পাগলা কুকুর এর প্রতিকার জানি। কিন্তু উন্মাদ সরকারের প্রতিকার কি হবে?

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:০৪:১০ রাত

টিভি টক শো তে নুন্যতম বিবেক সম্পন্ন মানুষ হতে শুরু করে সাধারন মানুষের মন্তব্য ও প্রশ্ন - ও পারস্পরিক কথপোকথনে এটা পরিষ্কার যে, তারা অনুভব করছে - ২৪ নভেম্বর হতে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ সরকার প্রায় উন্মাদ হতে উন্মাদ এবং তারপর বদ্ধ উন্মাদের মত আচরন করছে। কিন্তু মানুষ ধাঁধাঁয় পড়েছে, তাদের যেন ঘোর লেগেছে। সম্ভবতঃ এ জন্য যে - তারা জানে কুকুর বদ্ধ উন্মাদ হয়ে গেলে তার পরিনত কতটা ভয়াবহ হয় এবং তার প্রতিকারের নিমিত্তে - কি ই বা করতে হয়? কিন্তু দু'পায়ের উপর ভর করা, নামে মুসলিম, নৈতিকতায় সুখরন্জনের পায়ের চটির সমতুল্য, পৌত্তলিক আচার আচরনে অভ্যস্থ - ভাড়াটে খুনী, ধর্ষক ও ভারতীয় এজেন্ট রূপী উপদেষ্টা, মন্ত্রী, সচিব, ডিসি, টিএনও, এস পি, ওসি, এস-আই ইত্যাকার পদবী ধারীর উপর সাওয়ার - এ সরকার এর উন্মাদনা কতটা ভয়াবহ হবে এবং তার প্রতিকারে কতটা ব্যবস্থা নিলে তা বাংলার কালচার, কৃষ্টি ও ধর্মের মাপকাঠিতে 'সুষম' বলে গন্য হবে? তাই তারা পরিস্থিতির টিড-বিটস অবলোকন করছে, খোঁজ খবর নিচ্ছে, বিচার বিশ্লেষন করছে।

ইতোমধ্যে ভারতের পিক এন্ড চুজ এর আওতায় - পরীক্ষিত ক্রিতদাস ও ৭২ - ৭৫ এর গনহত্যার কান্ডারী তোফায়েল রক্ষি, আমু ইত্যাকার বোম্বীয় ভিলেনীয় সুষমায় বাংলার রাজনৈতিক নেতা - এ সরকারের 'ডেড সোল' এ 'ছু মন্তর ছু' বলে ফুঁ দিচ্ছেন এবং কতটা কন্ট্রিবিউশান করছেন - তা জাতিকে জানান দিচ্ছেন - সে সাথে নব্য দালাল মেনন, ইনু রা ও ভেল্কি দেখিয়ে চলেছেন আর বাঁচার আকুতিতে মরা কান্না করে চলেছেন - আর অন্যদিকে 'ভেড়ার পাল' এর ন্যায় প্রশ্নবিদ্ধ, নীতি নৈতিকতা হীন, পদপদবী ও অর্থ লোভী বিরোধী দলের কতিপয় সমগোত্রীয় নেতা ও কর্মীদের তাড়িয়ে রাস্তা খালি করে রাজপথে বন্দুক এর নলে হুইসেল বাজিয়ে বাংলার মানুষকে আতশবাজীর শব্দ শুনাচ্ছেন, কোরাসে রবীন্দ্র সংগীত হতে শুরু করে মারফতি গান হয়ে ব্যান্ড সংগীত এবং সাথে বাড়তি পাওনা কিছু নেশা খোর নাট্য ব্যাক্তিত্বের নাটক ও জনমানুষকে দেখিয়ে শুনিয়ে মুগ্ধ করে চলেছেন।

সাধারন মানুষের যে অংশটি নিজেদের স্মার্ট, অন্যায়ের যম ও দেশপ্রেমিক ঈমানদার মনে করে - তারা ইতোমধ্যে ময়দানে নেমে বদ্ধ এ উন্মাদ সরকারকে ক্ষেপাচ্ছে, রাগাচ্ছে এবং চর্কির মত ঘুরাচ্ছে এবং পল্টি খাওয়াচ্ছে। সে সাথে আল্লাহর অনুগ্রহ পেলে - ফাঁসিতে লটকে পড়ছেন, কিংবা গুলির গর্ত বুকে মাথায় নিয়ে বেহেস্তে পাড়ি জমাচ্ছেন আবার কেউ বা বাবা মায়ের কাছে শেষ সেবা যত্নের জন্য সটান শুয়ে পড়েছেন। দেশ বিদেশ হতে নামী ও দামী রাজনৈতিক দর্শকরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এসে উন্মাদ এ সরকারের বোম্বে টাইপ খেমটা ও ধামকা নাচ এবং পাশ্চাত্য স্টাইলের অপেরা শো দেখে আমোদিত হয়েছেন। তারা দেখেছেন কিভাবে শেখ হাসি - না, যাত্রার ঢং এ ধমক দিয়ে, মুক্তিপন সেট করে এর তার প্রান, রক্ত ও চোখের পানি নিংড়ে বের করে যাদুকরের ভংগীমায় হাতের মুঠোয় ভরছেন এবং আস্তে করে হাত বাঁকিয়ে টপাটপ গিলে ফেলছেন এবং মুখবাকিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন এবং মিডিয়ার সামনে খিস্তি খেওড় করছেন, এবং বিভিন্ন এক্স রেইটেড সংলাপ দিয়ে রাজনীতিকে সুষমামন্ডিত করছেন।

সব কিছু দেখে শুনে এ পয্যন্ত বিশ্ব মিডিয়া, বিশ্ব বিশ্লেষক সহ রাজনৈতিক ভবিষ্যত দ্রষ্টারা মোটা দাগে দুটি অভিমত এর আওতায় - তাদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেছেন এবং করে চলেছেন। আশা করছি সাধারন মানুষের কানে ভাসা ভাসা করে হলেও ইতোমধ্যে তা পৌছেছে। দ্বিধা দ্বন্ধে থাকা মুসলিম ও মুমিন ভাইদের জন্য তা উল্লেখ না করলেই নয়। আর তা হলঃ

১। সরকার বদ্ধ উন্মাদের ন্যায় মূলতঃ অভিনয় করছেন - যাতে দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে সৃষ্ট দুটি পলিটিক্যাল স্রোত গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে মুখোমুখি হয়ে বিধ্বংশী আচরন শুরু করে। এবং তার ধারাবাহিকতায় 'নব্য ভারতীয় আগ্রাসী শক্তির প্রতিভূ'রা টেস্ট কেইস হিসাবে বাংলাদেশে ভারতীয় সৈন্যের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রন করার একটা মহড়া দিতে পারে।

২। সরকার আসলেই উন্মাদ হয়ে গেছে। আর তাই দেশের কোন সমস্যা যেমন চোখে পড়ছে না, তেমনি উন্মাদীয় বিষাক্ত দাঁতটি কোথাও ফুটাতে ও পারছেনা - যাতে একটু ব্যাথ্যা হতে রিলিভ হবে। আর তাই - একে তাকে কামড়িয়ে, এর তার রক্ত চেঁটে, একে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কিংবা গুলিতে ঝাঝরা করে, এ সে সরকারী ডিপার্টমেন্টকে পদতলে পিষ্ঠ করে, এর তার চরিত্র ও ব্যক্তিত্বের হানি ঘটিয়ে - দাঁতের যে ব্যাথা তা সারাতে সচেষ্ট হয়ে পড়েছে। সো কামড়িয়ে সুখ পাবার আশায় অমন অপকর্ম করে যাচ্ছে - আর তা উত্তোরত্তর বাড়ছে - কারন চোখে মুখে সর্ষেফুল ও দেখছে।

এমতাবস্থায় দ্বিধা দ্বন্ধে থাকা মানুষকে ভাবতে হবে - এর বাহিরে সরকারের এ উন্মাদনার আর কি কারন থাকতে পারে? অথবা এ দুটির কোন কারনকে তার কাছে যথার্থ মনে হয়? এবং ঐ কারন টি তার ভবিষ্যতকে কতটা কন্টাকাকীর্ন করবে এবং তার প্রতিকার করার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা - তাও চিন্তা করতে হবে। এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে যে কোন পর্যায় হতে প্রতিকারের নিমিত্তে প্রস্তুত হয়ে নেমে পড়তে হবে।

বিষয়: বিবিধ

২০৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File