দয়া করে ইসলামের বিভিন্ন দল উপদল কে আক্রমন করা বন্ধ করুন।

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ০৩ জুন, ২০১৫, ০৫:১২:০২ সকাল

বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহিম

আলহামদুলিল্লাহ্‌। এ ব্লগ এ অনেক ভাই ও বোনকে আমি পাই, যারা ইসলাম ও এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খোলা হাতে অকপটে লিখেন এবং পাঠককে ইসলামের এমন কিছু দরোজা ও জানালার সন্ধান দেন - যেখানে পাঠক নতুন ভাবনা চিন্তা করার যেমন সুযোগ পান তেমনি ইসলামের মহত্ত ও বিরাটত্বের ও স্বাদ আস্বাদন করেন।

এর বিপরীত চিত্র হিসাবে সম্প্রতী আর একটি ইসলামের চিত্র বিমূর্ত হয়ে উঠছে। আর তা হল নবী মোহাম্মদ সঃ এর ঘোষিত ৭৩টি উম্মত এর মধ্যে ব্লগযুদ্ধ - যার উপাদান হল লিটারেলী খিস্তি খেউড়, আক্রমন, অপমান ও অপদস্থতা, রেশারেশি ই্ত্যাদি।

দয়া করে যুদ্ধাংদেহী মনোভাবাপন্ন ঐ সব ভাই বোনদের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনারা ইস্যু ভিত্তিক লিখুন এবং কোরান হাদীসকে সামনে আনুন। দল, মত, পথকে গ্রসলি এ্যাটাক করা হতে বিরত থাকুন। ঐ সব দল, মত ও পথের ফলোয়ারদের কাছে সত্য উপস্থাপন করুন - এবং তারপর ফলোয়ারদের কে বিবেচনার জন্য ছেড়ে দিন। আল্লাহ যাকে গাইড করবে নিশ্চয়ই সে ভুল পথে থাকলে বের হয়ে আসবে আর সঠিক পথে থাকলে আপনাকে সঠিক পথে আনতে কাজ করতে পারবে।

সুতরাং দয়া করে শিয়া, সুন্নী, আহলে হাদীস, সালাফী, মাজার পূজারী, দেওবন্দী ইত্যাদি গ্রুপ, উপগ্রুপ কিংবা পথকে আক্রমন না করে তাদের বিলিফ এর কোন অংশটুকু আপনার কাছে নেগেটিভ কিংবা পজেটিভ - তা নিয়ে আলোচনা করুন। পুরো গোষ্ঠীকে আক্রমন করার অর্থ দাঁড়ায় আপনি আপনার গ্রুপটিকে ১০০% শুদ্ধ মনে করছেন ঠিক যেমনটি অন্যান্য গ্রুপের মানুষ ও নিজের গ্রুপটিকে ১০০% শুদ্ধ মনে করেন। অথচ আল্লাহ ছাড়া আমরা কেউ ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারিনা আমার মত কিংবা পথ টি ১০০% সঠিক।

আশা করি আমরা সচেতন হব এবং অন্যদেরকে সচেতন করবো। আমার লিখায় কোথাও কোন আক্রমন হয়ে গিয়ে থাকলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।

বিষয়: বিবিধ

১৩৮২ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

324275
০৩ জুন ২০১৫ সকাল ০৫:২০
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : বলে কোনো লাভ নেই, যাদের চুলকানি বেশি তারা লিখবেই...! Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out
০৩ জুন ২০১৫ সকাল ০৫:৪০
265930
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!
হয়তো, আপনি ঠিক বলেছেন।

আমরা বড় জোর আমাদের সীমাবদ্ধ সামর্থ্যের আলোকে চেষ্টা করতে পারি।

এতে হয়তো আমরা আল্লাহর সাহায্য পাবো - নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রন করার।

ধন্যবাদ সমস্যাটিকে এ্যাকনলেজ (বাংলা মনে করতে পারছিনা) করার জন্য।
324282
০৩ জুন ২০১৫ সকাল ০৬:০৩
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আলহামদুল্লিলাহ। ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন।কিন্তু করবেন বলেন, এক শ্রেণির মানুষ আছে যাদের ভাল কথা শুনিয়ে কানের পর্দা ফাটিয়ে দিলেও কোন লাভ হয় না।
আর ঐ শ্রেণির মানুষের মর্ধ্যে মাঝে মাঝে আমিও পড়ি আবার আপনিও।

আসুন দোয়া করি আল্লাহ আমাদের এ সকল কাজ হতে দূরে রাখুন।
০৩ জুন ২০১৫ সকাল ১১:২৮
265993
আবু জান্নাত লিখেছেন : যে বিষয়টি নেগেটিভ মনে হয় সেটি তুলে ধরে সত্যটা দলিল প্রমাণ দিয়ে ব্যখ্যা করা জ্ঞানিদের দায়িত্ব। কেউ গ্রহন করুক আর না করুক। আল্লাহর ইচ্ছাতেই মানুষ হেদায়েত পায়।
০৪ জুন ২০১৫ রাত ১২:০২
266247
সাদাচোখে লিখেছেন : আস্‌সালামুআলাইকুম। দোয়া করি আল্লাহ আমাদের এ সকল কাজ হতে দূরে রাখুন।

@ আবু জান্নাত, আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। আল্লাহর ইচ্ছাতেই মানুষ হেদায়েত পায়।
324299
০৩ জুন ২০১৫ সকাল ০৭:০৭

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : ভাই, না বুঝে কথা বলেন কেন! ইসলাম ধর্মে দল উপদল, ৭২ ফ্যাকরা, ফিৎনা, খুনাখুনি, মারামারি থাকবেই। এটা নবী মোহাম্মদ নিজে বলে গেছেন। আপনি চাইলেই তা বন্ধ হবে না।
০৪ জুন ২০১৫ রাত ১২:১৮
266248
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
ইসলাম ধর্মে দল উপদল, ফ্যাকরা, ফিৎনা, খুনোখুনি, মারামারি ইত্যাদির অস্তিত্ব নেই।

মানুষ, তার স্বার্থের জন্য কিংবা শয়তানের প্ররোচনায় - দল, উপদল, ফ্যাকরা, ফিৎনা, খুনোখুনি, মারামারি করে।

ইসলাম ঐ সবকে হারাম করেছে কিংবা নিষিদ্ধ করেছে এবং সবাইকে বিরত থাকতে বলেছে।

সে সাথে প্রতিটি মানুষকে দায়িত্ব দিয়েছে - অন্য মানুষকে শান্তির দিকে আহ্বান জানাতে - পরকালকে মনে করিয়ে দিতে এবং ভাল কাজে সহযোগীতা করতে।

জাহান্নাম প্রচন্ড ভয়ংকর, প্রচন্ড কষ্টকর। কে না চাইবে নিজে যেমন ঐ জাহান্নাম হতে বাঁচতে - তেমনি অপরাপর মানুষকে ও সে জাহান্নাম হতে বাঁচাতে - আলটিমেটলী আমরা তো মানুষ এবং মানুষ মানুষকে এ্যাট দ্যা এন্ডে ভালবাসেই। কি বলেন?
324302
০৩ জুন ২০১৫ সকাল ০৭:৪৬
ছালসাবিল লিখেছেন : নিশ্চই একটি দল কিয়ামত পর্যন্ত সত্যপথে কায়েম থাকবে। সেই দলকে খুজে নিতে হবে। Love Struck
০৪ জুন ২০১৫ রাত ১২:২৪
266250
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম। নিশ্চয়ই।

ইসলাম আমাদেরকে তাই ই বলছে। আমরা যদি খোলা চিত্তে - কোরআনুল হাকিম কে সত্য ও মিথ্যা নির্নয়ের একমাত্র/মূল মাপকাঠি হিসাবে বসাতে পারি - এবং তার আলোকে বাদবাকি শিক্ষা, প্রশ্ন ও পাজেল গুলো সাজাতে সচেষ্ট হই - তবে নিশ্চয়ই আপনার বলা সেই দলটি খুঁজে পেতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সাহায্য করবেন, ইনশাল্লাহ্‌।
324320
০৩ জুন ২০১৫ সকাল ১১:২৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সুন্দর একটি কথা বলেছেন। প্রস্তাবটি অত্যন্ত সুন্দর, যে বিষয়টি নেগেটিভ মনে হয় সেটি তুলে ধরে সত্যটা দলিল প্রমাণ দিয়ে ব্যখ্যা করা জ্ঞানিদের দায়িত্ব। কেউ গ্রহন করুক আর না করুক। আল্লাহর ইচ্ছাতেই মানুষ হেদায়েত পায়। সুন্দর পোষ্টের জন্য জাযাকাল্লাহ খাইর
০৪ জুন ২০১৫ রাত ১২:৩৫
266253
সাদাচোখে লিখেছেন : ওয়ালাইকুমুসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।

আপনি যথার্থই বলেছেন। অল্প কথায় সুন্দর করে গুছিয়ে বলেছেন।

ইনশাল্লাহ, আমরা আমাদের আগামী লিখায় তা বাস্তবায়ন করতে পারবো।

ওহ আল্লাহ, আমাদের জন্য আপনি তা সহজ করে দিন।
324326
০৩ জুন ২০১৫ সকাল ১১:৩৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
যেটা প্রয়োজন অন্যের কথা শুনার মানসিকতা কিন্তু সেটাই আমাদের নাই।
০৪ জুন ২০১৫ রাত ১২:৪২
266258
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
ঠিক বলেছেন সবুজ ভাই। কিন্তু তারপরও আমরা পারি রিমাইন্ডার দিতে - এতে করে কেউ না কেউ সংশোধন যেমন হতে পারে - তেমনি নিজের মানুষিকতায় ও পরিবর্তন আসতে পারে, আরো উন্নতি হতে পারে। আল্লাহ আমাদেরকে ওয়ার্ন করেছেন - আমরা সবাই ই বড় বেশী 'ক্ষতি'র মধ্যে আছি।

আজকে আমি সুরা কাহাফের খিদির আঃ এর উপর চমৎকার ইনসাইট সম্পন্ন একটা বক্তব্য শুনছিলাম। যেখানে জানলাম খিদির মানে হল সবুজ - অর্ডিনারী সবুজ না।

মাশাআল্লাহ আপনি আমাদের জন্য খিদির আঃ যেমন মুসা আঃ এর জন্য এক্সক্লুসিভ নলেজ এর সোর্স হিসাবে কাজ করেছিলেন - আপনি ও এ ব্লগে অমন এক্সক্লুসিভ জ্ঞানের সোর্স/মোটিভেশান হিসাবে, এই ব্লগ এ কাজ করছেন।
324362
০৩ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:৩২
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : এই দরনের সচেতনতা মুলক পোস্ট সময়ের দাবি।
ছোট-কাট মতবেধের কারণে জামায়াত-শিবির, হেফাজত, তাবলীগ, চরমোনাই,সালাফি, আহলে হাদীস ও অন্যআন্য সব ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলেও অন্তত একদল অন্য দলের বিরুধিতা করবেনা এই রকম একটা চুক্তি হওয়া সময়ের দাবি। জামায়াত-শিবিরের ভাইদেরকে এগিয়ে আসতে হবে ইসলামী দলগুলোকে চুক্তিটা করাতে। কারন তারাই সবচেয়ে বড় দল।

সুরা মায়িদাতে আল্লাহ লিখেছেন, 'ইচ্ছা করিলে আল্লাহ তোমাদেরকে এক জাতি করিতে পারিতেন। কিন্ত তিনি তোমাদিগকে যাহা দিয়েছেন তদ্দ্বারা তোমাদিগকে পরিক্ষা করিতে চাহেন। সুতারাং সৎকর্মে তোমরা প্রতিযোগিতা কর।"-৪৮ নং আয়াতের আংশিক।
পুরা আয়াতটা মনযোগ দিয়ে পড়লে ঘঠমান সময়ের অনেক রহস্য জানা যাবে।


দেখা যাক পরিক্ষা পাশের ও সৎকর্মে প্রতিযোগিতাই কোন দল এগিয়ে আসে। এই করুন সময়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সতকর্ম ।

জাযাকাল্লাহ খায়ের! আল্লাহ আপনার কলমের জোর বাড়িয়ে দিন
০৪ জুন ২০১৫ রাত ০১:৫৮
266268
সাদাচোখে লিখেছেন : আস্‌সালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
চমৎকার প্রস্তাব। উত্তম একটি কাজ হবে।

আমরা চাইলে - এ ব্লগে এমন একটা উদ্যোগ নিতে পারি। যেখানে আমরা বিভিন্ন মত ও পথের মানুষেরা 'কোরান' এর আলোকে সন্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে আলোচনার নিমিত্তে সহজ সরল ভাষায় একটা 'কোড অব কন্ডাক্ট' তৈরী করতে পারি। এবং সে সাথে ইসলামিক ইস্যুতে লিখালিখি রত ভাই বোনদের ঐ কোড অব কন্ডাক্টকে ফলো করার জন্য উৎসাহিত করতে পারি।

ইনশাল্লাহ এর পর আমরা সেই কোড অব কন্ডাক্টকে গ্রাজুয়ালী বিভিন্ন মত ও পথের নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের সাথে শেয়ার করতে পারি এবং তাদের স্বাক্ষর কিংবা কমিটমেন্ট আদায় করার জন্য কাজ করতে পারি।
০৫ জুন ২০১৫ দুপুর ০২:৫৩
266758
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : ওআলাইকুম আস্‌সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বরকাতুহ।
আপনার প্রস্তাব আমার খুব পছন্দ হয়েছে। উৎসাহ মুলক 'কোড অব কন্ডাক্ট' উদ্যোগটা আপনিই শুরু করুন একটা পোস্ট দিয়ে
আপনার কলমের জিহাদ লেখনি শক্তি দিয়ে মহান আল্লাহ যেন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তৌফিক দান করেন, আমীন।
জাযাকাল্লাহ খায়ের! আল্লাহ আপনাকে সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করার তৌফিক দিন
324388
০৩ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১১
সালাম আজাদী লিখেছেন : এই ফিরকার হাদীস টা নিয়ে চার বছর টানা আলোচনা শুনে যখন আমার উস্তায থামলেন, তখন আমি বল্লাম উস্তায, আমার নবী (স)যিনি মাত্র কয়েক শ গজ দূরে শুয়ে আছেন, তিনি কিন্তু বলেছিলেন: সাতাফতারিক্বু উম্মাতি.... মানে আমার উম্মাত বিভক্ত হবে। মানে আমার নবী (স) ঐ সব বিভক্ত মুসলিম কে 'উম্মাতী' বলেছেন।
আসলে যখন থেকে স্কলারদের মুখে এই সব বিভাজনের কথা শুনতে শুরু করেছি, সেখান থেকেই ভাবি কি সুইসাইডাল উম্মাহ হয়ে গেছি আমরা।
০৪ জুন ২০১৫ রাত ১২:৫২
266260
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহ।

'তখন আমি বল্লাম উস্তায, আমার নবী (স)যিনি মাত্র কয়েক শ গজ দূরে শুয়ে আছেন, তিনি কিন্তু বলেছিলেন: সাতাফতারিক্বু উম্মাতি.... মানে আমার উম্মাত বিভক্ত হবে। মানে আমার নবী (স) ঐ সব বিভক্ত মুসলিম কে 'উম্মাতী' বলেছেন'।

আল্লাহু আকবর। এই জাতীয় আলোচনায় শয়তান আমাদেরকে সাফল্যের 'সাতাফতারিক্বু উম্মাতি.... মানে আমার উম্মাত' - এই ফ্যাক্টসটি ভুলিয়ে ছাড়ে।

'সুইসাইডাল উম্মাহ' - চমৎকার বলেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে সংশোধনের সুযোগ করে দিন।
324594
০৪ জুন ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৬
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। কি মন্তব্য করব বুঝতে পারছিনা। একটা বিষয় ভাইয়া আমি রেষারেষি ছড়াবোনা ঠিক আছে কিন্তু যেটুকু সত্যি সেটুকুও কি তুলে ধরা উচিত না? আমার মনে হয় আপনি আমার কিছু লেখায় মোটেও খুশিনা। আশা করি আপনার মতামতটা জানাবেন।
০৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৪
266424
সাদাচোখে লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম।

সত্য অবশ্যই বলতে হবে। এবং তা এমন ভাবে যাতে বিপথে থাকা ভাইদের কনসাসনেস আসে - এ্যাজ ইফ আপনি দাওয়াত দিচ্ছেন হেদায়েত এর পথে আসার জন্য। এ্যাজ ইফ আপনার খুব আপনজন কেউ শিরক করলো কিংবা কোন কুফরী করলো - আপনি তাকে বুঝিয়ে দিবেন এবং আন্তরিকভাবে চাইবেন - তাকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে ফিরিয়ে আনতে।

আপনি আমি আমরা সকলে ভিন্ন ধর্মের একজন মানুষকে কত যত্ন করে ইসলামের দাওয়াত দেই, কত যত্ন করে যুক্তি দিয়ে, ফ্যাক্টস ও ফিগারের অবতারনা করে - চাই যে সে সত্যটাকে আকড়ে ধরুক এবং দোযখের আগুন থেকে বাচুক। তবে কেন আজকে আমাদের মধ্যস্থিত কম জানা, না জানা, কনটামিনেটেড হওয়া, বিভিন্ন প্রেশারে ও কৌটিল্যের কারনে শত শত বছরের ঘাত - প্রতিঘাতে ধর্মের ট্রু স্পিরিট হতে সরে গেছে - তাদেরকে কেন একটু যত্ন করে দাওয়াত চালাবো না? তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা তো আরো বেশী। নিশ্চয়ই আপনার একটা লিখার জন্য একজন শিয়া কিংবা অন্য কোন মত ও পথের লোক যদি কোরানের কাছে মাথা নত করে, সুন্নাহ কে আকড়ে ধরে - তবে নিশ্চয়ই আপনি এর যথাযথ পারিশ্রমিক পাবেন কাল কেয়ামতের কঠিন সময়ে।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে সব সময়ই ভাল বোধ করি, সন্মান করি, ভালবাসি ঐ সব ভাই ও বোনদের - যারা কোরান হাদীসের জ্ঞান ভান্ডার কে ব্যবহার করে - আমাদের মত অর্ডিনারী মানুষদের আল্লাহর পথে ফিরিয়ে আনতে কাজ করেন, বিমুখ করেন না।

আপনি বিশ্ব পলিটিক্স এ চোখ রাখলে দেখবেন ইজরাইল এখন লোকচক্ষুর অন্তরালে ক্যামোপ্লেজ নিয়ে প্যারালালী অনেক গুলো কাজ করছে।

১। পৃথিবীর বেশীর ভাগ স্বর্ন তাদের দেশে নিয়ে গেছে।
২। আমেরিকাকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এমন ভাবে লাগিয়ে দিয়েছে যে - যুদ্ধ ভিন্ন অন্য কোন সমাধান নেই।
৩। পুরো ইউরোপ মাথার চুল ছিড়ছে ন্যাটো মেম্বারশীপ এর জন্য - কিন্তু যুদ্ধে না জড়ানো ছাড়া কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছে না।
৪। আমেরিকাকে চায়নার বিরুদ্ধেও জড়িয়ে ফেলেছে - চায়নাকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে ডু অর ডাই সিচ্যুয়েশান এ এবং বাধ্য করা হচ্ছে রাশিয়ার ঘরে যেতে। এবং সে সাথে মেজর শক্তি সমুহকে (ইউএস, ইউরোপ, জাপান অস্ট্রেলিয়া বনাম রাশিয়া ও চায়না) সবকটাকে একসাথে ধ্বংশ করা। যাতে সোলাইমান আঃ এর ইসরাইল স্টাবলিশ করতে কেউ থাকবে না বাধাঁ দেবার।
৫। আই এসকে দিয়ে পশ্চিমা মানুষদের সামনে সিনেমা দেখানো হচ্ছে এবং বিশ্বাস করানো হচ্ছে যে - মুসলমান মাত্রই পাগলা কুকুরের ন্যায় - এদের রক্তের জন্য পুরো পশ্চিমা সমাজের শিকড় গজাচ্ছে। যাতে যুদ্ধ লাগলেই পশ্চিমারা তাদের দেশের গণমুসলমানের রক্তে গোসল সারতে পারে।
৬। সৌদীকে দিয়ে ইয়েমেন এ আর তার্কিকে দিয়ে সিরিয়ায় আক্রমন করাচ্ছে এবং করাতে যাচ্ছে - উদ্দেশ্য একটাই ইরানকে রাশিয়ার বলয় থেকে বের করে এনে সৌদীর স্থলাভিষিক্ত করা, পাকিস্থানে সিভিল ওয়ার সৃষ্টি করে নিউক্লিয়ার মুক্ত করা এবং তারপর পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে দখল করা এবং সৌদী সহ সকল রাজতন্ত্রকে হেগের আদালতে সোপর্দ করা। সেসাথে কোন নয় ছয় হলে এনথ্রাক্স কিংবা জীবানু বোমায় ধ্বংস করে জয়নাব রাঃ এর ঘরে মোহাম্মদ সঃ এর হাদীসকে বাস্তবায়ন করা।

- এমনি বিষয়গুলো দিনের আলোর মত সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। ক্লিয়ারলী কোরানের প্রফেসী ও হাদীসের প্রফেসী গুলো বিমূর্ত হয়ে উঠছে - স্বভাবতঃই আমি চাই আপনাদের মত ইনফ্লুয়েন্সিয়াল রাইটার রা মানুষকে সচেতন করবেন যাতে নিজেরা নিজরা হত্যায় খুনো খুনিতে না জড়ায় - এবং আনন্যেচেচারিলী জুলুম কিংবা নির্যাতনের হালখাতা নিয়ে আল্লাহ সামনে না দাঁড়ায়। মজলুমের পক্ষে আল্লাহ থাকবেন - কিন্তু কোন কারনে জুলুম হয়ে গেলে আল্লাহর ক্ষমা কিভাবে পাওয়া যাবে বলেন?
০৪ জুন ২০১৫ রাত ১১:৫০
266557
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ৬ নাম্বার পয়েন্টে কথা আছে। আমিও মানছি সেটার সত্যতা আছে কিন্তু যুদ্ধটা কি বাশার আল আসাদ অনেকাংশে চাপিয়ে দেয়নি? ইরান ও হিজবুল্লাহ ব্যাকড বাশার আল আসাদ যে সিরিয়া জুড়ে সুন্নী হত্যায় মেতে উঠেছে (কারণ সে নূসাইরী যারা শিয়া মতবাদগুলোর মাঝে সুন্নীদের প্রতি সবচাইতে বিদ্বেশ পোষণ করে)যুদ্ধ ছাড়া তার প্রতিকারই বা কি? আমরা যেমন চোখের সামনে রোহিঙ্গাদের মরতে দিচ্ছি এভাবেই বসে বসে সুন্নীদের মরে শেষ হয়ে যাবার অপেক্ষা করা? নাকি প্রতিরোধে যাওয়া? আর সিরিয়ার ফ্রি সিরিয়ান আর্মি সরাসরি পশ্চিমা মদদ পাওয়া ও ইসলামিক ফ্রন্ট সৌদি ও তুরষ্কের হাতে গড়া কিন্তু জাবহাত আন নুসরাহ যারা আল কায়েদার সিরিয়ান শাখা যারা একাধারে বাশার আল আসাদ অন্যদিকে নিয়মিত মার্কিন বিমান হামলারও শিকার হচ্ছে। এই ব্যাপারে আপনার ব্যাখ্যা কি?
আর আপনি এটি তো জানেনই এটা হাদিসে বর্ণিত সিকোয়েন্স। ইরাক, আস শাম(ফিলিস্তিন, সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন, তুরষ্কের কিছু অংশ)এর পর ইয়েমেন ও মিশরের পতন হবে। সিরিয়ার সাথে মুসলিমদের ভাগ্য জড়িত কারণ এখানেই খৃষ্টানরা মুসলিমদের চিরতরে শেষ করার জন্য একত্রিত হবে এবং ভয়াবহ যুদ্ধ হবে যা কিনা খুব তাড়াতাড়ি ঘটতে যাচ্ছে।
আর হ্যা! আমার ধারণা আপনি যেহেতু হাদিস নিয়ে ঘাটাঘাটি করছেন তখন এটাও আপনার কাছে ক্লিয়ার। মার্কিন জোটের সাথে রাশিয়ান জোটের যুদ্ধ লাগবে কারণ তা হাদিসের কেয়ামতের ভবিষ্যৎবাণীর সাথে জড়িত। আর এটাও জানেন যে কেন ইজরাইল সোনা মজুদ করছে? এই সকল যুদ্ধ, সোনা মজুদ ইত্যাদির সাথে ইজরাইলের ফ্রন্টলাইনে আসার সম্পর্ক বিদ্যমান কারণ এভাবেই হাদিসে বলা হয়েছে আর ফ্রন্টলাইনে আসা মানেই দাজ্জালের স্বশরীরে আত্বপ্রকাশ যা এখন দাজ্জাল চায়না। সে চায়না মানুষ তাকে মানুষ চিনে ফেলুক। সে নিরাপত্তা পরিষদ আর জাতিসংঘের রূপ ধরে থাকতে চায়।
০৪ জুন ২০১৫ রাত ১১:৫৪
266558
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আর যায়নাব বিনত জাহাশ (রাঃ) এর বর্ণিত হাদিসটি আজ হোক বা কাল তা তো সত্যি পরিণত হবেই কিছুটা তো হচ্ছেই।
১০
324680
০৪ জুন ২০১৫ রাত ১১:৩৮
আফরা লিখেছেন : খুব সুন্দর সময়ের প্রয়োজনীয় পোষ্ট ।অনেক ভাল বলেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া ।
১২ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১১
271984
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম। ধন্যবাদ আপনাকে ও।
১১
329580
১১ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:০১
মিজবাহ লিখেছেন : চমতকার বলেছেন,"সুতরাং দয়া করে শিয়া, সুন্নী, আহলে হাদীস, সালাফী, মাজার পূজারী, দেওবন্দী ইত্যাদি গ্রুপ, উপগ্রুপ কিংবা পথকে আক্রমন না করে তাদের বিলিফ এর কোন অংশটুকু আপনার কাছে নেগেটিভ কিংবা পজেটিভ - তা নিয়ে আলোচনা করুন। পুরো গোষ্ঠীকে আক্রমন করার অর্থ দাঁড়ায় আপনি আপনার গ্রুপটিকে ১০০% শুদ্ধ মনে করছেন ঠিক যেমনটি অন্যান্য গ্রুপের মানুষ ও নিজের গ্রুপটিকে ১০০% শুদ্ধ মনে করেন। অথচ আল্লাহ ছাড়া আমরা কেউ ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারিনা আমার মত কিংবা পথ টি ১০০% সঠিক। "
১২ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৩
271985
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
ঠিক, আমরা মানুষরা কোন দিন ও ক্লেইম করতে পারিনা যে আমরা ১০০% সঠিক।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File