বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ১০ জুন, ২০১৪, ১২:৩০:০৮ দুপুর
আর মাত্র ১দিন পরই শুরু হচ্ছে স্বপ্নের বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪। প্রতিবারই যখন এভাবে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা আসে তখন সারা দেশ বিশেষ করে ঢাকার আকাশ ছেয়ে যায় রং-বেরঙের পতাকায়। প্রতিযোগিতা চলে কে কত বড় পতাকা বানাতে পারে। অথচ এখনও আমাদের দেশের কত শিশু খেতে পায় না।
বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের ফুটবল টিমের সমর্থক আছে। বিশেষ করে অনেক সময় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থক গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের কথাও শোনা যায়। এ বিষয়গুলো আমাকে বেশ ভাবায়। কার জন্য আমরা নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত হই? কার জন্য আমরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে পতাকা বানাই? ইদানিং শুধু বাড়ির ছাদেই নয় গাড়িতেও্ অনেকে তার প্রিয় টিমের পতাকা লাগায়।
আমার প্রশ্ন হলো, এটা কি কোনো স্বাধীন দেশের মানুষের মানসিকতা হতে পারে? খেলা ভালো লাগে দেখে কোনো টিমের প্রতি দূর্বলতা থাকা এক বিষয় আর মাতামাতি অন্য বিষয়।
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত যে লাল-সবুজের পতাকা তাকে ফেলে অন্য কোনো পতাকা নিয়ে মাতামাতি আমার কাছে কখনোই গ্রহনযোগ্য মনে হয় না। আমাদের এ মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। আমরা শুধু আমাদের গর্বের পতাকাই উড়াবো, অন্য কারো নয়। খুব ভালো লাগল যশোরে প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সব পতাকা নামিয়ে ফেলতে। এর নামই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। শুধু রাজাকার বিরোধী কথাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়।
আসুন্, আমরা সকল অপচয় রোধ করে সৃষ্টির কল্যাণের চিন্তা করি, পরকালে যে জবাবদিহী করতে হবে তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোন।
বিষয়: বিবিধ
২৪২৪ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কোন গঠনমূলক বা সৃষ্টিশীল কাজে তাদের পাওয়া যাবে না এতটা ।
যারা খেলে তাদের মধ্যেও তো এতটা পাগলামী আসে না ।
দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠও বন্ধ ঘোষনা করা হয় এসময়ে যেটা স্বয়ং স্বাগতিক দেশেও হয় না !
আবেগ দিয়ে যদি সবকিছু জয় করা যেত তাহলে বাংলাদেশ অন্তত একবার হলেও বিশ্বকাপ জয় করতো । আবেগ থাকলে যে কিছু হয় না , করেই দেখাতে হয় বাংলাদেশ সেটার এক উতকৃষ্ট উদাহরণ ।
আর এজন্য ফুটবলসহ অন্য সব কিছুতে বাংলাদেশ এই সব অংশগ্রহকারী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে ।
আমরা কোন বিষয়ে নিয়ে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলি।
অজান্তে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব
তা হতে পারে অপ্রত্যাসিত কোন ব্যক্তির
সাথে , সময়ের প্রয়োজনে জীবনের
বাস্তবতায় আবার তার বিচ্ছেদ ও ঘটে ,
প্রয়োজনের তাকিদে অনেক
দূরে চলে গেলেও যেনো মুছে না ফেলি সৃতির
পাতা থেকে কেউ কাউকে ।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য
না জানা থাকলে স্বভাবতঃই মানুষ তার বুদ্ধি ও বিবেক তাড়িত হয়ে কাজ কর্ম করে। সচেতনতা সৃষ্টি করলে মানুষ ভুল বুঝতে পারে।
গত কয়েক দশক ধরে যেখানে আমরা এ পতাকা উত্তোলন ট্রেন্ড দেখছি - সরকারী কর্মকর্তা হতে শুরু করে বাংলাদেশের পলিসি মেকার রা যেখানে এটা সম্পর্কে সাম্যক অবগত হয়ে আছেন - সেখানে তারা কেন এর প্রতিকারে যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন নি - সেটা আমার কাছে বড় মনে হয়, তাদেরকে দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনুপোযুক্ত মনে হয় - যতটা না জানা, না বোঝা, অহমিকাপূর্ন দেখানেওয়ালা গণমানুষকে মনে হয়।
তারপর ও আশা করি আপনার মত যারা এ নিয়ে লিখছেন তারা একদিন বাংলাদেশের পলিসি মেকারদের সম্ভিৎ ফেরাতে পারবেন আর মসজিদের ইমামদের মুখ দিয়ে বলাতে পারবেন - অপচয় কারী শয়তানের বন্ধু, যারা ভীন দেশী পতাকা বানায় আর তার প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে সে আসলে এ উম্মাহভুক্ত নয় ইত্যাদি।
ধন্যবাদ।
অপচয়ের কথাটা কয়জন মাথায় রাখে ?
ধন্যবাদ সচেতনতামুলক পোষ্টের জন্য।
মুই আইজকে মার্কেটে যামু বৌয়ের লিগ্যা এক্কান শাড়ী কিনবার জন্য। আপনে আমারে এক্কান পরামর্শ দেন কুন দেশের পতাকা দিয়ে তৈরী শাড়ীটা কিনলে ভাল অইবো? আই মিন চ্যাতনা উৎলাইয়া প্রকাশ করতে পারমু?
মন্তব্য করতে লগইন করুন