মনের নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছেই রাখুন

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ১৯ আগস্ট, ২০১৪, ১১:৫০:৩৫ সকাল

অর্থ প্রাচুর্যের মধ্যে জন্মগ্রহণ করলেই কি সাফল্য সুনিশ্চিত হয়? দারিদ্র্যের মাঝে জন্মগ্রহণ বা বসবাস করলেই কি জীবন অসফল হয়? না, মূলত কে কত বেশি বা কম শিক্ষিত তার ওপর সাফল্য নির্ভর করে না। সারা বিশ্বের এক নম্বর ধনী মাইক্রোসফ্টের কর্ণধার মি. বিল গেইটস্। অথচ শিক্ষাগত ক্ষেত্রে তিনি কলেজের গন্ডিই পেরোতে পারেননি। আবার কম্পিউটার প্রস্তুতকারী মাইকেল ডেল অন্য ছাত্রদের জন্য কম্পিউটার তৈরিতে এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে, তিনি ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস হতে বের হয়ে এসেছিলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না এবং আলবার্ট আইনস্টাইন ও টমাস আলভা এডিসন ছাত্র হিসেবে ছিলেন না ততটা ভালো।

সাফল্য নিয়ে নানা চিন্তা ভর করেছিল ড. হোঁজে সিলভার মনেও। তিনি জন্মেছিলেন আমেরিকার টেক্সাস রাজ্যের লারেডো শহরে। তার ছিল না তেমন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। ৬ বছর বয়সে তাকে পরিবারের জন্য ছুটতে হয়েছে কাজে। যখন তার বয়স চার বছর, তখন মেক্সিকান লিবারেশনে হোঁজের পিতা আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। তার মা পুনরায় বিয়ে করে চলে যান অন্যত্র। ফলে শিশুকালে বিশেষ কোনো সুবিধা পাননি তিনি।

সফল মানুষরা কীভাবে তাদের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেন? হোঁজে সিলভা এ বিষয়ে আশ্চর্য হয়ে ভাবতে থাকেন। মন কি করে কাজ করে? এর কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রথমে তিনি মনোবিজ্ঞান বিষয়ক বই-পুস্তক পড়তে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, তিনি মনবিষয়ক নানা প্রশ্ন জানতে চেয়ে চিঠি লিখতে থাকেন বিভিন্ন বিজ্ঞানীকে। তারা কেউ তার প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দিতে পারেননি। শুধুমাত্র বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড ফ্রয়েড হোঁজে সিলভাকে তার প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে কার্যকর কিছু উপায় বলে দেন। ফ্রয়েড সে সময় হিপনোসিস নিয়ে কাজ করছিলেন। তার পরামর্শে হোঁজে প্রথমেই হিপনোটিজম সম্পর্কিত বইপত্র সংগ্রহ করেন এবং তার সন্তানদের ওপর তা প্রয়োগ করতে থাকেন।

হিপনোসিস কি সব সময় সঠিকভাবে কার্যকর থাকে? এ বিষয়ে হোঁজে তার বড় মেয়ের ওপর পরীক্ষা চালালেন। একদিন তার বড় মেয়ে ইসাবেলাকে তিনি পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেই সে আশ্চর্যজনকভাবে প্রতিবারই সঠিক উত্তর দিতে থাকে।

তিনি মনে করলেন যেহেতু তারা একত্রে থাকেন তাই মেয়ে হয়ত বুঝতে পারছিল পিতা কী চান। কিন্তু তিনি তাকে বেশ কটি প্রশ্ন করলেন যার উত্তর হোঁজের নিজেরই জানা ছিল না। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ইসাবেলা ওই প্রশ্নগুলোরও সঠিক উত্তর দিতে পেরেছিল।

হোঁজে ইসাবেলাকে নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে কাজ করতেন। হিপনোসিস অবস্থায় তিনি কবিতা ও অন্যান্য বিষয় পাঠ করে শুনাতেন এবং তাকে মনের ওই অবস্থানে পৌঁছে দিতেন যেন পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনে সে তা মনে করতে পারে। ইসাবেলা অনেক সময় এমন সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে দিত, যার উত্তর তাকে শিখানো হয়নি। যখন সে মনের ওই লেভেলে থাকত, তখন যে সব তথ্য হোঁজের কাছে রক্ষিত ছিল সে তা শনাক্ত করতে পারত। এমনকি অন্য মানুষের মস্তিষ্কে যে তথ্যসমূহ রক্ষিত ছিল তাও সে ধরতে পারত।

জীবনে সাফল্য পেতে তথ্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কাছে যদি সঠিক তথ্য থাকে, তবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। হোঁজে সিলভা বলতেন, ‘এই পৃথিবীতে এমন কোনো সমস্যা নাই, যার সমাধান নাই। শুধুুমাত্র সেই সব সমস্যার সমাধানই আমাদের জানা নাই, যার সম্পর্কে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত নাই।’

মেয়ের বিষয়টি গভীরভাবে অনুভব করে হোঁজে এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে গেলেন যে, তিনি তৎক্ষণাৎ ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক মিস্টার জে. বি. রাইনকে লিখে জানালেন যে, তিনি তার কন্যাকে সাইকিক হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

সাইকিক শক্তি বলে দুনিয়াতে সে কিছু একটা আছে, তার সত্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য ড. জে. বি. রাইন অনেক বছর ধরে গবেষণা করছিলেন। যাকে অনেকেই ‘অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়’ নামে অবহিত করেন। যদিও তিনি এটাকে এক্সট্রা সেন্সরি প্রজেকশন বা সংক্ষেপে ‘ইএসপি’ হিসেবে অবহিত করেন ।

হোঁজের চিঠির উত্তরে ড. জে. বি. রাইন জানান যে, কাউকে সাইকিক হিসেবে প্রশিক্ষিত করা সম্ভব নয়। এই সাইকিক সক্ষমতা শুধুমাত্র প্রাকৃতিকভাবে সামান্য কিছু মানুষের মাঝে থাকে এবং অনেক মানুষেরই তা থাকে না। তিনি আরো লিখেন যে, হোঁজে একজন সৌভাগ্যবান পিতা, কারণ বিশেষ সাইকিক সক্ষমতাসম্পন্ন তার একটি সন্তান আছে।

হোঁজে রাইনের সঙ্গে একমত হতে পারলেন না। কেননা যতদিন তার মেয়েকে তিনি হিপনোটিসের মাধ্যমে মনের বিভিন্ন স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন, ততদিন পর্যন্ত ইসাবেলার মধ্যে কোনোরূপ সাইকিক ক্ষমতা তিনি দেখতে পাননি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সচেতন অবস্থায় সে ইচ্ছা করলেই এমন কিছু তথ্য শনাক্ত করত বা পেতে পারত যার সাফল্যকে সে কখনো জানত না। হোঁজে সিলভা বলেন, ‘আমি মনে করি না সৃষ্টিকর্তা কিছু লোককে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন যা তিনি অন্যদের দেননি। আমাদের সবারই এক বিশেষ ক্ষমতা আছে এবং কি করে সেটি ব্যবহার করতে হবে তা আমাদের শিখতে হবে।’ হোঁজে বিশ্বাস করতেন যদি কেউ কোনো কাজ করতে পারে, তবে প্রতিটি মানুষই সেই কাজটি শিখে করতে পারবে। বিশেষ মানুষের পক্ষে যদি কোনো কিছু করা সম্ভব হয়, তবে যে কেউই তা শিখে করতে পারবে। এ নিয়ে তিনি দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা করে মেডিটেশনের একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন।

মেডিটেশন। যার অর্থ গভীর চিন্তা বা ধ্যান। ধ্যান শব্দটি শুনলেই সবার মনে যে ধারণাটির জন্ম নেয় তা হলো, ধ্যান সনাতন ধর্মের ঋষিরাই করেন। ধারণাটি মোটেও সঠিক নয়। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ ধ্যান করতেন। হযরত মুসা (আ.), হযরত ঈসা (আ.)সহ যে সব নবী বা রাসূলের (সা.) কথা আমরা জানি তাঁরাও ধ্যান করতেন। বাল্মীকি কিংবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ধ্যানের কথা উপমহাদেশের প্রায় সব মানুষের জানা। যে সব পীর, দরবেশ, অলি, আউলিয়ার কথা আমরা শ্রদ্ধাভরে উচ্চারণ করি তাঁরাও ধ্যান করতেন। হযরত মুহাম্মদ (সা.) পঁচিশ বছর বয়স থেকেই ‘হেরা’ পর্বতের গুহায় ধ্যান করতেন। বোখারী শরীফে তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানরত অবস্থায় তাঁর কাছে প্রথম ওহি নাজিল হয়েছিল।

ধ্যান গুরুকেন্দ্রিক বিদ্যা। একজন গুরুর কাছেই ধ্যান করতে শেখাটাই উত্তম। কিন্তু বাংলাদেশে এমন অনেক গুরু রয়েছেন যারা মেডিটেশনের নামে হিপটোনাইজ করেন। হিপনোটিজম অর্থ সম্মোহন। যিনি সম্মোহন করেন তিনি হিপনোটিস্ট এবং যার ওপর এই বিদ্যা প্রয়োগ করা হয় তিনি হিপনোসিস। এটা অত্যন্ত প্রাচীন একটি বিদ্যা। একজন হিপনোটিস্ট দীর্ঘ কঠিন সাধনায় অর্জন করেন এই অলৌকিক ক্ষমতা। এই ক্ষমতা দিয়ে যেমন মানুষের কল্যাণ করা যায়, মানুষকে সৎ পথে ফিরিয়ে আনা যায় তেমনি বিপথগামীও করা যায়। তাই কোথা থেকে মেডিটেশন শিখবেন তা অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে।

১৯৭০-এর দশকে আমেরিকায় একজন ভারতীয় তথাকথিত ভগবান গুরু এমন ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার করেছিলেন। শিষ্যদের হিপনোটাইজ করে নির্দেশ দিয়েছিলেন একটা বড় ড্রামে রাখা তরল বিষ এক গ্লাস করে পান করতে। শিষ্যরা সম্মোহিত অবস্থায় তাই করেছিল। একসঙ্গে মারা গিয়েছিল প্রায় ৭০ জন নারী ও পুরুষ। এই ব্যাপক গণআত্মহত্যায় বিচলিত হয়ে সে সময় আমেরিকান সরকার এ ধরনের আশ্রম গড়ে তোলা বা এর চর্চা করার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।

সম্প্রতি ‘ডিসকভারী’ চ্যানেল একটা গবেষণামূলক প্রতিবেদন প্রচার করেছে। আমেরিকা ও ব্রিটেনের বেশ কজন বিজ্ঞানী একদল মানুষের ওপর সম্মোহনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে বেশ সময় নিয়ে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। তাদের বিষয়বস্তু ছিল ‘একজন ভালো মানুষকে প্রোগ্রাম করে খুনি বানানো সম্ভব কি না?’ এতে দেখানো হয়েছে একজন সাধারণ মানুষকে হিপনোটাইজ করে তাকে দিয়ে মানুষ খুন করানো সম্ভব। এমনকি ঘটনার পর বিষয়টি খুনির একদমই মনে থাকবে না।

সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দেহ ও মন নামক যে মহামূল্যবান সম্পদ দিয়েছেন সেই ভা-ারের চাবি আপনি অন্য কারো কাছে নির্দ্বিধায় দিয়ে দেবেন না। তাই আপনি আপনার নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছেই রাখুন। আপনার জন্য বা সব মানুষের জন্য, সব সৃষ্টির জন্য যা মঙ্গলজনক সেই সঠিক সিদ্ধান্তটি আপনি গ্রহণ করুন। সৈয়দ হারুন : কান্ট্রি ডাইরেক্টর, সিলভা আলট্রামাইন্ড ইএসপি সিস্টেম।

Click this link

বিষয়: বিবিধ

৫১১৬ বার পঠিত, ৩৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

255828
১৯ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:০১
সন্ধাতারা লিখেছেন : Wonderful post! Jajakallah.
১৯ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
199422
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : ধন্যবাদ আপু।
255835
১৯ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
কাহাফ লিখেছেন : সুন্দর একটা লেখা,ধন্যবাদ দিতেই হয় ভাই কে.......।
১৯ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
199423
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : সকলের কাজে লাগলেই ভালো।
255836
১৯ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : খুব মন দিয়ে পড়লাম। ভাল লেগেছে। কারণ মন নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে আমি অনেক লেখকের বই পড়ার পাশাপাশি মেডিটেশন কোর্সও করেছি। আপনার লিখায় কিছুটা সমাপ্তি টানা হয়েছে। তবে এক পোষ্টে তা সম্ভব নয় তাও বুঝি। মেডিটেশন সত্যিই নিজেকে আবিস্কার করার দারুণ এক পথ। আমার জানার বিষয়টি হল, ধরুণ আমি গভীর ধ্যানে গিয়ে আমার অন্য এক গরুকে সামনে এনে পরামর্শ চাওয়ার বিষয়টিকে কি ভাবে দেখবেন। কিংবা এর বিকল্প ব্যবস্থা কি?

ধন্যবাদ খুব সুন্দর ও যুক্তিপুর্ন পোষ্ট উপহার দেয়ার জন্য।
১৯ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:০৪
199424
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : ধন্যবাদ প্রবাসী মজুমদার ভাই। আপনার প্রশ্নের ধরণে মনে হচ্ছে আপনি "কোয়ান্টাম" কোর্স করেছেন। যা হোক, আপনি গভীর ধ্যানে গিয়ে কোনো গরু বা গুরুর কাছে পরামর্শ চাওয়ার কিছু নেই। সেটা ঠিকও নয়।

গভীর ধ্যানেই যান আর নামাযের মধ্যে গভীর মনোযোগী অবস্থায়ই থাকুন না কেন মূলত তখন আল্লাহর সাথে আপনার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়। এবার আপনিই বলুন, আপনি কার কাছে পরামর্শ চাইবেন? কার কাছে থেকে বেশি পাবার সম্ভাবনা আছে?
১৯ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:১৫
199433
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাদের কোর্স সমুহের বাংলা বই বা অডিও সিডি কি অনলাইনে পাওয়া যায়।
১৯ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৯
199465
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : বাংলা বই পাওয়া যায় তবে সিডি পাওয়া যায় না। আমরা সিডি দেই না। কারণ সিডি আপনার জন্য ক্ষতিকর। আমরা সিডি বিক্রি করলে লাভবান হবো ঠিকই কিন্তু আপনি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারো ক্ষতি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কারোরই গওয়া উচিত নয়।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ভিজিট করতে পারেন....
http://mqmission.blogspot.com/
255855
১৯ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:১৬
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৯ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৪০
199467
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ্।
255880
১৯ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৩৮
আফরা লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ অনেক ভাল একটা পোষ্টের জন্য ।
১৯ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:০৯
199494
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : তোমাকেও ধন্যবাদ আফরামনি, কষ্ট করে লেখা পড়ার জন্য।
255913
১৯ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৫০
আহ জীবন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম শাব্বির ভাই একটা প্রশ্ন
আপনারা কি বুঝতে পারবেন কোয়ান্টাম গ্র্যাজুয়েট কেউ একজন সিল্ভা তে গেল সিল্ভা কেমন চেক করতে। আপনারা ট্রেনিং দেওয়ার সময় কি সেটা বুঝতে পারবেন?
১৯ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:১০
199495
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : ভাই আহ জীবন, আপনার প্রশ্ন আমি ঠিক মতো বুঝতে পারলাম না। একটু বুঝিয়ে বলবেন?
১৯ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:১২
199498
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : দুঃখিত ভাই, এবার বুঝতে পেরেছি। যদি তিনি কথা বলেন তাহলে বুঝতে পারব ইনশাল্লাহ। আর যদি বোকার মতো চুপচাপ বসে থাকেন, কোনো কথা না বলেন তাহলে একটু কষ্ট হবে।
১৯ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:২৮
199504
আহ জীবন লিখেছেন : আমি সিল্ভা এর কোর্স কোথায় হয় আর কতদিনের আর কত টাকা প্রয়োজন জানতে চাই। আপনার কাছে কোন তথ্য থাকলে জানাবেন কি?
১৯ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০০
199523
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : মাত্র পরশুদিন এ মাসের কোর্স শেষ হলো। প্রতিমাসে একবার হয়। এ মাসের তারিখ ছিল ১৫/১৬/১৭। আগামী মাসের তারিখ ফাইনাল হলে জানাবো ইনশাল্লাহ।

আপাতত বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
http://mqmission.blogspot.com/

১৯ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০২
199524
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : মাত্র পরশুদিন এ মাসের কোর্স শেষ হলো। প্রতিমাসে একবার হয়। এ মাসের তারিখ ছিল ১৫/১৬/১৭। আগামী মাসের তারিখ ফাইনাল হলে জানাবো ইনশাল্লাহ।

কোর্স ঢাকা আহসানিয়া মিশন এর হেড অফিস, ধানমন্ডিতে অনুষ্ঠিত হয়।

আপাতত বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

Click this link


255952
১৯ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:০৮
আজিম বিন মামুন লিখেছেন : অসাধারন ধন্যবাদ দিলাম,অসাধারন লেখার জন্য।
১৯ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৬
199526
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : আমিও অসাধারণভাবে পুলকিত হয়ে আপনার অসাধারণ ধন্যবাদ অসাধারণভাবেই গ্রহণ করলাম। আপনাকে জানাই অসাধারণ কৃতজ্ঞতা।
255966
১৯ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : পড়ে খুব ভাল লাগল, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
১৯ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৭
199527
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনারা পড়েন এবং মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্য করেন বলেই লেখার উৎসাহ পাই।
255977
১৯ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৭
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : মনের নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে বিবেককে জাগ্রত করতে হবে .অনেক সুন্দর একটা পোস্ট ভাইয়া
১৯ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৯
199528
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : ঠিক বলেছেন প্রবাসী ভাই।
১০
256010
১৯ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪২
বুড়া মিয়া লিখেছেন : যেহেতু আরেকজনকে কন্ট্রোল করা যায়, তাই আমার মনে হচ্ছে আমরা যাকে যাদু বলে জানি – এটা তাই।
২০ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:৩০
199829
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : না। যাদু এক বিষয় আর মাইন্ড পাওয়ার আলাদা বিষয়।
১১
256075
১৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:১১
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো
তবে ভারতীয় তথাকথিত ভগবান গুরু নামটি জানতে পারলে খুশি হতাম Bring it On Bring it On Bring it On Bring it On
১২
256111
১৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:১৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সিলভা মেথড মেডিটেশন নতুন কিছু নয়। প্রাচিন কাল থেকেই সুফি বা যোগিরা যে মুরকাবা-মুশাহাদা করে আসছেন সেটারই পরিশিলিত রুপ। গুরু থেকেই যে শিখতে হবে বা সুফি তরিকা অনুযায়ি সিলসিলায় থাকতে হবে এমন কোন বাধ্যবাদকতা নাই। বিভিন্ন বই পড়ে শিখেযে কেউ নিজের চেষ্টায় এটি করে দেখতে পারেন। বরং একাধিক লেখক ও মেথড এর বই পরলে কোন একটি মেথড এর হিপনোসিস এ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।
২০ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৮
200011
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : সবুজ ভাই, আপনার এ মন্তব্যের সাথে একমত হতে পারলাম না বলে দুঃখিত। সিলভা মেথড অবশ্যই একটি পরিশীলিত রূপ কোনো সন্দেহ নেই। তবে পার্থক্য হলো - সুফি, যোগী, ঋষিরা যে পদ্ধতিতে করতেন সেটা প্যাসিভ মেডিটেশন। আর সিলভা হলো ডাইনামিক মেডিটেশন।

এ বিদ্যা শিক্ষার জন্য অবশ্যই একজন গুরুর প্রয়োজন। তবে আপনাকে দেখে-শুনে ভালো এবং যোগ্য গুরু নির্বাচন করতে হবে। কেননা গুরু ছাড়া বিদ্যা হয় না। যদি তা-ই হতো তবে নীলক্ষেতে প্রচুর মেডিক্যালের বই পাওয়া যায়। সেখান থেকে কিনে পড়েই ডাক্তার হওয়া যেত। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে আর ভর্তি পরীক্ষার ঝামেলা কাউকে সহ্য করতে হতো না।
১৩
256173
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:১৭
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আমাদের সামনের বাসায় ইন্ডিয়ান এক বয়স্ক মহিলাকে দেখি সাত সকালে উঠে বারান্দায় মেডিটেশন করে। এতে নাকি মন স্থির হয়, স্মরণশক্তি বাড়ে, আয়ু বাড়ে ইত্যাদি অনেক উপকার। দেখি সকালে নাস্তা রেডি করার ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য বসে থাকা যায় কিনা Whew!

অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে Good Luck Rose Happy
২০ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
200013
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : ধন্যবাদ বৃত্তের বাইরে। মেডিটেশন করলে অবশ্যই মন স্থির হয়। মনের শক্তি জাগ্রত হয়। আপনি প্র্যাকটিস করলে নাস্তা রেডি করার ঝামেলা থেকে বাঁচতে পারবেন তবে পরিবারের অন্যদের কী হবে?
২২ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:৫২
200587
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : তাহলে এটা মহিলাদের শিখে কাজ নেই। আর করতে চাইলে ৭০ এর পরে Angel
২৩ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৯
201099
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : কিন্তু যদি বলি কোর্স করা থাকলে আপনি আপনার স্বামীকে পজিটিভলি কন্ট্রোল করতে পারবেন। আপনার সন্তানদেরকে সঠিক পথে চালিত করতে পারবেন। তারা জিনিয়াস হিসেবে তৈরি হবে। আপনি কী এসব চান না?

৭০ এর পরে কোর্স করে কার উপকার করবেন?
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০১:২১
211784
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : :Thinking বলছেন যখন কোর্স করে দেখা যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকেHappy Good Luck
অনেকদিন আপনার নতুন কোন লেখা নেই কেন?
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
212396
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : আসলে অফিসের কাজে খুবই ব্যস্ত। সময় করতে পারছি না লিখার। ঠিকমত পড়াও হয় না ব্লগ। তবে আসব খুব শিগগিরই ইনশাআল্লাহ।
১৪
257338
২৩ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : আসলে মন নয় সব ক্ষেত্রেই কন্ট্রোল দরকার
২৩ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৯
201100
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : তবে পজিটিভ ওয়েতে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File