স্রষ্টার কাছে - পুরুষ মহিলা উভয়েই সমান। পৃথিবীতে তারা ভিন্ন ভিন্ন দায়-দায়িত্বে নিয়োজিত। স্বভাবতঃই ভিন্ন তাদের সন্মান ও পুরুষ্কার।

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ১০ জুন, ২০১৩, ০৫:১৯:২৭ সকাল

পুরুষ ও মহিলা স্রষ্টার দুটি পৃথক সৃষ্টি। তারা পৃথিবীতে দুটি ভিন্ন দায়-দায়িত্ব পালনের জন্য এসেছে এবং স্বভাবতঃ দুটি ভিন্ন রোল প্লে করছে বা করাটা স্বাভাবিক।

স্রষ্টার সৃষ্ট মানুষ হিসাবে, স্রষ্টার কাছে তারা উভয়ে সব সময়ই সমান। স্রষ্টার কাছে তাদের কোন একজন - অপরজন অপেক্ষা উত্তম কিংবা অধম নয়। আর তাই তারা স্রষ্টার কাছে তাদের তাকওয়া বা আল্লাহভীতি কিংবা কর্মের জন্য বেহেস্ত কিংবা দোযখ পাবে - এটাই সাব্যস্ত হয়েছে। এমন নয় যে পুরুষ ২টি বেহেস্ত পেলে মহিলা ১টি বেহেস্ত পাবে। কিংবা পুরুষ ২টি দোজখ পেলে মহিলা ১টি পাবে।

অন্যদিকে যেহেতু স্রষ্টা পুরুষ ও মহিলাকে পৃথিবীতে থাকা কালীন ভিন্ন ভিন্ন দায় দায়িত্ব ও ভিন্ন ভিন্ন রোল প্লে করতে দিয়েছেন সেহেতু তাদের কাজের ধরন, দায়িত্ব ইত্যাদি বিবেচনায় ভিন্ন ভিন্ন মর্যাদা, সন্মান, অধিকার, পুরুষ্কার এর বিধান রেখেছেন।

আমরা সেই বিধান সমূহের ভিন্নতায় প্রশ্ন উত্থাপন করি কিন্তু - দূর্ভাগ্যক্রমে পুরুষ ও মহিলার দায়-দায়িত্বের ভিন্নতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে ভুলে যাই। আমরা জোর করে সৃষ্টি হয়ে স্রষ্টার মত মহানুভব সেজে - নারী ও পুরুষের মর্যাদা, সন্মান, অধিকার ও পুরুষ্কারকে সমান করে জাস্টিস করতে চাই।

অথচ একজন একাডেমিশিয়ান যিনি অমন ইক্যুয়াল জাস্টিস করতে কলম ধরেন কিংবা মাইক্রোফোন হাতে নেন, তিনি তার ক্লাসে - কোন একটা দায়িত্ব পালন করার জন্য কোন একজন নির্দিষ্ট ছাত্র কিংবা ছাত্রীকে অপরাপর ছাত্রছাত্রীদের থেকে পৃথক করেই নিয়োগ দেন। তিনি ঐ একটি দায়িত্বকে সবার মাঝে ইক্যুয়ালী ডিস্ট্রিবিউট করেন না। আবার যখন পুরুষ্কার কিংবা মর্যাদা র প্রশ্ন আসে তখন তিনি সবাইকে সমান পুরুষ্কার কিংবা মর্যাদা দেন না। অথচ একজন আদর্শ শিক্ষক হিসাবে তিনি সকল ছাত্রছাত্রীকে সমান চোখেই দেখেন কিংবা দেখার কথা।

অনুরূপভাবে আমরা দেখি একটা রাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের নিকট নারী পুরুষ সমান। কিন্তু রাষ্ট্রের নারী পুরুষ সবাই সমান রোল কিংবা দায়দায়িত্ব পালন করেনা। এমনকি সব পুরুষ কিংবা সব নারী ও একই রোল কিংবা দায় দায়িত্ব পালন করেনা। এবং যার জন্য আমরা দেখি রাষ্ট্র তার সাবজেক্ট বা জনগনকে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্বের জন্য ভিন্ন ভিন্ন মর্যাদা কিংবা প্রোটোকল দিচ্ছে, ভিন্ন ভিন্ন সন্মান দিচ্ছে, ভিন্ন ভিন্ন পুরুষ্কার দিচ্ছে। এমনকি সেই ভিন্নতা পুরুষ পুরুষের মধ্যেও করা হচ্ছে। উদাহরন স্বরূপ জেনারেল হারুন ও ডেসটিনি ২০০০ বস দের বিরুদ্ধে জামিনের রায় দেখুন। অথচ সেই রাষ্ট্রই তার জন্ম সনদ এ বলছে, রাষ্ট্রের সকল নাগরিক সমান।

'সিভিলাইজেশানের স্বার্থে' কিংবা 'সোশ্যাল জাস্টিস' এর পক্ষ হয়ে - কোন বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন, নির্মোহ বিচার বিবেচনার ক্ষমতা রাখে এমন কেউ - ইসলামে নারী পুরুষের যা কয়টা বিধান আছে - তার কাউন্টার কোন উৎকৃষ্ট বিধান দাঁড় করাতে পারবে না - যা প্রাকারান্তরে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে কিংবা মানব সভ্যতার সামগ্রিক উন্নতির সহায়ক হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৫৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File