জায়োনিস্টরা কি 'শিয়া-সুন্নী হত্যা খেলা'র উদ্ভোধনী ভ্যেনু হিসাবে পাকিস্থানকে প্রস্তুত করছে?
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ২০ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:৩৬:৫৬ রাত
সুরা মায়িদার ৫১ নং আয়াতে বর্নিত 'জুদায়ো-খৃষ্টান ঐক্য' তথা প্রতারক (দজ্জালিক) গোষ্ঠি - নবী মোহাম্মদ সঃ এর আখেরী জমানার ভবিষ্যতবানীকে নিশ্চিত করতে - মুসলিম জাতি সমূহের উপর চেপে বসেছে এবং দিনকে দিন তাদের আসন বিস্তৃত করেছে এবং আরো বেশী পাকাপোক্ত করে চলেছে। প্রায় সমান্তরালে জীবিত সচেতন মুসলিমদের, মুমিনদের মন ও বিবেক ক্ষতবিক্ষত হয়ে - মোহ ও লোভ হতে ফিরে - দুনিয়াবী বিষয়াদিকে নগন্য করে - একের পর এক আরো বেশী আকাশের দিকে হাত উঠাচ্ছে - শুধু এ আহ্বান নিয়ে, এ আবেদন নিয়ে - 'ওহ আল্লাহ আমাদের জন্য একজন নেতা পাঠাও'।
গত ১১টি বছর সচেতন মানুষ মাত্রই প্রত্যক্ষ করছে - জুদায়ো-খৃষ্টান এই গোষ্ঠিটি (উপরের আয়াতানুযায়ী তাদের মুসলমান অংশ তথা মিত্রসহ) মিথ্যা, প্রতারনা, শঠতা, গোয়েন্দা বৃত্তি, ব্ল্যাকমেইলিং (দজ্জালের/প্রতারকের মূল চরিত্রসমূহ) ইত্যাদি ব্যবহার করে জল, স্থল ও আকাশ হতে আফগানিস্থান, ইরাক, ইয়েমেন, লিবিয়া, মিশর, লেবানন, প্যালেস্টাইন, সিরিয়া জুড়ে লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে পাইকারীভাবে হত্যা, বিকলাংগ, সম্ভ্রমহীন, গৃহহীন, ইয়াতীম করেছে। অনাহারে, অর্ধাহারে পশুর চেয়েও অধম ভাবে ট্রিট করেছে এবং করেই চলেছে। এ সবই আজকের এই জামানা নিয়ে মোহাম্মদ সঃ এর ভবিষ্যতবানী আর আমাদের জন্য আল্লাহর পরীক্ষা মাত্র। শুধুমাত্র গাঁ শিওরে উঠার মত বিভৎসতা দেখতে - তথা বনী ইসমাইল আঃ এর বংশধর তথা আরবদের উপর পরিচালিত জেনোসাইড দেখতে, ইউফ্রেতিস নদীর গোল্ড সংশ্লিষ্ট হত্যাকান্ড দেখতে, তথা ৯৯% এর মৃত্যু দেখতে - আমাদের হয়তো আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে - এই যা।
আপনারা যারা ওয়াকেব হাল তারা নিশ্চয়ই জানেন - খুন করতে করতে জায়োনিস্টরা আজ টায়ার্ড ও তাদের আইনসিদ্ধ কোষাগার শূন্য। তারা এখন তাদের বন্ধু (উপরোক্ত আয়াতানুযায়ী) ও মুসলিমদের সম্পদ লুন্ঠনকারী মধ্যপ্রাচ্যের রাজাবাদশাকে মুসলিম নিধনের খরচ জোগাতে বলেছে। রাজাবাদশারা তাই এখন - গাজা, লিবিয়া, মিশর, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেনের মুসলমান হত্যার ব্যায়ভার বহন করছে তথা প্রক্সি যোদ্ধা, প্রাইভেট সিকিউরিটি ফোর্স, ভাড়া খাটা ফোর্স সহ দারিদ্রপিড়ীত, জেল-জুলুমের শিকার অসহায় মানুষদের বেতনের নামে টাকা দিয়ে, এককালীন সন্মানী দিয়ে, অস্ত্রদিয়ে, ড্রাগ দিয়ে, মুসলিম নারী সরবরাহ করে - উল্লেখিত ভূখন্ডগুলোতে মুসলমান নিধন চালিয়ে যাচ্ছে।
রাজাবাদশাদের এই বিনিয়োগ পর্বের সমাপ্তি ও মূল লাভালাভ তুলতে জায়োনিস্টরা গত দেড় বছর ধরে কাজ করছে - যে কোন ভাবেই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব - শিয়া সুন্নীর মধ্যে সেকটেরিয়ান ডিভাইডে একটা যুদ্ধ বাঁধাতে। এ নিমিত্তে তারা লেবাননে হত্যাকান্ড চালিয়েছে, সিরিয়ার প্রক্সিযুদ্ধকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে সেকটারিয়ান তথা শিয়া ও সুন্নীর রূপ দিয়েছে, তারপর বাহরাইনে নির্যাতন চালিয়ে মুসলিমকে ডিভাইড করছে, তারপর সরকার হীন অবস্থার বেড়াজালে আইএস কে ফিল্টার-ইন করিয়েছে এবং গ্রাফিক্যালী শিয়া সুন্নী হত্যার ছবি ও ভিডিও মুসলিমদের মধ্যে ছড়িয়েছে এবং সে সাথে এনরেইজড ও উত্তেজিত কমেন্ট, ব্লগ, ছবি ও ভিডিওর ব্যবহার করেছে। সো আমরা মিডিয়া ও ব্লগে নতুন করে সব কিছুতে অধিক হারে শিয়া সুন্নীর বিষয়কে দেখছি এবং নোংরা গালিগালাজ করে উত্তেজিত হতে দেখছি।
এর উদ্দেশ্য এ নিধনযজ্ঞে তারা আর বিনিয়োগ ও লোকবল ব্যায় করতে ইচ্ছুক না। তারা প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে - আপনা আপনি মুসলিমদের মাথা ও মুন্ডু ধড় হতে আলাদা করতে চায়, মহিলারা দেদারসে ধর্ষিতা হচ্ছে এমনটা দেখতে চায় - তা সে সত্যিকারভাবে হোক কিংবা না হোক, লক্ষ লক্ষ মানুষকে পুংগু হিসাবে পেতে চায় এবং অবশিষ্ট মুসলিমকে - জায়োনিস্টদের পা চাঁটতে প্রস্তুত হিসাবে দেখতে চায় - যারা তাদের মুসলমানিত্বকে জায়োনিস্ট, তথা প্রতারক তথা দজ্জালের হাতে সঁফে দেবে - এবং এ্যবসুলুট স্লেইভ এ পরিনত হবে।
হাদীসানুসারে সাধারন মুসলিমরা দজ্জালের পায়ের নীচে অমন এ্যানস্লেইভমেন্ট এ পড়ার কথা - যাতে সত্যিকার মসীহ উদ দজ্জাল - তার স্বমূর্তিতে মানুষের সামনে প্রকাশিত হতে পারে।
উপরের ভূমিকাটা লম্বা হয়ে গেল। চিত্রনাট্যটিকে কাঁটছাঁট করলে প্রেক্ষিতকে যথাযথভাবে পাঠকের জন্য আকঁতে পারছিলাম না।
এবার মূল প্রসংগ। পাকিস্থানে তেহরিক ই ইনসাফ ও কানাডা প্রবাসী জিয়োনিস্ট এজেন্ট কাদরী ও তাদের পৃষ্ঠপোষক সেনাবাহিনী আপাতঃ পাকিস্থানীদেরকে মুক্তি দেবার নিমিত্তে গণতন্ত্রের নামে যে আন্দোলনটি চালাচ্ছে - তা মূলতঃ - জায়োনিস্টদের এজেন্ডা শিয়া সুন্নীর ফাইট শুরুর দোরগোড়ায় তথা ওপেনিং এ মুসলিমদের পৌছিয়ে দেওয়ার সমতুল্য। বিশেষ করে প্রতারনা নির্ভর কারেক্টার জনাব কাদরী যে বিষয়টির উপর জোর দিচ্ছেন - 'প্রথমে সরকারের স্টেপিং ডাউন আর তারপর জাতীয় সরকার গঠন' - তা উল্লেখযোগ্য। অর্থাৎ সরকার বিহীন একটা ভংগুর ও দূর্বল অবস্থা।
মূলতঃ এই মতবাদটি ধার করা হয়েছে 'বাগদাদ লেসন' হতে। যেখানে নুরি আল মালিকি মেজরিটি আসন পাওয়া সত্ত্বেও সরকার গঠন করতে পারেনি - কারন জায়োনিস্ট দালালেরা সংযম প্রদর্শন করে বলেছে তারা মালিকির সরকারে যোগ দেবে না - যাতে ঐ অস্থিতিশীলতায় রাজাবাদশার টাকায় তৈরী ভাড়াটিয়া সৈনিকেরা আই এস এর নামে রাস্তায় নেমে শিয়া হত্যা করতে পারে, আর শিয়ারা প্যারামিলিটারী তৈরী করে সুন্নী হত্যার জন্য লেজিটিমেট রাইটস হাতে পায়।
অনুরূপভাবে, পাকিস্থানের সরকারের পতন নয় - মূলতঃ সরকার হীন একটা অবস্থান নিশ্চিত করার মাধ্যমে শিয়া ও সুন্নি হত্যা কিংবা নিধন খেলার শুভ সূচনা করা হবে। মাথা মোটা অর্ধ-শিক্ষিত পাকিস্থানীরা গ্রামে গন্জে দা বটি, তলোয়ার নিয়ে শিয়া মারছে আর সুন্নি মারছে অমন রগরগে ছবি - ২৪/৭ প্রচারনা শুরু হবে সিএনএন, বিবিসি ও আলজাজিরায় আর তাদের বশংবদ মিডিয়ায় - যেমন বাংলাদেশে ৭১, আই, প্রথমালু ইত্যাদিতে।
ফলাফল কোন টাকা পয়সা খরচ ছাড়া, কোন আর্মী ছাড়াই - ইরান ও সৌদীর নেতৃত্বের আমরা মুসলিমরা একটা যুদ্ধ খেলা খেলবো - যেখানে এয়ার প্রটেকশানের নামে জায়োনিস্টরা তাদের অবশিষ্ট নতুন নতুন বোমাগুলোকে পরখ করে নিবে এবং অতি অল্পসময়ে পৃথিবীর মানচিত্র হতে ৫০% এর বেশী মুসলমান খতম হয়ে যাবে।
আপনি আমি এটা বন্ধ করতে পারবো না। দজ্জালিক বিষয়াদিকে আমরা বাধাঁ দিতে পারবো না। আমরা যেটা পারবো আল্লাহর সাহায্য নিয়ে কিছু মানুষকে ভ্রাতৃহত্যা হতে নিবৃত করার চেষ্টা করতে, ক্যাজুয়ালিটির পরিমান কমাতে, এ্যগ্রেসিভ ভাইদের ইনফ্লেমটরী কমেন্ট না করে - টোন ডাউন করাতে।
আল্লাহ আমাদের কে হেফাজত করুন এবং দ্রুত আমাদের জন্য একজন নেতা দিক - এটাই প্রার্থনা।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৪৫৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ওদিকে আফঘানিস্তানে তো আগে থেকে লেগে আছে এদিকে পাকিস্তান পুরোপুরি যোগ হলে, এপাশে বাকী থাকবে শুধুই তুর্কেমেনিস্তান; আর ঐদিকে ইরাক আর সিরিয়ায় লেগে গেছে বাকী আছে শুধু টার্কী আর আযারবাইজান; মাঝখানে ইরান। আরেকপাশে সৌদী, মিশর আর জর্ডান তাদের মতো করে যাচ্ছে আর ইসরাঈল এর সাথে লেগে আছে লেবানন আর গাজা। আর অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোয় তো সেক্যুলারদের সাথে সাধারণ মুসলিমদের লাগে লাগে ভাব হয়েই আছে, এসব ইস্যু মিলে মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে আমরা মুসলমানরা বড় যুদ্ধের দিকেই যাচ্ছি!
