কৃত্রিম জাতীয়তাবোধের জন্য কাঁদবো? লড়বো? নাকি সত্যিকার জাতীয়তাবোধ।

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ১৬ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৫০:৪৬ সকাল

স্রষ্টা-দ্রোহী শক্তি আমাদের পিতা আদম আঃ কে সত্যিকার ফলের পরিবর্তে কৃত্রিম ফলের প্রতি আকর্ষন বাড়িয়ে আস্বাদন করিয়েছে।

আর আজকে সেই শক্তি গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ, স্যেকুলার, গ্লোবালাইজেশান ইত্যাকার চমকপ্রদ নাম ও তত্ত্ব ধারন করে, মিডিয়ার ডানায় ভেসে ভেসে আমাদের মন, মাথা ও মগজে সত্যিকার জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে, সত্যিকার সংবিধানের পরিবর্তে এক কৃত্রিম জাতীয়তাবাদের ধারনা বসিয়ে দিয়েছে - এক গোজামিলের সংবিধানকে পবিত্র বলে আমাদের কাছে চালাতে চাইছে।

আর ভুল করে সোনা ভেবে কাঁচ তোলার মত সত্যিকার জাতীয়তাকে ভুলে, সত্যিকার সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ স্যেকুলার রূপী মানবতার শত্রুদের প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে কৃত্রিম জাতিস্বত্তা ও সংবিধানের জন্য নিজেদের জান, মাল, অধিকার ও পরিবার পরিজনকে কোরবানী করছি - পরিনতি হিসাবে না পাচ্ছি এই জগতের শান্তি, আর না আছে আগামী জগতে (পরকালে) শান্তির নিশ্চয়তা।

আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে, বিবেক বিবেচনাকে কাজে লাগিয়ে দেখতে হবে স্যেকুলার রূপী এসব মানুষের ধ্যান ধারনা অনুযায়ী আদৌ কি সত্যিকারভাবে আমরা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ধারক ও বাহক? আদৌ কি বাংলাদেশের সংবিধানকে সমুন্নত রাখার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হব? না কি বুঝার চেষ্টা করবো, এই জাতীয় জাতীয়তাবাদ মানবতা ও আল্লাহর শত্রুদের তৈরী করা এক ধরনের বিবেদ সৃষ্টিকারী, গ্রুপিং সৃষ্টিকারী, শাসন ও শোষন করার জন্য সৃষ্ট পদ্ধতির অংশ - যা মূলতঃ কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট ও আমাদের মধ্যে পন্য ব্রান্ডিং এর মত করে প্রোথিত করা হয় এবং হয়েছে।

আপনি একটু চিন্তা করলেই দেখবেন ১৯৪৭ এর আগে নেহেরু, জিন্নাহ টাইপ স্যেকুলার রা আমাদেরকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের কথা বলে হত্যা, নির্যাতন এর মুখে ঠেলে দিল। আর ১৯৪৭ এর পরে আইয়ুব, ইয়াহিয়া ভুট্টো, মুজিব পাকিস্থানী জাতীয়তাবাদের কথা বলে একই ভাবে নিগৃহীত, অপমানিত করলো। আর ১৯৭১ এর পর হতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কথা বলে গুম, খুন, হতে শুরু করে হেন কোন অপমান-অপদস্থতা নাই - যা করতে বাকি রাখা হয়েছে।

আমরা এই ধর্মনিরপেক্ষ স্যেকুলারের কাছ হতে রাউন্ড দ্যা ক্লক শুনি 'পবিত্র! সংবিধান রক্ষা'র নামে দুনিয়ার কুৎসিত ও জগন্যতম ব্যাংক লুট, ঘুষ, দূর্নীতি, ধর্ষন, হত্যা, গুম, ক্রসফায়ার সহ সমস্ত সাক্ষাৎ শয়তানের কাজকে হালাল/বৈধ আর ওয়াজ মাহফিল ফতোয়া হতে শুরু করে স্রষ্টার উপাসনা, বন্ধনা সহ কোরান হাদীস ইত্যাকার বই পড়া হারাম/অবৈধ।

আপনি আমি কি একবার ও ভাববো না, যে স্যেকুলার রা আমাকে, আপনাকে ৬০/৭০ বছরে ৩ বার জাতীয়তা পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছে, আর মাত্র ৪২ বছরে ১৫ বার তথাকথিত পবিত্র! সংবিধানকে শিরোধার্য করতে বাধ্য করেছে - তারা আদৌ আস্থা সম্পন্ন মানুষ নয়, তারা মূলতঃ প্রতারকের চেয়েও নিকৃষ্টতম কোন অভিধায় অভিযুক্ত হওয়ার যোগ্য। তাদের তালে তাল মিলানো কি আমাদের আদৌ উচিত?

অথচ তার বিপরীতে আমরা দেখছি ১৪০০ বছর আগে মহান স্রষ্টা আমাদের বলেছে 'তিনি মোহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে বিশ্বকে এক নতুন জাতি উপহার দিলেন, যার নাম দিলেন 'মুসলিম/মুসলমান'। আর আজ ১৪০০ বছর পরেও আমরা দেখছি আমাদের এ জাতিস্বত্তার কোন নড়চড় হয়নি - বলা হয়নি আজ হতে তোমরা মুসলিম নও - তোমরা এক্স ওয়াই জেড কিংবা অন্য কিছু।

অন্য দিকে সেই স্রষ্টা আমাদেরকে দিয়েছেন চমৎকার এক সংবিধান - যা শুধু জাতীয়তাবোধের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিই নয় - তার সাথে দিয়েছে ব্যক্তিগত, সামাজিক, বৈশ্বিক ও পরকালীন বিষয়াদির গাইডলাইন। যা ১৪০০ বছরে পরিবর্তন করতে হয়নি, এ্যামেন্ডমেন্ট আনতে হয়নি, যার কোন প্যারালাল নেই - যার কোন সংযোজন, বিয়োজন কিছুরই প্রয়োজন নেই।

ইদানিং কালে ক্রিকেট উদ্ভোধন, ছায়াছবি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সেক্যুলার পূজারী এক একটি গ্রুপ (যার স্বার্থহানী হয় বা হয়েছে) হঠাৎ করেই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে উসকে দিয়েছে, দিতে চাইছে। সে সাথে সাধারন মুসলিম জনগোষ্ঠি ও সে রব তুলছে - ঠিক যেভাবে আদম আঃ প্রতারিত হয়েছিল, বিশ্বাস করেছিল শয়তানকে।

তারা চাইছে আর একবার কৃত্রিম ঐ বাংলাদেশী জাতিসত্তার নামে আমাদের কে অস্থিতিশীলতায় ফেলে হত্যার শিকার করতে, চাইছে অস্থিতিশীলতার আড়ালে আমাদের মধ্য হতে আর একটি ক্রিমিয়া, পূর্ব তীমুর কিংবা সাউথ সুদান সৃষ্টি করতে, চাইছে হয়তোবা পূর্ব জার্মানীর ন্যায় তৃতীয় একটি দেশের সাথে এ দেশকে একীভূত করতে।

এমতাবস্থায় আমার আহ্বান, যদি আমাদেরকে জাতিস্বত্তার জন্য কোন আন্দোলন সংগ্রাম স্ট্রাগল কিংবা স্ট্রাইভ করতেই হয় তবে তা কৃত্রিম বাংলাদেশী জাতিস্বত্তার পরিবর্তে - মুসলিম জাতিস্বত্তার জন্য করতে শুরু করি। শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ তম পরিবর্তিত সংবিধানের পরিবর্তে কোরআনের জন্য শুরু করি। এতে করে নিশ্চিত আমরা এ দুনিয়াতে প্রতারিত হবনা আর পুরুষ্কার হিসাবে আমরা এ পৃথিবীতে যেমন আমার ও আপনার অধিকার ফেরত পাবো, সন্মান ফেরত পাবো ঠিক তেমনি পরকালের জন্যও আমাদের পুরুষ্কার নিশ্চিত হবে।

এতে করে ধর্মনিরপেক্ষ, স্যেকুলার, মুনাফিক, কাফের, মুশরিক যে অভিধায়ই আমরা আমাদের অধিকার হরনকারীদের ডাকি কিংবা চিহ্নিত করিনা কেন - আমরা তাদের সাথে বুঝা পড়া করতে যেমন স্বচ্ছন্দ্য বোধ করবো - ঠিক তেমনি অধিকার রক্ষায় ডিভাইন সাপোর্ট ও স্যালভেশান ও পাব।

বিষয়: বিবিধ

১১২১ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

192846
১৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪৬
হতভাগা লিখেছেন : আজ যারা চেতনা নিয়ে গলা ফাটিয়ে ফেলছে , যদি এখনই যুদ্ধ বাঁধে অন্যদেশের সাথে তাহলে তারা তাদের পূর্ব পুরুষদের মতই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে ।

এর কিছুটা নমুনা টি২০ কনসার্টে দেখা গেছে ।

যুদ্ধের সময় যারা সন্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছে তারাও এদের মত এত গলা বাজি করে না চেতনা নিয়ে ।

১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২৫
143862
সাদাচোখে লিখেছেন : আপনি যথার্থই বলেছেন ভাই হতভাগা।

তথাকথিত উটপাখিতুল্য এই চেতনাধারীরা সাধারন মানুষের ভাগ্য নিয়ে চিনিমিনি খেলাকে তাদের ব্যবসা বলে দেখছেন আর তাই বারবার সাধারন মানুষকে ফুটবলের মত এ পাশ হতে ওপাশে, এ কর্নার হতে ও কর্নারে লাথির আঘাতে ছুটতে হচ্ছে এবং হয়েছে আর স্বভাবিকভাবেই গলাবাজি থাক দুরের কথা গলা উঠাবার ই সুযোগ পাচ্ছেনা।

আজকে আপনারা-আমরা যারা ঐ সাধারন মানুষের কন্ট্রিবিউশানে ও সমর্থনে কোন না কোন লেভেল এর জ্ঞান আহরন করেছেন - তারা যদি তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে তাদের জন্য কিছু না কিছু করতে শুরু করে - নিশ্চিত তাদের ভাগ্য ফিরবে, তারা জেগে উঠতে পারবে - তাতে তাদের এ ফুটবল টাইপ ছুটাছুটি বন্ধ হবে। এবং তারা এ দুনিয়ায় যেমন শান্তি পেতে পারে তেমনি আগামী দুনিয়ায় ও।

ধন্যবাদ।
192847
১৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪৮
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনি একটু চিন্তা করলেই দেখবেন ১৯৪৭ এর আগে নেহেরু, জিন্নাহ টাইপ স্যেকুলার রা আমাদেরকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের কথা বলে হত্যা, নির্যাতন এর মুখে ঠেলে দিল। আর ১৯৪৭ এর পরে আইয়ুব, ইয়াহিয়া ভুট্টো, মুজিব পাকিস্থানী জাতীয়তাবাদের কথা বলে একই ভাবে নিগৃহীত, অপমানিত করলো। আর ১৯৭১ এর পর হতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কথা বলে গুম, খুন, হতে শুরু করে হেন কোন অপমান-অপদস্থতা নাই - যা করতে বাকি রাখা হয়েছে।

আমরা এই ধর্মনিরপেক্ষ স্যেকুলারের কাছ হতে রাউন্ড দ্যা ক্লক শুনি 'পবিত্র! সংবিধান রক্ষা'র নামে দুনিয়ার কুৎসিত ও জগন্যতম ব্যাংক লুট, ঘুষ, দূর্নীতি, ধর্ষন, হত্যা, গুম, ক্রসফায়ার সহ সমস্ত সাক্ষাৎ শয়তানের কাজকে হালাল/বৈধ আর ওয়াজ মাহফিল ফতোয়া হতে শুরু করে স্রষ্টার উপাসনা, বন্ধনা সহ কোরান হাদীস ইত্যাকার বই পড়া হারাম/অবৈধ।

আপনি আমি কি একবার ও ভাববো না, যে স্যেকুলার রা আমাকে, আপনাকে ৬০/৭০ বছরে ৩ বার জাতীয়তা পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছে, আর মাত্র ৪২ বছরে ১৫ বার তথাকথিত পবিত্র! সংবিধানকে শিরোধার্য করতে বাধ্য করেছে - তারা আদৌ আস্থা সম্পন্ন মানুষ নয়, তারা মূলতঃ প্রতারকের চেয়েও নিকৃষ্টতম কোন অভিধায় অভিযুক্ত হওয়ার যোগ্য। তাদের তালে তাল মিলানো কি আমাদের আদৌ উচিত?

অথচ তার বিপরীতে আমরা দেখছি ১৪০০ বছর আগে মহান স্রষ্টা আমাদের বলেছে 'তিনি মোহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে বিশ্বকে এক নতুন জাতি উপহার দিলেন, যার নাম দিলেন 'মুসলিম/মুসলমান'। আর আজ ১৪০০ বছর পরেও আমরা দেখছি আমাদের এ জাতিস্বত্তার কোন নড়চড় হয়নি - বলা হয়নি আজ হতে তোমরা মুসলিম নও - তোমরা এক্স ওয়াই জেড কিংবা অন্য কিছু।

অন্য দিকে সেই স্রষ্টা আমাদেরকে দিয়েছেন চমৎকার এক সংবিধান - যা শুধু জাতীয়তাবোধের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিই নয় - তার সাথে দিয়েছে ব্যক্তিগত, সামাজিক, বৈশ্বিক ও পরকালীন বিষয়াদির গাইডলাইন। যা ১৪০০ বছরে পরিবর্তন করতে হয়নি, এ্যামেন্ডমেন্ট আনতে হয়নি, যার কোন প্যারালাল নেই - যার কোন সংযোজন, বিয়োজন কিছুরই প্রয়োজন নেই।

ইদানিং কালে ক্রিকেট উদ্ভোধন, ছায়াছবি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সেক্যুলার পূজারী এক একটি গ্রুপ (যার স্বার্থহানী হয় বা হয়েছে) হঠাৎ করেই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে উসকে দিয়েছে, দিতে চাইছে। সে সাথে সাধারন মুসলিম জনগোষ্ঠি ও সে রব তুলছে - ঠিক যেভাবে আদম আঃ প্রতারিত হয়েছিল, বিশ্বাস করেছিল শয়তানকে।

তারা চাইছে আর একবার কৃত্রিম ঐ বাংলাদেশী জাতিসত্তার নামে আমাদের কে অস্থিতিশীলতায় ফেলে হত্যার শিকার করতে, চাইছে অস্থিতিশীলতার আড়ালে আমাদের মধ্য হতে আর একটি ক্রিমিয়া, পূর্ব তীমুর কিংবা সাউথ সুদান সৃষ্টি করতে, চাইছে হয়তোবা পূর্ব জার্মানীর ন্যায় তৃতীয় একটি দেশের সাথে এ দেশকে একীভূত করতে।

এমতাবস্থায় আমার আহ্বান, যদি আমাদেরকে জাতিস্বত্তার জন্য কোন আন্দোলন সংগ্রাম স্ট্রাগল কিংবা স্ট্রাইভ করতেই হয় তবে তা কৃত্রিম বাংলাদেশী জাতিস্বত্তার পরিবর্তে - মুসলিম জাতিস্বত্তার জন্য করতে শুরু করি। শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ তম পরিবর্তিত সংবিধানের পরিবর্তে কোরআনের জন্য শুরু করি। এতে করে নিশ্চিত আমরা এ দুনিয়াতে প্রতারিত হবনা আর পুরুষ্কার হিসাবে আমরা এ পৃথিবীতে যেমন আমার ও আপনার অধিকার ফেরত পাবো, সন্মান ফেরত পাবো ঠিক তেমনি পরকালের জন্যও আমাদের পুরুষ্কার নিশ্চিত হবে


৫০০% সহমত
১৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
143865
সাদাচোখে লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ সহমত পোষন করার জন্য।

কিন্তু এ নিয়ে আপনার থটস্‌ - আপনার সাবলিল ভাষায় শেয়ার করলে হয়তো অনেক পাঠকের চিন্তাধারায় স্বচ্ছতা ফিরে আসতো।

কিছুক্ষন আগে ইসলামী রাষ্ট্র উল্লেখ পূর্বক এক প্রশ্নের উত্তরে একজন ইসলামিক স্কলারকে বলতে শুনলাম, ওনার ৬০/৭০ বছরের পড়ালিখায় উনি ইসলামের কোন অথরিটিটিভ বইয়ে ইসলামী রাষ্ট্র নামে কিছুই পান নি। উনি যা পেয়েছেন তা খেলাফত প্রতিষ্ঠা - রাষ্ট্র নয়। খেলাফত ও রাষ্ট্র পুরোপুরি পৃথক দুটি কনসেপ্ট। খেলাফত এ ভূমির সার্বভৌমত্ব, আইনের উৎস ইত্যাদির পেছনে আছেন আল্লাহ ও কোরআন। আর রাষ্ট্রের কনসেপ্ট এ সার্বভৌমত্ব ও আইনের উৎস ইত্যাদির পেছনে আছেন জনগন! ও সংসদ/সাংবিধান।

ধন্যবাদ আবার ও।
১৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৪৩
144055
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আজব কাহিনি শুনলাম। চাকা,স্টিয়ারিং,সিট,ইঞ্জিন,ফুয়েল,রাস্তা সবকিছু পেয়েছেন কিন্তু গাড়ির কথা উনি শোনেননি...
214307
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:২০
বিনীত তারেকুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি কি আমার ’প্রসঙ্গ: জাতীয়তাবাদ, আন্তর্াতিকতা ও বিশ্বায়ন’ নামক পোস্টে কমেন্ট করেছিলেন? একটা সমস্যা ছিল, তাই উত্তর দিলে ভালো হয়। একজন ‘সাদাচোখ’ আরেকজন ’সাদাচোখে’ -একই নামীয় দুইজন ব্লগার। আপনাদের মধ্যে যেকোনো একজন কমেন্টটি করেছিলেন, তবে আমি ব্লগিংয়ে একদমই আনকোরা হওয়ায় আমার ভুল/আনাড়িপনার কারণে আপনার কমেন্টটি ডিলেট করে দিয়েছিলাম। আপনার ঐ কমেন্টটির প্রতি আমার একটা জবাব ছিল। যদি আপনিই সেই কমেন্টকারী হন, তাহলে আমাকে প্লিজ জানাবেন। ভালো থাকুন।
২৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:২৯
162827
সাদাচোখে লিখেছেন : জী আপনার লিখাটা পড়ে আমি ওখানে কমেন্ট করেছিলাম। ধন্যবাদ।
215027
২৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:০১
বিনীত তারেকুল ইসলাম লিখেছেন : আমার লেখাটায় আপনার করা কমেন্টের প্রতিজবাবে আমি এই কমেন্টটি করতে চেয়েছিলাম। ভুলবশত আপনার কমেন্টটি আমি ডিলিট করে দিয়েছিলাম। নতুন তো, তাই বুঝিনি। আপনাকে এখানে আমার ঐ কমেন্টটি তুলে দিচ্ছি: লেখাটা আমার প্রাথমিক ভাবনা ও চিন্তাসঞ্জাত। এই বিষয়গুলোর ওপর বিস্তারিতভাবে আমার একটা বই লেখার ইচ্ছে আছে। পুরোটাই নতুন করে তো লিখতে হবে অবশ্যই। বইটার নামও ঠিক করে রেখেছি মনে মনে ‌'এককেন্দ্রিক বিশ্বায়ন বনাম তৃতীয় চিন্তা'। লেখা শুরু করবো আরো দুই থেকে তিন বছর পরে। তবে মূল বিষয়টা হলো, আমি এখানে জাতীয়তাবাদ, আন্তর্জাতিকতা ও বিশ্বায়ন পেরিয়ে ইসলামের জায়গা থেকে তৃতীয় চিন্তার বয়ান হাজির করার চেষ্টা করবো। বয়ানের মৌলিকত্ব হবে ইসলাম। আমার কাজ হবে শুধু সেটাকে যুগোপযোগী ভাষা ও চিন্তার মাধ্যমে গড়ে তোলা। গত শতাব্দীতেই কমিউনিজম ও জাতীয়তাবাদের রাজত্ব হয়েছিল- যা এখন আর বজায় নেই। অদূর ভবিষ্যতে পুঁজিবাদী বিশ্বায়নের দৌড়ও সীমিত মনে হচ্ছে আমার কাছে। বর্তমান শতাব্দীতে একেন্দ্রিক বিশ্বায়নের রাজত্ব থাকবে এবং ক্রমশ সে ক্ষয়িষ্ণুতার দিকে যেতে থাকবে। আর এরই মধ্যে আমার ধ্যানধারণায় ইসলাম তৃতীয় চিন্তার কেন্দ্রে প্রবল সম্ভাবনার হয়ে হাজির হবে। কিন্তু সেটা তো এমনি এমনি হবে না, চিন্তাশীল মুসলমান যাঁরা আছেন, তাদেরকে এইসব নিয়ে ভাবতে হবে। আমি একজন নগন্য মানুষ হয়েও সেই দায়িত্বটুকু পালন করতে চাই। দেখুন, বর্তমান মুসলিম বিশ্বের মূল সংকট কোথায়? ইসলামপন্থীরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, জিহাদ, আন্দোলন সবই করে যাচ্ছে সাম্প্রতিককালে। যদিও তার যুগপৎ আরম্ভ তথাকথিত আরব স্প্রিং-য়ের মাধ্যমে। অর্থাৎ বেশিদিন হয়নি। তাদের অন্তত রাজনৈতিক অভিজ্ঞান লাভের জন্য আরো পরিপক্বতা ও সময় দরকার। কিন্তু চিন্তার জায়গায় তারা অবশ্যই দুর্বল বলতে হবে। যার কারণে তারা একের পর এক বিপ্লব করে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পরও সেটা আর ধরে রাখতে পারছে না, ইহুদি জায়নবাদী ও পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের তারা বারংবার ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছে- পৌনপুনিক সামরিক ক্যু'র তৎপরতায়। মিশর, আলজেরিয়ার অবস্থা দেখলেই সেটা স্পষ্টত উপলব্ধি করা যায়। তো মূল সমস্যা হলো, মুসলমানরা আন্দোলন, সংগ্রাম, জিহাদ, দাওয়াহ সবটাই হাজির রেখেছে, স্ব-স্ব দেশের জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থনও তাদের বোনাসস্বরূপ রয়েছে, কিন্তু তারপরও তাদের এহেন ব্যর্থতা ও ভরাডুবি কেন? তবুও কেন তারা পশ্চিমা গণতন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদেরকে এবং ইসলামকে উপস্থাপন করতে চায়? কারণ ইসলামপন্থীরা রাষ্ট্রগঠনের চিন্তার জায়গায় কার্যকর ও শক্তিশালী অবস্থানে নেই। অর্থাৎ রাষ্ট্রগঠন প্রক্রিয়ার চিন্তাকাঠমোতে তারা যেমন ঐক্যবদ্ধ নেই, তেমনি ইসলামী মতাদর্শের অনিবার্য যুগোপযোগিতার তাৎপর্য বোধের কেন্দ্রেও তারা এখনো পৌঁছতে পারেননি। তারা এখনো পুরনো জাতীয়তাবাদী ধ্যানধারণার কবলে পড়ে আছেন আর নতুবা থিওলজিক্যাল আর্গুম্যান্টে মাথা খুঁড়ে নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে 'জিহাদে' লিপ্ত। কিন্তু অ্যাপ্লাইড পলিটিক্সের ক্ষেত্রকে চিন্তা ও ঐক্যবদ্ধতার জায়গা থেকে শক্তিশালী করার কোনো উল্লেখযোগ্য তৎপরতা চোখে পড়েনা। ইসলাম তো ইসলামই, এখানে নতুন কোনো মতাদর্শ বা মতবাদ যোগের কোনো দরকার নেই। যা করার ইসলামী মতাদর্শের মৌলিক কাঠামোর ভিত্তিতেই করা সম্ভব। আধুনিক জাহেলিয়াতকে ঠেকাবার কৌশল ও পদ্ধতি ইসলামের পক্ষ থেকে বের করে আনতে হবে, আর তা সম্ভব কেবল চিন্তার বৈপ্লবিকতার মধ্য দিয়ে। আজ এতটুকুই বললাম আপনাকে। আর হ্যাঁ, আমার পাতায় আপনি মিসর নিয়ে আমার দুটো লেখা পাবেন, যেখানে এসব নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনার চেষ্টা করেছি। লেখা দুটো পড়ার অনুরোধ রইল। ইনশাআল্লাহ আমি
সামনে এগুলোর বিস্তারিত বয়ান নিয়ে হাজির হবো। দোয়া করবেন আমার জন্য।
৩০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৫২
163370
সাদাচোখে লিখেছেন : মাশাআল্লাহ্‌। আল্লাহ আপনার এ্যাপোর্ট গ্রহন করুক এবং আপনার কলম হতে সত্যের বানী বিমূর্ত হোক - এই কামনা করি।

আপনার চিন্তাধারা পজিটিভ এবং উৎসাহব্যাঞ্জক। এ নিয়ে পশ্চিমা দুনিয়ায় প্রচুর কাজ হচ্ছে। সব কাজের মূলে ইসলামের শিক্ষা ও এ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স এর জন্য প্রচুর রিসার্চ ও প্রজেক্ট ছোট ও মাঝারী পরিসরে ব্যাক্তি ও সংগঠনের উদ্দ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে। আশা করি আপনার উদ্দ্যোগটি - তাতে সাউথ এশিয়ান/বাংলাদেশ পারস্পেকটিভ যোগ করবে।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে আপনাকে শায়খ ইমরান হোসাইন এর 'জেরুজালেম ইন কোরআন' বইটি পড়তে উৎসাহিত করবো - যদি না পড়ে থাকেন। অথবা ইউটিউবে এর উপর ওনার বিস্তারিত আলোচনা শুনতে পারেন - তাতে আপনার লিখার ফাউন্ডেশানে নতুন কিছু উপাদান পাবেন। ধন্যবাদ আপনার চিন্তা শেয়ার করার জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File