গনতন্ত্রের পক্ষাবলম্বন করে লিখা সমূহ যখন মর্মপীড়ার কারন হয়। একটি রিএ্যাকশান।
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ২২ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:৩১:৩৭ সকাল
বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহিম।
আস্সালামুআলাইকুম!
অনেকেই রাসুলুল্লাহ সঃ এর করা শুরা কিংবা পরামর্শ কে সামনে এনে গনতন্ত্রের পক্ষে সাফাই যুক্তি দেন। আবার অনেকেই মেজরিটির মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া - ইসলামিক, এমন বলার চেষ্টা করেন। অথচ ওনারা এই দুটির কোনটিকে ফ্যাক্টস, ফিগার ও যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করতে পারছেন না। ইসলামিক ফ্যাক্টস, ফিগার ও যুক্তি বিহীন - কিন্তু মানুষের স্বাভাবিক চিন্তা ও ভাবনা প্রসুত এই আইডিয়োলজী - তথা গনতন্ত্র আখেরে যা করছে তা হল গনমুসলিমকে এ্যাবসুলুটলী প্রতারিত করেছে, করছে এবং আগামীতে করবে। গণমানুষের উদ্যমী অংশটুকুকে গনতন্ত্রের জন্য আত্মাহুতি দিতে বাধ্য করছে কিন্তু আল্লাহর জন্য শহীদ হবার রাস্তায় লিটারেলী নিরুৎসাহিত করছে কিংবা বলতে পারি দেরী করাচ্ছে - ফলাফল হয়েছে এই যে - বাংলার আকাশে আল্লাহদ্রোহী রাজীব ও শহীদ হয়েছে এবং হিন্দু র ছেলে অভিজিৎ ও শহীদ হিসাবে বাংলায় খ্যাত হয়েছে।
সুতরাং সময় হয়েছে এর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া বিচার বিশ্লেষন করার এবং প্রয়োজনে এর যৌক্তিক ডিমাইজ বা মৃত্যু নিশ্চিত করা এবং সম্ভব হলে এর পোষ্টমর্টেম করে আগামীর প্রজন্মের জন্য শিক্ষামূলক যথাযথ ডকুমেন্টেশান নিশ্চিত করা।
যাই হোক আমার ব্যাক্তিগত আন্ডারস্ট্যান্ডিং হল -
১। গনতন্ত্রের কোন ইউনিভার্সাল প্রাকটিক্যাল সংজ্ঞা নেই। এটা স্থান, কাল, পাত্র ও সময় ভেদে পরিবর্তিত হয়। যেমন হাসিনার গনতন্ত্র, বুশের গনতন্ত্র আর টনি ব্লেয়ারের গনতন্ত্র - একটি হতে অন্যটি শুধু ভিন্ন ই নয়, তিনটি ভিন্ন চেহারার, ভিন্ন কেমিস্ট্রির গনতন্ত্র। কিন্তু কোরান ও এর দ্বারা সৃষ্ট ইসলাম স্থান, কাল, পাত্র ও সময় ভেদে কোন পরিবর্তন হয় না, হতে পারে না। সুতরাং শাসন করার ক্ষেত্রে গনতন্ত্র হল সুবিধাবাদী যে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে রং পরিবর্তন করে। কিন্তু ইসলাম শাসন করার ক্ষেত্রে ঐ পরিবর্তনশীলতা হারাম করে দিয়েছে।
২। গনতন্ত্র আলেম, মূর্খ, জালেম, মুজলুম, বোধসম্পন্ন ও নির্বোধ সবার মতামতকে আমলে নেয়। এবং সে মতামত এর কোন ডকুমেন্টেশান নেই তথা এটা প্রমান করার অযোগ্য, মতামত প্রধানকারী কোন কোন এ্যাকাউন্টেবিলিটি কিংবা র্যাশানাল দেবার সুযোগ নেই - তার মানে হল - যে কোন সময় চাইলে - কেউ না কেউ ফলাফল পরিবর্তন যেমন করতে পারে তেমনি কেউ একজন তার লয়ালটি কিংবা সাপোর্ট যে কোন সময় ওলট পালট করতে পারে। কিন্তু ইসলাম সংশ্লিষ্ট বিষয়ের এক্সপার্ট এর মতামতকে শুধু আমলে নেয় - কিন্তু সিদ্ধান্ত সবসময়েই শুধু আমীর এর এক্তিয়ারভুক্ত - যিনি আল্লাহকে স্বাক্ষী মেনে সিদ্ধান্ত নেন। ইসলামে যে যেখানে মতামত দিল তা ওপেন/উন্মুক্ত হয় এবং সে মতামতের জন্য সে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকে।
৩। গনতন্ত্রের মেজরিটির সিদ্ধান্ত যথার্থ। কিন্তু ইসলামে আল্লাহর আইন কিংবা শরীয়ার সাথে কমপার্টিবিলিটি / সামন্জস্য না থাকলে - সব কিছুই ত্যাজ্য তথা ভ্রান্ত।
৪। গনতন্ত্রে জনগন হল সকল ক্ষমতার উৎস। কিন্তু ইসলামে আল্লাহই শুধু সকল ক্ষমতার উৎস। অনেকে আছেন বলতে চান আমি তো ভাই বলিনা যে জনগন সকল ক্ষমতার উৎস। কিন্তু তারা বুঝতে চান না যে তারা বলেন কি বলেন না - এটা বড় কথা নয় - এটা সিম্পলী গনতন্ত্রের প্রাকটিক্যালিটি এবং এই জনগনকে দিয়ে গনতন্ত্র আল্লাহকে রিপ্লেইস করে জনগন কে ক্ষমতার উৎসে বসিয়েছে।
৫। গনতন্ত্রে সংসদ সার্বভৌম - তার মানে জবাবদিহীতার উর্দ্ধে এবং সেই সংসদ তার দেশে যে কোন কিছুকে আইনের আবরনে বৈধ তথা হালাল করতে পারে (যেমন বাংলাদেশে সুদ, জুয়া, মদ, বেশ্যা বৃত্তি, শিরক, কুফরী, ব্লাসফেমী করা ইত্যাদি হালাল করা হয়েছে) এবং চাইলে যে কোন কিছুকে হারাম করতে পারে (যেমন বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচের মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হারাম, নির্দিষ্ট মানুষের জন্য ওয়াজ মাহফিল হারাম, কর্পোরেট অফিসে দাড়ি রাখা হারাম, কিছু স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব হারাম ইত্যাদি)। কিন্তু ইসলামে কোরান তথা শরীয়া বিরোধী কোন কিছুকে হালাল করা যায় না কিংবা হারাম করা যায় না।
৬। গনতন্ত্রে দেশ ও জনসাধারনের নিরাপত্তা ইউ এন এর সিকিউরিটি কাউন্সিল এর উপর নির্ভরশীল। সরকার ও প্রশাসন তার কার্যক্রম এর জন্য ইউ এন বডি র (যেমন আই এল ও, আই এম এফ, ইন্টারন্যাশানাল ক্রিমিনাল কোর্ট, মানবাধিকার কমিশন, ইউনিসেফ ইত্যাদি) কাছে জবাবদিহী করতে বাধ্য। কিন্তু ইসলামে সরকার ও প্রশাসন নিরাপত্তা ও জবাবদিহীতার জন্য শুধু মাত্র আল্লাহর উপর নির্ভরশীল ও জবাবদিহী করতে বাধ্য।
এমনি ডজন খানেক উদাহরন দেওয়া যাবে - যেখানে গনতন্ত্র আল্লাহকে রিপ্লেইস করে তার জায়গায় অন্য কোন স্বত্তাকে প্রতিস্থাপন করেছে।
আমার মনে হয় মানুষ কোন দল কিংবা গোষ্ঠির প্রতি লয়াল না হলে এবং যা পড়ছেন, যা শুনছেন তা অন্ধের মত বিশ্বাস না করলে সহজেই সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
এ বিষয়টির ভয়াবহতা বুঝতে হলে একজন ঈমানদার এর জন্য সবচেয়ে সহজ পথ হল - আল্লাহর যে ৯৯ টি নাম আছে তথা আল্লাহর বৈশিষ্ট্য কিংবা সিফাত আছে - তার কয়টি শুধু মাত্র 'গনতন্ত্রের জন্য ও নামে' আল্লাহ র পরিবর্তে অন্য কিছু কে রিপ্লেইস করেছে - তা পর্যালোচনা করা।
মূলতঃ গনতন্ত্র হল এমন একটি টুলস যা দিয়ে (আল্লাহ দ্রোহী শক্তিটি) গন মানুষের ঈমান এ প্রবেশ ই শুধু করে না বরং তাকে শিরক এ জড়িয়ে ফেলে। এবং তারপর তাকে ঐ শিরক হতে আর কোন ভাবেই বেরুতে দেয় না এবং বাধ্য করে ঈমান হারা করে ছাড়তে তথা শিরক এ জড়াতে কিংবা জড়িয়ে রাখতে।
লিটারেলী যে সমাজ গনতন্ত্র গ্রহন করেছে - সে সমাজ অন্য কিছুকে (সংস্থা হোক কিংবা মানুষ হোক কিংবা মতবাদ হোক) আল্লাহর পরিবর্তে ইতোমধ্যে রিপ্লেইস করেছে। সে সমাজ মক্কার কোরাইশদের মত আল্লাহকে মানে ঠিক ই কিন্তু সে সাথে ৩৬০টি মূর্তির মত ৩৬০টি স্বত্তাকে ইতোমধ্যে আল্লাহর প্যারালাল এ প্রতিস্থাপন করেছে।
ধন্যবাদ।
লিখাটি মূলতঃ এক ভাইয়ের লিখার প্রতিউত্তর। একটু পরিমার্জন করে পোষ্ট করার উদ্দেশ্য - গঠনমূলক বিচার বিশ্লেষন করার চেষ্টা ও সে সাথে ইনফরমেটিভ কিছু অবশিষ্ট থাকলে তা শেখা।
বিষয়: বিবিধ
১২৮০ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
তাই নাকি? কিন্তু ভায়া ইসলামের কেমিস্ট্রি তো আরও করুন। চৌদির ইসলাম, ইয়েমেনের ইসলাম, বোকোহারামের ইসলাম, আইসিলের ইসলাম, ইরানের ইসলাম, ফাঁকিস্তানের ইসলাম, তালেবানের ইসলাম, মুফতী ফয়জুল্লার ইসলাম(টিটিপি), সফী হুজুরের ইসলাম, মৌদুদীর জামাতী ইসলাম, নেজামী ইসলাম, চরমোনাইয়ের ইসলাম। আর কত কি? সবাই ইসলাম তবে সুযোগ পেলে একে অপরকে কোপায়। নাকি মিথ্যা কইলাম?
কিন্তু ইসলাম সংশ্লিষ্ট বিষয়ের এক্সপার্ট এর মতামতকে শুধু আমলে নেয় - কিন্তু সিদ্ধান্ত সবসময়েই শুধু আমীর এর এক্তিয়ারভুক্ত - যিনি আল্লাহকে স্বাক্ষী মেনে সিদ্ধান্ত নেন।
এক আমীর হলে ইসলাম উতরে যেত। কিন্তু ইসলাম এত সুবোধ ধর্ম নয়। হয়েছে ঠিক উল্টোটাই। বরাবরই দেখা গেছে ইসলামী জোশে এক আমীরের বিরুদ্ধে পরস্পর বিরোধী ১০১ আমীর দাড়িয়ে গেছেন। একে অপরকে কাফের ঘোষণা করে ছুড়ি, চাকু, চাপাতি, AK-47 দিয়ে খুনাখুনি। যেমনটি হয়েছে তথাকথিত খোলাফায়ে রাশেদিন আমলে। শেষমেষ পানিপানি করে গুষ্ঠিশুদ্ধ সব ফিনিস।
তাই বলছি- মধ্যযূগীয় ইসলামী আবর্জনা মন থেকে ঝেড়ে ফেলে আধুনিক জ্ঞান, সভ্যতা অর্জন করে মানুষ হোন। ধন্যবাদ।
১। আপনি কি এমন কোন সংগঠন কিংবা অথরিটির কথা উল্লেখ করবেন - যারা ঐ দেশ কিংবা সংগঠন সমূহকে *ইসলামিক* এমন একটা সার্টিফিকেট দিয়েছেন।
ঠিক যেমন করে ইউ এন, ই ইউ কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক রা হাসিনা, বুশ কিংবা ব্লেয়ার গভার্নমেন্টকে সার্টিফাই করেন কিংবা শুভ কামনা করেন।
২। আপনি কি কোরান ও হাদীসের কোন কোন রেফারেন্স এ ঐ দেশ ও সংগঠনসমূহকে ইসলামিক বলে চালাতে চাইলেন - তার কোন গ্রহনযোগ্য কিংবা যুক্তিসংগত রেফারেন্স দেবেন। ঠিক যেমন করে আমরা নির্বাচন, গেজেট, শফথ ও সরকার গঠন ইত্যাদির আলোকে গনতান্ত্রিক বলি।
ঠিক বলেছেন 'এক আমীর হলে ইসলাম উতরে যেত' - যথার্থ হত এবং তাই ই ইসলামিক।
সরি, আপনার প্রস্তাবিত আধুনিক জ্ঞান ও সভ্যতাকে একজন স্বাভাবিক, সাধারন মানুষ হিসাবে আমি ভয় পাই, ঘৃনা করি অন্তর হতে - এই জন্য যে ঐ জ্ঞান ও সভ্যতা 'উইপন অব মাস ডেসট্রাকশান' এর নাম করে ১৪ লক্ষের বেশী ইরাকিকে হায়েনার মত করে কোন কারন ছাড়াই হত্যা করে, লক্ষ লক্ষ মহিলাকে লাঞ্চিত করে, আর অবোধ শিশুকে এতিম করে। আপনার ঐ জ্ঞান ও সভ্যতা আফ্রিকা, এশিয়া ও দক্ষিন আমেরিকার বিলিয়ন বিলিয়ন দুঃস্থ মানুষের আয় রোজগার তথা উপার্জিত অর্থের একাংশ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চুরি করে নিয়ে যায়।
কন্ট্রারী অন্ধদের কাছে মধ্যযুগীয় ইসলাম আর আমার কাছে শুধু মাত্র কোরান ও হাদীস একটা পয়সা অন্যায় ভাবে নেওয়া কে হারাম করেছে আর খুন সে তো একজনকে ও না। বৈধভাবে খুন করতে হলেও (যুদ্ধে) নারী শিশু ও বৃদ্ধ প্রথমেই বাদ। আর তারপর যুদ্ধক্ষেত্র অস্ত্র ধরেনি অমন প্রতিপক্ষ নিরাপদ।
সো বলুন কিভাবে ইসলাম ছেড়ে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে নিরাপরাধ মানুষ হত্যার দায় নেই, নিঃস্ব গরীব মানুষের অর্থ চুরির দায় নেই।
আপনি প্রতারক, ঠগ, মেরুদন্ডহীন না হলে কিংবা ডাকাত, খুনী, লোভী, বিবেক হীন না হলে ঐ জ্ঞান ও সভ্যতার সমার্থক হতে পারেন ই না। সুস্থ্য স্বাভাবিক কোন মানুষের আজ আর আধুনিক হবার সুযোগ নেই। সো আসুন মানবিক হই, প্রাকটিক্যাল হই, লজিক্যাল হই, জাস্টিস করতে শিখি, শান্তির পক্ষে থাকি।
এ্যানী ওয়ে ধন্যবাদ।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : @ সাদাচোখে,কি বলবো! খুন, ধর্ষন, লুটপাটের ইসলামে দাঙ্গাবাজ মুমিনরা কেউ কারো সার্টিফিকেটের তোয়াক্কা করে নাকি? নবী পরিবার এবং নবীর ঘনিষ্ঠ সাহাবিরা ক্ষমতার মোহে একে অন্যকে সামান্যমত ছাড় দেন্নি। ওসমান-আলী-আয়শা-মুয়াবিয়া-হাসান-হোসেন-ইয়াজিদ গং'দের খুনাখুনি, রক্তপাত, দাঙ্গা, ফ্যাসাদ, গুপ্তহত্যা, বিষপ্রযোগ এর বিষান সিন্ধু থেকে যাত্রা শুরু হওয়া ইসলাম এখন দানবের রুপ ধারন করেছে। ফাঁকিস্তান বলে তালেবান অনৈসলামিক, তালেবান বলে ফাঁকিস্তান অনৈসলামিক। চৌদিআরব বলে আইসিল অনৈসলামিক, আইসিল বলে চৌদিরা অনৈসলামিক। কোরাণ-হাদীস তো কেউ কারো চেয়ে কম বুঝেন্না, সবাই আপনার মত পন্ডিত। কে কাকে সার্টিফিকেট দিবে। সুতরাং ইসলামে বোমাবাজিই সমাধান। যেমনটি সে আমলে হয়েছে গুপ্তহত্যা, উটেরযুদ্ধ, সিফফিন, কারবালা র সমাধান।
"কন্ট্রারী অন্ধদের কাছে মধ্যযুগীয় ইসলাম আর আমার কাছে শুধু মাত্র কোরান ও হাদীস একটা পয়সা অন্যায় ভাবে নেওয়া কে হারাম করেছে আর খুন সে তো একজনকে ও না। বৈধভাবে খুন করতে হলেও (যুদ্ধে) নারী শিশু ও বৃদ্ধ প্রথমেই বাদ। আর তারপর যুদ্ধক্ষেত্র অস্ত্র ধরেনি অমন প্রতিপক্ষ নিরাপদ।"
দেখুন এই মুক্ত তথ্য প্রবাহের যুগে মিষ্টি কথা বলে ইসলামী মাকাল ফল লুকিয়ে রাখার সুযোগ নেই।
Abu Dawud Book 033, Hadith Number 4390.
Narated By Atiyyah al-Qurazi : I was among the captives of Banu Qurayzah. They (the Companions) examined us, and those who had begun to grow hair (pubes) were killed, and those who had not were not killed. I was among those who had not grown hair.
(Sahih Muslim 4322, see also Bukhari 52:256)
[i]It is reported on the authority of Sa'b b. Jaththama that the Prophet of Allah (may peace be upon him), when asked about the women and children of the polytheists being killed during the night raid,
দ্বিতীয়তঃ আপনি আমাকে আধুনিক জ্ঞান ও সভ্যতার দিকে আর আহ্বান জানালেন না - কেন? আপনি আপনার এই পয়েন্ট হতেও সরে গেলেন।
আপনি নতুন করে দুটো হাদীস কোট করলেন। যা আমার মতামতের সাথে অপ্রাসংগিক। তারপর ও আমার ব্যাক্তিগত মতামত দিচ্ছি। প্রথম হাদীস এ এটা পরিষ্কার যে, বনু কোরাইদা চুড়ান্ত রকমের চুক্তির বরখেলাপ ই শুধু করেনি এ্যাকটিভলী পুরোপুরি অন্যায় ও অন্যায্যভাবে একটি জাতিকে দুনিয়া হতে ইলিমিনেট করতে চেষ্টা চালায়। তারপর ও নবী সঃ আল্লাহর বিধান এর বরখেলাপ না করে শুধু মাত্র এডাল্ট দের মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করেছেন। এবং নন এডাল্টদের ফ্রী করে দিয়েছেন। কিন্তু আপনার রেফারেন্স দেয়া সভ্যরা ১ দিনের বাচ্চাকে হত্যা করছে এবং সামনা সামনি ও না কাপুরুষের মত, আইন কানুন কে তোয়াক্কা না করে বুনো পশুর মত হত্যা করছে।
আর দ্বিতীয় হাদীসটি অসম্পূর্ন মনে হয়েছে। যারা জানেন তারা এ নিয়ে বলতে পারেন। কিন্তু অর্ডিনারী সেন্স এ এটা পরিষ্কার যে ঐ ধরনের কোন হত্যার অনুমোদন মোহাম্মদ সঃ তাদের দেন নি এবং তারা এক্সট্রিম কোন সিচ্যুয়েশান এ কোন না কোন মহিলা কিংবা শিশুকে হত্যা করে ফেলেছিল - আর তাই নিজেদের গিল্টি অনুভব করছিল বলেই - মোহাম্মদ সঃ কে তা অবগত করেন। কিন্তু মোহাম্মদ সঃ তা অনুমোদন করেছেন - এমন কিছু তো আমি এই হাদীস এ দেখলাম না।
এ্যানীওয়ে আপনি যদি সত্যিই স্রষ্টায় অবিশ্বাসী হোন - এটা আমার কাছে অন্যায় কিছু না। কিন্তু আপনি যদি মুসলিম বিদ্বেষী হন - সেটা আমার কাছে অন্যায় বলে মনে হয়।
আপনি যদি সামাজিক ইভিল এর প্রতি বিদ্বেষ পোষন করেন - সেটা আমার চোখে অন্যায় নয়। কিন্তু আপনি যদি সত্য কে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য - এমন পেশায় যুক্ত হন - সেটা আমার কাছে ঘৃন্য বলে মনে হয়।
সো আপনার কাছে মানুষ হিসাবে আমার অনুরোধ - সত্য বের করার চেষ্টা করুন এবং সত্য শেয়ার করুন - তাতে আমরা যেমন শিখবো - আপনাকে ধারন ও করতে পারবো।
ভাল থাকবেন সব সময়।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : দুঃখিত @ সাদােচোেখে। আপনার কথায় ভনিতা, চাতুর্য এবং সত্যগোপন করার লক্ষন প্রকট আকার ধারন করেছে।আমার কোট করা হাদীস দুটো মোক্ষম এবং অতি প্রাসংগিক ভাবেই দেয়া হয়েছে। এখানে লুকাছুপার বিন্দু মাত্র সুযোগ নেই। ইসলাম কে সুবোধ প্রমান করার জন্য who had begun to grow hair (pubes) were killed বালকদের এডাল্ট প্রমান করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। হাস্যকর। কত বছর বয়সে একটি বালকের pubes hair গজায় তা আপনি নিজেই ভাল করে জানেন এবং বুঝেন। তারপরও আপনার জ্ঞাতার্থে এখানে দেখুন- Click this link
ভাবতে অবাক লাগে ইসলামের মিথ্যার জালে কত অবলিলায় আল্যার মুমিনরা নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়।
আর, নবী মোহাম্মদের নারী-শিশু হত্যা সক্রান্ত কোট করা ২য় সহিহ হাদীসটি পরিস্কার ইংরেজী ভাষায় লিপিবন্ধ। এটি আপনি না বুঝার ভান করলেও অন্য সবাই কিন্তু ঠিকই বুঝে।
আপনি বলেছেন- "এটা পরিষ্কার যে, বনু কোরাইদা চুড়ান্ত রকমের চুক্তির বরখেলাপ ই শুধু করেনি এ্যাকটিভলী পুরোপুরি অন্যায় ও অন্যায্যভাবে একটি জাতিকে দুনিয়া হতে ইলিমিনেট করতে চেষ্টা চালায়।"
কিন্তু ইহিদী'দের পক্ষ থেকে ঠিক এর উল্টো কথাটিই দাবি করা হয়। তাছাড়া কোরাণ-হাদীসের পাতায় পাতায় যে ভাবে ইহুদী জাতিকে ডিমিনাইজ করার উস্কানি দেয়া হয়েছে তাতে বরং ইহুদীদের দাবিকেই যৌক্তিক ভাবার ভাবার যথেষ্ট কারন প্রনিধানযোগ্য।
সবশেষে বলছি- এই মুক্ত তথ্য প্রবাহের যুগে ইসলামের কুকর্ম ধামাচাপা দেয়ার উপায় নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১। আমি দুঃখিত আপনি আমার কথাকে অমন ভুল ভাবে বোঝার জন্য। কিন্তু আমার কথাকে যে অভিযোগে আপনি অভিযুক্ত করলেন - তা আমার দিক হতে আমি করিনি। শুধুমাত্র এই জন্য যে আমি আমার স্রষ্টাকে ভয় পাই এবং তিনি আমাকে (মুসলমানকে) অমন করতে না করেছেন বলে আমি তা করার চেষ্টা করিনা। কিন্তু যিনি নিজের স্রষ্টার আদেশ মানেন না - তিনি ফ্রি। তিনি অমন দোষ করলেও কোন এ্যাকাউন্টেবিলিটি নেই, আর তিনি নিজে যখন তার নিজের জন্য যা ভাল মনে করলেন - তখন তাই করতে পারেন কিংবা লিখতে পারেন। কিন্তু আমরা পারিনা। তাই না?
২। আপনার কোট করা হাদীস আপনার কাছে মোক্ষম মনে হতে পারে। কিন্তু আমি যা বুঝেছি তা অন্তর থেকেই আপনার সাথে শেয়ার করেছি। কিন্তু আমি তো আপনাকে ফোর্স করছি না যে আমার মত ক্ষুদ্র মানুষের কথা আপনাকে মানতেই হবে। আমি সিম্পলী বলতে চেয়েছি, ''মানুষের স্রষ্টা, মানুষের 'পিওবার্টি' লেভেল সেট করার লেজিটিমেইট হকদার''। সো তিনি সেট করেছেন 'গ্রয়োং হেয়ার' হল ইন্ডিকেটর। এবং মোহাম্মদ সঃ ঠিক তাই অনুসরন করেছেন। তিনি স্রষ্টা সেট করা ল বায়োলেট করে শিশু হত্যা করেনি। কিন্তু আপনার সংজ্ঞানুযায়ী সভ্যরা হত দরিদ্র এক দিনের শিশুকে হত্যা করছে কাপুরুষের মত পেছন দিক হতে এসে। আমার অবাক লাগে - আপনি এত এত নলেজ নিয়ে (যিনি নিজের স্রষ্টাকে চ্যালেন্জ করতে চান) কিভাবে ন্যাটো ও আমেরিকা ও পশ্চিমের অমানবিক, নির্দয় ও পশু সদৃশ্য কাজ কারবারকে লিটারেলী এ্যাবসুলুট কৃতদাসের ন্যায় গ্রহন করেন কিংবা মেনে নেন? এ্যানীওয়ে স্রষ্টাকে অস্বীকার করলে সম্ভবতঃ অন্যায় কে অন্যায় মনে না ও হতে পারে। যদিও আমি তা মনে করতাম না আমার অবিশ্বাসকালীন পিরিয়ড এ। আমি আহমেদ শরীফকে ও অমন দেখিনি, কবির চৌধুরী কে ও না, আহমেদ ছফাকে ও না।
দ্বিতীয় হাদিসটিও আমি না বুঝার ভান করিনি। আমি সততার সাথে আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং শেয়ার করেছি। এবং যুক্তি দিয়ে বলার চেষ্টা করেছি আপনি যা মিন করতে চান - তা ঐ হাদীস প্রমান করে না।
ইয়াহুদী এর বিপক্ষে মুসলিম হলে কোন সমস্যা নেই। সেখানে একাডেমিক আলাপ আলোচনা নিশ্চয়ই হতে পারে এবং প্রমান করার সুযোগ আছে কে ঠিক আর কে ঠিক নয়। কিন্তু ইয়াহুদীর বিপক্ষে নবী মোহাম্মদ সঃ যথার্থ প্রতিপক্ষ নয়। কারন নবীরা যুগের পর যুগ আসছে মানুষকে পথ দেখাতে এবং তৎকালীন কাফের মুশরিক ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা সবাই ই নবী মোহাম্মদ সঃ এর চোখে এক ই ছিলেন এক ই দাওয়াত পেয়েছেন এবং একই ট্রিটমেন্ট পেয়েছিলেন। সো আজকের ইয়াহুদী ফ্যাক্টস ও ফিগার ছাড়া কি বললো আর না বললো তার কোন 'বেইল' নাই। আর আপনি যদি এতটাই জানেন তবে কেন বলছেন না - আজকের ইয়াহুদীরা বরং এটাই বলে - মদীনায় কিংবা খাইবার এ কোন কালে কোন ইয়াহুদীই ছিল না।
এ্যানী ওয়ে আপনি ভাল থাকুন। আমরা কনস্ট্রাকটিভ আলোচনা করতে পারি মানুষ হিসাবে - তাতে দুজনের লাভ - কারন আপনার জ্ঞান প্রদীপ হতে আমি শিখতে ইচ্ছুক - এ্যাজ লং এ্যাজ তা হিউম্যানিটির জন্য কল্যানকর।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : ছাগু ছাগুরে চিনে।নিশ্চয়ই যদি সুযোগ থাকে।
ধন্যবাদ পজিটিভ কমেন্ট করার জন্য।
চমৎকার বিশ্লেষন খুব ভালো লাগলো! উত্তরনের উপায়টাও আশা করি বলবেন!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আমি আসলে খুব করে চাইছি মুসলিমদের মধ্যে যে সব ভাই ও বোন-দের কোরান ও হাদীসের উপর প্রচুর দখল প্লাস ইসলাম ও দুনিয়াবি বিষয়ে পড়াশোনা আছে - তারা গনতন্ত্র, ক্যাপিটালিজম, ইত্যাদি বিষয়ে পুনঃ পর্যালোচনা করবেন। মওদুদী রহঃ, ইকবাল রহঃ সহ তুরস্ক ও মিশরের ব্রাদারহুড প্রতিষ্ঠাকারীদের গনতন্ত্র নিয়ে যে ভাবনা ও বিশ্লেষন ছিল - আমি ব্যাক্তিগতভাবে কনভিন্সড - ২০০১ সালের পর সে ভাবনা ও বিশ্লেষন লিটারেলী অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সুতরাং নতুন করে এ বিষয়ের পুনঃ পর্যালোচনা দরকার।
আর উত্তোরনের যে উপায় সমূহ কোরান ও হাদীসে ইন্ডিকেট করা হয়েছে - তার জন্য আমরা মুসলিম রা (১০০০ এ ৯৯৯ জনই) আসলে প্রস্তুত না। আমি নিজে ব্যাক্তিগতভাবে কোরান ও হাদীসের সমাধান গুলোতে বিশ্বাস করলে ও নিজেকে ধাক্কা দিয়ে ঐ পথে এগুতে পারছি না (ঈমানের শক্তি ঐ জায়গাটা পার হবার মত লেভেল এ এখনো নিতে পারছি না)। আর তাই চাইছি এ নিয়ে আলোচনা হোক, যুক্তি তর্ক হোক, আলেম দের কাছ হতে ইনপুট চাইছি - যাতে প্রতীয়মান হয় আমার বুঝ অনুযায়ী উত্তোরনের ঐ পথ সমূহ (যা কোরান ও হাদীসে বিমূর্ত) ঠিক নয় - বরং কোরান ও হাদীস ভিন্ন পথ দেখাচ্ছে।
বারাকাল্লাহু ফিক্।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
কি বলবো! খুন, ধর্ষন, লুটপাটের ইসলামে দাঙ্গাবাজ মুমিনরা কেউ কারো সার্টিফিকেটের তোয়াক্কা করে নাকি? নবী পরিবার এবং নবীর ঘনিষ্ঠ সাহাবিরা ক্ষমতার মোহে একে অন্যকে সামান্যমত ছাড় দেন্নি। ওসমান-আলী-আয়শা-মুয়াবিয়া-হাসান-হোসেন-ইয়াজিদ গং'দের খুনাখুনি, রক্তপাত, দাঙ্গা, ফ্যাসাদ, গুপ্তহত্যা, বিষপ্রযোগ এর বিষান সিন্ধু থেকে যাত্রা শুরু হওয়া ইসলাম এখন দানবের রুপ ধারন করেছে। ফাঁকিস্তান বলে তালেবান অনৈসলামিক, তালেবান বলে ফাঁকিস্তান অনৈসলামিক। চৌদিআরব বলে আইসিল অনৈসলামিক, আইসিল বলে চৌদিরা অনৈসলামিক। কোরাণ-হাদীস তো কেউ কারো চেয়ে কম বুঝেন্না, সবাই আপনার মত পন্ডিত। কে কাকে সার্টিফিকেট দিবে। সুতরাং ইসলামে বোমাবাজিই সমাধান। যেমনটি সে আমলে হয়েছে গুপ্তহত্যা, উটেরযুদ্ধ, সিফফিন, কারবালা র সমাধান।
"কন্ট্রারী অন্ধদের কাছে মধ্যযুগীয় ইসলাম আর আমার কাছে শুধু মাত্র কোরান ও হাদীস একটা পয়সা অন্যায় ভাবে নেওয়া কে হারাম করেছে আর খুন সে তো একজনকে ও না। বৈধভাবে খুন করতে হলেও (যুদ্ধে) নারী শিশু ও বৃদ্ধ প্রথমেই বাদ। আর তারপর যুদ্ধক্ষেত্র অস্ত্র ধরেনি অমন প্রতিপক্ষ নিরাপদ।"
দেখুন এই মুক্ত তথ্য প্রবাহের যুগে মিষ্টি কথা বলে ইসলামী মাকাল ফল লুকিয়ে রাখার সুযোগ নেই।
Abu Dawud Book 033, Hadith Number 4390.
Narated By Atiyyah al-Qurazi : I was among the captives of Banu Qurayzah. They (the Companions) examined us, and those who had begun to grow hair (pubes) were killed, and those who had not were not killed. I was among those who had not grown hair.
(Sahih Muslim 4322, see also Bukhari 52:256)
It is reported on the authority of Sa'b b. Jaththama that the Prophet of Allah (may peace be upon him), when asked about the women and children of the polytheists being killed during the night raid
মন্তব্য করতে লগইন করুন