ধন্যবাদ এসব বিষয়ে আপনার বিশ্লেষনমূলক লেখার জন্য।
আফগানিস্থানে পৃথিবীর ইতিহাসে কোন শক্তিই কোনদিন ই জয়ী হয়নি। বৃটেনকে পরাজয় মেনে যেতে হয়েছে, সোভেয়েত কে আর এখন ন্যাটোকে ও। (আপনি খারজাই এর আমেরিকান চুক্তি সাইন না করার সিদ্ধান্তকে এ্যানালাইসিস করে দেখতে পারেন - হুদাইবিয়ার সন্ধি পরবর্তী কোরাইশদের কনসিকোয়েন্স আর আমেরিকার কনসিকোয়েন্স আমার কাছে আল্লাহর অন্যতম একটা নিদর্শন মনে হয় - কিন্তু আল্লাহ ভাল জানেন। মজার ব্যাপার হল ইসরাইলীরা চায় আফগান পশতু স্পিকিং মানুষরা ও পান্জাবী মানুষেরা জেরুজালেমে ফিরুক কারন তারা কিনা বনী ইসরাইলের লস্ট ট্রাইভের একটি, মোহাম্মদ সঃ বলেছেন (শতভাগ সহী হাদিস নয়) আফগান সেন্ট্রিক খোরাসান হতে ব্লাক ফ্ল্যাগ নিয়ে একদল মানুষ জেরুজালেম উদ্ধার করবে এবং মুসলিমদের কে আইস এ ক্রল করে হলেও যোগ দিতে বলেছেন সে মার্চ এ - সহী হাদীস হল মুসলিম রা (আরব রা নয়) গাছ ও পাথরের ডাকে সাড়া দিয়ে ইয়াহুদীদের খুন করবে (বনী ইসরাইলীদের নয়।)
ঠিক তাই পৃথিবীর শেষ সময়ে মুসলিমরা সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে এটাই প্রফেসী ছিল মোহাম্মদ সঃ এর। আমরা সংখ্যায় অনেক থাকবো কিন্তু আল্লাহ আমাদের শত্রুর আই সাইটে যে ভয় ও ভীতি রেখেছিল - তা তুলে নিবে এবং আমাদের মধ্য হতে কারা আসলেই মুনাফিক, কারা আসলেই দূর্বল ঈমানের, কারা আসলেই লেটস সে দুই নাম্বার মুসলিম - তাদেরকে এ ট্রায়ালের মাধ্যমে আলাদা করে নিবেন - যাতে মেহেদী আঃ / যীশু বা ঈসা আঃ এসে সত্যিকার মুসলিমদের নেতৃত্ব দিতে পারেন।
এ নিয়ে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন বেশী রিসার্চ হচ্ছে, বেশী লিখালিখি হচ্ছে এবং বেশী ভাবনা সামনে আসছে। আমার ধারনা মানুষ সিসির মুসলিম নিধন, হাসিনার শাপলা চত্ত্বর এর কান্ড কারখানা, বৌদ্ধদের রোহিংগা নিধন, ইসরাইলের গাঁজা নিধন - এসব কারনে মানুষ বাধ্য হচ্ছে কোরান ও হাদীস নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে - কারন কোরান ও হাদীসে মিলে মুসলিম এমন কোন কিছু নেই - যা সম্পর্কে অগ্রীম সতর্ক করা হয়নি এবং করনীয় বলে দেওয়া হয়নি।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
আপনিই বল্লেন- যা হছ্ছে তার সবই আল্লা এবং নবী মোহাম্মদের ভবিষ্যত বানীর টু দি পয়েন্টেই হছ্ছে। তো, হটাৎ আল্লার হেফাজত চাওয়ার হেতু কি? আপনি হেফাজত পেয়ে গেলে নবীর অকাট্ট ভবিষ্যত বানী ভেজাল প্রমানিত হয়ে যাবে না? মাথামুথা ঠিক আছে??
তবে এটা ঠিক মুমিন মুসলিমরা এখন পাগলা কুকুরের মত হয়ে গেছে। এরা যাকে পায় তাকেই কামড় দিয়ে বসে।
অতএব কুকুর হইতে সাবধান।
বলুনতো গত রোজার মাসে শুরু হওয়া হামাস বনাম ইসরাইল যুদ্ধে কেন ইসরাইলকে তাদের হিসাব মতে ৬৪ জন সেনার বিপরীতে মাত্র ৩ জন সিভিলিয়ানকে কোলেটারাল ডেমেজ হিসাবে হারাতে হয়েছিল। তথা আর্মী সিভিলিয়ান ডেথ এর অনুপাত প্রতি ২১ জন সেনার বিপরীতে মাত্র ১ জন। তারমানে হামাস ২১ জন যুদ্ধরত সেনাকে হত্যা করেছে আর কোলেটারাল ডেমেজ হিসাবে একজন সিভিলিয়ানকে হত্যা করেছে।
অন্যদিকে, ইসরাইল ৪০৬ জন হামাস সেনাকে হত্যা করার জন্য ১৬১০ জন সিভিলিয়ানকে হত্যা করেছে। তার মানে ১ জন যুদ্ধরত হামাস সেনাকে হত্যা করার জন্য তারা ৪ জন নিরিহ শিশু ও মহিলাকে হত্যা করেছে।
আপনি আমাকে বলুন - হামাস ও ইসরাইলের ফায়ার পাওয়ার ও শক্তিকে বিবেচনায় নিলে - কে যুদ্ধে জয়ী হয়েছে? কেন জয়ী হয়েছে?
কিন্তু যখন কোরান, হাদীস ও ডিভাইন ইস্যু গুলোকে প্রাধান্য দিই তখন মনের অজান্তেই মুখ দিয়ে বের হয়ে যায় সোবহানাল্লাহ।
আল্লাহ আমাদেরকে ইতিহাসে ও চোখের সামনে ন্যায়ের পথে যুদ্ধরতদের জয় ও পরাজয় নির্ধারনের প্রচুর উদাহরন সেট করে দিয়েছেন - অথচ আমরা কেন যেন পুরো হৃদয়ে ঐ সব উদাহরন ও দৃষ্টান্তকে এক্সেপ্ট করতে পারিনা। আমরা ইয়াহুদীরা যেমন মুসা আঃ কে প্রশ্ন করে করে ভীতশ্রদ্ধ করে দিয়েছিল তেমনি প্রশ্ন ও যুক্তির অবতারনা করি।
দুনিয়া, পরিবার পরিজন আমাদেরকে কাছে টেনে নেয় ও কাউন্টার যুক্তি বা প্রবোধ তৈরী করায় - সত্যকে ফেইস করতে মন সায় দেয়না, মিথ্যা প্রবোধ বেশী স্ট্রং হয়ে ধরা দেয়।
উপরের ভদ্রমহিলাকে লিখছিলাম হামাস বনাম ইসরাইলের যুদ্ধের জয় পরাজয় এর পরিনতি। তার আগে লিখছিলাম তালেবান বনাম ন্যাটোর যুদ্ধের পরিনতি।
যদি ইস্যু আসে যথাযথ সাজ সরন্জাম ছাড়া ঐ সব আধুনিক বিষয়াদি কি লক্ষ লক্ষ আফগানী, প্যালেস্টাইনী, লিবিয়, ইরাকি, ইয়েমেনীর প্রান কেড়ে নেয়নি - তখন কেন যেন মনে আসেনা - আমরা তো সবাই ই একদিন মরবো।
কিন্তু কেন যেন যুক্তি আসেনা ঐ সব অন্যায়কারী, দেশ দখলকারী, ঈমান ও আকিদা চিনিয়ে নিতে আগ্রাসী শক্তির বোমা কিংবা গুলির আঘাতে মরে যাওয়া নিরিহ মানুষরা আমাদের চেয়ে অনেক ভাগ্যবান - কারন তারা লিটারেলী কোন কষ্ট অনুভবের আগেই মরে গিয়ে সরাসরি পুরুষ্কৃত হল তাদের স্রষ্টা দ্বারা।
আর আমরা পিঠের ব্যাথায়, হাতে পায়ে ব্যাথ্যা ও আসুখ নিয়ে ঘর ও হাসপাতালে দৌড়াদুড়ি করেও নিজেদের বাঁচাতে না পেরে মরে যাই - আর বেচে থাকা কালীন সকাল হতে সন্ধ্যা পয্যন্ত তাদের পোষাক বানাই, কামলা দেই - আর কে জানে হয়তো এ্যানাফ সওয়াব ও নেকি ও বানাতে পারিনা যে - কাল হাশরের মাঠে হয়তো চারদিকে দৌড়ে দৌড়ে হয়রান হব - কিন্তু আলটিমেট সাকসেস তথা বেহেস্থ অধরা না থেকে যায়। আল্লাহ মাফ করুন।
আমার মনে হয় আমাদের একজন নেতা দরকার - যে আমাদের ঘুম হতে জাগাবে, মুসলমান কি জিনিস তা বুঝিয়ে দিবে, আমাদের কি করনীয় আর কি বর্জনীয় তা আমাদের মাথা ও মগজে ডুকিয়ে দেবে - যাতে এই টাকা পয়সা, গাড়ী বাড়ীর প্রতি মোহটা ভেংগে যায় - বেহেস্ত টা পরিপূর্নভাবে আমাদের কাছে এ্যাটরাক্টিভ হয়ে ফুটে উঠে।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন