মেয়ে বিয়ে দিতে গিয়ে 'বাবা' আটক - পড়বো? নাকি মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বাবা আটক! পড়বো?
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ২৫ জুন, ২০১৪, ০১:৩৪:৫১ রাত
খবরটি পড়তে গিয়ে রাগে, ক্ষোভে, অসহায়ত্বে - প্রায় কান্না এসে গিয়েছিল। নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দেবার প্রয়াস নিলে, স্কুলের হেডমাস্টার এর বদৌলতে, পুলিশ মেয়ের বাবাকে আটক করে। মেয়ে ও সুযোগ পেয়ে টিএনও র কাছে বাবার বিরুদ্ধে নালিশ করে বলে যে, সে আরো পড়ালিখা করতে চায়।
Click this link
অথচ বাবা তাকে পড়ালিখা করতে বারন করেনি, পড়ালিখা বন্ধ করেনি। বাবাকে আটক করা হল তাকে বিয়ে দেবার ব্যবস্থা করার জন্য।
এখন এই বাবাকে পুলিশের দ্বারা হয়রানী হতে হবে, থানা হাজতে চোর ডাকাত বদমাশ খুনীদের সাথে রাত্রিবাস করতে হবে, ঘুষ দিয়ে খাবার খেতে হবে, উকিল ধরতে হবে, কোর্ট কাচারীতে দৌড়াতে হবে, আয় রোজগার বন্ধ হবে।
অন্যদিকে খুব বেশী ভাগ্যবতী না হলে, মেয়েটিকে পুলিশের, রাইটস্ রক্ষা কারী প্রধান শিক্ষক, মিডিয়া কর্মী, মহিলা অধিকার রক্ষা কারী পুরুষদের লোলুপতার শিকার সহ বিভিন্ন ধরনের নিপীড়ন ও নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হবে।
ভাবছি আজকের রাতে এ বাবাটি কি চোখ বুঝতে পারবে, তার বন্ধ চোখে কি অবিরত ভাসবে না - এ মেয়েটিকেঃ
- কোলে কাধেঁ নিয়ে তিনি বড় করেছিলেন, হাগু হিসু পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন।
- কর্মক্লান্ত শরীরে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে.
- নিজে না খেয়ে ধার দেনা করে মেয়েটিকে খাইয়েছেন, পরিয়েছেন, বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
- কষ্টে উপার্জিত টাকাগুলো খরচ করেছেন বই পুস্তক ও স্কুলের পেছনে।
- মেয়ের আহলাদ ও শখ মেটাতে কতনা কি কিনে দিয়েছেন
- কতবারই না মেয়ের অভিমান ও রাগ ভাংগিয়েছেন
- আর ভবিষ্যত চিন্তায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে কত টাকা পয়সা ও কথা খরচ করেই না একটা পাত্র ঠিক করেছিলেন, বিয়ে দেবার ব্যবস্থা করেছিলেন - যাতে রাষ্ট্রীয় আইনের প্রচ্ছন্নতায় মেয়েটি টিজিং এর মুখে পড়ে আত্মহত্যা করতে উদ্ভুদ্ধ হয়, শিক্ষক দ্বারা ধর্ষন এর শিকার না হয়, অবৈধ মেলা মেশা করতে গিয়ে না বাস্টার্ড জন্ম দেয়, কিংবা মেয়ে পাচারকারীর কবলে পড়ে পতিতা হতে হয়।
অথচ তার কপালে জুটলো পুলিশী নির্যাতন, আজন্ম স্নেহভালবাসা বলিদানের নিমিত্তে রাষ্ট্রীয় খড়গ।
অন্যদিকে যে শিক্ষক তার ছাত্রীকে ধর্ষন ও টিজিং হতে নিরাপত্তা দিতে পারেনা, যে রাষ্ট্র তার মেয়ে মানুষদের খাওয়াতে পারেনা, পরাতে পারেনা এমন কি মিনিমাম মান সন্মানের সহিত বাচাঁতে পারেনা - সেই রাষ্ট্র এই মেয়েটিকে যথাযথ টুলস ও প্রোটেকশান দিয়ে বাধ্য করছে -
১। স্থানীয় গ্যাংস্টার দ্বারা আজে বাজে কমেন্ট দ্বারা সয়লাব হতে এবং
২। শিক্ষক ও ধর্ষকদের দ্বারা ধর্ষিতা হতে এবং
৩। পছন্দের কারো সাথে কিংবা নারী পটাতে সক্ষম কারো সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে এবং
৪। বাস্টার্ড ছেলে কিংবা মেয়েকে জন্ম দিয়ে সমাজকে উপহার দিতে কিংবা
৫। এ্যাবোরশান করিয়ে ডাস্টবিন এর পাশে ফেলে রেখে যেতে। এরপর --
৬। ক্রীত দাসীর মত ইউরোপ আমেরিকার মাস্টারদের জন্য গার্মেন্টস এ সকাল হতে সন্ধ্যাতক কাজ করতে কিংবা
৭। বর্ডারের ওপারে পাচার হয়ে পতিতা হয়ে কলকাতার খদ্দের দের মনোরন্জন করতে
বাংলাদেশের মানুষের (ব্যাতিক্রম বাদে) মন মেজাজ পুরোপুরি নষ্ট ও ভ্রষ্ট হয়ে গন্ধ ছড়াচ্ছে বড়। তারা ধর্ষিতা, পতিতা, রক্ষিতা, ক্রীতদাসীতে অশ্রদ্ধা বোধ করেনা, অরুচী বোধ করেনা। তারা বড় বেশী কষ্ট পায় যখন দেখে কোন মেয়ে কারো কন্যা, কারো স্ত্রী, কারো বোন কিংবা মা হতে চাইছে। ধিক বাংগালীর বিবেক কে - যা বিক্রি হয়ে গেছে প্রতারকের প্রতারনায়, চাকচিক্যে।
বিষয়: বিবিধ
১৫৬৪ বার পঠিত, ৪৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আজকের অপসংস্কৃতির সমাজ থেকে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বাবা বিয়ের ব্যবস্থা করছিল কিন্তু অপসংস্কৃতি বাবকে কষ্ট দেবে। অনেক ধন্যাবদ
মুসলিমরা দিনকে দিন শৃংখলিত হতে হতে পশুর চেয়ে ও অধম হচ্ছে - শুধু মাত্র নিজের ধর্মকে না বুঝার জন্য, ধর্মকে জীবনে না ধারন করার জন্য।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য।
What a picture of Muslim society! ???
কিন্তু বাবা মা ও গার্ডিয়ানের উচিত - ছেলেমেয়ের পিউবার্টি লেভেল এ পৌছানোর পর তাদেরকে উপযুক্ত পাত্রস্থ কিংবা পাত্রিস্থ করানো।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ইতোমধ্যে দজ্জাল ও প্রতারকরা আল্লাহর বিধান কে নাল এন্ড ভয়েড ডিক্লেয়ার করে তথাকথিত পবিত্র সংসদে তথাকথিত পবিত্র আইনে এত আইনী পরিবর্তন এনেছেন যে - প্রতিটি বিবেকবান মানুষ লিটারেলী এক উন্মুক্ত কনসেন্ট্রেশান ক্যাম্পে যেন অবস্থান করছেন। কিছু বলবেন কিংবা করবেন তো আইনের কবলে পড়ে ঝামেলা পোহাবেন।
আমাদের দূর্ভাগ্য এই যে আমাদের নাকের ডগার উপর দিয়ে তথাকথিত স্যেকুলার ও প্রগতিবাদীরা আইন করে কোমলমতি এ সকল টিন এইজড বয়সের ছেলেমেয়ের আবেগ কে নাটক সিনেমা দিয়ে সুড়সুড়ি সৃষ্টি করিয়ে তথা এক্সপোজিশানের মাধ্যমে এক্সট্রা মেরিটাল সেক্স এ জড়িয়ে পড়তে বাধ্য করছে।
অন্যদিকে দেশের শিক্ষক হতে শুরু করে জ্ঞানী গুনি ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা মানুষের করা এ আইনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে - আবার কেউ কেউ এ আইন কে স্বার্থ সিদ্ধির জন্য কাজ করছে - কে জানে এই প্রধান শিক্ষক আর একজন পরিমল না কি ভিকারুন নেসার সেই প্রধান শিক্ষিকার সম রূপ কেউ।
ধন্যবাদ।
যে সন্তান বাবা মায়ের কথা শোনে না তাদের দরকার নেই।
ঘাটলে দেখা যাবে যে বখাটে ওর পেছনে ঘুর ঘুর করে সেই বখাটেই থানা পুলিশে খবর দিয়েছে।
আমরা কেউ কেউ তো চেষ্টা করতে পারি আমাদের ছেলে যেন 'যেনা' না করে একজন পরিপূর্ন মুমিন হয়। পারিনা?
আমাদের সঠিক শিক্ষা বড়ই বেশী প্রয়োজন ।
আমাদের চিন্তাশক্তি স্থবির হয়ে গেছে - যে যেদিকে ঘুরায়, সেদিকে ঘুরে যাই। তাই মিডিয়া এবং লেখনীর মাধ্যমে আমাদের মানসিকতা নষ্ট ভ্রষ্ট হয়ে গেছে - যেটা আপনি লিখেছেন।
শেয়ার করার জন্য মোবারকবাদ আপনাকে
মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ওয়েল, আপনি বাংলাদেশের কোথায় থাকেন? একদিন নিশ্চয়ই পরিচিতি হতে পারি - যদি কোন সমস্যা না থাকে।
ধন্যবাদ
হ্যা, বিভিন্ন পোষ্টে আপনার মন্তব্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সুন্দর লেখা থাকা আমাকে পড়তে ইচ্ছুক করেছিল তখন।
আল্লাহ যা হালাল করেছেন (পিউবার্টি লেভেল এ পৌছানো ছেলে ও মেয়েকে বিবাহ যোগ্য ঘোষনা করেছেন) - রাষ্ট্র তা হারাম করতে পারে না - মুসলিম রা তা মানতে পারেনা। ঠিক যেমন সরকার নামাজ ব্যান্ড করলে মুসলিম রা তা মানতে পারে না। মেনে নেওয়া মানে লিটারেলী আল্লাহর উপর সরকারকে মেনে নেওয়ার শামিল।
ধন্যবাদ দাবীটা উচ্চারন করার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন