আজব!!!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ টাইমস্ ০১ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:৪২:০০ রাত
আজব!!!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ টাইমস্ ৩০ মার্চ, ২০১৩, ০১:৩২:০০ দুপুর
<< আগের পোস্ট
পরের পোস্ট >>
কয়েকদিন থেকে একটা বিষয় মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ফেসবুকেও এরকম একটা কমেন্ট দেখেছি। জামাত বি.এন.পি জোট শহীদ মিনার ভাংচুর করছে, সংখ্যালঘু সম্প্রায়ের উপর হামলা করছে। যদিও কাউকে হাতেনাতে ধরতে পারছে বলে আমার জানা নেই। অন্যদিকে শহীদ মিনার ভাংচুর করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে আওমীলীগের কর্মী। বলা হল সে নাকি মানসিক রোগী। কয়েকদিন পর মন্দির ভাংচুর করার সময় ধরা পড়ল আরেকজন আওমীলীগের কর্মী, এবার বলা হল সেও নাকি মানসিক রোগী! আমার প্রশ্ন- তাহলে আওমীলীগ কি মানসিকলীগ?এসব অপকর্মের হোতা কারা?
বর্তমানে সত্য কথা বললে যার পক্ষে যাবে সে বাহবা দিবে, আর যার বিপক্ষে যাবে সে ১৪ গোষ্ঠী উদ্বার করবে।হতে হবে রাজাকার, আর না হয় নাস্তিক।
গতকাল লিখলাম! আর ৩১ মার্চ এর পত্রিকায়!!!
ওরা কারা???ওরা বুদ্বিজীবির সাজে নিজেদের তক মেজে অঁহহহ বাটখারা তারা....
এবার শাপলা চত্বর গুঁড়িয়ে দিল যুবলীগ নেতা টিপু
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শহীদ মিনারে হামলার পর ‘পাগলখ্যাত’ সেই যুবলীগ নেতা টিপু এবার সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের মিলনস্থল বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরে স্থাপিত জাতীয় ফুল শাপলা চত্বরে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ধাওয়া করলে সে দৌড়ে দলবল নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে স্থানীয়রা অন্য কাউকে চিনতে না পারলেও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববির ভাই শহর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তবিবুর রহমান টিপুকে চিনে ফেলেন। এতে শাপলা চত্বরের পুরো সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি প্রায় দেড় লাখ টাকার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গতকাল সকাল ৬টার দিকে পৌর শহরের শেরপুর ডি জে হাইস্কুল মাঠ সংলগ্ন স্থানে স্থাপিত শাপলা চত্বরে ঘটনাটি ঘটানো হয়। উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ সাবেক যুবলীগ নেতা টিপুর নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেলযোগে তার দুই সহযোগী ঐতিহ্যবাহী শেরপুর শহীদিয়া কামিল স্নাতকোত্তর মাদরাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত একটি আধুনিকমানের শহীদ মিনার ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালায়। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ওই যুবলীগ নেতাকে হাতেনাতে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে তার অপর দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে ওই রাতেই পুলিশ সরকারদলীয় প্রভাবশালীদের চাপে আটক যুবলীগ নেতা টিপুকে ‘পাগল বা ভারসাম্যহীন’ ব্যক্তি বানিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেয়।
শেরপুর পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দন দাস রিংকু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নতুন প্রজন্মের সামনে জাতীয় ফুলকে তুলে ধরার লক্ষ্যে পৌরসভার উদ্যোগে গত বছর স্বাধীনতার মাস মার্চে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই স্থানে ‘শাপলা চত্বর’টি নির্মাণ করা হয়। এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে সৌন্দর্য পিপাসুরা প্রতিদিন বিকাল থেকেই সেখানে আড্ডায় মেতে ওঠেন। আর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য জাতীয় ফুল পুরো ‘শাপলা চত্বর’ ঘিরে সেখানে চমত্কার লাইটিং ও সার্বক্ষণিক পানির ঝরনার সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু গতকালের পর থেকে সেখানে গেলে কেউ আর এমন সৌন্দর্য দেখতে পাবেন না। কাউন্সিলর চন্দন দাস রিংকু বলেন, অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় সেটির পুরো লাইটিং ব্যবস্থা ও পানির ঝরনা বের হওয়ার সব নিপল ভেঙে ফেলা হয়েছে। এরপর টিপু জাতীয় ফুলের প্রতীক ‘শাপলা’ ভাঙার চেষ্টা করতে থাকে। এ সময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ধাওয়া করলে টিপু পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঘটনার সময় টিপু ছাড়াও তার বেশ কয়েকজন সহযোগী ছিল। তবে তারা তাদের চিনতে পারেননি। কেননা, টিপুর আগেই তারা সটকে পড়ে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর পৌরসভার মেয়র স্বাধীন কুমার কুণ্ডু ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক আখ্যায়িত করে বলেন, এই ঘটনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে। তাই এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এরই মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে পৌর পরিষদে জরুরি সভা করা হয়েছে।
সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ ঘটনায় জড়িতদের অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করা হবে বলে মেয়র স্বাধীন কুমার কুণ্ডু দাবি করেন। শেরপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, এ ধরনের ঘটনার খবর শুনেছি। তবে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন।
কপি-পেস্ট http://www.amardeshonline.com/pages/home/2013/04/01
বিষয়: রাজনীতি
১২৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন