চল হারিয়ে যাই, রাংগামাটি পাহাড়ে...............

লিখেছেন লিখেছেন রাংগামাটি থেকে তাসফিহা ১০ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:৪৭:৫৬ দুপুর

বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি। এই প্রিয় বাংলায় এমন অনেক স্থান আছে যা যেকোন মানুষের মন কেড়ে নিবে। আমাদের মধ্যে যারা ভ্রমন পিপাষু তাদের আমি অনুরোধ করবো তারা যেন ভ্রমন তৃপ্তি পাওয়ার জন্য দার্জিলিং,আগ্রার তাজমহ্ল,হিমালয় ইত্যাদি স্থান ভ্রমন করার আগে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই বাংলা ভ্রমন করে। রাংগামাটি, বান্দরবন, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, সুন্দরবন, গারোপাহাড়, জাপলং, টাংগুয়ার হাওর, হাকালুকি হাওর এমনও আরো অনেক স্থান আছে যেগুলো আপনাকে অবশ্যই দার্জিলিং,আগ্রার তাজমহ্ল,হিমালয় ইত্যাদি স্থানে যেতে বারন করবে। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাংগামাটি মহান সৃষ্টি কর্তার এক অপরুপ সৃষ্টি। আপনি যদি সেখানে ভ্রমন করেন,আমি নিশ্চিত আপনি মনে করবেন জান্নাত তথা বেহেশত আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। জান্নাতের কিছু চির-সবুজ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আমার আকুল আবেদন আপনাদের কাছে, দয়া করে একবার রাংগামাটি ভ্রমন করুন। আমি নিশ্চিত আপনি রাংগামাটির পাহাড়ে ও লেকে হারিয়ে যাবেন।

আপনাদের আকৃষ্ট করার জন্য রাংগামাটির কিছু ছবি আমি নিচে সংযুক্ত করলাম,যা আপনাদের মনকে রাংগামাটি ভ্রমন করার জন্য উদ্ভুদ্ধ করবে।





উপরের ছবিগুলোতে জেলেরা কাপ্তাই লেকের মিষ্টি পানিতে মাছ ধরছে। এই মাছ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সু-স্বাদু মাছ হলো চাপিলা মাছ। আপনাদের খাওয়ার জন্য দাওয়াত দিলাম।



উপরের ছবিটি আপনাদের প্রিয় যুলন্ত ব্রীজ,যা আপনারা বিভিন্ন ছবি অথবা নাটকে দেখেছেন। এই ব্রীজটি সম্পূর্ন তারের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। ব্রীজটির পূর্ব পাড়ে মিষ্টি তেতুলের বাগান আছে। যা খেলে আপনাদের জ্বিবে পানি এসে যাবে।আপনাদের খাওয়ার জন্য দাওয়াত দিলাম।



উপরের ছবিটি শুভলং এর পূর্ব-উত্তর দিকে প্রায় ২ কিলোমিটার দিকে মাইনি যাওয়ার পথে চাকমাদের একটি গুচ্ছ গ্রাম। গ্রামটি ছবিতে শুধু সুন্দর নয়,বাস্তবে আরো সুন্দর। এবং সে গ্রামের চাকমারা অতিথীদেরকে খুব আপ্যায়ন করে।



উপরের ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আদিবাসিরা পানি নিয়ে খেলা করে। এটা তাদের নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আনন্দ। ইহাকে বৈসাবি বলে। সকল আদিবাসিরা প্রত্যেক বাংলা নববর্ষ প্রাক্কালে এই আনন্দ করে থাকে। এই আনন্দ অনেকটা আমাদের ঈদের মত।



উপরের ছবির পাহাড়গুলো আপনারা শুভলং যেতে দেখতে পাবেন।



উপরের ছবিগুলো বর্ষাকালের দৃশ্য। কারন তখন মেঘ পাহাড়্গুলোর সাথে ধাক্কা খায়। সত্যি এক অপুর্ব দৃশ্য।



আপনারা অবশ্যই শুভলং এর ঝর্ণার নাম শুনেছেন এবং অনেকে দেখেছেন। উপরের ছবিটি সেই শুভলং এর ঝর্ণা। বর্ষাকালে এই ঝর্ণায় অনেক পানি থাকে। আপনারা সেখানে গেলে অবশ্যই গোসল করবেন।

ব্লগার ভাই ও বোনেরা আপনাদের আমি রাংগামাটির জনগনের পক্ষ থেকে এই সুন্দর স্থানে ভ্রমনের আমন্ত্রন জানিয়ে বিদায় নিলাম।

আল্লাহ হাফেজ। আল্লাহ আপনাদের তার সৌন্দর্‍র্‍্য উপভোগ করার তাওফিক দান করুক। আমিন।

বিষয়: বিবিধ

৫৫৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File