তাক্বওয়া অর্জন
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ২০ জুন, ২০১৪, ০৪:৩১:৩৩ বিকাল
ইয়া আইয়্যু হাল্লাজিনা আমানু কুতিবা আলাইকুমুস সিয়াম, ক্বামা কুতিবা আলাল্লাজিনা মিন ক্ববলিকুম লা আল্লাকুম তাত্তাকুন।
"হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর যেন তোমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পার।"
আলোচ্য আয়াতটি কুরআন থেকে বর্ণিত। অর্থাৎ রোজা শুধুমাত্র উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্যই নয় বরং এর আগে অন্য নবীর উম্মতের উপরও ফরয করা হয়েছিল।
আল্লাহ চান আমরা যেন তাক্বওয়া বা পরহেজগারী অর্জন করতে পারি। আর মাত্র সপ্তাহখানেক পরেই শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। সারা বছর আমরা যত অন্যায়ই করে থাকি না কেন, চলুন এই পবিত্র মাসে আমরা তওবা করে অতীতের ভুল ও গুনাহের জন্য তাঁর কাছে পানাহ চাই এবং ওয়াদা করি ভবিষ্যতে আর এসব গুনাহ করব না।
আল্লাহর দেয়া যে বিধান রাসুল (সঃ) নিয়ে এসেছেন তা যেন আমরা যথাযথভাবে আদায় করতে পারি। পবিত্র রমজানের হক যেন সঠিকভাবে আদায় করতে পারি।
যাঁরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পারবেন তাঁদের জন্য আল্লাহ তায়ালা ৫টি পুরস্কারের ওয়াদা করেছেন।
(১) যখন কোনো কঠিন বিপদ আসে, আল্লাহ তায়ালা তা থেকে মুক্তির জন্য পথ খুলে দিবেন।
(২) হালাল রুজির ব্যবস্থা করে দিবেন।
(৩) দুনিয়াদারী করতে যত রকম সমস্যাই আসুক না কেন তা সহজ করে দিবেন।
(৪) আমলনামা থেকে অতীত জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। এরপর ঐ খালি জায়গা পূণ্য / সওয়াব দিয়ে ভরে দিবেন।
(৫) সম্মানীত পুরষ্কারের ব্যবস্থা করবেন। সেটা ইহকাল অথবা পরকালেও হতে পারে।
একবার ভেবে দেখুন, কত পুরস্কারের ঘোষণা আল্লাহ তায়ালা দিয়ে রেখেছেন। আমাদের মানুষের ওয়াদা খেলাপ হতে পারে কিন্তু আল্লাহর ওয়াদা কখনো খেলাপ হতে পারে না। আর উপরের যে ৫টি পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন তার মধ্যে ৪টি পুরস্কারের বিষয় আমরা পরিষ্কার একটা ধারণা পাই কিন্তু পঞ্চম যে পুরস্কারের কথা বলেছেন তা অনেকটা অসম্পূর্ণ। অর্থাৎ অসম্পূর্ণ এ অর্থে যে যা আমাদের সহজে বুঝে আসে না। আল্লাহ তায়ালা এখানে পুরস্কারের বিষয়টি গোপন রেখে দিয়েছেন।
দুনিয়ার হিসেবে কোনো সম্মানীত মানুষ কিংবা কোনো মন্ত্রী, এমপি বা কোনো কোটিপতির কাছে যদি কেউ সাহায্যের জন্য যায় তিনি নিশ্চয়ই ৫/১০ টাকা দিবেন না। কেননা এটা তাঁর অবস্থানের সঙ্গে মানায় না। এ অবস্থা থেকেই আমরা অনুধাবন করতে পারি, আল্লাহর দেয়া পুরস্কারের পরিমান কত বড় হতে পারে। তাঁর জাত ও ইজ্জতের বিবেচনায় পুরস্কারও অনেক বড় ও অকল্পনীয় হবে তা বুঝা যায়। তবে আমরা চাই, যে কোনো ত্যাগের বিনিময়ে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করতে।
চলুন, আমরা সকলেই তাক্বওয়া অর্জনের চেষ্টা করি এবং পবিত্র রমজানের হক সঠিকভাবে আদায় করি। শুধু নিজে করলেই চলবে না বরং আরেকজনকেও দাওয়াত দিই এবং হেকমতের সাথে তাকে বুঝাই।
বিষয়: বিবিধ
১৩২৪ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি কেমন চিরবিদ্রোহী? আপনার বিদ্রোহমূলক লেখা কোথায়? কেন ভালো ভালো লেখা পাচ্ছি না?
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
বিষয়টা একটু অন্য আঙ্গিকে ভেবে দেখুন, যতি সকলেই এ ভয় নিজের ভেতরে ধারণ করে সব কাজে তাহলে সমাজে ও রাষ্ট্রে কত সুন্দর একটা ইনসাফ কায়েম হতে পারে। লাভ কিন্তু আমাদেরই....
আমরা সবাই আল্লাহর প্রিয় মুত্তাকী হতে চাই! শুধু তাই না >
ওয়াজা'ল্লানা লিল মুত্তাক্বীনা ঈমামা...
তাকওয়ার সর্বোত্তম পুরস্কার আখেরাতে পাওয়া যাবে। কিন্তু দুনিয়াতে ২ ধরনের পুরস্কার রয়েছে।
১টি ব্যক্তিগত অপরটি সমষ্টিগত।
ব্যক্তিগত পুরস্কার হলো যিনি তাকওয়া অবলম্বন করবেন আল্লাহ তাকে সকল বাধা বিপত্তি দূর করেদিয়ে তার চলার পথ সহজ করে দেন।
আর সমষ্টিগত পুরস্কার হলো যে সমাজ তাকওয়ার পথে চলার সিদ্ধান্ত নিবে আল্লাহ তাদের জন্য আসমান ও জমিন থেকে বরকতের ভান্ডার খুলে দেন।
পোষ্টের জন্য
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। রামাদান মুবারাক
মন্তব্য করতে লগইন করুন