সমস্যা কি সমকামিতা? না আরো বড় কিছু --

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ১৫ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:৫৯:৪৯ রাত

আমার মনে হয় আমরা সাধারন বাংলাদেশীরা সমস্যার মূল নিয়ে চিন্তা করতে পারছিনা। আর মূলে যদি সমস্যা হয় - তখন শাখা প্রশাখা সহ পত্র পল্লব এ সমস্যা দেখা দেবেই। পত্র পল্লব এ প্রসফুটিত সমস্যা দেখে আমরা হতাশ হই, ক্রোধান্বিত হই, এক্সট্রিম ভিউর প্রকাশ করি কিংবা ধারন করি - কিন্তু সমস্যার কোন সমাধান পাইনা, সমাধান হয়না।

সমকামী র‍্যালী নিয়ে আলোচনা এবং এ নিয়ে বাংলাদেশীদের সেন্টিমেন্ট সব শ্রেনী পেশার কাছে ই প্রশংসাযোগ্য। জানাশোনা, স্বাভাবিক মানুষমাত্রই বলবে - সমকামীতা অসম্ভব একটি পাপ, একটি ইভিল এ্যাক্ট। এতে কোন সন্দেহ নেই। এর বিস্তার রোধ করা অবশ্যই দরকার।

কিন্তু আমরা কি সমকামীতার চেয়েও ভয়াবহ পাপ তথা সুদ, খুন, গুম, রাহাজানি, ধর্ষন, দূর্নীতি, ডাকাতি, মজুতদারীর মত বিষয়াদিকে কম গুরুত্ব দেবেন। চিন্তা করে দেখলে দেখতে পাবেন - গুটি কতক বিকৃত মস্তিস্কের মানুষকে মিডিয়া হাইলাইট করার কারনে, বিদেশী শক্তি সমূহ এর প্যাট্রোনাইজ করার কারনে মেইন স্ট্রীম মানুষ কোন দিন ও সমকামীতাকে ধারন করবেনা - এটা ন্যাচারাল - যা ওয়েস্টে ও বিদ্যমান। অথচ বাংলাদেশের মেইন স্ট্রীম রাজনৈতিক দল ও মানুষ - পরিবার ও সমাজের জন্য মারাত্মক পাপ - সুদ, খুন, গুম, রাহাজানি, ধর্ষন, দূর্নীতি, ডাকাতি, মজুতদারীকে স্বাভাবিক নিয়মে নিজেদের জীবনের পার্ট হিসাবে নিয়ে নিয়েছে।

আপনি আমি যদি ইসলামের মূল শিক্ষাগুলোর প্যারামিটারে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও পারিবারিক বিষয়াদিকে মূল্যায়ন করি তবে দেখবো - বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যবস্থাপনার পুরোটাই কুফরী, পুরোটাই শিরকী, পুরোটাই হারাম এ ভরা।

গত ৪ দশকে, বিশেষ করে গত ২ দশকে বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থায় পৌছেছে যে - সত্যিকার ইভিল রূপী এন্টি ইসলামিক কান্ডকারখানার তথা অভয়ারন্যের - নগ্ন প্রদর্শনীর ক্ষেত্র হিসাবে বিশ্বে বাংলাদেশকে এক্সিজিবিট করা যায়। পরিস্থিতি আজ এমন যে, একজন সিংগেল মানুষ শত চেষ্টা করলেও বুঝিবা কুফর ও শিরকের বাহিরে থাকতে পারবেনা। আজকের জানাশোনা ইসলামিক স্কলারদের মতে গ্রামের ১০০ বছর উদ্ধে যে মহিলা আছে তার কাছেও ইতোমধ্যে সুদ পৌছেছে, শিরক পৌছেছে, কুফরী পৌছেছে।

যেখানে সুদ পরিষ্কার হারাম এবং বলা হয় সুদের সাথে জড়িত ব্যাক্তিবর্গ নিজ মায়ের সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত - সেখানে সেই সুদকে আপনি আমি আদৌ কি খারাপ ভাবে দেখি, আদৌ কি এর বিরুদ্ধে কিছু করি, কিছু করতে কি আদৌ পারবো? লিটারেল উত্তর হল - না পারবোনা।

যেখানে হত্যা এ্যাবসুলুটলী হারাম সেখানে সাগর রুনীর কেইস টা নিলে বলতে হয় সরকার প্রধান নিজেই ট্যাকনীক্যালী খুনী বা খুনীর সহযোগী। আর ক্রস ফায়ার বিবেচনায় নিলে পুরো সরকার ই খুনীতে পর্যবসিত হয়। আর কাদের মোল্লার কেইস কে এ্যানালাইসিস করলে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিরা পয্যন্ত ঠান্ডামাথার খুনীতে পরিনত হন, ইনটেলেক্টদের কথা নাই বা বললাম।

সো এমনি করে চিন্তা ভাবনা করলে দেখতে পাবেন আমরা আসলে পুরোটাই রটেন একটা দেশ এ পরিনত হয়েছি। সেই পচাঁ দূর্গন্ধ পূর্ন দেশ এ ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস রূপী সমকামী কেন - প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চত্ত্বরে, সংসদ ভবন চত্ত্বরে কিংবা রাজপথে মানুষ রূপী কুকুরদের সেক্স করতে দেখলেও গনমানুষের কি করার আছে। মানুষের সাইকোলজীই তো ইভিলকে সুন্দর ও যথার্থ হিসাবে দেখছে। আর মুমিন মুসলিমরা হেফাজত এর পর যে কোন কিছুকে এখন মেনে নেবার জন্য প্রস্তুত।

কারন আমাদের সরকার হিউম্যান রাইটস এর নামে দজ্জাল ও ইবলিশের রাইটস রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর এবং দেশের মাথা ও বিবেক রূপী সুশীল ও মিডিয়া তা গ্রহন করেছে।

সো চিন্তাটা করা দরকার - আমরা কি কোরান হাদীস তথা আল্লাহর বিধানকে হোরাইজনের কোথাও দুরে সরিয়ে দিয়েছি। আমরা কি এমন শাসক শ্রেনীকে লাইন আপ করেছি যারা এক দুই তিন (এন্ড কারো কারো চোখে আরো আরো) পয্যন্ত স্যেকুলার গনতন্ত্রকে রাত দিন পূজা করছে। এসো এসো বলে ডেকেছিল, এর জন্য তথাকথিত শহীদ ও হয়েছিল, এক দুই তিন হাজার নয় - তথাকথিত ৩০ লক্ষ ও প্লাস প্লাস বলে আমাদের জানানো হচ্ছে এবং আমরা সিমপাথাইজড হয়েছি।

অবশেষে পশ্চিমা গণতন্ত্রকে না জেনে না বুঝে না বিচার বিশ্লেষন করে শুধু গ্রহনই করেনি তাকে শহর হতে গ্রাম আর বিচারালয় হয়ে মিডিয়া কোথায় না পৌছিয়েছি।

সো পশ্চিমা গনতন্ত্র গ্রহন করে দেশটাকে ক্যাপিটালিস্টিক মডেলের ভোগবাদী স্ট্রাকচারে হাইরেইজ ফাউন্ডেশান দেব আর দরজা জানালা ও বাথরুম কমোট নেবোনা তা তো হতে পারেনা। স্বভাবতঃই তাই আমি আপনি সুদকে হালাল করেছি, ঘুষকে হালাল করেছি, খুন, গুম ধর্ষন, পতিতাবৃত্তিকে হালাল করেছি আর এখন সমকামীতাকে এবং আগামীতে পাবলিক সেক্সকে ও বৈধতা দিতে বাধ্য হব বা বাধ্য করা হবে।

বাংলাদেশ সরকার, অনেক আগেই বাংলাদেশের মানুষের স্রষ্টা কিংবা প্রভুর আসনে - আল্লাহর পরিবর্তে ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিলকে বসিয়েছে - রিসেন্টলী তা কাগজে কলমে হালালিফাইড করেছে মাত্র। ইতোমধ্যে সময় এত চলে গিয়েছে এবং জানা এবং না জানা মুমিন মুসলিম স্বত্তা এতটাই ঘুমে ছিল - যে এখন আর এর বিরুদ্ধে লিটারেলী কিছু করার নেই। রেসিস্ট করার যাবে কিন্তু সাকসেস আসবেনা।

বরং বাংলাদেশী মুসলিমদের উচিত সূরা কাহাফ পড়া এবং এর শিক্ষানুযায়ী নিজেদের মুক্তির নিমিত্তে দেওয়া ব্যবস্থা সমূহ অনুসরন করা - যদি সম্ভব হয়। এটা আমার হনেস্ট বিশ্বাস - কিন্তু আল্লাহ ভাল জানেন।

বিষয়: বিবিধ

১৪০৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

208502
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১৪
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনি আমি যদি ইসলামের মূল শিক্ষাগুলোর প্যারামিটারে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও পারিবারিক বিষয়াদিকে মূল্যায়ন করি তবে দেখবো - বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যবস্থাপনার পুরোটাই কুফরী, পুরোটাই শিরকী, পুরোটাই হারাম এ ভরা।

বাংলাদেশ সরকার, অনেক আগেই বাংলাদেশের মানুষের স্রষ্টা কিংবা প্রভুর আসনে - আল্লাহর পরিবর্তে ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিলকে বসিয়েছে - রিসেন্টলী তা কাগজে কলমে হালালিফাইড করেছে মাত্র।

আপনার বিশ্লেষণ মুলক লিখাটা সত্যিই চমৎকার। খুব ভাল লেগেছে। শেখারও অনেক কিছু আছে। কথায় আছেনা,
এ দুনিয়া কানার হাটবাজার। আমরা তাই। ধন্যবাদ।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৫৮
157161
সাদাচোখে লিখেছেন : আমি গত কয়েকমাস ধরে - শায়খ ইমরান নজর হোসাইন নামে ত্রিনিদাদ ট্যোবাগোর একজন আলেমের কোরআন ও হাদীসের দৃষ্টিকোন হতে ওয়ার্ল্ড এ্যাফেয়ার্স বিশ্লেষনমূলক অনেক গুলো বক্তব্য শুনেছি এবং শুনছি। ওনার বক্তব্যের পাশাপাশি স্যেকুলার সোর্স এর বিশ্লেষন ও ঘটনা পরবর্তী রেজাল্ট সমূহ জানলে সত্যিকারভাবেই কোরআন আর হাদীসের ভবিষ্যতবানীগুলো আরো মূর্ত হয়ে উঠে। নিজেদেরকে বড়ই ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র মনে হয়। ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার ও কমেন্ট করার জন্য।
208505
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১৮
অজানা পথিক লিখেছেন : ভালো বিশ্লেষন।

তবে সমকামীদের নিয়ে মাথাব্যথার আলাদা কারন রয়েছে। আপনার বর্ণিত পাপাচারগুলো যেমন অনেক ঘৃণীত, সমকামিতাও তেমন। প্রার্থক্য হলো ওগুলোর কোন কোনটা দেশের আইন অথবা সমাজ দ্বারা স্বীকৃত, আর এটা স্বীকৃত নয়, স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টা চলছে। এখন প্রশ্ন হলো নতুন করে আরেকটা উপস্বর্গ সৃষ্টির সৃয়োগ তৈরীতে আমারা কেন বাধা সৃষ্টি করবোনা!

সেজন্যে সমকামিতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াটাকে আমি আলাদাভাবেই প্রয়োজন মনে করি। এবার যারা র্যালী করেছে তাদের ছবি পেছন থেকে তোলা হয়েছে অন্য একদিন হয়তো সামনা সামনিই তুলে ফেলবে.... এভাবেই ওরা ধীরে ধীরে নির্লজ্জ বিষয়টিকে সামাজিকীকরনের মাধ্যমে সা্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা করবে। প্রথমিকভাবে ওরা দেশবাসীকে জানাতে সক্ষম হয়েছে যে সমকামী একটি কমিউনিটি ইতোমধ্যে ...........। সেজন্যে এখনই ওদের সামাজিকভাবে বয়কটের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:১৪
157169
সাদাচোখে লিখেছেন : আপনার সাথে আমি ও পুরোপুরি একমত। সুস্থ্য মস্তিস্কের সকলেরই উচিত এর বিপক্ষে দাঁড়ানো, আমি ব্যাক্তিগতভাবে দাঁড়ানোর বিপক্ষে নই।

কিন্তু আমার বিশ্বাস সমকামীতাকে যারা ব্যাকস্টপিং করছে - সেই মিডিয়া ও ফরেন ইলিমেন্টস ও তাই চাইছে - যাতে করে সমকামীরা সারা দেশে তেমন একটা প্রচার পায় - যেমন পেয়েছে গণজাগরন মঞ্চ। এতে করে গণ মুসলিমদের মধ্য হতে একাধারে লাজ লজ্জা সরিয়ে ফেলা যাবে, যুবা শ্রেনীর মুখে মুখে হাসি তামশার নামে এর প্রপাগান্ডা নিশ্চিত করা যাবে এবং সে সাথে এর উপস্থিতি - প্রতিআক্রমন ইত্যাদি দেখিয়ে রাইটস এর নামে বৈধ করার দিকে সরকারকে আইন করাতে বাধ্য করানো যাবে। সমকামীতার মূল লক্ষ্যই হল প্রপাগান্ডার মাধ্যমে কোন একটা সোসাইটির সমস্ত ভ্যালুজগুলোকে সামগ্রিকভাবে ইনসাল্ট করা, সমাজের মানুষদের নীতি ও নৈতিকতাহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত করে প্রতিবাদের শক্তি ধ্বংশ করে ফেলা।

সো আমার মতে - এ নিয়ে প্রপাগান্ডার চেয়ে শর্ট কার্ট কোন উপায়ে সরকারকে দিয়ে একে অবৈধ করার বিধান করা। পাবলিক ডেমোনেস্ট্রেশান ও রেসিসটেন্স বুদ্ধিমানের কাজ মনে হয়না।

তবে রাজনৈতিকভাবে আওয়ামীলীগের ক্ষতি করতে চাইলে 'সমকামীতা' ইস্যুটি এই মূহুর্তে বেশ ভাল সাড়া জাগাবে, নিঃসন্দেহে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার ভাবনা শেয়ার করার জন্য।
208514
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৩২
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : আহ! সবই পন্ডশ্রম। এত চেষ্টা তদবির করে নবী মোহাম্মদকে দিয়ে পৃথিবীর সব সমস্যা সমাধানে আল্লার যাদুর বাক্স ভেস্তে গেল।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৪৭
157176
সাদাচোখে লিখেছেন : আপনাকে এর আগে লিখেছিলাম - পৃথিবীব্যাপী সুশিক্ষিতরা স্রষ্টা কে সৃষ্টি হতে সম্পূর্ন পৃথক স্বত্তা হিসাবে জানে।

কিন্তু আপনি সুশিক্ষিত হতে চাইছেন না বা পারছেন না বলেই আপনি স্রষ্টা নিয়ে কমেন্ট করে আপনার শিক্ষা ও জানাশোনার লেভেল প্রকাশ করছেন। আমরা আপনার মতই আর একজন মানুষ বলে আপনার সীমাবদ্ধতার জন্য আমরা লজ্জিত হই। অনেক সময় মানুষ হিসাবে আপনার প্রতি সমব্যাথী হয়ে উত্তর প্রতিউত্তর করি - যা আল্লাহ আমাদের প্রয়োজনে করতে বলেছেন এবং আমার ব্যক্তিগত জীবন হতে আমি জেনেছি যে - সত্য অন্বেষন কারী যতই বদই হোক - সত্যের দেখা পেয়ে যায়। সো আমি আপনাকে আরো আরো ভাইদের মত আহ্বান জানাই সত্য অন্বেষন করার জন্য।

আপনি মেজবাহ ভাইয়ের একটা পোষ্ট http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4389/mizbahbd/42921#.U02JmFfh-NA

এ ও কিছু চিন্তার খোরাক পাবেন।

স্রষ্টাকে নিয়ে আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ইতোমধ্যে লিখেছিলাম - এখানে আবার কপি করলাম -

আমার ১০ বছরের বাচ্চাও জানে - সে যখন সমুদ্রের পাড়ে বালি দিয়ে ঘর বাড়ী কিংবা মানুষ বানায় - তখন সে ঐ ঘরবাড়ী কিংবা মানুষের স্রষ্টা আর ঐ ঘরবাড়ী কিংবা মানুষ তার সৃষ্টি। আর সৃষ্টি হিসাবে ঐ ঘরবাড়ী কিংবা মানুষের কোন সাধ্য নেই, অধিকার নেই - স্রষ্টা হিসাবে আমার ছেলের ক্যাপাসিটি, অবস্থান, বিচার বিশ্লেষন ও চিন্তাধারা, সমস্যা, আপনার কথায় যাদুর বাক্স ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন তোলার।

সে আরো বুঝে তার সৃষ্টির মূল্য তার কাছে আসলে কিছুই না। সো সে চাইলে - এক মূহুর্তে তার সেই সৃষ্ট ঘরবাড়ী মানুষকে ভেংগে গুড়িয়ে দিতে পারে। আবার তেমনি জোয়ারের পানির জন্য রেখে আসতে পারে। এ নিয়ে তৃতীয় কেউ পয্যন্ত তাকে প্রশ্ন করার নেই।

কিছু মনে করবেন না - স্রষ্টাকে নিয়ে আপনার অবস্থান টা সাধারনের চোখে লিটারেলী কুয়োর ব্যাং এর মহাকাশ গবেষনার মত মনে হয়।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৩:৫১
157203
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : আবারও বলছি- আপনি আসলে ভাল স্রোষ্টার খপ্পরে পরেছেন।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান(শিয়া কাফের), নাইজেরিয়া........ এসব অঞ্চলের অসৎ, বাটপার, দুর্নীতিবাজ মূর্খ মানুষগুলোর মত আপনার আল্লাও সমকামিতার বিরুদ্ধে ক্লান্ত, ঘর্মাক্ত, সোচ্চার। অথচ একটু খেয়াল করে দেখুন পশ্চিম ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকা, কোরিয়া, জাপান...... সহ পৃথিবীর দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষিত অঞ্চলের মানুষগুলো তাদের স্রোষ্টার জোটি-বোটি-তন্ত্র-মন্ত্র উপেক্ষা করে সমাজে সমকামীদের স্থান করে দিয়েছে। মানুষ তো দেখেও শিখে, কোরানে বালিতে গুজে রাখা মাথাটি একটু বেড় করে পরখ করে দেখুন্না?

আপনার ১০ বছরের বাচ্চার স্রোষ্টার অন্নেষন উৎসাহ ব্যাঞ্জক, আমার পক্ষ থেকে তার জন্য সুভেচ্ছা। যদিও তার কঁচি নিপুন শৈল্পক মেধা মনের অজান্তেই সমুদ্রের বালি দিয়ে মানুষের মূর্ত্তি(অবয়ব)বানিয়ে ধর্মের কঠর নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখায়। আমি নিশ্চিত এই অনুসন্ধানি শিশুর মনম মেধা অংকুরেরই কোরাণের আবর্জনায় ঢেকে না দিলে সেও একদিন আল্লার আল্লাকে নিয়ে হেঁচকা টান দিবে। ধন্যবাদ।
208528
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:১০
সন্ধাতারা লিখেছেন : Intellectual writing but we have to raise our voice against any sorts of crime otherwise it will be expanded one after another.
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:২৪
157173
সাদাচোখে লিখেছেন : সন্ধাতারা ভাই, কোন সন্দেহ নেই আমাদেরকে আমাদের ভয়েস রেইজ করতে হবে। এটাই আমাদের স্রষ্টার নির্দেশ।

এটা রোধের ব্যবস্থা কি হতে পারে - সেটাই ভাবা দরকার। আপনি নিশ্চয়ই জানেন উগান্ডার সরকার বছর দুয়েক আগে সমকামীতাকে অবৈধ করে আইন করলে পর ডেনিস সরকার রিএ্যাক্ট করেছিল। তার উত্তরে উগান্ডা ডেনিস এইড কে বাই বাই বলেছিল। আমাদের সরকারের অবস্থা তো অমন না।
তারপর ও এ নিয়ে আমার ভাবনা আমি অজানা পথিক ভাইয়ের কমেন্ট এর প্রেক্ষিতে শেয়ার করেছি।
আল্লাহ মুমিন মুসলিম এর সহায় হোন। ধন্যবাদ পড়ার ও কমেন্ট করার জন্য।
208539
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৫৬
বুঝিনা লিখেছেন : এ নিয়ে প্রপাগান্ডার চেয়ে শর্ট কার্ট কোন উপায়ে সরকারকে দিয়ে একে অবৈধ করার বিধান করা। পাবলিক ডেমোনেস্ট্রেশান ও রেসিসটেন্স বুদ্ধিমানের কাজ মনে হয়না।
ভাল কথা, হলে বেশ ভালহবে. Rose Rose Rose
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:০৫
157180
সাদাচোখে লিখেছেন : উগান্ডা সরকার প্রেশারের কারনে সংসদে আইন করেছিল এবং ভীনদেশী প্রেশার কে বড় গলায় 'না' বলেছিল।

ধন্যবাদ।
208583
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৪:১৯
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার কথায় অবশ্যই যুক্তি আছে তবে হাজারটার সাথে নতু আর একটা যোগ হলে সংখ্যা তো বাড়তেই থাকবে৷ তাই নতুনের আগমন আগে ঠেকানো উচিৎ নয়কি?
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৪:৩৮
157209
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : পুরাত, জীর্ন, জরার গহব্বরে নতুনের আগমন ঠেকাতেই হবে।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৫৯
157565
সাদাচোখে লিখেছেন : @ শেখের পোলা ভাই, অবশ্যই ঠেকানো উচিত। ইতোপূর্বেকার অভিজ্ঞতার আলোকে আমি আমার কমেন্টে বলতে চেয়েছিলাম - ঠেকানোর পদ্ধতিটি গতানুগতিক মিছিল মিটিং ক্যাম্পেইন বেইজড না হয়ে উপর থেকে জোর করে আরোপ করার মত কিছু করা যায় কিনা - ঠিক যেমন উগান্ডায় হয়েছিল?

কারন আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনুযায়ী - এই বেহায়াপনাটা যতটা না গণমানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য (সুদ, ধর্ষন, ডাকাতি ইত্যাদি) একটা আকর্ষন - তার চেয়ে সমাজে এর উপস্থিতি আছে - এটা প্রচার করে গণমানুষের আত্মসম্ভ্রমবোধ ধ্বংশ করাই এর এ্যাকটর দের মেইন উদ্দেশ্য বলে আমার মনে হয়েছে।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৩:৫৩
157582
শেখের পোলা লিখেছেন : তবে ইবলীশকে ঠেকানো গেলেও আপনার কাছে হার মানতেই হবে৷ এত সত্তর রং বদল গীরগিটীতেও করেনা৷
208639
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৩৫
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন, আমরা হারামে এমনভাবে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি যে প্রতিটি ক্ষেত্রে হারামের প্রচলন দেখতে দেখতে এখন আর ছোটখাটো হারামগুলোকে কেউ কিছুই মনে করেনা!
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৩১
157580
সাদাচোখে লিখেছেন : ধন্যবাদ আপা। আপনার কমেন্ট পড়ে মনে হল আপনার সাথে শেয়ার করি আমার ব্যক্তিগত একটা অভিজ্ঞতা। হয়তো আপনি এর উপর কিছু লিখতে পারবেন আপনার অনাবিল লিখনীতে।

গত বছরের প্রথম দিকের কথা। আব্বা অসুস্থ্য তাই ওনাকে দেখতে গিয়েছিলাম। একদিন বাসায় এসে দেখি আমার ভাগিনা-ভাগিনি ও ছোট ভাই বোনের সাথে আমার ৭৮ বছর বয়সী সহজ সরল আব্বা ও ৬৫ বছর বয়সী আম্মা - জি বাংলার সিরিয়াল বেশ মজা করে দেখছেন।

আমি কথা বলার উছিলায় টিভি বন্ধ করতে গেলে - আব্বা বলেছিল - 'দাঁড়াছনা শেষ হয়ে নিক'।

আমি অবাক হয়ে আব্বাকে বললাম - ওমা, আপনি কিভাবে এই সিরিয়াল দেখেন?

আমার আব্বা আমার চেয়েও অধিক অবাক হয়ে আমাকে বলেছিল - কেন? কি হয়েছে?

পরে যখন বিভিন্ন আংগিক হতে বুঝিয়ে বললাম - তখন আব্বার চোখে মুখে যে কষ্ট ফুটে উঠেছিল - মনে হল কেউ বুঝি প্রতারনার ফাঁদে ফেলে ওনার সর্বস্থ লুটে নিয়েছে।

আসলেই বাংলাদেশের ইন্নোসেন্ট মানুষগুলো জানেই না - তথাকথিত আধুনিক সমাজ ও উন্নয়ন এর নামে কিভাবে তাদের ঈমান, আকিদা, নামাজ, রোজা ইত্যাদির রেজাল্ট গুলো ধুলায় মিলিয়ে দেয়া হচ্ছে।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
157778
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : কিছু ক্ষেত্রে আমরা অতিরিক্ত ট্রাস্টিং, আবার কিছু ক্ষেত্রে আমরা অতিরিক্ত নেগলিজেন্ট, এটারই ফায়দা তুলছে কিছু গোষ্ঠী। ব্লগার নজরুল ইসলাম টিপু ভাইয়ের একজন পিকিউলিয়ার মানুষ সিরিজে এর একটি দিক এক্সপোজ করা হয়েছে।
আমার ঠুনকো লেখালখির ওপর আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ ভাই, আমি আপ্লুত। আপনার মন্তব্যটি কপি করে রাখলাম, যদি আল্লাহ যোগ্যতা দেন তাহলে লিখব ইনশা আল্লাহ।
209081
১৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৪
মিজবাহ লিখেছেন :
মাশাআল্লাহ। খুবই সু্ন্দর ও যুক্তিপূর্ণ লেখা।বর্তমান সমাজে এমন কিছু কাজ আছে যা না করলে বা না জড়ালে তবে মানুষ ভাবে এরাতো অসামাজিক হয়ে গেছে যদিও কাজগুলো ইসলামের দৃষ্টিতে অগ্রহনযোগ্য!

"খেলাঘর বাধঁতে এসেছি" এ জাতীয় ব্লগারদের পেছনে সময় না দেওয়ায় উত্তম কারণ তারা কিছুসংখ্যক মানুষ বিভিন্ন নামে বারংবার আগমন করে এ আংগীনায়!
১৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৪:১২
157859
সাদাচোখে লিখেছেন : ঠিক বলেছেন। আরো অনেক ভাইও এমন আহ্বান জানিয়েছেন। তারপর ও ইমোশান ও আশার বশবর্তী হয়ে সময় ব্যায় করে ফেলি।

ইনশাল্লাহ আগামীতে সময় নষ্ট করবোনা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File