শেখ হাসিনা বাংলার পুলিশকে ঘুষের অফার দিলেন।
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ২৯ জানুয়ারি, ২০১৫, ০১:১৬:০৫ রাত
যে কোন বিচারে (ফ্যাক্টচ্যুয়াল, হিস্টিরিক্যাল, লিগ্যাল, ইথিক্যাল, মোর্যাল) বিচার করলে দেখা যাবে শেখ হাসিনা ১০০% অন্যায়ভাবে বাংলার মসনদ দখল করে রেখেছেন। একদল দূর্নীতিবাজ, দাগী সন্ত্রাসী, অপরাধী, খুনী, লুটপাটকারীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে ১৬ কোটি মানুষের ৭০% - ৮০% কে জিম্মি করে রেখেছেন। জিম্মি মানুষগুলোর সামনে ডু অর ডাই মেনটালিটির - ডেসপারেট সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতাসম্পন্ন কোন নেতা না থাকায় - হাসিনার জিম্মি অবস্থা প্রোলং হতে পারছে।
অন্যদিকে মেনটালী সিক শাহরিয়ার, মুনতাসির টাইপ বুদ্ধিজীবী, উট পাখি টাইপ সম্পাদক ও সাংবাদিকদের কারনে - পুরো দেশ এর ধর্ম প্রেমিক নেতা, বুদ্ধিজীবি, সংবাদিকদের সামনে ভারতীয় আগ্রাসী জুজুর ভয় উপস্থাপন করে রাখা হয়েছে। তাই সত্যিকার রাজনৈতিক কর্মসূচী - যার ডাক দেবার কথা তা দেওয়া হচ্ছেনা। স্বভাবতঃই আশা ভরসা ও দিক নির্দেশনা বিহীন, ভীতশ্রদ্ধ জনগন সবকিছু হতে হাত ঘুটিয়ে নিয়ে অপেক্ষা করছে। কারন তাদের বিচার বিবেচনা পরিষ্কার। একজন অন্যায়কারী খুন, গুম ও ভয় ভীতির আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে সুবিধা নিচ্ছে আর সেই অবৈধতার সাথে সাথে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে। জনগন ও নূন্যতম ন্যায় নীতি বোঝা মানুষ তা সমর্থন করতে পারে না। প্রতিবাদ না করুক, চুপ করে থাকতে পারে, হাত ঘুটিয়ে বসে থাকতে পারে। সো বাংলার মানুষ তাই করছে।
তার মানে লিটারেলী - এই দাঁড়ালো যে হাসিনা তার কয়েক হাজার চোর, বদমাশ, গুন্ডা, পান্ডা, লোভী, খুনী, ধর্ষক ইত্যাকার প্রশাসনিক ও সিভিল সার্কেলের মানুষ জন দিয়ে ক্ষমতা প্রোলং করতে পারলেও - যে অর্থে দেশ শাসন ও সরকার পরিচালনা করা - তা করতে পারছেন না।
সো ওনার নিচের বক্তৃতাটি শুনে আমি যা বুঝলাম - তিনি তার সামনে পুলিশ প্রশাসনের সিনিয়র মোস্ট অফিসারদের ডেকে 'এক হাজার এক রাত্রী/আরব্য রজনী' হতে রাজ্যের এক হৃদয় বিদারক গল্পের অবতারনা করলেন। তিনি আহম্মকের মত পুলিশ অফিসারদেরকে মোস্ট স্টুপিড মনে করলেন। মনে করলেন বিসিএস পাশ করা (হাসিনা কোটিবার চেষ্টা করলেও যা কোনদিন পাশ করতেন না) এ সব অফিসাররা দেশ বিদেশ ন্যায় অন্যায় কিছু বোঝে না। বছরের পর বছর চোর বাটপার প্রতারকদের সাথে কাজ করেও অপরাধী হাসিনার প্রতারনা বুঝবে না। ন্যায় ও অন্যায় বুঝবে না।
সবশেষে শান্তি শৃংখলা রক্ষার নামে পলিটিক্যাল এ্যাক্টিভিস্ট (যদিও আমি ঐ সংস্কৃতিকে পছন্দ করিনা - এবং এর বিকল্প বাংলার জন্য কিছু আছে বলেও মনে করি না) দের কনটেইন করার জন্য ওপেন কিলিং লাইসেন্স, মেইমেং লাইসেন্স, জেলিং লাইসেন্স, টরচারিং লাইসেন্স দিয়েছেন আর সে সাথে নিজে তার দায়-দায়িত্ব নিলেন - প্যারালালী ঘুষ হিসাবে যে ভাবে সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর কথা বললেন - তা যে কোন সেন্স এ নির্লজ্জ ঘুষ অফার করার মত মনে হল আমার।
মাথামোটা, মাথা বিক্রিকরা পুলিশ অফিসার রা এতে এ্যামিউজড হলেও অর্ডিনারী, জানাশোনা পুলিশ অফিসারদের মধ্যে এতে কোন কাজ হবে বলে আমার মনে হয়না। বরং আমি দেখছি হাসিনা দিনকে দিন নিজের কবর খুড়ে চলছেন, নিজের হিউমিলিয়েশান নিজে ডেকে আনছেন।
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১০৫৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় উনার অধীনেই ।
জাত অপরাধী, অপরাধ করার পর যেমন দায় দায়িত্ব নিতে চায় না, খুনী খুন করার দায়িত্ব নেয় না - অনুরূপভাবে শেখ হাসিনা ও দায় নিতে চাইছেনা, ঠিক যেমন র্যাব পুলিশ খুন করার পর দায় দায়িত্ব নিতে চায় না।
আমাদের প্রত্যাশা চোরকে যেমন ধরা পড়লে শাস্তি পেতে হয়, আগামীতে শেখ হাসিনা ও তার লেফটেনেন্টদেরও যেন করা অন্যায়ের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত হয়।
নয়তো মানুষের আত্মা শান্তি পাবে না, মানুষের মর্যাদা থাকবে না।
Hope brothers and sisters with knowledge and time will surely present analysis that will benefit Ummah and Nation as well.
Thank You.
মন্তব্য করতে লগইন করুন