ঃ রমজান আলোচনা ঃ পর্দা (পর্ব - ৭)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ২২ জুলাই, ২০১৪, ০২:৩৭:৩২ দুপুর
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
একজন জাপানী বিজ্ঞানী - নাম Dr. Masaru Emoto। তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তাঁর মা তাঁকে শিখিয়েছিলেন কোন খাবার গ্রহণের পূর্বে প্রার্থনা করতে। ছোটবেলায় এটাকে তিনি মায়ের দেয়া উপদেশ মনে করেই পালন করেছিলেন। কিন্তু যখন তিনি বড় হলেন, তাঁর যুক্তি প্রখর হলো - তিনি যুক্তি দিয়ে বিচার করে সিদ্ধান্ত নিলেন এটা ছিল একটা কথার কথা কিংবা সেকেলে চিন্তা-ভাবনা!
এর আরো অনেকদিন পরের কথা। তখন তিনি একজন বিজ্ঞানী এবং জাপানের একটা নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। হঠাৎ তাঁর মনে হলো - আচ্ছা, আমরা যে কথা বলি তার কী কোন প্রভাব আছে? কাজেই এটা গবেষণা করে দেখা দরকার। তিনি জানতেন মানুষ বা প্রাণীর উপর কথার প্রভাব আছে। যেমন ঃ আপনি বিনা কারণে যদি কাউকে গালি দেন, খারাপ কথা বলেন কিংবা কটূক্তি করেন তাহলে অবশ্যই সেই ব্যক্তি (যাকে উদ্দেশ্য করে গালি দিয়েছেন) প্রতিক্রিয়া দেখাবে। অর্থাৎ, আপনার কথা তাকে প্রভাবিত করেছে। আসলে আমরা সারাটা জীবন যা করছি তার সবই কারো না কারো দ্বারা কোন না কোন ভাবে প্রভাবিত হয়েই। কাজেই Dr. Emoto তাঁর গবেষণার জন্য কোন প্রাণীকে নেবার কোন প্রয়োজনীয়তাই বোধ করলেন না। বরং তিনি নিলেন এক গ্লাস স্বচ্ছ, পরিষ্কার পানি।
Dr. Emoto অন্ধকারের মধ্যে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে উক্ত পানির ক্রিষ্টাল ফর্মেশনের ছবি উঠালেন। এরপর ফলাফল দেখে তিনি অবাক হয়ে গেলেন। উপরের এ ছবিটি একটি সাধারণ পানির, যার সামনে কিছুই বলা হয়নি। এর আণুবীক্ষণিক গঠন ছিল অবিন্যস্ত ও বিশৃঙ্খল।
এবার তিনি পানির সামনে প্রার্থনা করলেন এবং এর আণুবীক্ষণিক ছবি উঠালেন। ছবিটি দেখে তাঁর রীতিমত মাথা খারাপ হবার মতো অবস্থা হলো। (এরপর থেকে তাঁর ভেতরে খাওয়া শুরু করার পূর্বে যে প্রার্থনা করা হয় তার গুরুত্ব বেড়ে গেল।)
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১১২৩ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন