হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা ঃ পর্ব - ২৩

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ২৮ মে, ২০১৪, ০২:৩৮:৫৬ দুপুর

সর্বোপরি গত ৩ মে ২০১৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবীর জবাব দেন। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের দাবীগুলো ইতোমধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি। এ দাবীগুলোর অনেকগুলোই বাস্তবায়িত হয়েছে। কয়েকটি দাবী বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে নিশ্চয়ই দাবীগুলোর সুরাহা করা যাবে।

তারা বলেছেন, সংবিধানে ‘মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন করতে হবে। আপনারা জানেন, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম লেখা আছে। আমাদের সংবিধান শুরু হয়েছে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম দিয়ে। এটি পবিত্র কোরআনের আয়াত। এর চেয়ে উত্তম আর কোনো বাক্য হতে পারে না। আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা বলেই এই সংবিধান আল্লাহর পাক কালাম পবিত্র কোরআনের আয়াত দ্বারা শুরু হয়েছে।

তারা দাবী করেছেন, আল্লাহ, রাসুল (সঃ) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাশ করতে হবে।

আল্লাহ, রাসুল (সঃ) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে শাস্তি প্রদানের দাবীর সঙ্গে সরকারেরও কোনো দ্বিমত নেই।

ধর্মের অবমাননার বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রেখে দেশে আইন বিদ্যমান। প্রচলিত আইনে ২০০৯ সালে প্রণীত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এর ৫৭(১) ও (২) ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১০ বছর কারাদন্ড ও ১ কোটি টাকা অর্থদন্ড ও জরিমানা, দন্ডবিধির ২৯৫ ধারা অনুযায়ী ২ বছরের কারাদন্ড ও জরিমানা, দন্ডবিধির ২৯৮ ধারা অনুযায়ী ১ বছরের কারাদন্ড ও জরিমানার বিধান রয়েছে। এ ধরণের শাস্তি পর্যাপ্ত না হলে প্রচলিত দন্ডবিধি ২৯৫ এবং ২৯৮ ধারা সংশোধন করে আরও কঠোর শাস্তির বিধান করা যেতে পারে।

তারা বলেছেন, নাস্তিক মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সাঃ) এর শানে কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধ করে গ্রেফতারপূর্বক কঠোর শাস্তি দানের ব্যবস্থা করতে হবে।

ইসলাম ও মহানবী (সাঃ) সম্পর্কে কটুক্তি বা কুৎসা রটনার অধিকার কোনো ব্যক্তির নেই। এমনকি ধর্মে বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে পারে না এবং যা সব দেশেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইতোমধ্যে প্রিয় নবী (সাঃ) এর প্রতি কুৎসা রটনাকারী ৪ জন ব্লগারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্লগারদের এ ধরণের কার্যক্রম সরকারের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি গভীরভাবে অনুসন্ধানপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির জোর তদন্ত কার্যক্রম চলছে। ভবিষ্যতে অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সরকার তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে এবং তারাও আইনের আশ্রয় নিয়ে যথাযথ আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন।

তাদের দাবী হচ্ছে - রাসুল (সাঃ) প্রেমিক প্রতিবাদী আলেম ওলামা, মাদরাসার ছাত্র এবং তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচারে গুলিবর্ষণ এবং হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে।

আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, শান্তিপ্রিয় এবং নিরপরাধ আলেম ওলামা, মাদরাসার ছাত্র, ইমাম-খতিব ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আলেমরা আমাদের সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোনো আলেম ওলামার ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন ও গুলিবর্ষণ করার ঘটনা ঘটেনি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেশের প্রচলিত কার্যবিধি অনুযায়ী আইন প্রয়োগ করে থাকে। মানুষের জানমালের হেফাজত করাই তাদের দায়িত্ব।

অপরদিকে ধর্মের নামে এবং ইসলামকে বিকৃত করে সাম্প্রতিককালে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা হয়েছে। জামায়াত-শিবির ও তাদের দোসররা কীভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে এবং রাষ্ট্রীয় ও জনগণের সম্পদ ধ্বংস করেছে তা আপনারা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখেছেন। তারা গ্রেফতারকৃত সব আলেম ওলামা, মাদরাসার ছাত্র, ইমাম-খতিব ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তি দেয়ার দাবী করেছেন। দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী করেছেন।

আমাদের জানা মতে, কোনো আলেম ওলামা বা মাদরাসা ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়নি। যারা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরসহ সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী, যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে কেবল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং হবে। তাদের জানা মতে, যদি কোনো নির্দোষ আলেম গ্রেফতার হয়ে থাকে, তবে তালিকা প্রদান করলে অবশ্যই সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে তাদের মুক্তি দেবে।

তারা বলেছেন, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদের মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে।

তাদের এ বক্তব্যের সাথে সরকারের কোনো দ্বিমত নেই। কোনো মসজিদে নামাজ আদায় করতে সরকার কাউকেও বাধা প্রদান করেনি। সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ সব নাগরিককে স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের সুযোগ দিয়েছে। সরকার নাগরিকদের এই সাংবিধানিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন। তবে, খুতবার সময় কারও বিরুদ্ধে যাতে গীবত করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

হেফাজতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার-ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।

আমরা একই সঙ্গে মুসলমান এবং বাঙালি। আমাদের নিজস্ব বাঙালি সংস্কৃতি রয়েছে। ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার ইত্যাদি বাঙালি ও বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।

বাক-স্বাধীনতার নামে বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার বা এ ধরণের কোনো তথ্য পেলে সরকার তা প্রতিহত করবে।

উল্লেখ্য, ব্যভিচার দন্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় দন্ডনীয়। অশ্লীল আচরণের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর ৭৫ ধারায় শাস্তির বিধান আছে। অন্যান্য মহানগর পুলিশের অধ্যাদেশেও একই বিধান করা আছে। অন্যদিকে সংবিধানের ১৯(৩), ৩৬ ও ৩৯ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা আছে যে, ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতা এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব নাগরিকের অবাধ বিচরণ সংবিধানের স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। এ অধিকার ক্ষুণ্ন করে কোনো বিধান প্রণয়ন করা হলে তা সংবিধানের ৩৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী হবে এবং সেই কারণে ৭ ও ২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ঐ বিধান বাতিল হয়ে যাবে।

তারা দাবী করেছেন, মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তি নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। আপনারা জানেন, সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। দেশের স্বাধীনতা ঐতিহ্য ও কৃষ্টি-কালচারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ভাস্কর্যকে মূর্তি হিসেবে চিহ্নিত করা ঠিক নয়। তবে সরকার কোনো ধরণের অশ্লীল ভাস্কর্য নির্মাণ করতে দেবে না।

তারা দাবী করেছেন, ইসলামবিরোধী নারী নীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

আমাদের সরকারই সর্বপ্রথম শিক্ষনীতি প্রণয়ন করেছে, যেখানে মাধ্যমিক পর্যন্ত ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। নারী নীতির যে সব অংশ ইসলামের বিধানাবলীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বিবেচিত হবে সেগুলো এ সরকার কোনো অবস্থাতেই বাস্তবায়ন করবে না। নারী নীতিতে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

ধর্মহীন, নীতি-নৈতিকতাবিহীন শিক্ষানীতি এ সরকার কখনোই সমর্থন করে না। ইসলাম ধর্মের বা পবিত্র কোরআনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো নীতি বা আইন প্রণয়ন করা সরকারের উদ্দেশ্য নয় এবং তা করাও হয়নি। ইসলাম নারীদের মর্যাদা এবং যথাযথ অধিকার দানে বিশ্বাসী। সমাজের নারীদের বিভিন্ন বঞ্চনা ও অবিচার থেকে রক্ষা করার জন্য নারীনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।

তারা বলেছেন, সারা দেশে কওমি মাদরাসার ছাত্র, শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম ও খতিবকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। এ ধরণের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে প্রচলিত আইনের আওতায় ব্যবস্থা গ্রহণের অবকাশ রয়েছে এবং ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর। তারা দাবী করেছেন, রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে।

এ ব্যাপারে আমি একমত। আওয়ামী লীগের লোকজন দাড়ি রাখে। টুপি পরে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত প্রদান শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ যদি স্বেচ্ছাকৃত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রেডিও-টেলিভিশন বা অন্য কোনো প্রচার মাধ্যমে এ ধরণের অপরাধে লিপ্ত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে যে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারেন। তবে এ জাতীয় অভিযোগের বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। প্রয়োজনে এ কমিটিতে আলেম ওলামাদের সম্পৃক্ত করা হবে।

হেফাজতের নেতারা দাবী করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত এনজিও, কাদিয়ানি অপতৎপরতা এবং খৃষ্টান মিশনারীদের ধর্মান্তরসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশে যে কোনো ব্যক্তির ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে। তবে জোর করে কাউকে ধর্মান্তরিত করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পার্বত্য এলাকায় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে, তাদের দারিদ্র এবং অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে কোনো এনজিও অথবা কোনো সংগঠন যাতে অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী রয়েছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৪ মে ২০১৩)

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ ধর্মীয় অনুভূতি বিবেচনায় হেফাজতে ইসলামের ন্যায়সঙ্গত দাবী আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মেনে নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, হেফাজতে ইসলাম শুধু ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ধর্মীয় অনুভূতির স্বার্থে কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এখানে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৫ মে ২০১৩)

বিষয়: বিবিধ

১০৩৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

228273
৩০ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
আমি মুসাফির লিখেছেন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবীর জবাব দেন। তিনি বলেন,আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, শান্তিপ্রিয় এবং নিরপরাধ আলেম ওলামা, মাদরাসার ছাত্র, ইমাম-খতিব ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আলেমরা আমাদের সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোনো আলেম ওলামার ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন ও গুলিবর্ষণ করার ঘটনা ঘটেনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই কথা জলন্ত মিথ্যা। তারা আলেম ইসলাম ও মুসলমান কাউকে সহ্য করে না। হেফাজতের সাথে যেব্যবহার করেছে তা নিন্দনীয়
৩০ মে ২০১৪ দুপুর ০২:১৭
175088
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : উনাদের বক্তব্য অনুযায়ী সেদিন কেউ মারা যায়নি। সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দেই নাকি সব ভয়ে পালিয়েছে। আরো কত টিটকারী করা হয়েছে। অথচ সেদিন আমার এক ভাইয়ের ছেলে, বুয়ে্টে ৪র্থ বর্ষে পড়ত, মাথায় গুলি লেগে মারা যায় বাইতুল মুকাররমের সামনে। ঢাকা মেডিক্যালে সেই ভাইয়ের বন্ধু ডাক্তার হিসেবে ঐদিন রাতে ডিউটিতে ছিল বলে মাঝরাতেই আমরা লাশটা পেয়েছিলাম। নতুবা গায়েব হয়ে যেত অন্যদের মতো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File