ইউশা এবং পেঙ্গুইন - ১
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ০২ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:৪০:২৪ দুপুর
একদিন রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ইউশা তার বাবার সাথে বসে বসে টিভিতে ডিসকোভারী চ্যানেলে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম দেখছিল। এটা সম্পূর্ণটাই ছিল বিভিন্ন প্রাণীদের নিয়ে একটা প্রামাণ্য অনুষ্ঠান। সে অবাক বিস্ময়ে দেখছিল যে, একেকটা প্রাণী কত জটিল এবং প্রতিকুল পরিবেশে সংগ্রাম করছে বেঁচে থাকার জন্য।
যখন সে বিছানায় ঘুমাতে গেল, শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছিল যা দেখল সে সম্পর্কে। কল্পনায় সে তাকে ঐ প্রাণীদের মাঝে দেখল। তখন হঠাৎ করেই তার মনে হলো সে এমন এক জায়গায় রয়েছে যেখানে চারপাশে তুষারে ভর্তি। সে উদ্দেশ্যহীনভাবে চারদিকে ঘুরতে লাগল।
একটু পরেই সে সুন্দর, কোমল ও মিষ্টি একটা সম্ভাষণ শুনতে পেল। ‘স্বাগতম ইউশা। আমাদের ভূবনে তোমাকে স্বাগতম।’
তুমি কে? ইউশা জিজ্ঞেস করলো।
সে উত্তর দিল, আমি পেঙ্গুইন।
যে প্রাণীটি উত্তর দিল তাকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল এবং মনে হচ্ছিল যেন সে ‘টাকসিডো’ (আমেরিকায় রাতের খাবারের সময় ব্যবহৃত বিশেষ পোশাক) পরিধান করে আছে। ইউশা মনে করার চেষ্টা করল আসলে কী ঘটেছিল। তার পরিষ্কার মনে পড়ল আজ রাতে শোয়ার আগে যখন সে বাবার সাথে বসে টিভিতে ডকুমেন্টারী দেখছিল সেখানে পেঙ্গুইনদের নিয়ে একটি অংশ ছিল।
হ্যাঁ, হ্যাঁ তুমি ঠিকই বলেছো, ইউশা খুশির সাথে জবাব দিল। আমি আজ রাতেই টিভিতে তোমাদের লাইফ নিয়ে একটা অনুষ্ঠান দেখলাম। এটা আসলেই খুব একটা ঠান্ডা জায়গা। তোমাদের কী শীত লাগে না?
পেঙ্গুইনটি হেসে জবাব দিল, এটা দক্ষিণ মেরু। এখানে তাপমাত্রা কমতে কমতে এতো নিচে নামে যে তা মাইনাস ১৩০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (- ৮৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস) পর্যন্ত পৌঁছায়। এই আবহাওয়া অনেক প্রাণীকে মেরে ফেলে অর্থাৎ, অতিরিক্ত ঠান্ডার জন্য অনেক প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না। কিন্তু দেখো কী অবাক করা ব্যাপার! আমাদের কোনো সমস্যাই হয় না। খুব অবাক হচ্ছো, তাই না?
আসলেই তাই। আমি ভাবছি এটা কীভাবে সম্ভব?
(চলবে)
বিষয়: সাহিত্য
১১৯৯ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পড়লাম লেখাটা। ভালো লাগল।
ভাল লাগার অনুভূতি রেখে গেলাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন