আর এসোনা হে বৈশাখ

লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ টাইমস্ ১৬ এপ্রিল, ২০১৫, ০৯:৪৫:০৫ সকাল

কয়েকদনি থেকেই কিছু লিখব লিখব করেও লিখছিনা। অসলে আমি লেখালেখিতে পটু না তাই বুকে আসেতো মুখে আসেনা। তাই ভাবাবেগ বাষ্প হয়েই উড়ে যায়। লিখতে চাচ্ছিলাম মুক্তমনা ও পহেলা বৈশাখ নিয়ে। পহেলা বৈশাখ বাংলা বর্ষের প্রথম দিন, আমরা উৎসব প্রিয় জাতি হিসেবে বাংলা ভাষাভাষিরা এইদিনটিকে ঘটা করে উদযাপন করি। যদিও বাংলা সনের এই দিন-তারিখ বাদে অন্য কোন দিন জিজ্ঞাস করলে বলতে পারবনা! আমাদের দেশে থার্র্টি ফার্স্ট নাইটও উদযাপন করা হয় মুলত অশ্লীলতার মধ্য দিয়ে, যেখানে তরুন-তরুনীরা স্বেচ্ছায় গা ভাসিয়ে দেয়। বাংলা নববর্ষ ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে প্রত্যেকেই উদযাপন করে, সম্প্রতি উৎসবের ধরণ দেখে প্রশ্ন জাগে এটি কি বাংলাদেশিদের সংস্কৃতি? নাকি হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি? মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে সেখানে মূলত হিন্দু ধর্মাবলমাবীদের সংস্কৃতিকেই তুলে ধরা হয়, বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে নয়। মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে বর্তমানে মুসলমানরাই অসহায়! শোভাযাত্রায় হয় প্রত্যেক ধর্মের সংস্কৃতি তুলে ধরা উচিত অথবা বাংলার সার্বজনীন সংস্কৃতি তুলে ধরা উচিত। এবারের নববর্ষে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইতিপূর্বে ধর্ষনে সেঞ্চুরিয়ানরা। টি.এস.সে-তে মেয়েদের জোর করে নগ্ন করেছে, ছবি তুলেছে! এই লজ্জা টি.এস.সি-র! এই লজ্জা ঢাকা বশ্বিবিদ্যালয়ের!! এই লজ্জা সারা বাংলাদেশের!!!

এই সম্পর্কে মোস্তফা সারওয়ার ফারুকীর ফেসবুক স্ট্যাটাস--"আজকে সকাল থেকে বহুবার কিবোর্ডে হাত দিয়েও না লিখে উঠে গেছি।

আমি জানতাম এই ক্রোধ নিয়ে আমি আসলে কিছু বলতে পারবো না। মুখ ফসকে খারাপ কথা বেরিয়ে যেতে পারে আমারও ।

এখনো আমি কথা বলার মতো সুস্থির হয়েছি বলে মনে হয় না ।

তবুও আমার কয়টা প্রশ্ন :

1) চল্লিশ মিনিট ধরে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে অপরাধ করে যাবার ক্ষমতা যে সংঘবদ্ধ দলের থাকতে পারে তারা কারা? তাও ঢাকা ইউনিভার্সিটির মতো জায়গায়? আপনারা যে কোনো দশজন লোক পরবর্তী কোন জাতীয় দিবসে ভীড়ের সুযোগ নিয়ে চেষ্টা করে দেখবেন তো টিএসসি-সোহরাওয়ার্দী এলাকায় দাঁড়িয়ে বিশ মিনিট এই কর্ম করে টিকে থাকতে পারেন কিনা । এই তিরিশটা ছেলের শক্তির উৎস তাহলে কোথায়?

2) অভিযোগ উঠেছে দুইজনকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার পরও ছেড়ে দেয়া হয়েছে । কেনো?

3) মাননীয় প্রধানমণ্ত্রী কি এই ঘটনায় একটা কঠিন এবং কড়া উদ্যোগ নিয়ে আমাদের বোঝাতে পারেন বাংলাদেশের উপর আশা রাখার কিছু সুযোগ এখনও আমাদের আছে?"

অস্ত্রবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন, ধর্ষনের পরও তারা সোনার ছেলে। টি.এস.সি-তে মেয়েদের নগ্ন করার পরও তারা সোনার ছেলেই আছে, ভবিষ্যতও এর চাইতে জঘন্য কাজ করার পরও তারাই সোনার ছেলে!!!আর অন্যদিকে ছেলেটি নামায় পড়ে, সদা সত্য কথা বলে, সৎ, সকলকে সম্মান করে, কারো ক্ষতি করেনা, মা-বাবার সাথে অসদাচরণ করেনা। একটা কারনেই ছেলেটা খারাপ। কারন ছেলেটা শিবির করে। [বি.দ্র: শিবির করার কারনেই শিবির ছেলেটাকে এই গুনগুলো অর্জনের জন্য উদ্বুদ্ধ্য করেছে।]

আশা করি টি.এস.সি-র ঘটনায় রাজনীতি না করে কুত্তাগুলোকে যথপোযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবে।

বিষয়: বিবিধ

১১৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File