ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন লোকদের কাছে অনুরোধ
লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ২৪ মে, ২০১৩, ০৬:০৭:২০ সকাল
আমার ধর্মীয় জ্ঞান কম। আমি ধর্ম নিয়ে পড়া লিখা করতে পারিনি। সে জন্য আমি লজ্জিত।
একবিংশ শতাব্ধীর এই সন্ধিক্ষনে, বাংলাদেশের পলিটিক্স ও সোশ্যাল ফেব্রিকেশান এ ধর্মের প্রতি আঘাত, হিংস্রতা ও ধর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষকে পরিকল্পিতভাবে নির্মূল করার যে কাজ কারবার দেখছি - তাতে মনটা বিষিয়ে উঠছে।
একটা দেশের যা কিছু ইভেন্ট তার অল্প একটা অংশই নিউজ হয়ে জনসন্মুখে আসে। আর তাতে ও আবার সাংবাদিকের হাতের ছোয়ার কারনে সত্য বিকৃত হয়। স্বভাবতঃ সাধারন মানুষ রিয়ালিটির কিয়দংশই শুধু মূল্যায়নের জন্য পায়।
আর সেই অবস্থাতেও আমরা পরিষ্কার ভাবে দেখছি, বাংলাদেশ সরকার, বিচারালয়, পুলিশ, শিক্ষক, মিডিয়া, পলিটিক্যাল নেতা ও কর্মী, মতামত সৃষ্টিকারী গোষ্ঠি, এনজিও সহ বিদেশী দূতাবাস সমূহ কিভাবে সিস্টেমেটিক্যালী ইসলাম ধর্মকে গণমানুষ হতে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে।
এর প্রভাব হিসাবে সর্বদিক হতে অযোগ্য দুজন মহিলাকে আমরা গত ২২টি বছর ধরে আমাদের ভাগ্য নিয়ন্তা হিসাবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রশসনিক স্তরে বসিয়ে রেখেছি এবং টলারেট করছি তাদের আহম্মকি, তাদের গোয়ার্তুমি, তাদের স্বেচ্ছাচারিতা, তাদের গালাগালি এবং সর্বোপরী তাদের অপশাসন।
অযোগ্য এসব মহিলার হাতের ছোয়ায় আমরা পর্যায়ক্রমে গুন্ডা, বদমাশ হতে শুরু করে চোর, বাটপার, খুনী সহ সমাজের কালো জগতের অনেক মানুষকে আমরা পেয়েছি আইন প্রনেতা হিসাবে, স্থানীয় সরকার হিসাবে, সরকারী কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্নধার ও বিচারক হিসাবে। আর সে সাথে দেখেছি এই সব চোর বাটপারদের অদ্ভুত রকমের চাটামী, ভন্ডামী ও ক্ষেত্র বিশেষে ঐ সব মহিলাকে পূজা করতে।
ফলাফল স্বরূপ আজ ইসলামী জ্ঞান সম্পন্ন ছেলেমেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে। আইন প্রয়োগকারীর সংস্থার হাতে নির্বিচারে পিটুনী খেয়ে আহত, নিহত হচ্ছে, বিচারকের হাতে চুড়ান্ত রকম অবিচারের সন্মুখিন হচ্ছে, নামাজ পড়তে গিয়ে কিংবা কোরান নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ধর পাকড় এর শিকার হচ্ছে, দাড়ি টুপি কিংবা হিজাব এর জন্য ব্যংগ বিদ্রুপ হতে শুরু করে চড় থাপ্পড় খাচ্ছে, সামাজিক অনাচার, যৌনাচার ও নির্যাতনের মুখোমুখি হয়ে পরিবার পরিজনকে নিয়ে মানুষ বিধ্বস্থ হচ্ছে।
সে সাথে মেইন স্ট্রিম মিডিয়াতে নাটক সিনেমার নামে, টক শো র নামে, বক্তৃতা বিবৃতির নামে ইসলামিক জ্ঞান-বিজ্ঞানকে নিয়ে ব্যাংগ বিদ্রুপ করা হচ্ছে, অপব্যাখ্যা প্রচার করা হচ্ছে, কনট্রাডিকশান খাড়া করা হচ্ছে, আলেম ওলামা ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে।
এমন একটি অবস্থায় দেশের আলেম ওলামা সহ ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ তাদের দায়িত্ব নিরাপদ দূরুত্বে থেকে পালন করে যাচ্ছে। যেন তাদের গায়ে কোন কালিমা না লাগে, কোন আচড় না লাগে, কোন কন্ট্রোভার্সি যাতে না জন্মে - ইত্যাদি বিভিন্ন উছিলায়।
পরিনতিতে, দেশের জনগন দেখছে শুধুই অধঃপতন। তাদের জীবন মানে অধঃপতন, তাদের পরিবার ও সমাজের অধঃপতন, তাদের অর্থনৈতিক অধঃপতন, তাদের ধর্ম বিশ্বাসের ও ধর্ম পালনে অধঃপতন।
আমরা সাধারন মানুষ যারা ইসলামকে সব কিছুর উর্ধে স্থান দেই কিংবা দিতে চাই - কিন্তু সীমিত জ্ঞানের জন্য ইসলামের শত্রুদের, ইসলামের জন্য ক্ষতিকর অমন লোকদের পেছনে শক্তি ও সমর্থন যোগাই - তাদেরকে সচেতন করা কিংবা তাদের ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা এ দেশের আলেম ও ইসলামী জ্ঞান সম্পন্ন লোকদের জন্য আমার মতে ফরজ হয়ে পড়েছে।
আমাদের পরিষ্কারভাবে জানা দরকার আমরা যাদেরকে আমাদের নেতা হিসাবে সমাজে ও রাষ্ট্রে দেখতে চাই তারা কতটুকু ইসলামের জন্য যথার্থ, দেশের জন্য যথার্থ। সে নিমিত্তে আমরা চাই আমাদের কে জানানো হোক একজন মুসলিম কিভাবে কুফুরীতে নিমজ্জিত হয়, কুফুরীতে নিমজ্জিত ঐ সব কাফের দের স্বরূপ কেমন, কিভাবে একজন মুসলিম মোনাফেকি করে, মোনাফেকিতে লিপ্ত ঐ সব মানুষের স্বরূপ কেমন। একজন মুসলিম হিসাবে ঐ সব কাফের কিংবা মোনাফেক এর প্রতি আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য কি?
এ ক্ষেত্রে আমরা চাই আমাদের আলেমরা আমাদেরকে প্রয়োজনীয় উদাহরন যেমন দেবেন তেমনি প্রয়োজনীয় রেফারেন্স ও দেবেন। আমরা চাইনা আমরা না জেনে একজন কাফের কিংবা মোনাফেক কে এ দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে যে কিনা প্রাকারান্তরে আমাদের ধর্মের ও দেশের ক্ষতি করতে লিপ্ত হয়।
বিষয়: রাজনীতি
১৬৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন