বিএনপি'র হার্ডলাইনঃ 'র' এজেন্ট ও আওয়ামী কাল্ট দের ঘুম হারাম।

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ১৭ অক্টোবর, ২০১৩, ০২:৩৩:৩৯ রাত

বছরের পর বছর আওয়ামী কাল্ট ও তার মুরিদরা পলিটিকস এর নামে একে তাকে শত্রু বলে ঘোষনা করল। একে তাকে পলিটিকস এর নামে খুন করলো, গুম করলো। একে তাকে পলিটিকস এর নামে দেশ ছাড়া করলো। একে তাকে বিচারের নামে জেলে বন্দী করে রাখলো। এর তার চরিত্র হনন করলো, মিথ্যাচার করলো। এর তার সম্পদ ও সম্পত্তি ছিনিয়ে নিল। এবং এ সব অন্যায় ও অবিচারকে কতিপয় 'র' এর এজেন্ট ও আওয়ামী 'কাল্ট' পত্রিকা ও টিভির মাধ্যমে জায়েজ করে চললো - ঠিক যেমন করে 'দুদক' আবুল ও কালোবিড়ালদের চারিত্রিক সনদপত্র দিয়ে যাচ্ছিল।

বাংলাদেশের জনগন ও এর বন্ধুরা নাগিনীতুল্য 'কাল্ট সর্দারনী' মুজিবপূজারীকে এখন প্রায় ঘেরাও করে ফেলেছে। এতে করে সর্দারনী ও তার ক্লোজ সার্কেল ডেসপারেট সব আচার আচরন করছে। তাদের পুরো আচার আচরন জেএমবি র আবদুর রহমান এর সিলেটের বাড়িতে আটকা পড়ার মত। তৎকালীন বিএনপি ও তাদের আস্থাভাজন কর্নেল গুলজার যেমন করে আবদুর রহমানকে বের করে এনেছিল এবং ফাসিতে লটকিয়েছিল - এই নাগিনী ও তার ডিসাইপলদের জন্য ও ফাসির ব্যবস্থা কিংবা গণপিটুনী নিশ্চিত করার সময় হয়েছে।

জনাব সাদেক হোসেন খোকার দা কুড়াল এর অভিব্যাক্তি, সাধারন জনগনের ভিতরকার ক্ষোভ ও ক্রুদ্ধতার ১ শতাংশের বহিঃপ্রকাশ নয়। অথচ তাতেই এ কাল্ট এর প্রতিপালক 'র' এর এজেন্ট ও আওয়ামী তল্পিবাহক আনিসুর রহমান, সোহরাব, মিজানুর ইত্যাকার লোকের যেন ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তারা দুই চার ছয় হাতে এজেন্ট পত্রিকা য় লিখছে। জনসাধারনকে ধাপ্পা দিতে চাইছে, বলতে চাইছে রাজনৈতিক প্রেম কি, ভালবাসা কি, ধৈর্য কি ইত্যাদি।

এই সব বিক্রিত হ্যাঁ বিক্রি হয়ে যাওয়া মস্তিস্কের উদ্ভট তত্ত্ব দেখে মনে হয় - এদের জিহ্বা বুঝিবা গলার ভিতর ডুকে পড়েছে, লেজ বুঝিবা দু পায়ের ভিতর চেপে বসেছে আর তাই আংগুলের কোন ব্যালেন্স নেই - কি বোর্ডের যত্রতত্র পড়ছে - তাতে শান্তির ডাক, অহিংসের ডাক ও অভিমানের ডাক কেটে ছেটে ফুটে বের হচ্ছে।

এ ভূখন্ডে আওয়ামী ও র এর এজেন্ট দের ইতিহাস হল আন্দোলনের নামে এ দেশীদের আন্দোলন সংগ্রামের সময়ে হত্যা করা। আন্দোলনের পর আইন শৃংখলা ও বিচারের নামে আরো কিছু বাংলাদেশীকে হত্যা করা। এটা আমরা দেখেছি ৭১ সালে। তারা আন্দোলনের নামে ৩০ লক্ষ বাংলাদেশীকে পাকিস্থানীদের দ্বারা খুন করিয়েছিল। আর আন্দোলনের পরে রক্ষী বাহিনীর দ্বারা আরো অজস্র মানুষ মেরেছিল। একই ভাবে তারা ৯০, ৯৬, ২০০৬ এ করেছিল। তারা সৈন্যদের এ্যামনেস্টি নিশ্চিত করে পিলখানার অফিসার মেরেছিল। আবার মারার পর সৈন্যদের আটক করে জিজ্ঞাসার নামে, বিচারের নামে হত্যা করেছে এবং বন্দী করেছে। তারা আন্দোলন এর নামে বগুড়া, শাফলা চত্ত্বরে একই কান্ড করেছে। আর আজ তাদের এজেন্ট রা বাংগালীকে কবুতর, পাতা ও ফুল এর মর্ম কি তা লিখে লিখে শেখায়।

বলা হয় বাংলাদেশে পুলিশ, প্রশাসন, ডিফেন্স, গোয়েন্দা, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও মিডিয়া, সুশীল সমাজ, এনজিও, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাকার জায়গায় 'র' এর ৩ লক্ষ এজেন্ট একটিভলী কাজ করে। সময় এসেছে, প্রতিটা বাংলাদেশীর একটা লিস্ট তৈরী করা। কে এই ব্যক্তি, কি তার পেশা, কোথায় তার অবস্থান আর কোথায় আছে তার অবৈধ সম্পদ। এসব এজেন্ট ও কাল্টদের বাচিয়ে রাখা আর ঘরে বিষধর সাপ পোষা একই।

বিষয়: বিবিধ

১২৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File