আজ হতে ডেনমার্কে হালাল মাংস - হারাম হল
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৩:৪২:৪৭ রাত
সরকারী এক নির্বাহী আদেশ এর মাধ্যমে ডেনমার্ক সরকার আজ হতে এ দেশে 'হালাল জবাই' নিষিদ্ধ তথা হারাম করেছেন। সরকারের মুখপত্র সহ এ আদেশের পক্ষে যে দু চারজন মন্তব্য করেছেন - তাতে তারা যে যুক্তি দিয়েছেন তা হলঃ
১। গরু জবাই করা অমানবিক - কারন এতে গরু লম্বা সময়ব্যাপী ব্যাথ্যা পেতে থাকে।
২। সুতরাং তারা গরুকে অজ্ঞান করে হত্যা করার পক্ষপাতি। তারা বলছে অজ্ঞান করার পর চাইলে ধর্মীয় লোকেরা গরুকে জবাই করতে পারে - এতে গরু ব্যাথ্যা পাবেনা।
অন্যদিকে খাদ্য মন্ত্রী অনুরূপ যুক্তি দিয়েছেন এবং সে সাথে বলেছেন - তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে জেনেছেন এতে করে ধর্মীয় কোন সমস্যা হবে না এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনুরূপ 'ব্যান/নিষিদ্ধ' সংক্রান্ত আইন আছে।
কোপেনহেগেন পোষ্ট এ ওনার দেওয়া যে কমেন্টটি হাইলাইট করা হয়েছে - 'ধর্মীয় প্রয়োজন অপেক্ষা পশুর কল্যান কে আমি অধিক গুরুত্ব দেই'।
স্থানীয় মুসলিম ও ইহুদী জনগোষ্ঠীরা যে সব প্রশ্ন তুলছেন,
১। এটা ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।
২। এটা মাইনরিটির অধিকারের উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।
৩। এটা আন্তর্জাতিক আইন, নীতি নৈতিকতা, গনতান্ত্রীক প্রাকটিস ও ই ইউ রুলস এর সাথে সাংঘর্ষিক।
৪। এটা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অন্যায় হস্তক্ষেপ।
৫। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত স্লাগটারিং এর সকল পদ্ধতির মধ্যে 'জবাইকরা পশু সর্বনিন্ম ব্যাথ্যা পায়' - অথচ বিজ্ঞানকে অস্বীকার করে পারসেপশানকে প্রাধান্য দেওয়া হল।
আমার ব্যক্তিগত অভিমতঃ
'এন্টি ক্রিয়েটর' স্বত্ত্বা যখন নিজেকে নিজে অতিরিক্ত শক্তিশালী বলে অনুভব করতে শুরু করে - তখন যা কিছু ডিভাইন, যা কিছু নিষিদ্ধ - তার বিপরীতে দাঁড়াবার এক অদম্য স্পৃহা - তাকে পেয়ে বসে। বিশ্ব আজ মানব জাতিকে এমন একটি অবস্থায় উপনীত করেছে - যেখানে এন্টি ক্রিয়েটর শক্তি আজ গার্ডিয়ানের রোল প্লে করছে - তা সে হাইতি হোক আর ডেনমার্ক হোক আর সৌদী হোক।
এমন বিষয়টিকে - না কোন ইন্টারন্যাশানাল বডি, না কোন ইসলামিক বডি কিংবা সরকার, না কোন মিডিয়া সিরিয়াসলী এ্যাড্রেস করবে। অথচ বছর দেড়েক আগে উগান্ডার সরকার সমকামীতা নিষিদ্ধ করে সংসদে একটি বিল পাস করলে পর - ডেনিস সরকার তাৎক্ষনিক রিএ্যাক্ট করে বলেছিল - উগান্ডায় ডেনিস সকল সাহায্য সহযোগীতা বন্ধ।
সেলুকাস!
বিষয়: বিবিধ
১৭৯২ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সচেতন মুসলিম জনগোষ্ঠির মূক অংশটুকু যেন বানরের নাচ দেখছে। ভাবছে এইবার বুঝি বানরের বাদরামী থামবে। আর বানর সম্ভবতঃ ভাবছে - তার বাঁদরামী মুসলিম রা উপভোগ করছে।
ধন্যবাদ।
মূলতঃ শয়তান সে রাজপ্রাসাদে ঘুমাক কিংবা গণভবনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হোক কিংবা আরজ আলী মাতুব্বর সাজুক - তার কাছে সর্বসাকুল্যে মিশন একটাই - তা হল 'প্রতারনা' আর উপায় ও একটা - আর তা হল 'মিথ্যাচার'।
এই শয়তান সৃষ্টির শুরুতে পাপ করে ধরা খেয়ে যেমন 'আল্লাহ' কে দোষারোপ করেছিল, নবী রাসুল দের সামনে ও শত শতবার ধরাখেয়ে অপমান অপদস্থ হয়েছে, আর এই শেষ জামানায় এসে শেষ বারের খেলা খেলছে। নিশ্চিত থাকুন ইনশাল্লাহ শয়তান এবার ও ধরা খাবে - মধ্যে আল্লাহওয়ালাদের অনেকের হিসাব নিকাশ সংক্ষিপ্ত হল।
হল শাহজালাল এ ঘুমাক পুরো কোরান হাদীস এ তন্ন তন্ন করে দেখলেও আপনি শয়তানের চেলা চামুন্ডাদের খেল তামশা ডজন খানেক ও পাবেন না।
উগান্ডার সমকামিতার নিষিদ্ধের বিলে যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখালো ডেনমার্ক।
অথচ মুসলমানদের একটি বিষয়ে ডেনিশ দের নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রয়োজনিয়তা মনে করবে কি সৌদি আরব সহ কোনো মুসলিম দেশ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন রিএ্যাকশান প্রত্যাশা করিনা সৌদী আরব কিংবা তার্কি কিংবা ইরান হতে। আমি বরং মনে করি ওয়েস্টার্ন মুসলিম কমিউনিটি এটা নিয়ে ফাইট করবে এবং ইউরোপীয়ান কোর্টে এ যাবে। আর না হয় এ দেশের মুসলিম রা মাংস খাওয়া ছেড়ে দেবে আল্লাহর ওয়াস্তে।
মাশাল্লাহ্।
ছবি গুলো দেখলাম, একদিকে মানুষিক অশান্তি টা বুঝিবা একটু কমলো আর অন্যদিকে এই সব গোজামিলের পশুপ্রেমিক মানুষদের জন্য করূনা ও জন্মালো।
একসময় মার্কিন বিমান বাহিনীর বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে কালো মানুষেরা নাকি বিমান চালান অযোগ্য!কিন্তু দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধের ঠেলায় কালো পাইলট রিক্রুট করতে বাধ্য হয়। টুসকাজি এয়ারম্যান নামে পরিচিত এই পাইলটদের স্কোয়াড্রন দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধের সবচেয়ে সফল স্কোয়াড্রন হিসেবে বিখ্যাত।
পশুকে জবাই করার প্রথমেই তার শ্বাসনালি এবং প্রধান ধমনি ও কিছু স্নায়ু কেটে যায়। যার ফলে তার মস্তিস্ক অক্সিজেন বন্ধ হয়ে তার মধ্যে ব্যথার অনুভুতিই নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু শুধু মুসলিমরা জবাই করে খায় এটাই তাদের গাত্রদাহের কারন।
ঐ দিন আল জাজিরায় ঘটনাক্রমে এক সুইস ল'মেকার এর দেওয়া ইন্টারভিউর খানিকটা দেখছিলাম। ভদ্রলোক সুইজারল্যান্ডে মসজিদের মিনারাত তৈরী বন্ধ করার নিমিত্তে একটি ভোটের আয়োজন করে সাফল্য পেয়েছিলেন। সাংবাদিক যতই তাকে প্রশ্ন করেন - মসজিদের ডেকোরোশেনার পার্ট হিসাবে মিনারাত এ প্রবলেম কোথায়? ভদ্রলোক প্রথম বললেন তিনি ওহাবীদেরকে মিনারাত বানাবার জন্য এমন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার সুইজারল্যান্ডে আনতে দিতে পারেন না। যখন তাকে জানানো হল পুরো সুইজারল্যান্ডে মাত্র ৪ টি মসজিদে মিনারাত আছে এবং তা ১৯৬৪ এ করা। তিনি তখন বললেন আসলে মুসলিম রা মেয়েদেরকে ভেইল পরিয়ে রাখে - যা তিনি চান না। যখন বলা হল, ওটার সাথে মিনারাতের কি সম্পর্ক, তিনি বললেন আপনি বুঝছেন না, মুসলিমরা কি সব উদ্ভট জিনিসে বিশ্বাস করে - এটা আধুনিক গনতান্ত্রিক সমাজের সাথে যায় না। সাংবাদিক যখন আবার তাকে প্রশ্ন করলো তার সাথে মিনারাতের সম্পর্কে কি? ভদ্রলোক খুব রেগে গিয়ে বললেন - আপনি বুঝতে পারছেন না কেন - আমি বললাম তো ---
তারা যা বলতে চাইছে - কিন্তু এখনো বলতে পারছেনা - তা হল - স্রষ্টাকে ছাড়ো এবং আমাদের মত (গনতন্ত্র তথা সুবিধাবাদীতা) শয়তানকে / দজ্জাল কে আকড়ে ধরো। আমি আশা করছি শীঘ্রই তারা সেটা জোর করে মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দেবে। এবং অল্প সংখ্যাক মুসলিম তা রেসিস্ট করতে পারবে এবং পালাবে তথা লুকাবে - সুরা কাহাফ এর ঐ যুবকদের ন্যায়।
ধন্যবাদ।
আলহামদুল্লিল্লাহ্। কিছু ভাই জানালো - ইতোমধ্যে মুসলিম ডেনিস ভাইবোনদের জন্য ইংল্যান্ড হতে হালাল মাংসের আমদানী হচ্ছে। আল্লাহ ভাল জানেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন