হ্যাপি মাদার'স ডে
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ০৯ মে, ২০১৫, ০৭:১৩:২৫ সন্ধ্যা
একটি বিশেষ দিনে এখন সারা বিশ্বব্যাপী হ্যাপি মাদারস ডে পালন করে। ইদানিং বাংলাদেশেও এর উন্মাদনা শুরু হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুটা দ্বিমত পোষণ করি। আমার কাছে মনে হয়, ইউরোপ-আমেরিকার মানুষ যারা বাবা-মাকে বৃদ্ধ বয়সে ওল্ডহোমে পাঠিয়ে দিয়ে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাদের মতো অমানুষদের জন্য এ সিস্টেম প্রযোজ্য।
আমরা বাঙ্গালী জাতি পুরনো পারিবারিক যে প্রথা এখনও বর্তমান সেটাতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া)। আমরা কেনো তাদের মতো বছরে একবার জনন্মদাত্রী মা'কে স্মরণ করবো? আমার কাছে তো মনে হয় বছরের ৩৬৫ দিনই আমার বাবা দিবস, মা দিবস। ৩৬৫ দিনই আমি মা'কে ভালোবাসব, বাবাকে ভালোবাসব, তাঁদের জন্য দোয়া করব। হয়ত আমার কিছু বাঙ্গালী ভাই-বোন আমার সাথে দ্বিমত করবেন। করতেই পারেন, এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমার কাছে মনে হয়, আমরা এত বেশি কৃপন এখনও হয়ে যাইনি যার জন্য বছরে একদিন বাবা'কে একদিন মা'কে বিশেষভাবে ভালোবাসতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৯৪৩ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুমিন'দের নিজের পেটেই ভাত নেই তাই তারা বাবা-মা'কে বোঝা মনে করবে। কোথায় পেলেন এমন গাঁজাখুরী গল্প। কয়টা মুমিনকে আপনি চেনেন? তাছাড়া আপনার ধর্মে কী বাবা-মা'কে অশ্রদ্ধা করতে বলেছে? আশা করি এরপর এ রকম ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করার চেষ্টা করবেন না।
ইউরোপ/আমেরিকার 'ওল্ড হোম কেয়ার', 'ওল্ড হেলর্থ কেয়ার' কি জিনিস আগে জেনে নিয়ে পরে লেকচার দিয়েন।
আর ভাইজান আপনি যে পশ্চাত্যের সবাইকে অমানুষ বলে দিলেন, মা দিবস কে তান্ডব বলে দিলেন সেটার কি হবে? নাকি পশ্চাত্য সভ্যতাকে গালিগালাজ করা মোহাম্মদী মুমিন'দের খাসলত??
এই দেখুন- পশ্চাত্যের ওল্ডহোম কেয়ার কাকে বলে।
ইউরোপ আমেরিকায় মানুষের জীবন অনেক বেশি যান্ত্রিক ষে জন্য তারা একটা দিনকে বাবা মায়ের প্রতি ভাল ভাষার প্রকাশ করে ,শত ব্যাস্ততার মাঝে ও তারা এদিন বাবা মায়ের সাথে এদিন দেখা করবে এর মানে এটা নয় তারা শুধু এই একদিন ই তারা বাবা, মাকে ভালবাসে অন্যদিন নয় ।
০ একান্নবর্তী ফ্যামিলি হয়ে থাকতে হবে বিরাট বাড়ির দরকার হয় । যা এখন নেই বললেই চলে । যা আছে তাও ছেলের বউদের চুকলিবাজিতে আর টিকে থাকে না ।
প্রাইভেসীর নাম করে তারা সেপারেট হবার জন্য বিয়ের অব্যহতি পর থেকেই কাবযাব শুরু করে ।
বাবা মাকে শ্রদ্ধা করবেন সেটা বউদের কাছে কখনই ভাল লাগবে না । যাই করেন দিনের শেষে রাতে তো বৌয়ের কাছেই যাবেন শুতে । তখন দেখবেন তার ভাব ও মুখের ঝামটা ।
অথচ তারও কিন্তু বাবা মা আছে এবং সে চায় সে নিজে তার বাবা মাকে শ্রদ্ধা করবে এবং চায় যে তার স্বামীও তার বাবা মায়ের সাথে শ্রদ্ধার সাথে কথা বলুক । কিন্তু স্বামীর বাবা মায়ের ব্যাপারে তার চিন্তা ভাবনা একেবারেই ভিন্ন ।
সংসারকে টিকিয়ে রাখার জন্য ছেলে বাধ্য হয় বাবা মায়ের সাথে বিরুপ ব্যবহার করতে ।
উপরোক্ত ঘটনার কনসিক্যুয়েন্সই হল ওল্ড হোম এবং বাবা দিবস মা দিবস । যারা তাদের বাবা মাকে কাছে না রাখতে বাধ্য হয় বা ইনিশিয়েট করে বাবা মা হতে আলাদা হতে তারাই এসব দিবসের প্রচলন ঘটিয়েছে ।
আজকে যে মেয়ে তার স্বামীর বাবা মাকে প্রাইভেসীর নাম করে ঘর থেকে বের করে দিতে বাধ্য হচ্ছে কয়দিন পর এই মেয়ের ছেলের বউই তাকে ও তার স্বামীকে যে ঘর থেকে বের করে দেবে - এটাই নিয়তি ।
এই সিলসিলা কোনকালেই থামবে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন