আরবের নজদ হতে উত্থিত শয়তানের মাথা বনাম নবী মোহাম্মদ সঃ এর ইয়েমেন ও সিরিয়ার করুন কান্না - আলেম রা নিশ্চুপ - উম্মাহ প্রতারিত, বিভ্রান্ত, ক্ষুদ্ধ।

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ০৫ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:০৭:৫৩ সকাল

বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহিম

ইবনে ওমর রাঃ কর্তৃক বর্নিত, রাসুলুল্লাহ্‌ সঃ বলেছেন, 'ও আল্লাহ্‌! আপনার করূনা নিশ্চিত করুন - আমাদের শাম (অধুনা সিরিয়া, প্যালেস্টাইন, ইসরাইল, জর্ডান ও লেবানন) এবং আমাদের ইয়েমেন এর উপর।' উপস্থিত মানুষের একাংশ বলেছিল, 'আমাদের নজদ্‌ এর জন্যও (রাসুলুল্লাহ)'। কিন্তু রাসুলুল্লাহ আবার ও বললেন, ''ও আল্লাহ্‌! আপনার করূনা নিশ্চিত করুন - আমাদের শাম এবং ইয়েমেন এর উপর'। উপস্থিত মানুষের ঐ অংশ আবার ও বললো, ''আমাদের নজদ এর জন্যও''। রাসুলুল্লাহ্‌ সঃ উত্তরে বললেন, 'ওখানকার ভূমি কম্পিত হবে, উদ্বিগ্নতা ছড়াবে আর শয়তানের মাথার একাংশ বের হবে ঐ ভূমিতে'। (রেফাঃ বোখারী শরীফ, বই ১৭, হাদীস নং ১৪৭।)

উকবা বিন উমর ও আবু মাসউদ রাঃ হতে বর্নিত রাসুলুল্লাহ সঃ ইয়েমেন এর দিকে হাত উচিঁয়ে বললেন, 'সত্যিকার 'ঈমান' ইয়েমেনবাসীর'। আর গোয়ার্তুমি ও নিষ্ঠুরতা হল তাদের - যারা উট নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু ধর্মে উদাসীন - যেখানে তোমরা দেখবে শয়তানের মাথার দু'টি পাশ ই গজাবে। এই গুনাগুন (উট নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু ধর্মে উদাসীন) বনী রাবি'য়া ও বনী মুদার এ বর্তমান/বিরাজমান। (রেফাঃ বোখারী শরীফ, বই ৫৪, হাদীস নং ৫২১।)

আবু হোরায়রা রাঃ হতে বর্নিত রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন, 'তোমাদের কাছে আসবে ইয়েমেনবাসী আর তারা হবে অধিকতর ভদ্র-নম্র ও নরম হৃদয়ের। ইয়েমেনবাসীর ঈমান ও প্রজ্ঞা (এক্সক্লুসিভ/স্পেশাল/পরিপূর্নতায় ভরপুর)। যেখানে অহংকার ও অতি-দাম্ভিকতা উটচারীদের গুন সেখানে নম্রতা ও নিষ্ঠা ভেড়াচারীদের গুন। (রেফাঃ বোখারী শরীফ, বই ৫৯, হাদীস নং ৬৭১।)

আনাস বিন মালিক রাঃ হতে বর্নিত, 'যখন ইয়েমেনবাসী (মদীনায়) এলো, রাসুলুল্লাহ সঃ বললেন, 'ইয়েমেনবাসী এসেছে, জেনো তাদের হৃদয় তোমার হৃদয়ের চেয়েও কোমল'। আর তারা ছিল প্রথম যারা হ্যান্ডসেইক এর ট্রেডিশান (মদীনায়) শুরু করে।' (রেফাঃ সিলসিলাত আল-হাদিস আস-সাহিহ নং ৫২৭)

ইয়েমেন ও সিরিয়া নিয়ে কয়েক ডজন এমন হাদীস আছে বোখারি, মুসলিম শরীফে। কয়েক ডজন হাদীস আছে নজদ এর বনী রাবি'য়া ও বনী মুদারকে নিয়ে। ছোট খাট পরিসরের ঘন্টা কয়েক এর একটি গবেষনা (ইসলামিক ও স্যেকুলার সোর্স কেন্দ্রিক) ও যে কোন সৎ মুসলিমকে পরিষ্কার আইডিয়া দেবে - ইয়েমেনী কে এবং কারা, ইয়েমেনীদের ভদ্রতা, সৌজন্যতা ও বিনয়ী স্বভাব কেমন। কোরান পয্যন্ত ইনডাইরেকলী ইয়েমেনকে সার্টিফাই করে - বিশেষ করে সোলাইমান আঃ এর সাবার রানীর মধ্যে চিঠি ও গিফট আদান প্রদান এর বর্ননা - যেখানে রানীর উক্তি, মতামত সবই সারল্য ও প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে।

সিরিয়া নিয়ে বলার অপেক্ষা রাখেনা। কোরআন সূরা ইসরার প্রথম আয়াতেই জেরুজালেমকেন্দ্রিক আশপাশের এ ভূমিকে বলছে বরকতমত। কোরআন আরো জানায়, আশীর্বাদপুষ্ঠ এ ভূমি অসংখ্য নবী ও রাসুলের পদভারে সিক্ত। ইব্রাহীম আঃ এ ভূমির পাড়ি দিয়েছেন অসংখ্যবার। যে ভূমিতে ঈসা আঃ সশরীরে আবির্ভূত হবেন। যার মুক্তি নিশ্চিত করতে হজরত মোহাম্মদ সঃ নিজে সাহাবা রাঃ কে ট্রেনিং করিয়েছেন - গ্রীষ্মের খর দাবদাহে মাসাধিককাল মরুভূমির উপর দিয়ে সমর সাজে পাড়ি দিতে আদেশ দিয়ে। আর মৃত্যুসজ্জায় প্রিয় সেনাপতি! ওসামা ইবনে জায়েদ রাঃ কে এক্সপেডিশান এর আদেশ দিয়ে ইসলাম ও মুসলিম এর অন্তরে সিরিয়ার অবস্থান কোথায় - তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন।

অন্যদিকে 'নজদ' এর বনী রাবি'য়া ও বনী মুদার নিয়ে আছে অসংখ্য হাদীস। তাদের নিষ্ঠুরতা, বিকৃত মনোভাব, তাদের প্রতারনা, তাদের শয়তানী কর্মকান্ড ও ইসলাম ধর্মের সাথে তাদের আগামীর শত্রুতার ইন্ডিকেশান হাদীস সমূহের বাঁকে বাঁকেই বিমূর্ত হয়ে আছে। যা প্রকৃত আলেমরা আমাদের সাধারন মুসলিম এর কর্নকুহুরে পৌছাতে ব্যার্থ হয়েছে। বিশেষ করে গত প্রায় ১০০ বছর ধরে। কেন এই ব্যার্থতা?

গত প্রায় ১০০ বছর ধরে 'ইসলামের জন্য এক্সট্রিম সৌদী' এমন একটি অভিব্যাক্তি জিয়োনিস্ট শক্তি বিবিসি, সিএনএন ও আল জাজিরার মাধ্যমে সাধারন মুসলিম মানসে প্রতিস্থাপিত করতে সক্ষম হয়েছে। আর কাঠিন্যতার আড়ালে - নজদ এর এই শয়তানের মাথার দুটি পাশ (আবদুল ওহাব ও আবদুল আজীজ) নিজেদেরকে খলিফার পরিবর্তে রাজা ডিক্লেয়ার করে - মুসলিমদের পাওয়ার হাউজ তথা হারাম শরীফ তথা মক্কা ও মদীনাকে কুক্ষিগত করেছে এমন ভাবে যে যাতে মুসলিমরা আর কোন দিন ট্রু আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে ব্যার্থ হয়। অথচ ইসলামের জন্য এক্সট্রিম সৌদী - এই প্রচারনার আড়ালে বিশ্ব মুসলিমকে ১০০% প্রতারিত করেছে, বোকা বানিয়েছে এবং এখনো তাই করে চলেছে।

এরা একই সাথে সূরা মায়েদা র ৫১ নং আয়াতে বলা ঐ পারটিকুলার ইয়াহুদী (বনী ইসরাইল নয়) ও খৃষ্টানদের (কোরান যাদের চোখে পানি আনেনা) নিরাপত্তাবিধান কারী ও বন্ধুরূপে গ্রহন করেছে, যে ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা পরস্পরপরস্পরের বন্ধু। (ঐ ইয়াহুদী (বনী ইসরাইল) ও খৃষ্টান (মোনাস্টারী কেন্দ্রিক) নয় যারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু ছিল না, এখনো নয় এবং আগামীতে ও হবে না)। আর কোরানের সিদ্ধান্ত অনুসারে শয়তানের মাথার দুপাশ ধারী দুই আবদুল তাদেরই একজন তথা জায়োনিস্ট (আল্লাহদ্রোহী প্রতারক)।

মোহাম্মদ সঃ এর ভবিষ্যতকেন্দ্রিক - এমন দিবালোকের মত জলজ্যান্ত হাদীস, কোরআনের আয়াত, হিস্টিরিক্যাল ফ্যাক্টস ও ফিগার এবং ৯/১১ ঘটনা পরবর্তী সৌদী আরবের উপর গত ১০/১৫ বছরের ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট, মিশরের মুরসী উৎখাত, সিরিয়া ইন্টারভেনশান এ ভূমিকা আর সব শেষে আন্তর্জাতিক ও ধর্মীয় আইন কানুনকে অবজ্ঞা করে খোলস ছেড়ে বের হয়ে এসে ইয়েমেন এ আক্রমন - গনমানুষকে ক্লিয়ার করে দেয় শয়তানের মাথার পাশটির বর্তমান অবস্থানটি কোথায় ও কি অবস্থায়।

এমন একটি অবস্থায়, আমাদের ওলামায়ে কেরাম ও রিলিজিয়াস স্কলারদের চুপ থাকা - বড়ই বেমানান, ইসলাম ধর্মের জন্য বড়ই ডিসসার্ভিস, মুসলিমদের জন্য বড়ই হতাশার, দুঃখের ও ক্ষোভের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পূর্ব হতে পশ্চিমের যে সব আলেম হাজার প্রশ্নে প্রশ্নবিদ্ধ, ভূতুড়ে ও তথাকথিত সন্ত্রাসী হামলা হলে - 'নেকড়ের কান্না'র ন্যায় মিডিয়ায় গিয়ে মহা এ্যাপোলোজেটিক হয়ে মরা কান্না জুড়ে দেন। অথচ যখন কোরানের ডাইরেক্ট আদেশ ও অসংখ্য হাদীসকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে শয়তানের শিং রূপি সৌদী ওহাবী যায়োনিস্ট শক্তি যখন ইয়েমেন এর নারী, শিশু ও বৃদ্ধকে ইনডিসক্রিমিনেটলী যুদ্ধের নামে আবরন দিয়ে হত্যা করে চলেছে - তখন স্কলারদের এই 'মুখ বন্ধ' অবস্থা - গণমানুষের কাছে এই বার্তাই দিচ্ছে যেঃ

১। আমাদের আলেমরা বিক্রি হয়ে গেছে ঠিক যেমন করে ইয়েমেনী শেখ আবদুল্লাহ আল আহমের সৌদী আরবের কাছে বিক্রি হয়ে ছিল গত ২ দশকেরও বেশী সময় ধরে।

২। আমাদের আলেমদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা - হাদীসে বলা ঐ আলেমদের অবস্থানে এসে পৌছেছে - যারা কোরান ও হাদীস পড়বে কিন্তু তাদের কাছ হতে আল্লাহ জ্ঞান উঠিয়ে নিয়ে যাবেন।

উম্মাহ আজ শিয়া, সুন্নি ও হুতি নিয়ে প্রতারিত, উম্মাহ আজ বিভ্রান্ত, তারা খবর ফেলে গুজব নিয়ে দৌড়াচ্ছে। দিকহারা সচেতন উম্মাহ আজ ক্ষুদ্ধ। নিশ্চয়ই এর জন্য গ্ল্যামারাস আলেম সমাজ ও স্কলার রা আল্লাহর মুখোমুখি হবেন, ইনশাল্লাহ্‌। নন গ্ল্যামারাস আলেম ও স্কলারদের কে আল্লাহ ঐ রহমত বর্ষন করুক যাতে তাদের কথা সামহাউ উম্মাহর কর্নকুহরে পৌছে এবং তারা সত্যকে সত্য বলে জানতে পারে আর মিথ্যাকে মিথ্যা।

বিষয়: বিবিধ

৪৪১৩ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

312996
০৫ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৯:১৫
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার দাবীগুলি বাস্তব সম্মত৷ ধন্যবাদ৷
০৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:১৬
254367
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

আপনাকেও ধন্যবাদ।
313006
০৫ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:০৭
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো
০৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:১৭
254368
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

ধন্যবাদ। আশা করি আমরা মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় আসেন অমন আলেমদের কাছ হতে এ বিষয়ে শুনবো।
313008
০৫ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:০৯
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : অনেক সুন্দর সুন্দর হাদিস উল্লেখ করেছেন। সত্যিই বেশ কিছু বাস্তবতাও তুলে ধরেছেন বাস্তবধর্মী লেখা তবে আলেমদের দোষ খুঁজে বের করা আর শেষে শিয়া-সুন্নী ব্যাপারটাকে নিজের দৃষ্টিতে তুলে ধরাটা অনেকটাই লেখাটাকে মলিন করেছে। ভাই কাদিয়ানিরাও নিজেদের মুসলিম দাবি করে কারণ তারা ইসলাম থেকেই বের হয়েছে। তাদের নেতাও মুসলিমদের থেকেই বের হয়েছে।কিন্তু আমি যদি বলি তারা মুসলিম আপনি মানবেন? জানিনা আপনার ব্যাপার। শিয়ারাও ইসলাম থেকেই বের হয়েছে। যেখানে গোলাম আহমাদ কাদিয়ানি নিজের ধর্মমত গড়ে তুলেছে, সেভাবেই আবদুল্লাহ ইবনে সাবাও তার ধর্মমত গড়ে তুলেছে। সুন্নী পরিচয়টি কি মুসলিম পরিচয়ের সাথে সাংঘর্ষিক নাকি এটিই সঠিক? সুন্নী বলতে আপনি কি বুঝেন? যখন যেসব ব্যাপারে লিখবেন সেসব ব্যাপারে পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকলে চুপ থাকাই ভাল। আর হ্যা! আলেমদের অনেকেই বিক্রি হয়ে গেছে কিন্তু তাই বলে গোটা আলেম সমাজের উপর কালিমা লেপন কতখানি মারাত্নক সেটা কি একবারও ভেবেছেন? আপনি আশা করছেন আলেমরা চরম মূল্য দিবে পরকালে,সেই একই যুক্তিতে তাদের সবার নামে কালিমা লেপনে আপনি কি মুক্তি পাবেন? বাংলাদেশের আলেম বলতে মূলত বোঝায় কওমী মাদ্রাসার আলেম। আপনার গবেষণা যেহেতু অনলাইন ভিত্তিক কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের অনলাইন ভিত্তিক প্রচারণা খুব নগন্য বা নেই তাই আপনার এত অভিযোগ। আপনি কয়জন আলেমের খবর রাখেন? অনলাইন কি জীবনের দর্পন স্বরূপ? কয়জন আলেম এসব সুবিধা পায়? বাংলাদেশের আলেমরা অধিকাংশই দারিদ্রতায় নিমজ্জিত। তারপরেও তারা তাদের দায়িত্ব পালনে সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করছেন। তাদের অবস্হা বর্তমাণে অনেক শোচনীয় তবুও তারা প্রান্তিক জনগণের কাছে ইসলামের বার্তা পৌছে দিচ্ছেন বলেই মানুষ এখনো ইসলাম ধরে রেখেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন গরীব এরিয়াতে খৃষ্টান মিশনারীরা দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে মুসলিমদের খৃষ্টান ধর্মে দিক্ষিত করছে। কিন্তু শত দারিদ্রতার পরেও অধিকাংশ মানুষ ইসলাম থেকে সরে যাচ্ছেনা এসব কাদের অবদান? অবশ্যই আলেমদের। আর মনে আছে হেফাজতের কথা? আপনারা প্রশ্ন তুলেছিলেন, তারা কেন দায়িত্ব অবহেলা করছেন? তারা তাই মাঠে নেমেছিলেন কিন্তু তাদেরকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। আচ্ছা আপনি আজ তাদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অথচ যারা সেদিন হত্যার শিকার হয়েছে, আপনি কয়জনের খবর নিয়েছেন? কয়জনের পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন? হাদিস অনুযায়ী এটাও তো আপনার দায়িত্বের মাঝে পরে কিন্তু আপনি তাদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। হ্যা! তাদের গাফিলতি আছে,সেটা কার নেই? মিডিয়া এমনিতেই তাদের জঙ্গি প্রমাণে ব্যাস্ত, কওমী মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেয়ার দাবি নিয়ে প্রতিদিন পত্রিকাগুলোতে কলাম লেখা হচ্ছে এই পরিস্হিতে, আজ যদি তারা হৈ চৈ করে এসব ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা চালান তবে কি হবে? কাল যদি সরকার এই অজুহাতে কওমী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করে, তখন তার দায়ভার কি আপনি নেবেন? আলেমদের হাতে প্রচার মাধ্যম খুবই কম। তারা আপনার মত ফেসবুক, ব্লগ, টুইটারে বিচরণ করেনা বা সুযোগ নেই অথবা জানেনা। তবুও আল-কাউসার, মাসিক মদিনার মত যেসকল মাধ্যম তারা গড়ে তুলেছেন এসব পত্রিকাগুলো শত প্রতিকুলতার মাঝেও মানুষের কাছে সঠিক চিত্রটা তুলে ধরার চেষ্টা করছে।কাজেই বিদ্বেশ ও বিভ্রান্তি ছড়াবেননা। অনলাইনে বসে দুকলম জ্ঞান অর্জন করে অনেক বড় বড় বয়ান দেয়া যায় কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন।
আল্লাহর রাসূল বলছেন যে,আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা হটাৎ করে ছিনিয়ে নেবেন না বরং ইলমের বাহক উলামায়ে কিরামকে তাদের ইলেমসহ ক্রমশ তুলে নেবেন।তখন শুধুমাত্র মূর্খ লোকেরা অবশিষ্ঠ থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে।তারা মনগড়া ফাতওয়া দিবে।ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ঠ হবে,অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ঠ করবে। (বুখারী:৬৮০৯) কথাবার্তায় সংযত হোন।
০৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:২১
254369
সাদাচোখে লিখেছেন : ধন্যবাদ - আমি আপনার প্রতিমন্তব্যটি পড়েছি।

