মূলতঃ বাংলাদেশের মানুষ ও বিরোধী দলসমূহ ভারতের বিরুদ্ধে নিজেদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে।
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৫:২৯:৪৬ সকাল
শেখ হাসিনাকে পূনর্বাসিত করে - ভারত মূলতঃ বাংলাদেশের উপর এক অসম প্রক্সি যুদ্ধ ছাপিয়ে দিয়েছে। মাহমুদুর রহমান, ফরহাদ মজহার, শফিক রেহমান এর মত দূরদর্শী, প্রজ্ঞাসম্পন্ন কিছু মানুষ এ সরকারের প্রথম দিকেই সম্ভবতঃ তা আচঁ করেছিল এবং বাংলার মানুষকে সচেতন করার জন্য কলম ধরেছিল।
তাদের সাথে পরবর্তীতে বিভিন্ন পেশাজীবিরা যোগ দেয়। কিন্তু স্বার্থপর রাজনীতিবিদ, মিডিয়া কর্মী ও সমাজ কর্মী সহ সমাজের এক অংশ - মানুষের মুখোশ পরা নেকড়েরূপী ভারতীয় এ এজেন্ট সরকারের বিরুদ্ধে না গিয়ে - সুবিধা আদায়ে সচেষ্ট ছিল এবং বিনিময়ে টেকনিক্যাল বৈধতা দিয়ে গেছে।
এতে করে নেকড়ে রূপী এই এজেন্ট সরকার বাংলাদেশের আর্মী, বিডিআর, পুলিশ, প্রশাসন ও বিচারালয়কে ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনায় পরিনত করেছে। সে সাথে দেশের নিরাপত্তা, স্বকীয়তা, আত্মমর্যাদা, একতা ও বিশ্বাসের ভিত্তিকে চূর্নবিচূর্ন করে দিয়েছে। পাশাপাশি দেশময় পাপাচার, বেহায়াপনা, মাতলামী ও নেশার বিষ প্রোথিত করেছে।
সাক্ষাৎ শয়তানের ছেলা চামুন্ডা তথা ধর্ষক, ভন্ড, প্রতারক হতে শুরু করে বিকৃত মস্তিস্কের একদল মানুষকে দেশের সুশীল, বুদ্ধিজীবি, শিক্ষক, সংস্কৃতি কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে খিস্তি খেউর হতে শুরু করে বিকৃতি ও জোচ্চুরীর সাথে সাথে চুরি, চাকু, গুলি চালিয়েছে - যাদের পরিত্রানের জন্য একাত্তর, সময়, এটিএন, চ্যানেল ২৪, আলু কন্ঠ ইত্যাদি নামের মিডিয়া সারাক্ষন হুইল সাবান নিয়ে কাজ করে সবকিছুকে ধবধবে সাদা বানাতে কাজ করেছে।
এ সাথে না হিন্দু না মুসলিম আশরাফ টাইপের রাজনীতির শিষ্যরা চ্যানেল আই ইত্যাদি নাটক সিনেমা ও টকশোর নামে আর প্রথম আলুরা কলামের নামে আলেম ওলামা ও দাড়ি টুপী হিজাবধারীদের গণশত্রু হিসাবে চিত্রায়িত করে গননিধন করিয়েছে।
ইতোমধ্যে এই এজেন্ট সরকার - ভারতের কাছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা, শিক্ষা, টেলিযোগাযোগ, মিডিয়া, ব্যবসাবানিজ্য, ব্যাংক বীমা ও অর্থনীতি হতে শুরু করে বাংলাদেশের জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বন্ধক দিয়েছে। বাংলাদেশের নদী নালা হতে শুরু করে বন ও সৈকত সবই আজ ভারতের পদতলে নিবেদিত হয়েছে।
অবশেষে বাংলার মানুষ এই এজেন্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছে - তথাকথিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের ক্যামোফ্লেজে। অথচ আমজনতার কাছে পরিষ্কার, পথে ঘাটের হুজুর শিক্ষক হতে শুরু করে গ্রাম বাংলার ব্যবসায়ী ও পেশাজীবি দের কাছে ও পরিষ্কার যে তারা ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ন আজ। তারা মূলতঃ যুদ্ধ করছে ভারতের ভাইসরয় হাসিনার বিরুদ্ধে, রক্ষীবাহিনীর কমান্ডার তোফায়েলের বিরুদ্ধে, ভারতীয় চর শাহরিয়ার, মামুন, নাসির, মানিক, তৌফিক ইত্যাদি কুচক্রীর বিরুদ্ধে। মূলতঃ তাদের একটাই উদ্দেশ্য - আর তা হল হারানো স্বাধীনতা পুনুঃরূদ্ধার।
আর এজন্য বাংলার মানুষকে সচেতন হতে হবে, ভাবতে হবে কোথায় সে জড়াবে, কিভাবে জড়াবে, কিভাবে নিজের কন্ট্রিবিউশান নিশ্চিত করবে। মনে রাখতে হবে, বৃটিশরা একদিনে যায়নি, তারা যেমন ডিপ্লোমেট (আজকের পন্কজ ইত্যাদি) দিয়ে কাজ সেরেছে তেমনি গুলি ও চালিয়েছে (র্যাবপুলিশ), স্যাবোটাজ ও করেছে (শাহবাগ ইত্যাদি)।
আজকালকার মিডিয়ায় আমরা তাই দেখি ভারতীয় ডিপ্লোমেটদের দৌড়ঝাপ, বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে সুরক্ষিত ভিলা বাড়িতে ভারতের স্পেশাল কমান্ডো বাহিনী আর সে সাথে র এর স্যাবোটাজ টিম এর এ্যাকশান, ধর পাকড়, বন্দী নির্যাতন ও গুম, খুন।
সুতরাং আমি মনে করিনা - এ যুদ্ধ আর রাখ ঢাক করার মত অবস্থানে আছে আছে। সময়ে হয়েছে, আমাদের পরিষ্কার ভাবে বলার - আমরা ভারতের বিরুদ্ধে তাদের এ দেশীয় পুতুল সরকারের হত্যা নির্যাতন ও সম্পদ পাচার এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য।
ভারতীয় আগ্রাসন
বন্ধ কর করতে হবে
এজেন্ট হাসিনা নিপাত যাক
বাংলাদেশ মুক্তি পাক।
ভারতের চামচা
উন্মাদ হাসিনা
বিষয়: বিবিধ
১১৯৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন