট পাওয়ার কথা নয়। হযরত উসমান(রাঃ) এর আমলে সংরক্ষিত কপি কিন্তু ইস্তাম্বুল সহ কয়েকটি জায়গায় এখনও আছে।
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:১০
274364
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

ফ্যাক্টসটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি অন্য কোন ভাই স্পেসিফিকেলী জানলে শেয়ার করবেন ঐ সংরক্ষিত কপিটি কি পূর্নাংগ না খন্ডাংশ?
331281
২৩ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:১৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : অতঃপর এ কোরানের খন্ডকে অথরিটিটিভ পজিশনে প্রতিস্থাপন করবে। এবং তারপর সময় সুযোগ বুঝে ঢালাও ভাবে প্রচার করবে যে, এ কোরানের সাথে আজকের পঠিত কোরানের অমুক ও তমুক জায়গায় অতি সুক্ষ কিংবা স্থুল অমিল পাওয়া গেছে। এবং স্বাভাবতঃই নতুন একশ্রেনীর আলোচক এর পক্ষে এবং আর এক পক্ষ বিপক্ষে আলোচনা করে বিশ্বের অর্ডিনারী মুসলিম ও নন মুসলিমের মনে স্থায়ীভাবে কোরানের মৌলিকত্বের প্রতি সন্দেহ ডুকিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা নিবে।

এই কথাটি আমার কাছে ১০০% সত্য মনে হইতেছে।
মুসলিমদের বিরুদ্ধে সারা দুনিয়ার কাফিররা এক ও অভিন্ন।
তবে আশার বাণী হল মহান আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তার প্রবিত্র কোরআনকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে হেফাজত করবেন।
জাযাকাল্লাহ খাইর
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:২১
274365
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
মহান আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তার প্রবিত্র কোরআনকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে হেফাজত করবেন। নিশ্চয়ই - এটাই আল্লাহর প্রমিজ।

কিন্তু কোরানের উপর ভিত্তি করে যে 'উদ্ভুত জ্ঞান' তথা (তাফসীর - ব্যাখ্যা/এক্সপ্লানেশান, তাওয়িল- বোধ/বিশ্লেষন/ইন্টারপ্রিটেশান করার ক্ষমতা) ইত্যাদি মানুষের অন্তর হতে আল্লাহ তুলে নিবেন - তথা মানুষ যুগোপযোগী কোরানের নির্ভুল আন্ডারস্ট্যান্ডিং আর পাবে না - তথা কোরানের উপর ভিত্তি করে আমল করতে অপারগ হবে। তথা সন্দেহ ও সংশয় বাড়বে। কোনটা আমলযোগ্য আর কোনটা নয় - এ নিয়ে বিতর্ক হবে। ঈমান হারা হবে অনেকে কিংবা এমন কিছু। আল্লাহ ভাল জানেন।

ধন্যবাদ আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য।
331306
২৩ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৫
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আপনার এ সন্দেহ অমূলক না। ১০০% সত্য। তাদের ফেতনা অনেক মুসলমানের ঈমানের বারটা বাজাবে । অপেক্ষা করুন এবং দেখুন।
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:২৫
274367
সাদাচোখে লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

আপনার ধারনা মতে কোরানের উপর অনেক মুসলমানের বিশ্বাসের ভিত্তিতে যে টানাপোড়ন লাগবে - সে বিষয়ে ইন্ডিকেটিভ বেশ কিছু মতামত হাদীসের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষনে আছে। মোহাদ্দীস ভাইরা হয়তো সে সব হাদীস সহজেই কোট করতে পারেন - তাতে অনেকের উপকারে হবে হয়তো।

আল্লাহই ভাল জানেন।
331331
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ১১:৫৩
স্বপন২ লিখেছেন : আশার বাণী হল মহান আল্লাহের ইচ্ছায়
কয়েক কোটি হাফেজ রয়েছে পৃথিবীতে।
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:৩৬
274368
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
আলহামদুলিল্লাহ্‌। আল্লাহর অশেষ রহমত যে তিনি আমাদের এমন এক কিতাব দিয়েছেন যে কিতাবের কোন না কোন অংশ প্রতিটি অনুসারীই হৃদয়ে ধারন করেন আর তার উপর পুরোটা হৃদয়ে ধারন কারীর সংখ্যাও অসংখ্য।

এই লিখাটি মূলতঃ কোরানে কোন পরিবর্তন হবে এ আশংকা হতে উদ্ভুদ্ধ নয় কারন এর হেফাজত মহান আল্লাহর জিম্মায় আছে।

এ লিখাটি মূলতঃ আমাদের ঐ সবল ও দূর্বল ভাইদের জন্য - যারা আগামীতে বৃটিশ ও তার সেবাদাস মিডিয়ার কোন কারসাজিতে যেন প্রতারিত না হন তথা কিতাবের অথেনটিসিটি নিয়ে সন্দেহ ও ফেতনায় না জড়ান - ঠিক যেমন আজকের আইসিস, আল কায়েদা, ৯/১১, ইয়েমেন ও সিরিয়া যুদ্ধ, নজদ এর শয়তানের শিং ইত্যাদি নিয়ে বিতর্ক করছেন ও প্রতারিত হচ্ছেন।
১০
331340
২৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:৩৫
বাকপ্রবাস লিখেছেন : চটকদার খবর তাই প্রচার করিনা, ফেবুতে শেয়ার দিইনা, কারান আসল ভিত্তিটা না জানলে আপনার আশংকাটাই সত্য হবে, অংসান সুচী ফেইসবুকে প্রতিদিন ইসলাম গ্রহণ করে, আর ইসলাম যেহেতু সত্য ধর্ম তাই পাশ্চাত্য ভয়ে থাকে, তাদের মিডিয়া দিয়ে ইসলাম ফোবিয়া সৃষ্টি করে মানুষকে ইসলাম থেকে দুরে সরে রেখেছে, এখন কোরানটা যদি বিতর্কিত করতে পারে তাহলে তাদের আর চিন্তা নেই, বাকি কাজটা আইএসএস টাইপ মুসলমিল নামের ইহুদীদের দিয়ে সেরে নেবে
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:৪৭
274369
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
আপনি যথার্থই বলেছেন। পশ্চিমে থাকা প্রতিটি সচেতন মানুষ যিনি অনুসন্ধিতস্যু মনের এবং পৃথিবীর উপর পড়ালিখা করেছেন এবং এখনো খোজ খবর রাখেন - তিনি জানবেন আপনার লিখার সারাংশটি কতটা সত্যের কাছাকাছি।

মূলতঃ স্রষ্টাদ্রোহী শক্তিটি পশ্চিমা মানুষের মন ও হৃদয় হতে প্রায় ৪০০ বছর ধরে কাজ করে স্রষ্টাকে বিতাড়িত করেছে এবং সে স্থলে বিকল্প স্রষ্টা সমূহকে প্রতিস্থাপিত করেছে - যাদের পেছনে এ সব দেশের মানুষ ১৫/১৬ ঘন্টা ব্যায় করে এবং সম্প্রতি স্রষ্টার শত্রুতা করতে গিয়ে ঐ একই এনটিটির একাংশ শয়তান পূজায় পশ্চিমা মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করছে। যা তারা গত ৪০০ বছর ধরে পশ্চিমা সমাজে করেছে গত অর্ধ শতাব্দীর কিছু অধিক সময় ধরে সে কর্মটি তারা স্রষ্টা প্রেমী মুসলিমদের মধ্যে প্রতারনা,স্পাইয়িং ও জোর-জবরদস্তি ও যুদ্ধের নামে করে যাচ্ছে।
এদের সম্পর্কে কম জানা কিংবা কোরান ও হাদীসের আলোকে এদেরকে বুঝতে না পারার জন্য সাধারন আলেম ও মুসলমানরা স্বভাবতঃই প্রতারিত হচ্ছে এবং মোসাদের এজেন্টকে মুসলিম, আই সিস, আল কায়েদার কাজকে মুসলমানের কাজ বলে বিশ্বাস করছে।

আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File