অবশেষে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধতে যাচ্ছে!
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ১১ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৪:১৫:১৫ রাত
নিত্য পরিবর্তনশীল বিশ্ব পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ সরকারের অনুগত্যের অস্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্যহীনতা - বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গৃহযুদ্ধ অবস্থা প্রায় নিশ্চিত করে তুলেছে। অভ্যন্তরীন শক্তিসমূহের (পলিটিক্যাল, বানিজ্যিক, সিভিল সার্ভেন্ট, মিডিয়া, সুশীল সমাজ ও পাবলিক ইত্যাদি) পোলারাইজেশান যেমন দ্রুততর হচ্ছে - তেমনি বিশ্ব ও আঞ্চলিক শক্তিসমূহের মধ্যে চলমান আলোচনা, দরকষাকষি ও নিথর নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে। দ্বন্ধ ও সংঘাত এর মেঘ ঢাকা সহ মেজর শহর সমূহে জমাট হয়ে আছে। এখন বারুদ চার্জ করার জন্য মোক্ষম একটা সময়ের অপেক্ষা চলছে - যা আদেশ আকারে বর্ডারের বাহির হতে আসবে।
দেশের ভেতরে - গৃহযুদ্ধের জন্য অন্যতম উপাদানসমূহ, তথা পারস্পরিক অসহনশীলতা, চুড়ান্ত রকমের ঘৃণা পোষন, আইনের প্রতি অবিশ্বাস, পুলিশিং এর প্রতি ক্রোধ ও তার অকার্যকরিতা, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার নিরবিচ্ছিন্ন কার্যক্রম সবই বর্তমান ও আদেশের অপেক্ষায়। বিবদমান পক্ষসমূহ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, পর্যাপ্ত মোটিভেশান ও পড়ালিখা করানো হয়েছে, আশা ও ভালবাসার কথা জানানো হয়েছে এবং তাদের সামনে জয় ভিন্ন অন্য কোন বিকল্প খোলা রাখা হয় নাই। মিডিয়ার মাধ্যমে তুলির ন্যায় তাদেরকে এমন জায়গায় আনা হয়েছে যে - নেতৃত্বের কোন কাতারেই আর বিবেক, বিবেচনা বলে কিছু রাখা হয়নাই এবং তাদের জন্য পেছানোকে রীতিমত হারাম করে দেওয়া হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ এর ঠিক আগে ইয়াহিয়া খানের সরকার, আজকের আওয়ামীলীগ সরকারের ন্যায় - বিরোধী দল সমূহের সামনে কোন পথ খোলা রাখেনি, তার পাশাপাশি অসহিষ্ঞু বিবৃতি দিয়ে ও মিডিয়াকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে সরকারের বৈধতা ও সততা কে প্রশ্নবিদ্ধ, সন্দেহজনক হিসাবে উপস্থাপন করেছিল। ইয়াহিয়ার সরকার শেখ মুজিব এর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা ও তার শক্তি ও সামর্থ্যকে অবজ্ঞা করার পাশাপাশি - অপ্রয়োজনে মিথ্যা অহমিকা ও একগুয়েমী প্রদর্শন করেছিল। ঠিক যেমন আজকের হাসিনা সরকার বিরোধী দলের প্রতি প্রদর্শন করছে।
অন্যদিকে আমেরিকা, চায়না, রাশিয়া ও ভারত যার যার স্বার্থানুযায়ী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চুড়ান্ত রকমের গোয়েন্দা কার্যক্রম ও ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশান চালাচ্ছিল ও টাকা ছড়াচ্ছিল - ঠিক যেমন আজকে পজিশন আয়ত্বে নিয়ে নিয়েছে। ফলাফল স্বরূপ সাধারন মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছিল। ভুখন্ডের ভবিষ্যত অনুমান করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল। ন্যায়ের প্রতি নমনীয় আর্মড ফোর্সেস সহ অন্যান্য দেশীয় শক্তি পরিপূর্নভাবে বিকল্প সমাধানের পথ হারিয়ে ফেলেছিল। গুমোট পরিস্থিতিতে সরকার বাহিরের প্ররোচনায় এবং দেশের ভেতরের ঝুঁকিকে নাকের ডগায় অনুভব করেছিল - বিরোধিতা ক্রাশ করা ভিন্ন অন্য কোন অপশান তার সামনে খোলা ছিল না। অমন অবস্থায় স্থানীয় মানুষ সম্পর্কে অনভিজ্ঞ সামরিকবাহিনী ও গোয়েন্দা ব্যবহার করতে গিয়ে খেই বা নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেছিল।
আজকের অবস্থাও ঠিক তাই। আওয়ামী সরকারের চারপাশে ভারতীয় স্পেশাল ফোর্স ও গোয়েন্দায় ভরা - যাদের প্রধান কাজ হল সরকারকে তার শক্তি ও সামর্থ্যকে অদম্য ভাবে উপস্থাপন করার পাশাপাশি - সমস্যাকে বিরাট হতে বিরাটাকার করে দেখানো আর পরিনতিতে সরকার বাধ্য করা হচ্ছে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বিরোধীতাকে নূন্যতম সময়ে ক্রাশ করতে। ফলাফল স্বরূপ পশ্চিমা শক্তির সমর্থন পুষ্ট শক্তি বাধ্য হবে প্রতিরোধে নামতে - শিল্প কারখানা ও শপিং মলে আগুন লাগানো সহ নূন্যতম সময়ে দেশের পরিস্থিতিকে বিশৃংখল করে দিতে। যাতে পুলিশিং ও বিচার ব্যবস্থা ১০০% অকার্যকর হয়ে পড়ে। সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী সমাজ সহ সুস্থ্য মস্তিস্কের মানুষ প্রথম সুযোগেই বিদেশ পাড়ি দিবে। ফলাফল হবে হাতে হাতে অস্ত্র সহ পাড়ায় মহল্লায় আওয়ামীলীগের পেটুয়া বাহিনীর নিরাপত্তা নামে উপস্থিতি নিশ্চিত করন - যারা স্বেচ্ছাচারিতা করবে, মহিলাদের দিকে হাত বাড়াবে - ফলাফল স্বরূপ চোরা গোপ্তা হামলার প্রকোপ গ্রাজুয়ালী বাড়তে থাকবে।
সরকারকে পশ্চিমা ও ভারতীয় স্পেশাল ফোর্সের সাহায্য চাইতে বাধ্য করা হবে এবং তার আওতায় শুরু হবে টার্গেটেড কিলিং। মিডিয়ায় ক্রমাগত দেখানো হবে হিন্দুরা বর্ডারে পালাচ্ছে, সে সাথে দরিদ্র মানুষেরা বস্তি হারা হতে থাকবে, মধ্যবিত্তরা নিরাপত্তাহীন হয়ে গ্রামমূখী হবে - আর সে সাথে ইয়াং ছেলেদের হাতে হাতে অস্ত্র তুলে দেবে পশ্চিমা ও ভারতীয় স্পেশাল ফোর্সের লোকেরা বিভিন্ন ইন্টারেস্ট গ্রুপের নামে।
লিবিয়া, সিরিয়া, পাকিস্থান এর মডেল এর ১৯-২০ করে সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এর থেকে পেছাতে না পারবে সরকার, না পারবে বিরোধীরা। সাধারন মানুষের হাতে মূলতঃ বিকল্প একটিই। আর তা হল - বারুদ জ্বলার জন্য অপেক্ষা না করে শহরের পার্ট ঘুছিয়ে ক্যাশ নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে যাওয়া - বিশেষ করে গ্রাম মুখী হওয়া ও সাশ্রয়ী জীবনে অভ্যস্থ হবার চেষ্টা করা। নতুবা রিফিউজি হবার জন্য প্রস্তুত থাকা।
বিষয়: বিবিধ
১০৯২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
মাস খানেকের মধ্যেই সবকিছু ঠান্ডা হয়ে যাবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন