বাংলাদেশের চলমান গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি টানা লিটারেলী অসম্ভব ---

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০১:৫২:৩২ রাত

প্রায় একমাস আগে - দ্রুতলয়ে রিএ্যাকশান আকারে লিখেছিলাম 'বাংলাদেশ এ গৃহযুদ্ধ বাঁধতে যাচ্ছে'। শিক্ষিত, মার্জিত, পরকালমুখি ভদ্রমানুষদের আহ্বান জানাতে চেয়েছিলাম - শহরের পার্ট গুছিয়ে গ্রামমূখী হবার জন্য। বলতে চেয়েছিলাম স্বয়ংসম্পূর্ন (বেসিক পানি, খাবার এর ব্যবস্থাসম্বলিত) মার্জিনালাইজড (বিলাসী নয় - টয়লেট থাকার ঘর হতে দুরে) একটা লিভিং এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করতে। যদিও আমি বুঝি ও জানি তা সহজ নয়। আমরা আমাদের আজকের কমফোর্ট ও আজকের নিরাপত্তার দ্বারা প্রতারিত হই। অথচ এই আমরা বছর ঘুরতে না ঘুরতে রিফিউজী ক্যাম্পে তাবুর নিচে বসবাস করতে থাকি অমানুষের মত। ঠিক যেমন আজকের সিরিয়ান রা বসবাস করছে। ঠিক যেমন ২২ মাসের শিশু গরম কাপড়ের অভাবে মারা গিয়ে সিএনএন এর নিউজ হয়।

Click this linknull

যাইহোক, গতলিখার এক পাঠকের সাথে সুর মিলিয়ে বলছি - বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ চলছে। এবং এর সমাপ্তি টানা লিটারেলী অসম্ভব। গৃহযুদ্ধের পক্ষসমূহ দিনকে দিন - দিনের আলোয় বিভিন্ন রকমের মুখোশ পরে বের হয়ে আসছে। পক্ষসমূহের বিবৃতি, কার্যক্রম ও গতিবিধি - পাকিস্থান, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন এর গৃহযুদ্ধ ইত্যাদির সাথে প্রায়ই আইডেন্টিক্যাল - যদিও মিডিয়া সিভিল ওয়ার কথাটি ইদানিং এড়িয়ে চলতে ভালবাসে। পার্থক্য বড় বেশী হলে ১৯/২০ কিংবা ১৮/২০। এবং সেই পার্থক্য মূলতঃ কালচারাল ও লজিস্টিক্যাল পার্থক্যের কারনে।

আমার এই লিখা বাংলাদেশে বসবাসরত মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত ঐ সব মুমিন মুসলিম এর জন্য - যারা সকাল - সন্ধ্যা ফুরসৎহীন ভাবে কলম পিষে চলেছেন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জন্য, যারা তাদের সমস্ত মেধা ও চিন্তাচেতনা ব্যয় করছেন - যাতে ঐ সকল প্রতিষ্ঠান আরো অধিক হারে নীট মুনাফা অর্জন করতে পারে, আরো বেশী তাদের মাইলস্টোন কিংবা টার্গেট ফুলফিল করতে পারে। এই লিখা তাদের জন্য - যারা বছরের পর বছর প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য, সঞ্চয় করার জন্য, অর্থনৈতিকভাবে আর একটু নিরাপদ হবার জন্য ত্যাগ স্বীকার করে চলেছেন - এবং এ কাজ করতে গিয়ে আশেপাশের বিষয়াবলীকে - বিশ্বের পলিটিক্যাল, অর্থনৈতিক, সামরিক বিষয়াবলীর সাথে একীভূত করে বিচার বিশ্লেষন করার সুযোগ পান না। যারা ইসলামিক টিচিং এর ঐ অংশটুকু যা আজকের যুগে করনীয় বলে প্রতীয়মান হয় - তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার সুযোগ পান না - তাদের জন্য।

আমি অনুরোধ করব ঐ সব ভাই ও বোনদের - দয়া করে শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মুখ হতে নিঃসৃত বাক্য ও উক্তিসমূহকে বিচার বিশ্লেষন করতে আর তার পাশাপাশি তাদের এ্যাকশান সমূহকে বিচার বিশ্লেষন করতে। পৃথিবীর ইতিহাসে এর নজির গৃহযুদ্ধের প্রাক্কালে সংঘঠিত সরকার ভিন্ন আর কোথাও পাওয়া যাবে না।

অন্যদিকে সরকার বিরোধী অংশের দুর্বলতা, অপরিপক্কতা, প্রতিরোধ করার সামর্থ্যের অভাব, কনটিনিউ ও কনস্ট্যান্টলী এতটা হেয়, এতটা তুচ্ছ ও তাচ্ছিল্যের শিকার, এতটা পর্যুদস্থ, এতটা ভংগুর, এতটা গোঁয়ার গোবিন্দ অবস্থা - গৃহযুদ্ধের প্রাক্কালেই শুধু পাওয়া যায়। অন্য কোন অবস্থায় এর দেখা পাওয়া যাবেনা।

পক্ষবিপক্ষের বাহিরে দেশের মানুষের সেনিটি তথা স্বাভাবিকত্ব চুড়ান্ত রকমের অপ্রকৃতস্থার সমার্থক। তারা গোবেচারার মত নিউজ, ভিউজ ও গুজব শুনে একবার ডান দিকে ঝুঁকছে তো আর একবার বাম দিকে ঝুঁকছে। সুস্থ্যতা সম্পন্ন ধর্মহীন মানুষের কন্ঠ ও মুভমেন্ট ক্ষীন হতে ক্ষীনতর হয়ে পড়েছে যেমন - বদিউজ্জামান, শামসুল ও হাফিজ টাইপ। আর নীতি ও নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ আজ মসজিদ, মন্দির, গীর্জা কিংবা মাদ্রাসায় আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাদের মুখ আজ লিটারেলী সিল করে দেওয়া হয়েছে।

দেশের ভিতরের এই অবস্থার প্যারালালী - বাহিরের চিত্র হল পারস্পরিক নেগোশিয়েশান, কৌশল ও ভাগবাটোয়ারার। তারা সচেষ্ট নিজেদের পক্ষে বাংলাদেশের মেক্সিমাম স্টেক নিশ্চিত করতে। আধুনা বিশ্ব - নীতি-নৈতিকতা ও পাপ-পূন্যের পরিবর্তে, অর্থ ও ইনফ্লুয়েন্সকে (শক্তিমত্তাকে) দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অধিক প্রয়োজনীয় বলে নিশ্চিত করে নিয়েছে। এজন্য আজকের পৃথিবী লিটারেলী ২৪ স্কয়ার মাইলে হাজার হাজার ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়ে ৫০ দিন ধরে গাঁজা নিধনযজ্ঞ চালালে - টু শব্দটি করেনা, উইফন অব মাস ডিসট্রাকশানের মিথ্যা অভিযোগে ডিফেন্সলেস একটা দেশের ১৪ লক্ষের বেশী মানুষকে খুন করে সে দেশের অর্থ সম্পদকে চুরি ডাকাতি করাকে বৈধতা দেয়, মিথ্যা রিভ্যুলিউশানের নামে নো ফ্লাই জোন স্টাবলিশ করে একটা দেশ হতে তেল চুরি ছাড়াও দিনের আলোতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুরো স্বর্নের রিজার্ভ ডাকাতের মত সরিয়ে নেয়। প্রচুর সময় নিয়ে পড়ালিখা করার সুযোগ না পেলে - আর চোখ কান খোলা না থাকলে - আইএসআইএল, ৯/১১, আল কায়েদা, চার্লি হোবদো ইত্যাদি সম্পর্কে সত্যিকার ভাবে জানার, বোঝার আসলেই কোন সুযোগ নেই। এবং এসবের সাথে বিশ্বের অপরাপর এ্যাকটর (যেমন ইলোমিনাটি, ওয়ান ওয়ার্ল্ড, স্যাটান ওরশিপার, যিয়োনিস্ট মুভমেন্ট ইত্যাদি) ও ইলিমেন্ট (যেমন ইলেক্ট্রনিক মানি, ডিজিটাল আইডি, জি এম ও ইত্যাদি) বোঝার সাধ্য নেই।

এমনি অবস্থায় বাংলাদেশের সকাল সন্ধ্যা সবসময় ব্যস্ত ঐ সব এক্সিকিউটিভ ভাই ও বোনেরা লিটারেলী অন্ধের মত বিপদে পড়তে যাচ্ছেন বলে আমার মনে হয়। আল্লাহ যা চান - ভালর জন্যই চান। আমার তাতে দ্বিমত নেই। কিন্তু আমার মনে হয় শিক্ষিত ভাইদের কাছ হতে 'দেশের ভবিষ্যত' কোন দিকে তার বিচার বিশ্লেষন জানার ও বোঝার অধিকার দেশের আম আদমীদের আছে, দিকনির্দেশনা পাবার ও। সো ভাইরা যদি একটু সময় নিয়ে ভাবেন এবং সে অনুযায়ী এ্যকশান নেন - তবে ভাল হবে। আর এক্সাম্পল সেট করে অজ পাড়াগাঁ কিংবা গ্রামমুখী হন, ধর্ম কর্ম ও শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন, গ্রামীন সয়ংসম্পূর্ন একটা জীবন ব্যবস্থা গড়ার জন্য গ্রামবাসীদের নিয়ে কাজ করেন - তবে এ্যাটলিস্ট বর্ডারের ঐ পাশে লংটাইম তাবুতে থাকা হতে বাঁচা যাবে, যা নিশ্চয়ই ডিসগাস্টিং এক্সপেরিয়েন্স হবে।

আমার এই লিখা তাদের জন্য নয় - যারা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সাথে ফাইট করছেন।

বিষয়: বিবিধ

১১৬৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

304281
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:৪৯
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : সিরিয়ার মানুষ বাঁচার জন্য বর্ডারের ওপার পেয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের সে সুযোগ নেই। এ দেশটি চারিদিকে শত্রু-পরিবেষ্টিত।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
246119

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : সিরিয়া বর্ডারের ওপারে ওৎ পেতে আছে আইসিস। এ পর্যন্ত ৫ লক্ষ মুমিন কতল হয়েছে মুমিন বাহিনীর হাতেই।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০১:৫৫
246138
সাদাচোখে লিখেছেন : কোন সন্দেহ নেই, বাংলাদেশের মানুষ মুশরিক দ্বারা পরিবেষ্টিত। আর আল্লাহর নবী সঃ ভবিষ্যতবানী করে বলেছিলেন - ইহুদী আর মুশরিকরাই হবে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় শত্রু। আজকের জামানায় সেই শত্রুতার অজস্ত্র উদাহরন আমাদের সামনে বর্তমান।

তারপর ও আল্লাহ চাইলে আর সত্যিকার মুসলিম চেষ্টা করলে বর্ডারের ঐ পাড়ে না ও যেতে লাগতে পারে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:৪৩
246170

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : ইহুদী আর মুশরিকরা কি আপনার আল্যাকে জমা খরচ দিবে নাকি?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File