দুঃখিত এই জন্য যে, আমি আপনার ধারনা প্রসুত অভিযোগ কিংবা আমার সম্পর্কে যে উপসংহার আপনি টানছেন কিংবা টানতে চাইছেন -সেগুলোর কোন উত্তর খুঁজে পাচ্ছিনা - যা আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারে।

ধন্যবাদ আবার ও। এবং আসসালামুআলাইকুম।
313037
০৫ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
সমুদ্রপার লিখেছেন : @ঘুম ভাঙ্গাতে চাই, শিয়া সুন্নীর মধ্যকার বিভেদকে কাজে লাগিয়েইতো পশ্চিমারা অশান্ত করে রেখেছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে।''কে সহী আর কে সহী না'' এসব বিতর্কের উর্ধে উঠে ইসলামিক স্কলারদের উচিৎ ওআইসিকে মজবুত করে মুসলিমদের ঐক্যকে জোরদারের চেষ্টা করা। তাহলেই আর পশ্চিমারা সেখানে নাক গলাবার সুযোগ পাবে না। মুসলিমদের মধ্যকার অনৈক্যই মুলত মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমাদের আশান্তি তৈরীতে সফলতার মুল কারন।
০৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৪৯
254136
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সমুদ্রপার "কে সঠিক? আর কে বেঠিক?" তার উপরেই ইসলাম। আমি যদি বলি, " কাদিয়ানিরাও মুসলিম কাজেই তারাও উম্মাহ এর অংশ কাজেই তাদের সাথেও ঐক্য প্রয়োজন" আপনি মানবেন? ৪০ পারা কোরানে বিশ্বাসী শিয়াদের আকিদা ইসলামের বিপরীত। এই লেখাটা পড়তে পারেন লিংক http://www.todaybd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/63428#.VSFd-djfScs
মুসলিমদের সাথে মুসলিমের ঐক্য হতে পারে কিন্তু তারা ইসলাম থেকে বিচ্যুত এজন্যই স্কলাররা তাদের সাথে ঐক্যের কথা বলেননি। যেটা হয়ত আপনার কাছে অযৌক্তিক। আর ওআইসি মুসলিম ভুখন্ডগুলিকে কিসের ভিত্তিতে একত্র করবে যেখানে মুসলিম ভূখন্ডগুলি জাতিয়তা, বর্ডার, আলাদা আলাদা রঙ্গীন পতাকা দ্বারা বিভক্ত এবং শাসন ব্যাবস্হা ও শাসকেরা পশ্চিমাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত? ওআইসিতে কি আলেমদের আদৌ কোন প্রভাব আছে? মুসলিম ভূখন্ডগুলির শাসকেরাও তো আলেম দমণে ব্যাস্ত তারা আলেমদের কথা শুনার জন্য মোটেও রাজিনা। কাজে ঐক্য হবে কিসের ভিত্তিতে, যেখানে খেলাফত বিলুপ্ত করা হয়েছে? হাদিসে এসেছে ইসলাম এসেছে অল্প কিছু লোকের মাধ্যমে আর বিদায়ও নিবে অল্প কিছু লোকের মাধ্যমে। আর মধ্যপ্রাচ্যের গন্ডি ছাড়িয়ে এ যুদ্ধ ভারত পর্যন্ত এসে পৌছাবে। হিন্দ(উপমহাদেশ), খোরাসান(আফগানিস্তান), আস শাম(সিরিয়া, লেবানন,প্যালেস্টাইন,জর্ডান ও তুরস্কের কিছু অংশ),ইরাক,ইয়েমেন এসব এলাকায় মুসলিমরা হত্যা, গণহত্যা, যুদ্ধ দ্বারা আক্রান্ত হবে এটা হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী। এবং এটা কেয়ামত কাছাকাছি সময়ের অন্যতম নিদর্শন ও আল মাহদি (আঃ) আসার লক্ষণ এবং খেলাফত প্রত্যাবর্তনের পূর্ব মুহূর্ত। এসময় মুসলিম ভূখন্ডগুলিতে অত্যাচারী শাসকরা অবস্হান করবেন। প্রথমে মুসলিমরা রোমানদের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে ৩য় শত্রুর সাথে যুদ্ধে জয়লাভ করবে অতঃপর তাদের এই চুক্তি ভেঙ্গে যাবে এবং নিজেদের মাঝেই যুদ্ধ লাগবে। আপনি মুসলিম শরীফের ৪১ অধ্যায় এর হাদিসগুলো পড়বেন তাহলে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে।অতঃপর নবুয়তের আদলে খেলাফত প্রত্যাবর্তন করবে।
হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর) তোমাদের মাঝেনবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (খুলাফায়ে রাশিদিন এর যুগ)। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (রাজতন্ত্র)। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে। তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে (নানা ভূখণ্ডে বর্তমান একনায়কতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বৈর শাসকগণ) । তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন”। (মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)
০৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:২৯
254370
সাদাচোখে লিখেছেন : ভাই সমুদ্রপার - আসসালামুআলাইকুম। আপনি সমস্যটি যথার্থই ধরেছেন এবং কমেন্ট এ ''কে সহী আর কে সহী না'' - কোটেশানটি যথার্থ ভাবেই এনেছেন।

কিন্তু যে সমাধান দিয়েছেন - তা আমার জানামতে প্রায় অবাস্তব।

কারন, মুসলিমদের কে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানাবার জন্য যায়োনিস্টদের পরামর্শে ও বুদ্ধিতে যে সংগঠনগুলোর জন্ম ও তার পরিচালনা - তার মধ্যে ওআইসি, জিসিসি, আরবলীগ, আল জাজিরা ইত্যাদি অন্যতম।
318922
০৯ মে ২০১৫ রাত ১২:০৫
০৯ মে ২০১৫ রাত ০৪:০৫
260125
সাদাচোখে লিখেছেন : ভাই সঠিক ইসলাম, আসসালামুআলাইকুম। আমি আপনার লিন্ক এর প্রথম কয়েকটি হাদীস পড়লাম। প্রথম ও দ্বিতীয় হাদিসটিতে যে ভাবে 'ইরাক' এর নামোল্লেখ করা হয়েছে - তা তো সত্যিকার হাদীসকে ডিসটর্ট করার মত হয়েছে।

আর আপনি কি আমাকে জানাবেন - মোহাম্মদ সঃ এর সময় আজকের যে 'ইরাক' - সে নামে কোন কিছু ছিল কিনা?

ধন্যবাদ।
০৯ মে ২০১৫ দুপুর ১২:০০
260154
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : না ভাই তখন ইরাক ছিলনা কিন্তু নজদ ছিল। হাদীসে বলা হয়েছে মদীনার পূর্বের নজদ থেকে শয়তানের শিং বের হবে, আর ইরাকের নজদ ই মদীনার পূর্বে অবস্তিত যেখান থেকে কাদরিয়াহ. জাবরিয়্যাহ ও জাহমিয়্যাহ সহ অনেকগুলো বাতিল ফিরকার উদভব হয়েছিল। কিন্তু আব্দুল ওহাব নজদীর জন্মস্থান তামীম গোত্র যে নজদ এ অবস্থিত তা মদীনার উত্তরে অবস্থিত পূর্বে নয়।
১০ মে ২০১৫ সকাল ০৭:০৮
260278
সাদাচোখে লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই। প্রথমতঃ আমি আপনার দেওয়া ফ্যাক্টস সমূহ সন্মানের সাথে এক্সেপ্ট করছি। তারপরও ভ্যারিফাই করার চেষ্টা করবো - যদি ভিন্ন কিছু পাই আপনাকে জানাবো, ইনশাল্লাহ্‌।

ইতোমধ্যে আমি আপনাকে আহ্বান জানাবো আপনি কি চিন্তা করবেন কিংবা এ নিয়ে খোঁজ করবেন -
১। কেন আপনার লিংক এ উল্লেখিত হাদীস সমূহে নজদ এর পরিবর্তে ইরাক লিখা হয়েছিল? এমনকি ইরাক যদি নজদ হয় তবে এটলিস্ট ব্রাকেট এ নজদ এর নাম লিখলেও হত। কেন তা করা হয়নি, কে করে নি, কি উদ্দেশ্যে তা করা হয় নি? এবং কোন দলিল এর ভিত্তেতে এমন কনক্লুসিভ সিদ্ধান্তে অনুবাদক উপনীত হল?

২। হাদীসে বাতিল ফেরকার কথা বলা হয় নি। বলা হয়েছে শয়তানের মাথার দু পাশ (কোথাও দু শিং অনুবাদ করা হয়েছে) উত্থিত হবে। তার মানে দুটো প্যারালাল ইসলামের জন্য 'ইভিল' থিংকস্‌ উত্থিত হবে। যেহেতু কাদরিয়াহ. জাবরিয়্যাহ ও জাহমিয়্যাহ সহ অনেকগুলো বাতিল ফিরকার উদভব হলেও তা গ্লোবালি ইসলামের অথরিটিকে ধ্বংশ করে নি কিন্তু সৌদ ও ওহাব বন্ধন প্যারালালী উত্থিত হয়েছে এবং সমান্তরালী খেলাফতকে চিরতরে বিলোপ ই শুধু করে নি লিটারেলী তাদের অবস্থান থাকাকালীন ইমপসিবল করে দিয়েছে - এবং এর ইমপেক্ট টোটাল উম্মাহর উপর - সে জন্য তাদের রুট কে আর গভীর ভাবে পুনঃ নিরক্ষন দাবী রাখে।

৩। এখানে উল্লেখিত হাদীস (অনুরূপ আরো বেশ কয়েকটি হাদীস আছে)
উকবা বিন উমর ও আবু মাসউদ রাঃ হতে বর্নিত রাসুলুল্লাহ সঃ ইয়েমেন এর দিকে হাত উচিঁয়ে বললেন, 'সত্যিকার 'ঈমান' ইয়েমেনবাসীর'। আর গোয়ার্তুমি ও নিষ্ঠুরতা হল তাদের - যারা উট নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু ধর্মে উদাসীন - যেখানে তোমরা দেখবে শয়তানের মাথার দু'টি পাশ ই গজাবে। এই গুনাগুন (উট নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু ধর্মে উদাসীন) বনী রাবি'য়া ও বনী মুদার এ বর্তমান/বিরাজমান। (রেফাঃ বোখারী শরীফ, বই ৫৪, হাদীস নং ৫২১।)
এখানে আপনি দেখুন উট সিম্বলাইজ করে ধনদৌলত বিলাস ও অহংকার কে। সৌদ ফ্যামিলি কি তা রিপ্রেজেন্ট করে না? তারা কি ইসলাম ও উম্মাহর প্রতি উদাসীন নয়? তারা কি ইজিপ্ট, লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাক, ও অধুনা ইয়েমেন এর জন্য দায়ী নয়?

৪। সো আমার মনে হয় - আমাদের অবশ্যই ঐ দুটো গোত্রকে বের করতে হবে। আমি যখন ইয়েমেন নিয়ে হাদীস সংগ্রহ করেছিলাম এ লিখা লিখার আগে আমার যতটুকু মনে পড়ে আমি একটা হাদীস এ পড়েছিলাম এ দুটো গোত্রের অবস্থান ছিল ইয়েমেন এর উত্তরে। (আমার কাছে অনুবাদ পড়ে আরো মনে হয়েছিল এ দুটো গোত্রকে আইডেন্টিফাই করছিল উত্তরের যোদ্ধা ফোর্স হিসাবে আর ইয়েমেন এর যোদ্ধাদের আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা হয়েছিল দক্ষিনের ফোর্স হিসাবে)। যাই হোক আমার উদ্দেশ্য ছিল আপনাদের মত স্কলার ভাইরা ঐ দুটো গোত্রের মুখোশ উন্মোচন করুন।

ধন্যবাদ আবার ও।
১০ মে ২০১৫ সকাল ০৮:১৫
260283
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : আমি এই মাত্র লক্ষ্য করলাম আপনি শিয়া মতাবলম্বী ! আর শীয়ারাই সৌদী আরবের ঘোর বিরোধী। পৃথিবীতে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক কোন রাষ্ট্র পরিচালিত হলে সেটা আছে শুধুমাত্র সৌদী আরব ই। শাইখুল ইসলাম মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব নজদী (র.) সম্পর্কে জানতে আমার এ পোষ্ট পড়ুন।
১০ মে ২০১৫ সকাল ০৮:১৬
260284
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/4803/TrueIslam/58962#.VU6-6pulrIU
১১ মে ২০১৫ সকাল ০৫:৪৫
260466
সাদাচোখে লিখেছেন : না ভাই সঠিক ইসলাম আমি শিয়া মতাবলম্বী নই। এখন পয্যন্ত আমি মুসলিম। আপনার লিংকটি আমি পড়বো ইনশাল্লাহ্‌।

আল্লাহ কারো ব্যাপারে অনুমান করে সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষমতা আপনার জন্য আরো বাড়িয়ে দিন এটা আমার একটি প্রার্থনা।

আর আমার ব্যাপারে আপনার কনক্লুশানারী কমেন্ট এর জন্য যদি ইসলামিক্যালী কোন নেগেটিভ কিছু হয় - তবে আল্লাহ যেন আপনাকে ক্ষমা করে দেন - আপনাকে যেন আরো ধৈর্য দেন - তাও আমার চাওয়া ও প্রার্থনা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File