লাল টিপ~দ্যা রেড পয়েন্ট
লিখেছেন লিখেছেন শারদ শিশির ৩০ মার্চ, ২০১৩, ০৫:৫৩:২০ সকাল
স্বপন আহমেদ এর কাহিনী ও চিত্রনাট্যে নির্মিত ইমপ্রেস টেলিফ্লিম প্রযোজিত ছবি লাল টিপ।দ্যা রেড পয়েন্ট।আরফিন রুমি আর পড়শীর গাওয়া শেষ গানটি ভাল লেগেছিল।তাই অবষন্ন মনের বিষন্নতা কাটাতে কম্পিউটারের স্ক্রিনে লাগিয়ে দিলাম লাল টিপ ছবিটি।উল্লেখ্য আমি ৩২ বছর বয়সে বাংলা ছবি দেখেছি স্কুল আর কলেজ লাইফে সালমান শাহ্ -মৌসুমী আর শাবনুর সালমান জুটির সবগুলো।বলতে পারি সালমানের সব ছবিই আমি দেখেছি। সালমান ব্যতিত আমি ২০০০ সাল পর্যন্ত অন্য কোন নায়কের ছবি দেখিনি।সালমান শাহ্ এর মৃত্যুর পর তাঁর ছবি গুলিই আমি পুনঃপুনঃ দেখেছি। এর পর ইন্টার মিডিয়েট এর পর প্রথম দেখলাম নায়ক মান্নার কষ্ট।এর পর বহু কাল র সিনেমা দেখার সময় হয়নি।এর পর নায়ক মান্না মারা যাবার পর দেখলাম তাঁর অবুঝ শিশু।এটা অবশ্য দীঘির জন্যই।এর পর কম্পিউটারে দেখলাম চাচ্চু আর কাবুলিওয়ালা সেটাও দীঘির জণ্য।নায়ক রাজ রাজ্জাকের বাবা কেন চাকর দেখলাম টেলিভিষণের পর্দায়।তার পর নিজেকেই মনে হত সিনেমা তাই আর সিনেমা দেখতামনা।আবার বছর দুই হল কিছু সিনেমা দেখা হয়েছে যা বাংলাদেশী মাথা মোটা দের কাহীনি আর হস্তি মার্কা নায়ক আর তুলার বস্তা মার্কা নায়িকাদের অভিনিত নয়।
দেখেছি ওপার বাংলার জিৎ-কোয়েল জুটির সবগুলি,এবং দেব-কোয়েল-শুভশ্রী জুটির সবগুলি।প্রসেনজিৎ এর চল পাল্টাই,কোয়েল এর হেমলক সোসাইটিও দেখা হয়েছে।আরও দু একটা দেখেছি যেখানে কোয়েল ছিল।
হিন্দি বুঝিনা তাই আংরেজি সাবটাইটেল বিশিষ্ট হিন্দি ও দেখেছি।ভীর জারা ,কাভি কুশি কাভি গাম,অক্ষয়-ক্যাটরিনা- সালমান খান জুটির সবগুলি।এর পর আব্রাম এর নিউয়ার্ক। রনভীর-ক্যাটরিনার সব গুলি।ইমরান হাশমীর মার্ডার বাদে সবগুলি,সালমান কারিনার বডিগার্ড,আনজানা আনজানি,ইমরান- ক্যাটরিনার কি যেন একটা।(মাঝে মাঝে ভুলে যাই ৩-৬০ সেকেন্ড বা তিনদিন পর্যন্ত সব তাই মনে আসলোনা)অপেক্ষায় আছি তালাশ,জাবটাক হায় জান,পাই এগুলো দেখার।
তবে আমার প্রিয় কিছু ছবি-তারে জামিন পার,কাইট্ স (ঋতিক রোশন),গজনী,হামকো দিওয়ানা কারগায়ী,ফানা,মার্ডার -টু ,জান্নাত,আওয়ারাপান,রাজনীতি,টাইটানিক,আন ফেইথফুল,বারান।
এরপর বাংলাদেশী বাংলা দেখেছি থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার,প্রজাপতি,জয়া আহসান আর ইন্দ্রনীল গুপ্তের কি যেন একটা ।এর পর গেলাম ফারুকীর টেলিভিষণ দেখতে।টেলিভিষণ দেখে ফারুকীকেও মাথা মোটা মনে হল।ভেঙে গেল তার প্রতি জমানো শ্রদ্ধা আর উচ্চ ধারনা।হুমায়ুন আহমদ এর ঘেটুপুত্র কমলাও দেখা হল।দেখা হল গহীণে শব্দ।দেখা হয়েছে রানওয়ে।হমায়ুন আহমদ এর আরও কিছু ছবিও দেখা হয়েছে।
এ সবের ভিতর অনেক ডায়লগই মন ছুঁয়েছিল।কিন্তু নায়ক ইমনের মুখে স্বপন আহমেদ এর একটা ডায়লগ আমাকে ব্যথিত করল। "ছোট বেলায় আমার মা একটি লাল পরির গল্প বলতেন।আমি সেই পরিটাকে বিয়ে করতে চাইতাম।কিন্তু ভাবতাম পরিদের তো ডানা থাকে,পরিতো তাই উড়ে চলে যাবে।মা আমাকে বলতেন পরিদের কপালে একটি লালটিপ পরিয়ে দিলে তার ডানা খসে যায়,তখন সে আর উড়াল দেয়না/দিতে পারেনা" ।
সিনেমা শেষ হল ডিজিটাল যুগের রেডিও টু-ডের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।ইমন কুসুম শিকদারকে লালটিপ পরিয়ে দিল।
এখন আমার মগজে ভর করছে এই ডায়লগ দিয়ে গুনি পরিচালক আর কাহীনকার স্বপন আহমেদ আমাদের সমাজকে কি মেসেজ দিলেন! নারীকে কি সেই মান্দাতার আমলের নাকফুল-শাখা -সিঁদুরের মেসেজ দিয়ে গেলেন না স্বপন আহমেদ! যা নারীকে চিনাতে সাহায্য করবে সে কারো ডানা ভাঙ্গা পরাধীন পরি!!!!
গুণী পরিচালকের লাল টিপের নায়ক নায়িকা থাকে ফ্রান্সে।ফ্রান্স হতে প্রথমে অখাদ্য নৃত্য দেখিয়ে গেল আমাদের সমুদ্র সৈকতে সুটিং করে।যেখানে সেলফোন কম্পানি রবি মার্কা লাল সাদা ছাতা পত পত কইরা উড়তাছিল।
উল্লেখ্য ছিঃনেমাটি ছিল হিন্দি নামাস্তে লন্ডন আর কলকাতা বাংলা পরান যায় জ্বলিয়ার ৭০% নকল।
--------ডন্ট কপিপেষ্ট
বিষয়: বিবিধ
১৮৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন