পবিত্র কোরআন পোড়ানো প্রসংগে গোলাম মাওলা রনির সূ-চিন্তিত মতামত।
লিখেছেন লিখেছেন লাকসামের তাইফুন ১৫ মে, ২০১৩, ১১:৫৫:২৪ সকাল
সম্পাদক, ডিফারেন্ট নিউজঃ
গোলাম মাওলা রনি : গত ৫ মে ঢাকাতে যা ঘটলো তা পৃথিবীর কোথাও ঘটেনি কোন দিন। মুসলমানদের ১৪ শ বছরের ইতিহাসে কোন দেশে বা জনপদে মুসলমানরা নিজহাতে কোরআন পুড়িয়েছে এমন একটি উদাহরণ কেউ দেখাতে পারবেন না।
অথচ ১৫ কোটি মুসলমানের দেশে আমাদের আত্মার নূরকে পাপিষ্টরা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিলো আর আমরা একটি টু শব্দ না করে সকাল বিকেল মসজিদে যাচ্ছি এবং সিজদা দিতে দিতে কপালে দাগ বানিয়ে ফেলছি। সাথে সাথে নিশ্চিত জান্নাত পাবার আশায় প্রহর গুণছি।
আমার ভয় হয়, আমাদের পরিণতি হযরত লুত (আঃ) এর জমানার বনি ইসরাইল জাতির সেই ধার্মিক সাধকের মতো না হয়! যার মাথার উপর জমিন উল্টিয়ে সর্বপ্রথম চাপা দেয়ার জন্য আল্লাহ স্বয়ং নির্দেশ দিয়েছিলেন।
যুগে যুগে ধর্মকে অনেকে রাজনীতিতে ব্যবহার করেছে। কিন্তু পবিত্র আল কোরআন নিয়ে রাজনীতি করার সাহস মুসলমান তো দুরের কথা কোন বিধর্মীও দেখায় নি। কিন্তু আমরা এখন আল কোরআন এর ভস্মিভুত অনুলিপি নিয়ে একে অপরকে দায়ি করছি এবং পুরো জাতিকে স্বয়ং আল্লার মহা আজাবের মুখোমুখি করে দিয়েছি। এই আযাব সমাগত অথচ আমরা নিশ্চিন্তে বসে আছি হাত পা গুটিয়ে।
ইতিহাসের জঘণ্য ব্যক্তিবর্গ যথা চেঙ্গিস খান, হালাকু খান, তৈমুর লং কিম্বা হিটলারও মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ আগুণে পুড়িয়ে দেবার দুঃসাহস দেখান নি। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে তাই হলো এবং মুসলমানরা দায়ি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে টু শব্দটি উচ্চারণ করতে সাহস পাচ্ছে না। কেবল মাত্র একে অপরকে দোষারোপ করে রাজণীতির ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করতে করতে পুরো দেশকে আল্লাহর গজবের মূখোমুখি করে দিয়েছে।
আমার অনুরোধ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের নিকট- এই অপতৎপরতা বন্ধ করুণ। অচিরে এবং দ্রুততার সাথে দায়ি ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতার করে ন্যয় বিচার নিশ্চিত করুন। অন্যথায় যে আগুন পবিত্র কোরআনে লাগানো হয়েছে সেই আগুনের লেলিহান শিখা আমাদের সবাইকে গ্রাস করবে। পবিত্র কালামের সুরা ক্বাফ এ আল্লাহর ঘোষণা যারা বিশ্বাস করেন আমার এই সর্তকবাণী কেবল তাদের জন্য।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন