বিধ্বংশী শাসন ও শোষনঃ ভোতা প্রতিকার
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৬:৪৯:০৮ সন্ধ্যা
ক্ষমতারোহনের পর শেখ হাসিনা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে 'শত্রু' বলে ঘোষনা করলেন। লর্ড ক্লাইভ কিংবা মীরজাফর এর মত - মনের ভিতরে গোপন রাখলেন না, বীরংগনার ন্যায় পাবলিক মিডিয়ায় ঘোষনা দিলেন, সংসদে বললেন। অথচ দেশের মানুষ ও তাদের অপদার্থ নেতৃবৃন্দ - এ ঘোষনাকে 'রাজনৈতিক' রং এ রাংগালেন ও মিডিয়ার সং সাজলেন।
মাত্র দুমাসের মাথায় শেখ হাসিনা এন্ড কোং এ দেশের মানুষের ডিফেন্স কে গুড়িয়ে দিলেন। মাত্র ৪৮ ঘন্টায় পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যাক 'শত্রু সেনা অফিসার' হত্যা করলেন। হিন্দ এর প্রেতাত্ম হয়ে হামজা রাঃ এর ন্যায় শত্রু সেনা অফিসারদের 'শব' ব্যবচ্ছেদ করলেন, পোড়ালেন এবং গনকবর দিয়ে নিজেদের নিশৃংসতা ও ঘৃনার প্রকাশ ঘটালেন। দেশের মানুষ ও তাদের অপদার্থ নেতৃবৃন্দ - এ মিথস্ক্রিয়ায় উজ্জীবিত হলেন এবং 'রাজনৈতিক' রং এ রাংগালেন ও মিডিয়ার সং সাজলেন।
অন্যদিকে নিজের পক্ষে জিরো ক্যাজুয়ালিটি নিশ্চিত করলেন। পৃথিবীর কোন দেশে এর আগে এমন সাফল্যজনক জয় নিশ্চিত হয়নি এবং আগামীতে ও হবে না। - এমনকি কোন পরাশক্তিও কোন দিন তা করতে পারবেনা - তা সে ড্রোন ব্যবহার করুক আর অন্য কিছু। এই একটি ইভেন্ট এর জন্য শেখ হাসিনাকে 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সমরনায়ক' এর মেডেল দেওয়া আবশ্যক - না দেওয়া কিংবা সময়ক্ষেপন তার প্রতি অন্যায়। সে সাথে আমি মনে করি সামরিক স্ট্রাটেজী কোর্স এ 'শেখ হাসিনা'স ডিসেপশান স্ট্রাটেজী' অধ্যয়ন করা নিশ্চিত করা উচিত।
এ সাকসেস ই উদ্দীপ্ত শেখ হাসিনা - শত্রুপক্ষের অর্থ ও বানিজ্য কুক্ষিগত করায় মনোনিবেশ করতে বললেন এবং অল্প দিনেই সে অর্থ ও ব্যবসা বানিজ্য সকল জ্যামিতিক ক্যালকুলেশান কে হার মানিয়ে ডিজিটাল গতিতে সর্বোচ্চ শৃংগে পৌছাতে লাগলো। বাংলাদেশের মানুষ ও তাদের অপদার্থ নেতৃবৃন্দ সেই কার্যক্রমকে 'রাজনৈতিক' রং এ রাংগিয়ে বলতে লাগলেন, শেয়ার বাজার ডাকাতি, হলমার্ক কেলেংকারী, ডেসটিনি মাথায় হাত, পদ্মা সেতু চুরি, কালো বিড়াল ধরা ও হায় হায় সংগঠন ইত্যাদি।
এর পাশাপাশি শত্রুর মোরাল ধ্বংশ করা সহ তাদেরকে উদভ্রান্ত, বিভ্রান্ত ও উন্মাদ বানাতে একের পর এক চালু করলেন প্রফাগান্ডা প্রচার যন্ত্র, সাথে দেদারসে সাপ্লাই দিলেন রংগিন নেশা, গণহারে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চালালেন পরিমলীয় ইলাস্টিক ধর্ষণ, পার্লারিয় ভিডিও চিত্রায়ন ও বিপনন ও সাথে খাবার শেষের মেন্যু হিসাবে দিলেন গনমানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস এ মাতলামী চুমুক। পুরো কর্মযজ্ঞকে দেখে মনে হবে পাতায়ার কোন বিচের কোন ম্যাসেজ পার্লারে বুঝিবা আমাদের সরকার নিশ্চিত নির্ভরতায়, গা ছেড়ে, চোখ মুদে, মিটমিটিয়ে হাসি মুখে সুখানুভূতি শেকছেন। অন্যদিকে দেশের মানুষ ও তাদের অপদার্থ নেতৃবৃন্দ - এ চিত্র ইউটিউবে দেখে যারপরনাই রিলাক্সড হলেন, কেল্লাফতে মনে করে 'রাজনৈতিক' রং এ রাংগালেন ও মিডিয়ার সং সাজলেন।
চোটপাটস্থ হাসিনা তার সাকসেস এ নিজেই বিস্মিত, তার সুখে নিজেই বিমোহিত হয়ে দেখলেন - পুরো দেশ মূলতঃ তার তাবেদার, তার ফাই ফরমাশ খেটে আহলাদিত, বিমোহিত হয়, তার আংগুলি হেলেন তারা একবার এদিকে নড়ে আর একবার ওদিকে নড়ে। কালো বিড়াল হাসিনার স্ট্রেংথ ও নিঃশৃংশতা বোঝাতে গনমাধ্যমে জানান দিলেন, 'হাসিনা ধরলে কিনা ছাড়েই না'। ব্যাস বিদ্রোহী কে থাকবে? তুমি মাহমুদুর রহমান, শফিক রেহমান, ফরহাদ মজহার, আসিফ নজরুল নাকি তথাকথিত শিবির জামাতের নেতা, নাকি কোথাকার জংগী হেফাজতের বাবুনগরী (না হিন্দু না মুসলমান হিজড়া আশরাফের পারমিশন ছাড়া হাসিনার ঢাকা পদদলিত করলি)। ডিজিট্যালী চ্যালেন্জ আসলো - অর্ডার এলো - হার হাইনেস এর সার্টিফাইড উন্মাদিয় ফরমান ও পাশ হল এবং একের পর এক বাংলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নীতি নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষেরা ন্যাংটো হতে থাকলো, হাতের আংগুল দিয়ে সুই ডুকলো, পিটিয়ে হাড্ডি থেতলানো হল এবং অবশেষে পাল, রায়, চক্রবর্তীদের জেলের ভাত খেয়ে উদর পূর্তি করতে বাধ্য হল এবং গিলে ই চললো। তখনো দেশের মানুষ ও তাদের অপদার্থ নেতৃবৃন্দ - এ নাটক দেখলেন, চোখের পানি ফেললেন এবং তাতে 'রাজনৈতিক' রং লাগালেন ও মিডিয়ায় সং সাজলেন।
এখন দেশের মানুষ পুড়ছে, দেশের মানুষের চোখ দিয়ে রক্ত আর আগুন বেরুচ্ছে - কিন্তু অপদার্থ নেতৃবৃন্দ এখনো তাকে রাজনৈতিক রং এ রাংগাতে ব্যস্ত। তারা যেন পণ করেছে - এটাকে সমস্যা হিসাবে কোনভাবেই চিহ্নিত করবোনা, এটাকে কোন রোগ হিসাবে ও না। সুতরাং তারা এ সমস্যা সমাধান করতে কাজ করবেনা, এ রোগ সারাতে হাসপাতালে যাবেনা - তারা রাজনৈতিক ব্যানিফিট নিয়েই ছাড়বে।
ধিক্ উন্মাদ ও পিচাশের শাসনকে জায়েজদান কারী দেশের নেতৃবৃন্দের জন্য।
বিষয়: বিবিধ
১১৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন