বিএনপি'র হাতে দেশের মানুষ থাক দুরের কথা এর লিডারশীপ ও নিরাপদ নয়।

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ০২ অক্টোবর, ২০১৩, ০১:৫৬:৩১ রাত

বিএনপি গত ২ বছর ধরে বলে আসছে, এ ট্রাইবুনাল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে স্থাপিত একটি বিতর্কিত ট্রাইবুনাল। তাদের সাথে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাক্তিত্ব, সংস্থা ও দেশ অনুরূপ কথা বলেছে। ইতোমধ্যে করা জরিপ প্রমান করে দেশের ৭০% এর বেশী মানুষ এ ট্রাইবুনাল এর বিচারকে সত্য বিচার বলে মনে করে না। মানে অবিচার মনে করে।

তার মানে এটা পরিষ্কার যে এখানে বিচার হয় না। তাহলে রাষ্ট্রীয় ব্যায়ে অবিচারের এই প্রতিষ্ঠান লালন পালনের বিরুদ্ধে বিএনপি কেন কিছু করলো না। বিরোধী দল হিসাবে বিএনপি বাংলাদেশের বিচারালয় এর মান মর্যাদা রক্ষার জন্য কিছু করলো না কেন? কেন তারা বিচার বিভাগকে জনমানুষের সামনে ধ্বংশ করতে দিল? কেন তারা এই বিষ বৃক্ষ কে ব্যবহার করে পুরো দেশকে দুটি ভাগে ভাগ করতে দিল?

বিএনপি বা এর সমর্থক তার কোন দায় না নিয়ে সরকারের উপর সে দায় চাপিয়ে খালাস পেতে চাইবে। কিন্তু আমরা জানি যে, এ সরকারের মাথায় বিকৃতি বাসা বেঁধে আছে, এ সরকার দিল্লীর ক্রীত দাসের ও অধম, এ সরকার এ দেশের মেইন স্ট্রীম জনসাধারনকে শত্রু মনে করে। তারপর স্বভাবতঃই প্রশ্ন থাকে বিএনপি কেন কিছু করেনি? এর উত্তর দুটি হতে পারে, ১) বিএনপি আওয়ামী লীগের মত দিল্লীর কেনা গোলামে পর্যবসিত হয়েছে অথবা ২) বিএনপি এ দেশকে বিকৃত মাথাধারী দের থেকে উদ্ধার করতে যেমন অক্ষম তেমনি দেশের জন্য কিছু করার মত কোন যোগ্যতা, কোন ক্ষমতা কিছুই তাদের নেই। তার মানে এটা একটা মরিচিকা বা ফেইক বা ফানুস দল - যাকে জনমানুষ বিরাট কিছু মনে করে - মূলতঃ তারা যোগ্যতার মাপকাঠিতে কিছু না।

এবার আসা যাক সালাউদ্দীন কাদের এর বিচারে। এখানে সাক্ষী সীমিত করন, ক্লোজ ডোর হিয়ারিং সহ বেশ কিছু অবিচারের কথা আমরা বললাম না। যা না বললেই না তা হল, বিএনপি গত ৩০/৯ তারিখে পাবলিকলী জানলো যে আইসিটি ১/১০ এ সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরীর মামলার রায় দেবে। খুন করতে উদ্দ্যত অমন একটি ট্রাইনবুনাল (যে কিনা ইতোমধ্যে আরো কয়েকজনকে খুন করতে খুনী ও অস্ত্রের যোগান দিয়েছে) এর আগাম নোটিশের পর ও বিএনপি তাদের করনীয় কি হবে তা ঠিক করতে বৈঠক করলো না, কিংবা সিদ্ধান্ত নিল না। কেন?

রায় দেওয়া হল। বিচারপতিরা দিনে দুপুরে পাবলিকলী বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন বর্ষিয়ান সদস্যকে খুন করার নির্দেশ দিল। বিচারপতিরা বিএনপির একজন পার্লামেন্টারিয়ানকে খুন করার নির্দেশ দিল। তারপর ও বিএনপি তাদের করনীয় ঠিক করতে পারলো না। কেন? কেন?

তারমানে কি এই নয় যে, (১) বিএনপি ট্রাইবুনালকে রাজনৈতিক উদ্দ্যেশে প্রনীত বলে মিথ্যা কথা বলেছে, মিথ্যাচার করেছে? (২) যদি তা না হবে - তবে বিএনপি নিজে চাইছে সরকারের কাধে ভর দিয়ে সালাহউদ্দীন কাদের কে হত্যা করতে। (৩) যদি তা না হয়, তবে বলতে হয় বিএনপি যেখানে তার স্থায়ী কমিটির সদস্যকে অন্যায় ভাবে খুন করতে উদ্যত হওয়া জাজদের কে বিরত করতে পারেনা কিংবা এ অন্যায়ের যথাযথ প্রতিবাদ বিক্ষোভের ডাক দিতে পারেনা - বরং আরো সময় নেয় - তখন কি পরিষ্কার করে বলা যায় না - বিএনপি আসলেই কোন যোগ্যতা রাখেনা বিরোধী দল হবার, এর কোন প্রজ্ঞা যেমন নেই - তেমনি জনগনের জন্য এর কোন কমিটিমেন্ট ও নেই। ফেলানী কেন সারা বাংলাদেশের সব মানুষকে ক্যামিকেল দিয়ে মেরে ফেললে কিংবা রোলার দিয়ে পিষে ফেলতে গেলেও বিএনপি রক্ষা থাক দুরের কথা নূন্যতম স্টেইটমেন্ট ও দিতে পারবেনা আসলে কিছুই করতে পারবে না। তারা এমনকি স্টেইটমেন্ট দেবার আগেও বর্ডারের ঐ পাড়ের প্রভুদের পারমিশান নিতে হবে, কিংবা কে জানে অরো অধম কিছুর বিনিময় বা কমিটমেন্ট করতে হয় কিনা। ধিক।

জনসাধারনের বৈধ প্রশ্ন , যে দল তার স্থায়ী কমিটির সদস্যকে অন্যায় ভাবে হত্যা করার জন্য দেওয়া আদেশ কে চ্যালেন্জ করতে পারেনি - সে দল এ দেশের কোন মানুষের জীবন রক্ষা করতে নূন্যতম ও সামর্থ্য রাখে কিনা।

বিষয়: বিবিধ

১৩০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File