রক্তের বন্যায় প্রতিষ্ঠিত ইসরাইল
লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ টাইমস্ ১৩ জুলাই, ২০১৪, ০৫:৩৬:২০ বিকাল
আমরা মাঝে-মধ্যেই প্রসংগক্রমে সৌদি আরবকে ইসলামী রাষ্ট্র বলে থাকি। কিন্তু আমার প্রশ্ন সৌদি কী আদৌ ইসলামী রাষ্ট্র? আমার মতে কখনোই না। সৌদি রয়েছে রাজতন্ত্র। কিছুটা আমাদের দেশের মতই পরিবারতন্ত্র। এই তন্ত্রের মধ্যেই তারা কিছু ইসলামী আইন চালু রেখেছে। কিন্তু তাদের শাসন ব্যাবস্থা ইসলামী শাসন ব্যাবস্থা নয় বলেই আমার বিশ্বাস।
বিশ্বে কোন বড় ধরনের সমস্যা-দুর্যোগ হলে আমরা পোপগণকে বিবৃতি দিতে দেখি, কিন্তু বিশ্বে আমাদের মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করে কারা? আমরা মনে করি মক্কা-মদিনার ইমামগণ।(উনারা মনে করেন কিনা জানিনা।) অথচ কোন সময়েই তাদের কোন বিবৃতি দিতে দেখি নাই, শুনি নাই। হোক সেটা প্রাকৃতিক, হোক সেটা মানব সৃষ্ট! তাহলে অনায়াসে বলা যায় তারা আমাদের প্রতিনিধি না। ইতিপুর্বে আফগানিস্তান, ইরাক, ধ্বংস করা হয়েছে সেখানে নাকি সন্ত্রাসীরা আছে। তারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে লিপ্ত এই অজুহাতে। অথচ মিশরে ইসরায়েলী গুপ্তচর সেনাবাহিনী প্রধান সিসি(ছি!ছি!) গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে গণহত্যার মাধমে ক্ষমতা দখল করেছে, আর সেই কার্যক্রমকে সমর্থন দিয়েছে সৌদি আরব!!আর সন্ত্রাস আর মানবতার প্রশ্ন আসেনি সেখানে। প্রয়োজন পড়েনি ইরাক-আফগানিস্তানের মত সেখানে হামলা চালিয়ে মানবতা উদ্ধারের।
ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চলছে ফিলিস্তিনে গণহত্যার উৎসব। আর সেই উৎসব ইসরাইলীরা পাহাড়ে বসে উপভোগ করছে!!! আমরা প্রত্যক্ষ করছি সেখানে শিশুদের লাশের মিছিল। আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে চলছে রসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার! কিন্তু সবাই নিশ্চুপ। এই নিরবতায় এগিয়ে আছে যথারীতি আরব রাষ্ট্রগুলো! ধিক্কার জানাই সর্বপ্রথম তাদের যারা ইসরাইলের দোসরদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, ফিলিস্তিনে রক্তের বন্যা উপভোগ করছে। মক্কা-মদিনার ইমামগণ সম্পর্কে আমি কোন মন্তব্য করছিনা, তাদের বিষয় উপরওয়ালাই বিবেচনা করুক।
ফিলিস্তিনে নারী-শিশু-পুরুষের লাশের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে, দীর্ঘ হচ্ছে হতাহতের তালিকাও। এরপরও ইসরাইল জঙ্গী নয়, সন্ত্রাসী নয়! প্রয়োজন নেই সেখানে মানবতা প্রতিষ্ঠার। মুসলমানের আবার মানবতা কিসের। যেখানে মুসলমান নামধারী শয়তানরা সহযোগীতা করছে ইসরাইলকে।
আমি, আপনি কি জেনে না জেনে ইসরাইলকে সহযোগীতা করছি? ইহুদীদের যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে, প্রত্যেকটারই আয়ের একটি অংশ ইসরাইল রাষ্ট্র ও তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রদান করে। তাহলে আমরা সেই পণ্য ক্রয় করে তাদের যেই অর্থ দিচ্ছি তার একটি অংশ ফিলিস্তিনে ও অন্যান্য স্থানে মুসলমান হত্যায় ব্যায় হচ্ছে! এই অবস্থায় আপনার-আমার কী করা উচিত? আমার সিদ্ধান্ত আমি নিলাম, আপনার সিদ্ধান্ত আপনিই নিন।
আসুন আমরা আল্লাহর কাছে দু'আ করি, নফল নামায আদায় করি। হে আল্লাহ তুমি জালিমদের হাত থেকে সকল মুসলমান বিশেষ করে ফিলিস্তিন মুসলমানদের হেফাজত কর। আমাদের ভাইদের শক্তি বৃদ্ধি করে দাও যাতে তারা জালিমদের প্রতিরোধ করতে পারে। হে আল্লাহ তুমি তাদের সাহায্য কর। >>>আল্লাহ বান্দার ভাগ্য ততক্ষন পরিবর্তন করেননা যতক্ষননা সে নিজেই নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করে। অর্থ্যাৎ আমরা শুধু দু'আ করলেই হবে না, যার যেভাবে সম্ভব ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলনে শরীক হতে হবে। খাবার না খেয়ে খাবারের আশা করা যেমন নিষ্ফল, তেমনি আন্দোলনে শরীক না হয়ে শুধু দোয়া করাও নিষ্ফল। তাই আসুন প্রতিবাদ করি, প্রতিরোধ করি।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১১৩০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন